![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুশীল কুমার শিন্দে ভারতের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী। ভারতের স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর পদটা নিঃসন্দেহে অনেক বড়। শুধু বড়ই নয় বেশ বড় রকমের বড়। তিনি যখন কোন রাখঢাক না রেখেই "শেখ হাসিনাকে ভারতীয় বাংলার মেয়ের মতো সম্বোধন করে বলেন হাসিনা এবার ভারত কে অনেক দিয়েছে। এবং ভারতও তার প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর" তখন আর অনেক পড়া লেখা করে জ্ঞানী হওয়া লাগে না। সাধারন বিবেক দিয়েই অবস্থা নিরূপন করা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি কি আসলেই সে রকম। আসলেই কি ভারত হাসিনাকে বাঁচাতে মিলিটারী অ্যাকশন পর্যন্ত যাবে।
নির্ভর করছে বিএনপি'র উপর। বিএনপির আন্দোলনের উপর। বিএনপির কুটনৈতিক তৎপরতার উপর। সোজা সাপ্টা বলে দিলাম। ধরুন বাংলাদেশে একটা গনঅভ্যত্থান হলো। যা আসলে অন দ্যা ওয়েতে আছে। সেই গনঅভ্যুত্থানে হাসিনার সরকার লন্ডভন্ড হয়ে গেলো। এবং শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে ভারত সামরিক পদক্ষেপ নেয়া শুরু করলো।
একটু থামেন।
এ পর্যায়ে কি কি হতে পারে একটু ভেবে নেই।
বিএনপি-জামায়াত যদি আন্দোলন ও কুটনৈতিক তৎপরতা চালাতে ব্যার্থ হয়। তাহলে সারা বিশ্ব ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে। আর বিবৃতি দেবে। পলিটিক্যাল ইনক্লুশন আর রিকনসিলিয়েশন চাই বাংলাদেশে। ব্যাস এটুকুই। তারপর হাসিনাকে ভারত এমনভাবে ক্ষমতায় ব্যাক করাবে যে ইহ জনমে এই বেহায়া মহিলাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে নামানো সম্ভব হবেনা। আর আজ যারা উঠতে বসতে জিয়া, তারেক ও খালেদা জিয়াকে গালি দেয়, গাল মন্দ করে তারাও কোনদিন বিচারের আওতায় আসবেনা। যারা দেশকে বিরান বানিয়েছে। দেশের সম্পদ লুটে খাচ্ছে। যারা ধর্মকে নিয়ে মশকারী করছে। মানবতাকে বন্দি করেছে। হাজার হাজার নিরীহ মুসল্লীর রক্তে স্নান করেছে তারা মন্ত্রী আর পাতি মন্ত্রী কিংবা সরকারি বিভিন্ন পদ ধারন করে বিলাস বহুল জিবন যাপন করবে ত্রিস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর।
কিন্তু বিএনপি যদি আন্দোলন ও কুটনৈতিক তৎপরতা সঠিকভাবে চালাতে সক্ষম হয়। তাহলে ভারত যখন সৈন্য সামন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে পাঠাতে শুরু করবে। সাথে সাথে আমেরিকা - বৃটেন কথা বলবে। সৌদি আরব আমেরিকায় ফোন লাগাবে। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, ভারতের এই ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এই ডামাডোলে পাকিস্থান ও চিন যে সুযোগটা পাবে সেটা তারা কখনোই মিস করবে না।
মনে আছে তো পাকি সোলজার রা গত কয়েকদিন আগে ইন্ডি সোলজার দের ধর থেকে মাথা আলগা করে মনমোহন সিং আর সুশীল কুমার দাদাদের উপহার পাঠাইছে। পাকিস্থানিরা আবারো কামড় দিবে, আসলে কামড় দেবার একটা মোক্ষম সুযোগ পাবে। কারন পাকিস্তানিরা মনে করে তাদের দেশের সব সমস্যার পেছনে ইন্ডিয়ার শয়তানদের হাত রয়েছে।
আর চায়না এক বৃগেড সোলজার নামাবে অরুনাচল প্রদেশ সীমান্তে। ইন্ডিদের ভয় দেখানোর জন্য হাজার দুয়েক সৈন্য আসলেই পর্যাপ্ত। চায়না কিছুই বলবে না শুধু বলবে নিরাপত্তার কথা।
তখনই ইন্ডিয়ানদের কলিজা ইঁদুরের গর্তে ঢুকে যাবে। আস্তে আস্তে লেজ গুটিয়ে গনতন্ত্র আর প্রতিবেশীর প্রতি প্রেম ভালোবাসার গল্প বলবে। মনে আছেতো শেখ মুজিব হ্ত্যার পরে ইন্ডিয়া টু শব্দটিও করেনি।
তাই তিলে তিলে অর্জন করা সুপার পাওয়ারের মিথ বা তকমা ইন্ডিয়া এত সহজে বাংলাদেশের কোথাকার কোন দাসী-বান্দীর জন্য বিসর্জন দিতে চাইবে না।
ঘটনা এতদূর যাক কিংবা না যাক বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য যদি বদলাতে চান তাহলে ফটিকছড়ি স্টাইলের কোন বিকল্প নেই এটা মনে রাখবেন।
ফটিকছড়ি স্টাইলটা আওয়ামী কুকুরদের চেয়ে হলুদ সাংবাদিকদের উপর চালানো হলে দেশে শকুনের প্রাদুর্ভাব কমতো ও হায়েনার শোষন দ্রুত সমাপ্তির দিকে যেতো।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
উপপাদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
শেরশাহ০০৭ বলেছেন: এটা সপনো কি?
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
উপপাদ্য বলেছেন: এটা সপনো কি
?????
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সবই ঠিক আছে কিন্তু শেষের কথাটা মানতে পারলাম না। ফটিকছড়ি স্টাইলের সমর্থন করি না। সবাই আইন নিজের হাতে তুলে নিলে রাস্ট্র আর রাস্ট্র থাকবে না।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
উপপাদ্য বলেছেন: মাহমুদ ভাই। রেসপেক্ট।
একটু এগ্রেসিভ হয়ে গেছে। দুঃখিত।
ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আসলেই । বিএনপি ক্ষমতায় আসতে হলে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা কুটনৈতিক হামলা ছাড়া মোকাবেলা সম্ভব নয় । সব শেষে দেশের মাটিতেই সব কিছুর বিহিত হতে হবে । বিএনপি আন্দোলন করে সরাতে না পারলে কোন কিছুই লাভ হবে না ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
উপপাদ্য বলেছেন: সম্পূর্ন একমত আপনার সাথে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ,