নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একা চলা জীবন

জীবন যেখানে স্তব্ধ হয়ে আছে

একাকি উনমন

কবিতা নয় , একান্ত আমার মনের কথা লিখবার চেষ্টা |

একাকি উনমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বর্তমান অবস্থা ও তার সমাধান

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সারা দেশে এখন একটা অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। সবাই উত্কন্ঠিত, কেউ জানেনা দেশ কোথায় যাচ্ছে, আমাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে।দেশের দুই প্রধান দল এর পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থান এর কারণে মানুষ এর উত্কন্ঠা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিন্তু আমাদের এই অস্থির রাজনীতির শেষ কোথায় ? আজ আমাদের সরকারী দল বলছে তারা অনির্বাচিত সরকার এর কাছে আর ক্ষমতা দিবেনা, আর বিরোধী দল এর দাবি তারা কোনো দলীয় সরকার এর অধীনে নির্বাচন চায়না। খুব মজার জায়গা হলো ঠিক কয়েক বছর আগেই দুই দল এর অবস্থান ঠিক উল্টা ছিল। তখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামিলীগ এর দাবি ছিল নির্দলীয় সরকার আর বি এন পি এর দাবি ছিল নির্বাচিত প্রতিনিধি দের মাধ্যমে নির্বাচন। আমাদের রাজনীতিবিদ রা যখন যার যেভাবে সুবিধা সেটাই তারা প্রতিষ্ঠা করবার চেষ্টা করেছেন। সমস্যা হলো আমাদের তথা কথিত আইনবিদ গণ ও যারা নিজেদেরকে সুশীল বলতে গর্ব বোধ করেন, তারাও এই দুই দল এর লেজুর বৃত্তি করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে পৌছে গেছেন যে অন্ধভাবে শুধু সেটাই বলেন যা এই দুই দল এর রাজনীতিবিদ রা বলেন। অথচ কিছুকাল পূর্বেও যখন এই কেয়ার টেকার সরকার নিই রিট হলো, তখন পর্যন্ত এরা সবাই এই সিস্টেম এর পক্ষে সাফাই গাইছেন . আমাদের দেশের একজন প্রতিথযশা আইনবিদ, যিনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত আর এমিকাস কিউরি হিসাবেও এই মামলায় মতামত দিয়েছিলেন, তিনি ওই সময় তার মতামতে কেয়ার টেকার সরকার এর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন, এমন কি আমাদের বর্তমান এটর্নি জেনারেল ও ওই সময় কেয়ার টেকার সরকার এর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। অথচ এখন এদের সবার কাছেই কেয়ার টেকার সরকার হয়ে গেছে খারাপ একটা সিস্টেম। কারণ বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এর প্রধান এর বিপক্ষে বলছেন। আমাদের প্রধান মন্ত্রী তো সবজান্তা নয়, সুতরাং তার কোনো কোনো ব্যাপারে ভুল হতেই পারে, আমাদের এইসব আইনবিদ দের উচিত সেটাকে সংশোধন করে দেওয়া, তাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া, তা না করে উনারা অনুকম্পা পাওয়ার জন্য শুধুই যদি জি হুজুর চালিয়ে যান, তাহলে দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি? এর জন্য মাননিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বা বিরোধী দলীয় নেত্রীকে দোষারোপ না করে ওই সব চাটুকারদের দোষারোপ করাটাই বেশি সমীচীন বলে মনে হয়।



