নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাওয়াহিরি বার্তার পোস্ট মর্টেম ও ক্ষমতাসীনদের স্বরূপ উম্মোচন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

বিডিনিউজ২৪ এ প্রকাশিত চরম বিনোদনমূলক নিউজ দেখে ২৯শে ডিসেম্বর পর এই প্রথম প্রান খুলে হাসলাম। আমি খুব বিশ্বাস করতে চাই বার্তাটি আসলেই জাওয়াহিরির। কিন্তু যে বা যারা এটি বানিয়েছে এমনকি সয়ং জাওয়াহিরিও যদি বানিয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই চোখে পড়ে যে বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেই। তাই কিছু পয়েন্ট নিয়ে আমি একটু আলোচনা করার চেস্টা করছি। যেমন



১. জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানত দোষারূপ করা হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোকে। যা সত্য নয়। বরং বাস্তবে আমরা দেখি পশ্চিমা দেশগুলো ক্রমাগত শেখ হাসিনাকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।



২. এ মুহুর্তে বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রধান শত্রু রাস্ট্র হচ্ছে ভারত যাদের ইশারায় ও প্রত্যক্ষ্য মদতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও ভারতের প্রতি বিশেষ কোন বার্তা নেই জাওয়াহিরির পক্ষ থেকে।



৩. বাংলাদেশে এই যে নিরীহ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা চলছে যৌথবাহিনী নামক এক জল্লাদ গেস্টাপো বা রক্ষী বাহীনির দ্বারা। ভিডিও বার্তায় এসম্পর্কে কোন বক্তব্য নেই জাওয়াহিরি সাহেবের বক্তব্যে।



৪. বাংলাদেশে সরকার ইসলামিক দলই শুধু নয় জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধেও একধরনের গনহত্যা চালাচ্ছে কথাটা যেমন সত্য তার চেয়েও কঠিন সত্য হচ্ছে পারশ্ববর্তীদেশ মিয়ানমারে আরো কঠিন নির্মমভাবে মুসলমানদের নিঃশ্বেষ করার জন্য মাইনরিটি ক্লিনজিং চলছে অথচ ঐ ব্যাপারে জাওয়াহিরি সাহেবের কোন বক্তব্য আজো পাওয়া যায়নি।



৫. যেহেতু তিনি বাংলাদেশের ভালো! চান এজন্য বাংলাদেশের জিহাদের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিরুধী চক্রের প্রধান কিংবা বাংলাদেশে ইসলামিক নেতাদের হত্যা করার নির্দেশ দাতা ইন্ডিয়াতে তারা কি ধরনের অপারেশন চালাবেন সে সম্পর্কে কিন্তু কিছু বলেন নি?



৬. ভিডিও বার্তাটি নাকি বিডি নিউজ ২৪ এর হাতে প্রথম এসেছে। বাংলাদেশে কি পত্র পত্রিকার এতই অভাব। আর জিহাদের ডাক দিবে সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, দিনকাল, সোনারবাংলা ইত্যাদির মাধ্যমে কিন্তু আলকায়েদার জেহাদের ডাকে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে কিনা বিডিনিউজ২৪। বিষয়টা আমার মাথার উপর দিয়া যাচ্ছে।



৭. সর্বোপরি বাংলাদেশকে নিয়ে কি পরিকল্পনা তিনি এঁটেছেন তাও তিনি জানান নি। যদ্যপি আপনি কঠিন ভাষায় আমারিকাকে আ্যাটাক করে কিছু বলবেননা কিংবা আক্রমনের জন্য আরো লজিক্যাল কিছু বর্ননা করবেন না তদ্যপি আমরিকা বাংলাদেশে এসে পয়সা নষ্ট করবে না।



