নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফ্রিকার স্বৈরাচারীরা ও সাধারন মানুষের ধুলোমাখা মুখঃ একটা পর্যবেক্ষন

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

ক্ষমতায় গেলেই যে দূর্নীতি, ঘুষ, কমিশন, চুরি, ডাকাতি, ব্যাংক লুট করে/খেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজের করে নিতে হবে তা বুঝতে হলে আফ্রিকান দেশ গুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের দিকে তাকালেই বুঝা যায়, কি চকচকে তেলাক্ত চেহারা এই সব আফ্রিকান রাষ্ট্র প্রধানদের, হাতে সোনার ঘড়ি্‌ পরনে কোট টাই, দামি জুতা, চলাচলে দামী মাসির্ডিজ গাড়ি, এদের একেক জন যেন আমাদের ওকা ফ্যাশনের শতবর্ষী! অথচ আফ্রিকার একেক দেশে একেক রকমের সম্পদ থাকা সর্তেও সাধারন জনগন নিঃস্ব এবং ধুলোয় গড়াগড়ি খায়। বছরের পর বছর দেশ শাসন করে সরকার প্রধান তার নিজের ও নিজের লোকদের ঝোলা ভরলেও সাধারন মানুষের ভাগ্যে তেমন কিছুই রাখে না, এই দূর্নীতিবাজ সরকার গুলোর কারণেই আফ্রিকার সাধারন মানুষের এই দূর্গতি, এরা পাহাড় জঙ্গলে বসবাস করতে বাধ্য এবং এদের নাম নাকি ভিন্নমতালম্বি বা রাইবেল!

গত কয়েক দিন আগে এই আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি ভাইয়ের অকাল হত্যা মৃত্যু আমাদের চোখের সামনে অনেক কিছু এনে দিয়েছে। ইদ্রিস ভাই মোট ৩০ বছর চাদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং এই কয়েকদিন আগে আবারো আরো ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমি নিজে অনেক তথ্য দেখলাম এবং সেই সকল তথ্য ভেরিফিকেশন করে কিছুতেই তাকে একজন সৎ এবং দেশ প্রেমিক প্রেসিডেন্ট বলতে পারছি না। চাদ মুলত বেশ বড় একটা দেশ এবং তেল খনি পাপ্তি উলেখযোগ্য ছিলো। তিনি তার ৩০ বছরের এই পদে থাকার কোন সুযোগ দেশের সাধারন মানুষের জন্য করেছেন বলে দেখি না, সব কিছুই যেন নিজের এবং নিজেদের লোকদের জন্য! আফ্রিকার সেরা জীবিত মৃত মিলিয়ে দূর্নীতিবাজদের তালিখায় তার নাম গত বছরেও ছিল ৮ম স্থানে!

আফ্রিকার জিম্বাবুয়ের এক সময়ের প্রেসিডেন্টের নাম তো নিশ্চয় শুনেছেন, হ্যাঁ, রবার্ট মুগাবে! এই লোকেও পুরা ক্ষমতায় ৩০ বছর পার করেছিলো, এবং তার শেষটা ছিলো পালিয়ে সিঙ্গাপুরে চলে আসা এবং সেখানেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়! ক্ষমতায় থেকে নিজের ধন সম্পদ আর স্ত্রী, মেয়ে নিয়ে আনন্দ ছাড়া তেমন কিছু করছেন বলে অনেকেই মনে করতে পারে না, অথচ ৩০ বছর একটা বিরাট বড় সময় ছিলো তার হাতে! এই রবার্ট মুগাবে একটা আইন করেছিল যে, যে কেহ তার নামে কোন কুৎসা ছড়ালে বা বলেই জেল কিংবা হত্যা এবং এভাবে বহু মানুষ তার হাতে নিধন হয়েছেও। তাকেও আফ্রিকার সেরা জীবিত মৃত মিলিয়ে দূর্নীতিবাজদের তালিখায় তার নাম গত বছরেও ছিল ৬ষ্ট স্থানে!

রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে সরকার প্রধান এবং তার চেলাদের সম্পদ অর্জন যেন আফ্রিকার দেশ গুলোর একটা ঐতিহ্য! কত প্রেসিডেন্ট এলো গেল হত্যা হল, তবুও সেই ধারাই বেঁচে আছে এবং এটা হারিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে না! আফ্রিকার সাধারন মানুষের ধুলোমাখা মুখ গুলো আমাদের কত কথা বলে, আমরাও না শুনার ভান করে থাকি!