এবার আশা যাক মূল সমস্যা নিয়ে। আমি ও আসলে এই কেয়ার টেকার সরকার সিস্টেম এর বিপক্ষে। কারণ আমরা জনগণ যাদেরকে নির্বাচিত করি (বুঝে করি নাকি না বুঝেই শুধু অধিকার এর নাম করে প্রতি ৫ বছর পর পর একটা ভোট দেওয়া দরকার তাই ভোট দেই জানিনা) তাদেরকে বিশ্বাস না করে কিছু সুশীল নামধারী মানুষকে ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে থাকবার কোনো কারণ নাই। কিন্তু আমাদের দেশের এর বর্তমান অবস্থা কেও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের রাজনীতিবিদ রা তাদের অবস্থান কে এমন জায়গায় নিতে পারেননি যে মানুষ তাদের উপরে ভরসা করতে পারবে কারণ তারা তো নিজেরাই নিজদেরকে বিশ্বাস করেননা, কারো উপরে কারো কোনো শ্রদ্ধাবোধ নাই। এক দল এর পাতি নেতারা আরেকদল এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সম্পর্কে অস্রাব্ব্য কথা বার্তা বলেন আর নিজ দল এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাতে বাহবা দিয়ে হাত তালি দেন। যতদিন এই অবস্থার পরিবর্তন না হয় ততদিন তো আসলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের অধীনে নির্বাচন করতে সাহস করবেনা সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ এর উপায় কি? আমি আসলে দেশের একজন খুব সাধারণ নাগরিক, আইন সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নাই, তেমনি রাজনীতির ঘোরপ্যাচ ও তেমন বুঝিনা শুধু বুঝি যে আর একটা সুস্থ অবস্থা চাই দেশে যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু স্বস্তি নিয়ে থাকতে পারব। তাই আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞান এ যেমন আসছে তেমন একটা উপায়ের কথা বলছি। বর্তমান সরকার যেমন চায়না , তেমনি কোনো শুভো বুদ্দির মানুষ ও আসলে অনির্বাচিত সরকার এর কাছে ক্ষমতা থাক সেটা চাইবেনা, এমনকি বর্তমান বিরোধী দল ও হয়ত যদি নির্বাচিত হতে পারে তখন এখনকার সরকার এর ভাষাতেই কথা বলবে কিন্তু এখন যেহেতু তারা বিশ্বাস করতে পারছেনা , তাই তারা কেয়ার টেকার সিস্টেম এর কথা বলছে। সুতরাং এমন একটা পথ বের করতে হবে যেখানে দুই দল ভরসা করতে পারে, ভরসা করতে পারে অন্যান্য দোল গুলো ও যে তারাও তাদের অধিকার বঞ্চিত হবেনা, আর একটা দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থাও পাওয়া যাবে। বর্তমান সরকার তো সর্বদলীয় সরকার এর একটা প্রস্তাব দিয়েই রেখেছেন কিন্তু যেহেতু এই মেয়াদে বি এন পি র আসন সংখ্যা কম তাই তারা ধরেই নিছে যে যদি সংসদ এর আশ সংখ্যার বিচারে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় তাহলে তো তারা আসলে ওই মন্ত্রীসভাতে কোনো প্রভাব রাখতে পারবেনা। তাই তারা এই প্রস্তাব এ রাজি হচ্ছেনা। বিশেষ করে সরকার প্রধান এর ক্ষমতা যেখানে নিরঙ্কুশ। আর আওয়ামিলিগ ও তাদের কাছ থেকে অন্য কারো কাছে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করতে চাইবেনা। অপরদিকে আরেকটা ব্যাপার কেউ হয়ত খেয়াল করছেনা যে এই দুই দল এর ইচ্ছার বাইরেও যে বাংলাদেশ এ আরো কিছু দল আছে, তারাও যে কিছু মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই আমার মনে হয় এমন একটা কিছু দরকার যেখানে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল , বিরোধ দল, তথা অন্য ছোট ছোট দল গুলো ও ভরসা করতে পারে।



জানিনা আমার সঙ্গে কতজন একমত হবেন, কিন্তু আমার এই ছোট মাথায় যেমন আসছে আমি তেমন একটা উপায় বলতে চাচ্ছি। সেটা হলো বর্তমান সংসদ এবং এর আগের সংসদ মিলিয়ে একটা আনুপাতিক হার বের করা হোক যেখান থেকে বিগত ২ টার্ম এ কোন দল কতগুলো আসন পেয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই মন্ত্রিসভা গঠন করা হোক। আর সেই মন্ত্রিসভা ঠিক করবে যে সেই মন্ত্রীসভাতে প্রধান মন্ত্রী কে হবেন। এই মন্ত্রিসভা গঠন এ কোনো জোট বলে কিছু থাকবেনা বরং দল এর আনুপাতিক হার অনুযায়ী আসন সংখ্যা বিবেচিত হবে। এভাবে যদি করা যায় , আমার মনে হয় সেটা কাউকে বিশেষ সুবিধা দিবেনা, বরং সেখানে সাধারণ মানুষের মতামত এর প্রতিফলন সব থেকে বেশি আসবে।



আপনারা যারা আমার এই লেখা পরবেন , তারা যদি তাদের মতামত লিপিবদ্ধ করেন তাহলে অন্তত ধারণা পাওয়া যাবে যে আমার এই চিন্তার সঙ্গে সহমত আছেন এমন মানুষের সংখ্যা কেমন। সবাইকে আগাম ধন্যবাদ দিছি আমার এই লেখা পড়বার জন্য আর আমাদের দেশের এই অবস্থা থেকে যেন আমরা সহসাই মুক্তি পাই সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন সবাই।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: এতো দেশ দেশ করে কি হবে??

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

একাকি উনমন বলেছেন: দেশ দেশ করে কিছু হবেনা কিন্তু আমাদের তো বেঁচে থাকতে হবে। সেই কারণেই এই লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.