মোটা দাগের যে কয়টা ভুল উনি বা উনারা করেছেন তা থেকে স্পস্টতই বোঝা যাচ্ছে এইটাতে ঘাপলা আছে। কিংবা বাংলাদেশের ঘোলাটে পরিস্থিতিকে আরো একটু ঘোলা করে বিরোধী দল শুন্য কিংবা বিরোধী দলকে বিপদে ফেলার পাঁয়তারা করছে। তাই জাওয়াহিরির বক্তব্য এখনো পর্যন্ত আমার কাছে একটা ফালতু বিষয়। কারন তার এই বক্তব্যে আমেরিকাকে সরাসরি কোন উস্কানী দেয়া হয়নি বরং খুব পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে পুরো বক্তব্যটিই বাংলাদেশের শোষক গোষ্টির ফেভারে গিয়েছে। জাওয়াহিরি "ধর্ম নিরপেক্ষ" শব্দ দুটিকে এম্ফেসাইজ করে বক্তব্য দেওয়াটা আমাকে বেশ ভাবিত করেছে। কারন জাওয়াহিরির কোন বক্তব্যে ধর্ম নিরপেক্ষ গোষ্টিকে এতো প্রাধান্য কিংবা শব্দটাকে এত গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কারন তাদের চোখে হয় তুমি মুসলমান না হয় কাফির কিংবা কাফিরের বন্ধু। অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শব্দটা একটু ফেভারিটিজমের পর্যায়ে চলে গেলো। আওয়ামীলীগ বা ধর্ম নিরপেক্ষ গোষ্টিকে আল কায়েদা তার শত্রু ঘোষনা করায় কার লাভ কার ক্ষতি সেটা আমরা বুঝি।



কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে বা যারা এটা বানিয়েছে আবারো বলছি এমনকি জাওয়াহিরি নিজেও যদি বানিয়ে থাকেন তাহলে বলতে হবে যে উদ্দেশ্যে এটা বানিয়েছেন উদ্দেশ্য পুরাপুরি সাধন হয়নি। কারন আমেরিকা অলরেডি এটা নিয়ে গবেষনা করে এটা যে ফেইক বা এটা যে কোন হুমকি নয় বুঝতে পেরেছে। এবং তাই হয়তো এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমেও সাড়া শব্দ নেই।



বার্তার নিগুঢ় উদ্দেশ্য বিচারে এটা এমন একটি বার্তা যাকে বলা যায় "সাপও মরবে লাঠিও ভাংবে না"। কিভাবে? আমেরিকা-বৃটেনকে এই বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন যুদ্ধের সরাসরি উস্কানী নেই। বরং ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি নিয়ে মাথা ব্যাথা প্রকাশ। অর্থাৎ এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে যে বা যারা এটি বানিয়েছে তাডের উদ্দেশ্য ছিলো এমন বার্তা পাঠাতে হবে যেটা দেখে আমেরিকা আসবে না কিন্তু আওয়ামীলীগকে সহযোগীতা করবে। কারন আমরেকিা বাংলাদেশে আসলে আওয়ামীদের কোন লাভ নেই বরং লাত্থি মেরে সবার আগে ক্ষমতাচ্যুত করবে।



তবে আমি এই ভিডিও বার্তা বানানোর পেছনে ৩ টি পক্ষকে সন্দেহ করেছিলাম। সেগুলো হলো।

১. জাওয়াহিরি বা আল কায়েদা

২. আমেরিকা বা পশ্চিমা শক্তি

৩. আওয়ামী বা ইন্ডিয়ান গুপ্তচরেরা



উপরের আলোচনা থেকে প্রথমেই আমেরিকা কে বাদ দিচ্ছি কারন নির্বাচন ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করলে আমেরিকা সহ পশ্চিমা শক্তি হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপিসহ আওয়ামীলীগ কে নিয়েই একটি ইনক্লুসিভ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়।



আল কায়েদাকে বাদ দিতে চাই কারন তারা এখনো পর্যন্ত কাস্মীর ও মিয়ানমার সহ দক্ষিন এশিয়া ও এই পাশের বিষয় নিয়ে ওদের কোন ইন্টারেস্ট দেখা যায়নি ইতোপূর্বে। তাছাড়া ভৌগলিক ও সাপ্লাই লাইন চিন্তা করলে আল কায়েদার জন্য এ দিকটা মোটেও অনুকূল নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ।



আওয়ামীলীগ ও ইন্ডিয়াই থাকলো বাকি। এদের দ্বারা এটা করার খুবই সম্ভাবনা কারন বিগত বেশ কিছুদিন যাবত তারা বাংলদেশে আলকায়েদা, জঙ্গী ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কিছুতেই বাংলাদেশে আল কায়েদার টিকিটি পাওয়া যাচ্ছিলোনা। কারন যেসব কথিত জংগী বাংলাদেশে পটকা ফুটিয়েছিলো, কর্নেল গুলজাররা তাদের নাকানী চুবানী খাইয়ে ১৪ শিকের ভেতর ঢুকিয়ে রেখেছিলো তাই আওয়ামী ফেভারিট জংগিরা আজ আর দেশে নেই। তো এখন বাংলাদেশে জংগী না থাকায় বিগত ৭/৮ বছর ধরে কোন চিঠি দাঙ্গা হাঙ্গামা কিংবা হুমকি না দেয়াতে এখন বিদেশী জংগী এনে হুমকি দিয়ে ৫ টা বছর ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করার পন্থা বের করার একটা উদ্দেশ্যে এটি তৈরি হতে পারে।



