নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উম্মে মারিয়াম

উম্মে মারিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যা ও কিছু মলিন কথন।।

০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:২৯

এক।। এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে ভো্র বেলা।উঠন্ত সূর্যের আলোয় ঝক ঝক করছে সদ্য ধুয়ে মুছে যাওয়া আকাশটা।জানালায় দাঁড়িয়ে মৃদুলা।গলার ওড়নাটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছে সে।



মা আজও তার সাথে কথা না বলে অফিসে চলে গেল।বুকের ভিতর জমে থাকা অভিমানহীন হতাশা, নাম না জানা ক্রোধ অপমানের সাথে মাখামাখি করে তার মুখটাকে সাদাটে পান্ডুর করে দেয়।হঠাত করেই জানালা গলে ঢুকে পড়ে এক টুকরো বাতাস।ছড়িয়ে পড়ে চোখে মুখে বুকে।যেন মায়ের আদরমাখা হাত।হু হু করে কেদে ওঠে মৃদুলা।তিন দিন আগে দেখা মায়ের শক্ত মুখটা চোখের উপর ভেসে ওঠে বার বার।দৌড়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সে।সবাইকে যে কষ্ট দিয়েছে সে তার প্রায়শ্চিত্ত সে নিজেই করবে।



ধনী মান্যিগণ্যি বাবামায়ের একমাত্র তনয়া মৃদুলা।শহরের বেশ নামকরা স্কুলের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।ক্লাশেরই আরেক ছাত্র রুহানের সাথে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক।কেউ একজন তাদের দুজনের অন্তরংগ মুহূর্তের ছবি তুলে তা নেটে ছড়িয়ে দিয়েছে।প্রিন্সিপ্যাল স্যার মৃদুলার বাবামাকে ডেকে নিয়ে তাদের সামনে তার বিচার করে।তাদের মুখে চুনকালি দিয়েছে বলে তারা তার সাথে আর কথা বলছেন না।রুহানের সাথেও আর যোগাযোগ করতে পারছেনা মোবাইল বন্ধ।তাই এই অপমান জর্জরিত পৃথিবী থেকে নিজেকে বিদায় জানানোই তার এখন একমাত্র কর্তব্য।।





দুই।।খুব জেদী আর সুন্দরী মেয়ে প্রীতি।কোন অন্যায়েই হার না মানা যার স্বভাব।তার এই হার না মানা স্বভাবকে পাড়ার ছেলেদের কাছে ঔদ্ধ্ত্য লাগে।একদিন তাই কয়েকজন মিলে তাকে বড্ড অপমান করে।বাসায় এসে সে কথা বললে উলটা সবাই তাকেই বকাঝকা করে।সমাজের এই বৈপরীত্য আচরণের কাছে সে হারতে চায়না তাই হাতে তুলে নেয় ঘরের কোণে পড়ে থাকা ইদুর মারার ঔষধ।জুড়িয়ে দিতে চায় সকল জ্বালা।।





তিন।।ছোট্ট রাইয়ানের খুব শখ হয়েছে একটা ল্যাপটপের।বায়না ধরেছে বাবার কাছে।কিন্তু বাবা দিচ্ছেনা।খুব কষ্ট লাগে তার।তার কেন যেন মনে হয় তাকে কেউ তাকে ভালোবাসেনা।সবাই তাকে অবহেলা করে তাইত কিছু চাইলে সে পায়না।টিভিতে দেখেছে কিভাবে মরে যেতে হয়।তাই ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে থাকার চেয়ে মারা গেলেইত হয়।তাই খুজে নেয় বাবার কড়া পাওয়ারের ঘুমের ঔষধগুলো।।



খবরের কাগজ খুললেই এসব ঘটনা যেন সস্তা দরে পাওয়া যায়।আত্মহত্যার প্রবণতা চলে আসছে সেই অতীত কাল থেকে।যদিও কোরআন,বাইবেল সব ধর্মগ্রন্থেই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলা হয়েছে।১৯৬১সালের আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করাকেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত।আর ১৮৩০ সাল নাগাদতো আইনই ছিল কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল।



তারপরও কেন মানুষ আত্মহত্যা করে?কেন বেছে নেয় আত্মহননের পথ??