তবে তবে, শেষে এটা কথা না বলেই পারছি না, যে কোন স্বৈরচার সরকার বেঁচে থাকে দেশের বাইরে কোন না কোন দেশের বা পাশবর্তি দেশের সাহায্য নিয়েই! এই নিলজ্জ বেহায়া সরকার প্রধানেরা তার শাসনামলে সেই দেশকে দুইহাত ভরে দিয়ে যায় এবং বিনিময়ে তাদের মানসিক নিরাপত্তা দেয় সেই দেশের সরকার বা সরকার প্রধান, যদিও শেষ শূন্যই।

আফ্রিকার এমন সব দেশের দূর্নীতিবাজ সরকারের জন্য যে দেশটা কাজ করে তার নাম হচ্ছে ফান্স! হ্যাঁ, তথ্য উত্তাপ তাই বলে। ফান্স আফ্রিকার প্রায় সব দেশের মধ্যেই এমন কাজ করে এবং এখনো ফান্স আফ্রিকার অনেক দেশকে তাদের কলোনী মনে করে, অন্যদিকে প্রায় অনেক আফ্রিকার দেশের ২য় ভাষাও ফেঞ্চ! ফান্স সরকার সব সময়েই এই সব দূর্নীতিবাজদের সাথে থাকে এবং তাদের প্রশয়ে নিজেরা লাভবান হয়, তবে শেষ রক্ষাটা করতে পারে না!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা ক্ষমতায়, এরা সবাই ডাকাত, এদেরমতো অপরাধী কোন মহাদেশে নেই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তা হলে আমার সাথে একমত। তবে এটা ফান্সের একটা কারশাজীও বটে! ফান্স সব সময়েই এই দেশ গুলো থেকে লাভবান হয়।
আমাদের কথা কি আর বলবো, আমরাও যাচ্ছি সেই পথেই!

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: রবার্ট মুগাবে: জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার নায়ক থেকে স্বৈরশাসক।
মুগাবে যখন ভালো ছিলেন, তো ভালো কাজ করেছেন এবং যখন তিনি খারাপ হন, তখন সত্যিই তিনি ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছিলেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তা জানি, তবে যার শেষ ভাল তার সব ভাল!

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন: তা হলে আমার সাথে একমত। তবে এটা ফান্সের একটা কারশাজীও বটে! ফান্স সব সময়েই এই দেশ গুলো থেকে লাভবান হয়।

-এখানে আপনার ভুল; ফ্রান্সের কারণে ওখানকার মানুষ সামান্য চিকিৎসা ইতয়াদি পেয়ে থাকে।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: জিম্বাবুয়ের কথা পড়লেই আমার মাসুদ রানার অন্ধকার চিতা বইটির কথা মনে হয়। রট উমাঙ্গো, সোহানা, রানা, রেবেকা!

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওরা চেহারা সুরত ও কাজের সাথে মিল রাখে ক্ষমতা চালায়

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আফ্রিকার শাসককুলের দুর্ণীতি ও পেছনের কুশিলবদের চিত্র সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
এই মহুর্তে দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আসনটিও।
ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্টে সিরিল রামফোসার বিশ্বাসযোগ্যতা
এবং বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ দেশে দুর্নীতি
কমিয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টাকে উত্সাহ দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তাঁর সরকার।
গত মার্চ মাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় কঠোর লক ডাউন শুরু হয়। সে সময় থেকে আয় বন্ধ
হওয়া লোকজন ও পরিবারকে খাদ্যসহায়তার নামে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে ব্যপক হইচই
শুরু হয়। স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা গরিব পরিবারের জন্য দেওয়া অনুদান ও খাদ্য বিক্রি করে
দেয়।কয়েকটি হাসপাতাল থেকে অভিযোগ জানানো হয়, সরকারিভাবে কেনা মাস্ক, গাউন,
পিপিই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পৌঁছায়নি । এর পর আরও বড় দুর্নীতির খবর চাউর হয় ।
মোট ২ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ গায়েব হয়ে যায়। নতুন করে
বেকার হয়ে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের যে অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ছিল তাঁরা তা
পায়নি। কেন পাননি তাঁরা কেউ জানেন না। শুধু জানতে পারেন তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া
অর্থ উপলব্ধ নয় ( তথ্য সুত্র : প্রথম আলো} ।

দুর্নীতিবাজদের চরত্র দেশে দেশে একই রূপ । সাধারণমমানুষের সচেতনতা বৃদ্বি পাওয়া ছাড়া
উপাই নাই । নীজেদের মঙ্গলের জন্য জনসাধারণ নিজেদেরকেই জাগিয়ে তুলতে হবে ।

ভাল একটি বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চমৎকার তথ্য। আমি দক্ষিন আফ্রিকা নিয়ে কিছুটা দেখেছি, নেলসন মেন্ডেলা আসার পরে যে অবস্থা আমরা আশা করেছিলাম, এখনকার অবস্থা দেখে ততই কষ্ট বাড়ে। নেলসন চলে যাবার পরে জ্যাকব জুমাই প্রথম দূর্নীতি শুরু করেন বলে নানান তথ্য জানা যায়, এই লোক কি করে দূর্নীতি করতে পারে তা আমার মাথায় ধরে না! এই জ্যাকব আফ্রিকার ১০ জন দূর্নীতিবাজদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানের শাসকদের জন্য ঘৃনা ছাড়া আর কি করার থাকে। অথচ কত না প্রতিশ্রুতি, এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছে। সাদারা যে অকাঠামো গড়ে তুলেছিল, এখনো সেখানেই আটকে আছে।

কালো মানুষের প্রধান দেশ দক্ষিন আফ্রিকাকে গন্য করা হলে খুব চিন্তায় পড়তে হয়। আপনার চমৎকার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট নৃতাত্বিক জাতি-গোষ্ঠী হলো অষ্ট্রোলয়েড-নিগ্রয়েডরা, যারা নিজেরাই নিজেদের মাংস খায়।
সাদার সারা পৃথিবীতে ডাকাতি করে সেই সম্পদ জনগণের কাজে লাগায়।
আফ্রিকা ও বাংলাধেশ-ভারতের কিছু লোক এই্ গোষ্টীর মধ্যে পড়ে. তাই তাদের আচরণও এরকম. দুর্নীতি লুটপাট ছাড়া এরা কিছু বোঝে না।
এরা গাছেরটা খায় আবার তলারটাও কুড়ায়। এজন্যই এতো সম্পদ থাকার পরও এরা এখনো গরীব।

চাঁদগাজী বলেছেন:লেখক বলেছেন: তা হলে আমার সাথে একমত। তবে এটা ফান্সের একটা কারশাজীও বটে! ফান্স সব সময়েই এই দেশ গুলো থেকে লাভবান হয়। এখানে আপনার ভুল; ফ্রান্সের কারণে ওখানকার মানুষ সামান্য চিকিৎসা ইত্যাদি পেয়ে থাকে।
সাদা ডাকাতের মোসাহেবী করা ছাড়া চাদগাজীর আর কোনো কাজ নাই। ফ্রান্সকে কে বলেছে ওদের দেশে যেতে?
এরা না গেলেই আফ্রিকার অনেক সমস্যার সমাধান হতো।
আলজেরিয়া থেকে ফরাসী খূনে-ডাকাতরা পালানোতে ওরা শান্তিতে আছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: একমত, আমাদের দেশের দূর্নীতির বরপুত্রদের দাদা বাবারা এদের বংশধর বলেই মনে হয়! তবে এদের সাথে মিল হচ্ছে, এরাও দেশের মাল চুরি করে বিদেশ নিয়ে যায় অথচ নিজেরা ভোগ করতে পারে না, শিয়াল কুকুরেরাই খায়! দুনিয়ার বড় বড় শহরে এদের ইনভেষ্ট থাকেই।

চাদ ভাই মুল ব্যাপারে ভেতরে প্রবেশ করেন নাই, যে সকল আফ্রিকান দেশ ফান্সকে ত্যাগ করেছে তারা এখন ভাল আছে, এমন কি ইথিউপিয়াও এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও আবার চায়না তাদের পিছনে আছে।
ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সব স্বৈরশাসকদের চেহারা এবং কীর্তি অনুরূপ!

"নিজেদের মঙ্গলের জন্য জনসাধারণ নিজেদেরকেই জাগিয়ে তুলতে হবে" - ডঃ এম এ আলী এর এ কথাটাই শেষ কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.