এখন কথা হচ্ছে এই ভিডিও বার্তাকে সুযোগে নিয়ে দু একটা ঘটনা ঘটতে পারে বাংলাদেশে। কারন দেশে কয়েক হাজার ওয়েল ট্রেইন্ড ইন্ডিয়ান গুপ্তচর ও কমান্ডো আছে এটা বাংলাদেশের ডিজিএফআই, এনএসআই, আমেরিকা, বৃটেনের দূতাবাসগুলোও অবগত আছে। তাই সবারই ধারনা কিছু ঘটনা ঘটবে কিন্তু অতীতে আওয়ামী সরকারের সময় যেমন করে রমনা, উদীচি বোমা হামলা হয়েছে কিন্তু অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বািরে থেকে গেছে এবারেও ঘটনা ঘটবে কিন্তু কাউকে ধরা হবে না।



তবে সত্যি সত্যি যদি জংগিদের কোন পাত্তা আবারো মিলে বাংলাদেশে তাহলে এই হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি মিলেই অতীতের মতো কর্নেল গুলজারদের নিয়ে বাংলাদেশ জংগী মুক্ত করবে। কর্নেল গুলজারদের হত্যা করা হলেও তাদের চেতনা বেঁচে আছে লক্ষ গুলজারদের মধ্যে। তাই আবারো বলছি যারাই আল কায়দা আগুন নিয়ে খেলছেন তারা এবং তাদের বন্ধু সহ আল কায়েদা টাল কায়েদাকে কাঁটা তারের ওপারে পাঠিয়ে দেয়া হবে যেখান থেকে ট্রেইনড হয়ে আসছে।











মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৬

মদন বলেছেন: হুমমমম

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

উপপাদ্য বলেছেন: হমমমমম ক্যানো মদন ভাই??

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভিডিও অথেন্টিক কিনা, এটা নিয়েই তো বিতর্ক হচ্ছিল।
সব কিছুই সাজানো ঘটনা বলাটা বিরোধীপক্ষের একটা ব্যাধি।
এরা ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা থেকে ..... হরতালে সকল সহিংসতাকে বিম্পির সুনাম! নষ্ট করার আওয়ামী ষড়যন্ত্র বলে আসছে।

আলকায়েদা ও আমাদের এ দেশীয় কিছু মুসলিম সঙ্গঠনের গোপন কর্মকান্ড চলছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
উত্তর আফ্রিকা ভিত্তিক কুতুবইজম, আরব ওহাবিজমের আদর্শে মুসলিম ব্রাদারহুড, তুরষ্কের একটি বড়দল, ভারত - পাকিস্তানে মৌদুদিবাদ এরা সবাই একই আদর্শের কাছাকাছি অবস্থানে। এরা কিছুদিন আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তীব্র বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের স্বরুপ উম্মচন করেছে।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানি তালেবানরা পাকি পত্রিকায় বিবৃতি পাঠিয়ে পাকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। এসব সাজানো হুমকি হলে পাকি সরকার গুরুত্ব দিত না, পাকিতান দুতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছিল বিধায় তালেবান কাছে আসতে পারে নি। কিছু করতে পারেনি।

আর হেফাজতকে এত সাধু ভাবার কোন কারন নেই। হেফাজতের নেতা বাবুনগরি সহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মি মোল্লা ওমরের দিক্ষা নিয়ে আফগান যুদ্ধফেরত যোদ্ধা।
Click This Link

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩১

উপপাদ্য বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আল কায়েদার কোন টেনশান নাই। থাকলে ২০০৯ সাল থেকেই টেনশন করতো। হুদাই এটারে সব জায়গায় মাখানোর দরকার নাই। আল কায়দা কি তা আপনিও জানেন আমরাও জানি। আল কায়েদা জামায়াত শিবির রে ক্ষমতায় বসানোর জন্য কিছু করবে এটা আপনি বিশ্বাস করেন কিভাবে? জামায়াতের সাথে তো তআদএর আডর্শিক দ্বন্ধ চলছে জামায়াত সৃষ্টির শুরু থেকেই।