মানুষের ক্রোধ যখন তার ভিতরটাকে কুড়ে কুড়ে খায় তখনই সে সাধারণত আত্মহননের পথ বেছে নেয়।তবে এই সময় তার পেছনে আশাহীনতা, হতাশা,অপরাধবোধ,অপমান,প্রতিশোধ স্পৃহা ইত্যাদি সক্রিয় থাকে।তখন সে জীবনটাকে অর্থহীন মনে করে তাই সে পেতে চায় জীবন থেকে মুক্তি।তবে অনেক মনোবিজ্ঞানী এর পিছনে bipolar disorderকে দায়ী করেন।তাদের মতে যারা বিষন্নতা এবং একই সাথে হর্ষোম্মতায় পালাক্রমে ভোগেন তাদের মধ্যেই এই প্রবণতা অধিক হারে দেখা যায়।



Neurochemistদের মতে serotonin (যা বিপাক ক্রিয়ার একটি উপজাত)এর সাথে আত্মহত্যার সম্পর্ক রয়েছে।যারা আত্মহত্যা করেছে তাদের ব্রেইনে অস্ত্রোপাচার করে এই সেরোটনিনের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।



কিছু সংখ্যক গবেষণায় দেখা গেছে যারা আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করতে চায় তারা সাধারণত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে অন্যান্যদের চেয়ে বেশি rigid এবং চিন্তাধারায় তারা কম নমনীয়।ফলে তারা সমাধানের বিকল্প অপশনগুলো সহজে তাদের চোখে পড়েনা।



আত্মহত্যার বৈশিষ্ট্যঃ



১।মানসিক কষ্ট বা যন্ত্রণা

২।আশাহীনতা,অসহায়ত্ব

৩।সমস্যার সমাধান করা

৪।নিজের প্রতি ক্রোধ

৫।অন্য কাউকে কথায় কথায় আত্মহত্যার ইচ্ছের কথা জানানো।

তাই একটু লক্ষ্য করলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রিয়জন কি বিপদ ঘটাতে যাচ্ছে।



আত্মহত্যা প্রতিরোধ করণঃ

তাই আপনি যদি আপনার প্রিয়জনের মধ্যে হতাশা বা বিষন্নতা লক্ষ্য করেন একটু সহানুভুতির হাত বাড়ান।

১।তার তীব্র মানসিক বেদনা ও কষ্ট হ্রাস করার চেষ্টা করেন।

২।তার সমস্যা সমাধানের বিকল্প পথ গুলো দেখাতে সাহায্য করেন।

৩। আত্মবিধংসী কাজ থেকে সামান্যতম সময়ের জন্যে হলেও তাকে অন্য দিকে উতসাহিত কর।একটা মুহুর্ত পেরিয়ে গেলে সে হয়ত আর সেই ভয়ংকর পথে পা বাড়াবেনা।

৪।প্রয়োজনে সাইক্রিয়াটিস্টের পরামর্শ ্নিতে সাহায্য করুন।







আত্মহত্যা সংক্রান্ত কিছু মজার তথ্য



১।মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে তিনগুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু মরেনা।

আর আত্মহত্যার হার মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি(তবে বর্তমানে মেয়েদের সংখ্যা করমশ বেড়ে যাচ্ছে)

২।যারা একবার আত্মহত্যা করে তারা সাধারণত দ্বিতীয়বার আর সে মুখী হয়না।

৩।যুবক বয়সে মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা বেশি করে কিন্তু সফল বেশি হয় বয়ষ্করা।

৪।যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বিশ মিনিটে একজন আত্মহত্যআ করে।কিন্তু তারপরও দেখা যায় তারা প্রতি দুইশ জনে একজন সফল হয়।

৫।বসন্ত ও শীতকালে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়।

৬।আত্মহত্যার আগে যারা দার্শনিক কথা লিখে যায় তারা মূলত মরেনা কিন্তু যারা স্বাভাবিক খবর লিখে যায় তারা মরে।

৭।গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্মহত্যার বিবিরণী মানুষকে আত্মহত্যার জন্যে প্ররোচিত করে।বর্তমানে আমাদের সমাজে এই ট্রেন্ড খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: ১৯৬১সালের আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করাকেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত।আর ১৮৩০ সাল নাগাদতো আইনই ছিল কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল
কি হুনাইলেন ভাইডি...এই আইন কি এখনো আছি নাকি.......

০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ১৮৩০ সাল নাগাদ কেউ যদি আত্মহত্যা করত তার লাশের বুকে পেরেক বিদ্ধ করে কবরে দেওয়া হত।

১৯৬১ সালের এক্ট অনুযায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করা বা এতে প্ররোচনা দেওয়া দুইটাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার মনে হয় বেশি দু:খে আত্নহত্যা করে না। অল্প দু:খেই করে। সামান্য কোন ব্যাপারে আত্নহত্যা করে।

০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০৪

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: এটা একটা সাইক্লোজিক্যাল প্রোবলেম।নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস কম থাকলে মানুষ সাধারণত এই ধরণের কাজ ঘটিয়ে থাকে।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। জীবনে কত তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হৈসিলো, ভাগ্য ভালো যে করি নাই! বিরাট আফসোসের ব্যাপার হৈতো। অনেক কিছু থিকা বঞ্চিত হৈতাম।

০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১০

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হাসান ভাই ভাগ্যিস মরেন নাই।নইলে এত সুন্দর সুন্দর লেখাগুলো সত্যি খুব মিস করতাম।

মানুষ যখন হতাশায় আক্রান্ত হয় এবং সেই সমস্যা থেকে বের হওয়ার কোন পথ খুজে না পায়,চারপাশে কাউকে আপন করে না পায় তখনই কেবল এই পথ বেছে নেয়।আত্মহত্যার পূর্বে ব্যক্তি নানাভাবে সিগন্যাল দেয় একটু লক্ষ্য করলেই তাকে বাচানো সম্ভব।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আত্নহত্যা একটি মানসিক সমস্যা বলেই মনে হয়।

জীবনে কখনো ভুল করেও আত্নহত্যার কথা ভাবিনি।

পোস্টে প্লাস। :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হুম আত্মহত্যা সম্পূর্ণ মানসিক সমস্যা না হলেও একে নিয়ন্ত্রণ করে মন।যখন একজন মানুষ তার সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যে কোন পথ খোলা পায়না।তখন তা হতাশার তৈরী করে। আর এই হতাশা তার ভিতরের এগ্রেসিভ ভাবটাকে বাড়িয়ে দেয় তখন যদি কেউ যুক্তি দিয়ে তাকে না বোঝায় যে তার সমস্যার সমাধানের ভিন্ন ভিন্ন পথ আছে তখনই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৩

নস্টালজিক বলেছেন: ইন্টেরেস্টিং!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩০

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: এরচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগছে আমার পাড়ায় আপনার আগমন।ধন্যবাদ রানা ভাই।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৪৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমার মনে হয়, অত্যধিক কষ্ট যদি কেউ প্রকাশের সুযোগ না পায়, তখনি এসব সিদ্ধান্তে যায়।
আর ওই মুহুর্তে সে কান্ডজ্ঞানহীন এক মানসিক রোগে পড়ে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: একদম ঠিক।আমাদের মানসিক কষ্টকে নিরন্তর করে তোলে আমাদের চারিপাশ।অনেক্ সময় বাস্তবতা মুক্তি দিতে চায়না।

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আশরাফুল।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, লেখিকাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৪

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হা হা হা।জহির ভাই মন্তব্যটা মানাইছে।আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: আমার জীবনে একবার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি...
ওই সময়টা যে আমি কিভাবে পার করেছি সে একমাত্র আমি নিজেই জানি...
দারুন পোষ্ট।+++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৪৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ঠিকতাই। কখনও কখনও জীবনে এমন দুর্বিসহ সময় আসে যা পার হতে চায়না।যার অনুভূতি নিজেকে ছাড়া অন্যকে কখনই ঠিক নিজের মত করে ছুয়ে যায়না। আমার কখনই ঠিক এভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়নাই তবে কখনও যখন তীব্র যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে গেছি তখন বার বার এটাই মনে হয়েছে আমি মরে গেলেত এই যন্ত্রণার অপর পাশে কি আছে তাতো কখনই দেখা হবেনা।অনেক ধন্যবাদ রোমাস ভাই পোষ্টটা পড়ার জন্যে।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৫৫

সায়েম মুন বলেছেন: জীবনে আত্মহত্যা করতে চায়নি এরকম মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য। আমিও এক সময় চাইতাম। ভাগ্যিস করিনি #:-S

পোষ্টে ভাললাগা।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আসলে প্রতিটা মানুষ তার জীবনে কখনো না কখনো বিরুপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।সেই সময়টা উত্রিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন।আর এখানেই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতার পরিচয় পাওয়া যায়।ফলে একেক জন একেকভাবে সেই সময়টাকে মোকাবিলা করে।কেউ প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়ে কেউ হয়ত সেই সময়টাকে জেদের উপর ঠেলে দেয়।নতুন করে ঊঠে আসতে চায়। নতুন করে আবার বাচতে চায়।।আমরা যারা বেচে আছি একটু হলেও বুঝেছি জীবনে মরণ কোন সমাধান নয়।ধন্যবাদ সায়েম মুন।।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: জীবনে আত্মহত্যা করতে চায়নি এরকম মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য।