আফগানিস্তানে জামায়াত পন্থি বলে পরিচিত বা মৌদুদী ভাবধারার নেতা গুলবুদ্ধিন হেকমতিয়ার যাকে সব পক্ষ নেগশিয়েশনের জন্য মেনে নিয়েছিলো তাকে কে হত্যা করেছে। এই তালেবানই হত্যা।
করেছে।

বাকী থাকলো হেফাজত। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মোল্লা ওমরের সাথে আদর্শিক মিল থাকলেও হেফাজত কিন্তু সশস্ত্র বিপ্লবে আগেও ছিলোনা এখনো নেই এই দেশে, উপরন্তু হেফাজত এখনো বলছে হেফাজত একটি অরাজনৈতক সংগঠন।

যতক্ষন তারা অরাজনৈতিক থাকবে ততক্ষন আমিও হেফাজতের পক্ষে আছি। কারন আমিও তাদের ১৩ দফার প্রথম দফার সাথে সম্পুর্ন একমত।

আমি চাই সব ধর্মের পবিত্র রক্ষা হোক। কোন থাবা খাবা জাবা যেনো ধর্মকে গালাগালি করে নবী রাসুল ও অন্যান্য প্রবর্তকদের অপমান করে সগর্বে বাংলাদেশে ঘুরে না বেড়ায়।


আর ঐ যে আফগান ফেরতের রেফারেন্স যেটা দিছেন এমন রেফারেন্স আরো আছে। বাংলাদেশে এরকম আফগান ফেরত, ফিলিস্তিন ফেরত প্রতি থানায় ৮/১০ জন এখনো মিলে। এর কারন কি জানেন যুদ্ধটা তখন আফাগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে ছিলো, যুদ্ধ টা যেমন এখনো ফিলিস্তিন ও ইজরেলের মধ্যে। দু একটা ফেরত টেরত সব জায়গাতেই পাবেন যারা এমন কি বৃটেন ও আমেরিকার হয়ে ইরাকে ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার নারী শিশু হত্যায়ও জড়িত। উদাহরন চান নাকি??

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০

নিশাত তাসনিম বলেছেন: জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানত দোষারোপ করা হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোকে। যা সত্য নয়। বরং বাস্তবে আমরা দেখি পশ্চিমা দেশগুলো ক্রমাগত শেখ হাসিনাকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রধান শত্রু রাষ্ট্র হচ্ছে ভারত কিন্তু দুঃখজনক হলেও ভারতের প্রতি বিশেষ কোন বার্তা নেই জাওয়াহিরির পক্ষ থেকে।


তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন ভারতের মদদে আওয়ামীলীগ আমেরিকাকে এটিই দেখাতে চাচ্ছে যে মৌলবাদী অথবা জঙ্গিদের সমূলে ধ্বংসের জন্য আওয়ামীলীগের চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতায় থাকা জরুরী?

তাহলে আপনাকে বলি আমেরিকা এতো বেকুব নয় যে বিডিনিউজ২৪ এর নিউজের উপর ভিত্তি করে তারা সিদ্ধান্ত নিবেনা।

বুঝতে হবে আমেরিকা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা। বিডিনিউজ২৪ এর একটি নিউজের উপর ভিত্তি করে তারা কোন সিদ্ধান্ত নিবে না।

আর এই মুহূর্তে জামাতিদের সাথে আমেরিকার লেনদেন ভালোই। নিউজটি ফেক হলে যে কোন ভাবে আমেরিকা সত্য জেনে যাবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

উপপাদ্য বলেছেন: আমেরিকা অলরেডি জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই বার্তা সম্পর্কে অবগত আছে।