আমার ক্ষেত্রে উলটা হইছে, জীবনে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদেরকে আমার মাইরা ফেলতে ইচ্ছা করছে, মনে হইত কেন আল্লাহ খুন করার একটা সুযোগ দিল না !! :P :P B-)) B-))

০৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ভাই থ্রেড দিলেন মনে কয়।ইচ্ছে করলে ঠিকই খুন করতে পারতেন।আজকাল ছোট ছোট পোলাপাইনও কত্ খুন খারাপি করে ফেলছে।আসল কথা বুকের পাজড় লাগে।হি হি হি।

মজার কথা কি আপনার এই ইচ্ছেটাও ধ্বংসেরই নমুনা।মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড সুন্দর করে বলে গেছেন মানুষের ভিতর দুটি স্বত্তা কাজ করে।

১)গঠনমূলক আর
২)ধ্বংসাত্মক।
তবে সবার ব্যক্তিত্ব সমান নয় বলে সাধারনত কোন একটা ব্যক্তির মধ্যে বেশি দেখা যায়।তবে কখনও পরিবেশগত বা মানসিকগত কারণে এই বৈশিষ্ট্য একটা আরেকটার উপর প্রাধান্য বিস্তার করে থাকতে পারে।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৮

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: মন খারাপ করে কিন্তু চমৎকার পোস্টে প্লাস!!

০৬ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ চয়ন ভাই।একজন বিষাদ্গ্রস্থ ব্যক্তিকে যেন তার লক্ষণগুলো দেখেই চিনতে পারি একটু হলেও বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে পারি তার দিকে।সেই প্রত্যাশা নিয়েই এই পোস্ট দেওয়া।

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৫৬

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমার জীবনে এখন মনে হয় আত্মহত্যা করি...
কিভাবে যে সময় পার করছি

০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমি জানিনা তিথির কেন আপনার এমন মনে হচ্ছে।আর জানতেও চাইনা।শুধু এটুকু বলতে চাই যে কষ্ট অনুভুতির জন্যে আপনি নিজেকে পোড়াচ্ছেন,আত্ম হননের কথা ভাবছেন।আপনি মরে গেলে কি তার সমাধান হবে?কিসের জন্যে বা কার জন্যে মরতে চান আপনি।এতে আপনার কি কি লাভ হবে তার একটা লিস্ট করেন।যদি মরে গিয়ে দেখেন এতে আপনার নিজের বেশ লাভ হচ্ছে তাইলে নিশ্চিন্তে মরতে পারেন।তবে আমি অন্যের জন্যে কিংবা অন্য কিছুর জন্যে মরতে রাজি নই।আমার জীবনেরও দাম আছে।একটা সমস্যা আছে তার হাজারও সমাধান আছে।শুধু মাথা ঠান্ডা করে খুজে বের করা।সমস্যার সমাধানই আসল কথা।কারও জীবনই কারও জন্যে বসে থাকেনা।আমি আমার জীবনটাকে অনেক উপরে তুলতে চাই যেখানে উঠলে আর দশটা মানুষ আমাকে সম্মান করবে।জীবনটারে নষ্ট করে সেই সুযোগটারে হারাতে চাই না।।দুঃখের মেঘ কেটে গিয়ে আলো ফুটুক আপনার জীবনে।সেই প্রত্যাশায়।।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নাহ, আপনার ব্লগে মজা কইরাও দেখি নিস্তার নাই ! বুঝছি, মাস্টারনিতো, তাই খালি মনে হয় ছাত্র পড়াই !! :P :P B-)) B-)) B-)) :-B :-B

০৮ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৪৭

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: Emon shubobodh chatro pele kivabe lov shamlai.....bolen? Opatreto r ggan dhalte parina.....:):(

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জীবনে সবকিছু পাওয়া হয়ে গেলে জীবনের প্রতি অনেকে আর কোনো আকর্ষণ বোধ করে না। জাপানে এরকম একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছিল। যদ্দূর মনে পড়ে, একবার ১৬ জাপানি ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যার এ্যাটেম্প্‌ট নিয়েছিল। পরিণতি জানা নেই।

সচেতনতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত পোস্ট। ভালো লাগলো।

০৯ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: বলেছেন: আমি আগে কখনও এরকম ঘটনা শুনিনি।আজকেই ইমন জোবায়েরের একটা লেখা পড়লাম।তিনিও দেখলাম আপনার মত এই ভয়ংকর ইনফরমেশনটা দিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছেন।সেটা অবশ্য সুইজারল্যান্ড,কানাডার ওদিকের কথা লিখেছেন।

পৃথিবীতে যে কত আজব আজব ঘটনা ঘটছে ভাবলেই গায়ে কাটা দেয়।।ধন্যবাদ ভাইয়া।।

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:

:)

ভালো, খুব ভালো!

০৯ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১০

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ।।

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার কখনো এই রোগ হয়নি!

খুব চমৎকার পোস্ট আপু.....

০৯ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: কমবেশি সবারই মনের ্রোগ হয় হয়।কিন্তু জ্বালিয়ে যায়তো কেবল কয়েকজনকে।আপনি আমার পোস্টে!!!!!!!!!!! অসম্ভব ভাল লাগছে আপু!!!!!!!!!!

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এইটা একটা চমৎকার পোস্ট।

আমি আরো হাজার বছর বাচতে চাই, শত দুখ কষ্টের মাঝেও। এটা যেহেতু সম্ভব না, তাহলে যে কয়দিন বাচি সেটাই উপভোগ করি না কেন ?

তবে ভিক্টিমের মেন্টাল স্টেটে যাওয়া মনে হয় সম্ভব নয়। কোন পর্যায়ে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, সেইটা সে ছাড়া আর কেই বা বুঝবে বলেন। এক্ষেত্রে পজেটিভ মটিভেশন খুব জরুরি।

১০ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: তবে ভিক্টিমের মেন্টাল স্টেটে যাওয়া মনে হয় সম্ভব নয়। ্

না ভাইয়া কথাটা মনে হয় ঠিক হলনা।অবশ্য আজকালকার ছেলেমেয়েরা অভিমান করে হুটহাট আত্মহত্যা করে সেটা ভিন্ন কথা।আর এর জন্যে আমি পুরাটাই মিডিয়ার দোষ দেই।কারন এই মিডিয়ার কারণে মৃত্যু এতটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে এটা তাদের কাছে আর ভয়ংকর মনে হয়না।

তবে যারা জীবন নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবে তারা যদি কখনও কষ্ট,হতাশা,কঠিন রোগ কিংবা অপমানের কারনে যদি আত্মহত্যার কথা ভাবে তাহলে তাদের মধ্যে আত্মহত্যাজনিত লক্ষনগুলো আগে থেকেই দেখা যায়।একটু খেয়াল করলেই তাকে বাচিয়ে রাখা সম্ভব।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এই অসাধারন মন্তব্য করার জন্যে।

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭

শিপু ভাই বলেছেন:
কিশোর বয়সে একবার ট্রাই দিছিলাম!!! বিড়ি খাওয়ার অপরাধে আব্বাজান পিটাইছিল!!!

সফল হইছিলাম কিনা তা কমুনা!! হাহাহা

++++++++++++

১০ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: া হা হা শিপুভাই আপনের কমেনটসটা ঠিক আপনার মতই হইছে।এখনও বিড়ি টানেন নাকি?তাইলেত বলব আপনি সেইদিন হয়ত বেচে গিয়েছিলেন নতুনভাবে একটু একটু করে নিজেকে শেষ করার জন্যে।।বিড়ি খাইয়া নিজে মরেন ভাল কথা তয় সাথে ভাবীরেও যে শেষ করতাছেন দুঃখ এই একটাই.।.।.।।


নেশাহীন সুন্দর জীবনে হোক পথচলা।
(আবার জহির ভাইএর মত বলে বইসেন না খালি জ্ঞান দেয়।)
ভাল থাকেন অনেক ভাল।।

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৫৯

এইযেদুনিয়া বলেছেন: এহহে, এইটা একটা কাজ করলেন আপু? এই প্রসংগটা নিয়ে আমি একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। তার আগে আপনি লিখে ফেললেন। এখন আমার আর লেখার কিছু রইল না। B:-)
অনেক ভালো লেগেছে। ++++

১৫ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হা হা হা তাইলেত বলতে হয় আমি ফাস্টু।।প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জেরী বলেছেন: মনে বড় রকমের দাগা পাইলে আপু মইরা যাইতে ইচ্ছা করে কিন্ত আফসোসের ব্যাপার হলো সেটার ট্রায়াল দিতে ও ভয় লাগে । কেন জানি মনে হয় মরবার গিয়া প্যাচ লাগাইয়া আটকাইয়া যাবো শেষে লোক জানাজানি হইয়া রীতিমতন শরমের ব্যাপার।কবে জানি রাস্তা দিয়া হাটার সময় মনে হলো এখন আমি যদি গাড়ীর নিচে পড়ে মরবার চাই ও তাহলে দেখা যাবে গাড়ী আমারে চাপা না দিয়া সাইড দিয়া চলে যাইবো। দুনিয়ার মায়া বড় কঠিন মায়া...বড়জোর মরবার চাই কিন্তু দুনিয়ার মায়া পিছন থেকে টান দিয়া ধরে রাখে :(

১৫ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: দুনিয়ার মায়া বড় কঠিন মায়া.



সবচেয়ে কঠিন কথা বলেছেন জেরী।তবে যারা সত্যিকারের ফ্রাস্ট্রেশনে ভোগে তারা পিছনে লোকে কি বলবে সেইটা ভাবার মনে হয় সময়ই পায়না।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।

২১| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩

সকাল রয় বলেছেন:
মরিতে চাহি আমি সুন্দরও ভুবনে বাচিবার আশা মোর নাই

১৫ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: মরার জন্যে আমরা সবাই প্রস্তত কেউ আগে কেউ পরে।কেউ স্বীকার করি প্রকাশ্যে কেউ করি গোপন।তবুও নীরবে অপেক্ষা করি সেইদিনটার।।অনেক ধন্যবাদ দাদা।।

২২| ২৯ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫৮

অ্যামাটার বলেছেন: খুবই কৌতূহলোদ্দীপক!
অল্প কয়েকদিন আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য নেটে বেশ ঘাঁটাঘাটি করতে হয়েছিল।
লক্ষন, বৈশিষ্টগুলো বাস্তবিক এমনই।
৭।গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্মহত্যার বিবিরণী মানুষকে আত্মহত্যার জন্যে প্ররোচিত করে।বর্তমানে আমাদের সমাজে এই ট্রেন্ড খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।
বোল্ড করা অংশটা খুবই সত্য কথা। কেউ যখন এমন চিন্তা করে, তখন এসব খবরগুলো তাকে যেন আর সামনে ঠেলে দেয়!

০৭ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: একদম মনের কথাটাই বলেছেন।নেগেটিভ বিষয় প্রচার করা হলে তার প্রভাব আরও বাড়তেই দেখা যায়।

২৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

মৃতস্বর বলেছেন: আপনি যে ধরণের আত্যহত্যার কথা বলেছেন তার বিশ্বাসযোগ্য ও স্বীকৃত কারনগুলো সম্পর্কে ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী Emile Durkheim এর পিএইচডি থিসিস "SUICIDE" এ উাপাত্ত বিশ্লেষণে দেখিয়েছেনঃ চারপাশের মানুষের সাথে মানুষের সংহতি কমেগেলেই মানুষ এই ধরনের আচরণ করে। এবং মজার ব্যাপারটি হলো এটা সবচাইতে বেশী দেখা যায় ছেলেদের মধ্যে এবং ঘটনাগুলো প্রায়শঃই রিপোর্ট করা হয়না। ব্যাক্তিগতভাবে আমি যে কয়টি আত্মহত্যার ঘটনা দেখেছি তার সবগুলোই ছেলেদের। মেয়েদের মধ্যে এই প্রবনতা বাড়ছে বলে প্রচার করা হয় তা আসলে সত্য নয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটিকে হত্যার পর আত্যহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতার এটা একটা নতুন মাত্রা। আত্মহত্যার পেছনে ব্যক্তির চাইতে তার চারপাশের মানুষের দায় বেশী বলেই আমার মনেহয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: হুম আমিও যতটুকু ঘাটাঘাটি করলাম তাতে দেখলাম আত্মহত্যা ঘটানোর প্রবণতা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদেরই বেশি।মেয়েদের জন্যে কতকিছুইত বরাদ্দ করা রয়েছে।ধন্যবাদ।

২৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৮

পুশকিন বলেছেন: আনকমন পোষ্ট।এই লেখা গুলোর জন্যই সামু টিকে থাকুক ।ধন্যবাদ আপনাকে।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.