৫ জানুয়ারী নিয়ে আওয়ামীলীগ অস্বস্থিতে আছে। যতই স্ট্রং ভাব দেখাক না ক্যানো ভেতরে ভেতরে তারা যে তাসের ঘরে আছে সেটাও তারা জানে। সবার কাছে একটা হাসির পাত্রের মতো অবস্থা। আওয়ামীদের কাছে জংগী ইস্যুটা হচ্ছে ট্রাম্প কার্ড। এটাই তাদের তুরুপের তাস। তাই এটা তারা সবার শেষে খেলবে স্বাভাবিক। এবং এই তাস খেলার জন্য আওয়ামীদের জন্য বেস্ট সময় হচ্ছে এখনই। যখন তাদের জনপ্রিয়তা সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। যখন এক ভোটার বিহীন ঘৃন্য নির্বাচনে তাদের বিজয়ী প্রার্থী শামীম ওসমানের মতো লোক খালেদা জিয়া সহ বিরোধী দল দমনের ঘোষনা দ্যায়, যখন তাদের মন্ত্রীরা সভা সমাবেশে প্রকাশ্যে সিগারেট খায়, মাতালের মতো কথা বলছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন। ইন্ডিয়ান প্রেশার, গতকাল নিউজে দেখলাম মনমোহন নাকি হাসিনাকে তার হতাশার কথাও জানাবেন। এখনো ইন্ডিয়া হতাশ!!!সব মিলিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হলে এমন কিছু করতে হবে যাতে সাপও মরে লাঠিও ভাংবে না।

বিরুধী দলকে দমন করতে পারলে ক্ষমতায় থাকাটা একটু সহজ হবে। কারন তৃতীয়পক্ষ এসে লিড নিতে বহু সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া তৃতীয় পক্ষ আসলেও আওয়ামী নির্যাতন ও গনহত্যার হিসেব নেয়া তাদের প্রয়োজনের বাইরেই থাকবে। তাই একমাত্র জংগী ইস্যুই বিরুধী দল দমনে সবচেয়ে বেশী সহায়তা ও কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে। আর তাই বিএনপিকেও জড়ানো হচ্ছে আল কায়দার সাথে। বিষয়টা এতোই হাস্যকর যে জাতীয়তাবাদকে যারা কুফরী মতবাদ বলে তাদের সাথেই সহবাস করানো হচ্ছে শুধু মাত্র বিএনপিকে নির্মুল করার জন্য। আমার ধারনা এরশাদের দলকেও জড়ানো হতো যদি না সে মহাজোটে থাকতো।

আপনার সাথে একমত যে আমেরিকা কখনোই বিডিবনিউজ২৪ এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নেবে।

কিন্তু আমার ভয় অন্য জায়গায়, আমরা ইন্ডিয়া ও আওয়ামীদের যে নতুন রূপ দেখছি বিগত ৭/৮ বছর ধরে তারা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আল কায়েদার নাম করে দু একটা ঘটনা ঘটাতেই পারে দেশে। সে ক্ষেত্রে কারা ভিক্টিম হবে বুঝতে পারছেন, হয় নিরিহ সাধারন মানুষ না হয় আওয়ামীলীগের সাধারন কর্মীরা। অথবা হিন্দু।

এবং এইসব ঘটনার কোন বিচার হবে না কোনদিন। যেমন করে কিবরিয়া, উদিচী, বানিয়ার চর গির্জা, রমনা বটমুল ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো সুরাহা হয়নি।

মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে কি পরিমান ইন্ডিয়ান ট্রেইনড কমান্ডো রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ডিজিএফআইতে র এর লোক নিয়মিত অফিস করে। ঘটনার সত্যাসত্য নিয়ে আশে পাশের লোকজনের সাথে আলোচনা করলে উত্তর মিলবেই।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

বেঈমান আমি. বলেছেন: কুমিরের রচনা আর কয় কাল?জাওয়াহিরি বা আল কায়েদা কি এই ভিডিওর কোন প্রতিবাদ করে বক্তব্যা দিছে কোথাও?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: জাওয়াহিরি হয়তো জানেইনা দেখেন। ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সিম্পলি ইগনর করে কছে বিষয়টা।

কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আল কায়দা নেটওয়ার্কের অতীতের ভিডিওবার্তা কন্টেন্টের সাথে এটার কন্টেন্ট কতটুকু সম্পর্কযুক্ত সেটা খতিয়ে দেখলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: তবে সত্যি সত্যি যদি জংগিদের কোন পাত্তা আবারো মিলে বাংলাদেশে তাহলে এই হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি মিলেই অতীতের মতো কর্নেল গুলজারদের নিয়ে বাংলাদেশ জংগী মুক্ত করবে।

ভালো মানের কৌতুক।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

উপপাদ্য বলেছেন: ভালো মানের কৌতিক!!!

এবার একটু হাসেন।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

রাফা বলেছেন: হুমম.....প্রতিটি জঙ্গীবাদের হত্যার স্বিকার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি।
নিজেরা নিজেদের হত্যা করে প্রমাণ করতে চাইছে বাংলাদেশে জঙ্গী আছে।
ইউ আর ডিটারমাইন্ড।
আল-কায়েদা এখন আর তাদের শক্তি নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ায় না। আল কায়েদা এখন তার দর্শণ দিয়ে প্রভাবিত করে স্থানীয় জঙ্গী শক্তিকে কাজে লাগায়।
বাংলাদেশেই আমরা দেখেছি এক সাথে ৫১৭ জেলায় বোমা ফাটাতে।
সেই সক্ষমতা আছে কোন কোন সংগঠনের।

আমাদের সেই নাফিসের কথা ভুলে গেলে চলবেনা।আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোয়ে আমেরিকার মত দেশে কি আদর্শ নিয়ে বড় হচ্ছিলো সে।বাংলাদেশে ইসলামের ধুয়া তুলে জিহাদে সক্রিয় করার মত লোকের অভাব নেই।বিশেষ করে মাদ্রাসা গুলোতে।

বিএনপি স্বেচ্ছায় কোন জঙ্গী দমনে ভুমিকা রাখে নাই।বিরোধী দলের প্রচন্ড চাপ এবং পশ্চিমা বিশ্বের চাপেই বাধ্য হোয়েছে।আমরা ভুলে যাই নাই যে এই দেশে বাংলা বা ইংলিশ ভাই নাই।আর হাজার হাজার জঙ্গী গ্রফতার হওয়ার পর শিবির পরিচয় প্রকাশিত হওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছিলো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

উপপাদ্য বলেছেন: কে কাকে মারছে সে প্রশ্নের চেয়ে বড় হচ্ছে মারার মধ্যে স্বার্থ কতটুকু। স্বার্থ থাকলে অনেক কিছুই ঘটে যা আপনার আমার চোখে অবিশ্বাস্য। এবং এ ধরনের অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ঘটে গেছে।

আপানর কমেন্টে কিছু তথ্য ও তত্বগত ভুল আছে।

আল কায়দা হুমকি আসলেই যতটা না বড় তার চেয়ে বড় করে দেখানো হয় পশ্চিমা বিশ্বে শুধু মাত্র ইসলামোফোবিয়া সৃ্স্টির জন্য। বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়া নেই। এখানে ইসলামোফোবিয়া তৈরির জন্য আসাদুজ্জামান নুর, মিতা হক, মুনতাসি মামুন শাহরিয়া কবির রাস চেস্টা চালাচ্ছেন কিন্তু কাজে আসছে না। তআি আো্যামীলীগের এমন দুর্দিনে একটা রিস্ক তারা নিয়ে নিলেন আওয়ামীলীগকে বাঁচানোর জন্য।কিন্তু ইমেজ রক্ষা করার জন্য কিংবা ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আল কায়েদা নাটক বাংলাদেশে চলবে না।

এটাকে আল কয়দা না বলে বরং আল ফায়দা বলা যায় যেহেতু আওয়ামী লীগের ফাযদার জন্য এটা তৈরি হয়েছে।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৩

বেঈমান আমি. বলেছেন: আল কায়েদা বাল কায়েদা আমরা দুচিও না।বাট আপনার পোস্টে আপনি কি বলতে চাইলেন?

আমি যদি বলি আপনার ছাগু ভাইরা এই ভিডিও বানাইছে সরকারকে ভয় দেখাতে।বাট ছাগুরা ভুলে গেছে তাদের ব্রেইনের সাইজ যে বিচির সমান।

বাংলাদেশ সরকারকে নিয়া এরা আগে কারা কারা এমন ভিডিও পাঠাইছে?
কোন লাভ হয়ছে?

বাংলাদেশ ফাকিস্তান বা আফগানিস্তান না।হবেওনা কোনদিন।

এই হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি মিলেই অতীতের মতো কর্নেল গুলজারদের নিয়ে বাংলাদেশ জংগী মুক্ত করবে।

ইচ্ছা করছিলো আপনারে কিছু আদর করি বাট মুড নাই।গেলামগা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার এনিমিরা কি জিহাদের ডাক দিবো খালেদী মিয়া আর মোজা বাবুর মাধ্যমে। পোস্টেই লিখেছি এই কথা।

যেহেতো মোজা বাবু আর খালেদীর কাছে বার্তাটি গেছে সর্বপ্রথম সেহেতু বুঝতে হবে ঘাপলাটা কোথায়।

আমি যতটা না তর্কের খাতিরে তর্ক করার জন্য পোস্টাইছি তার চেয়ে বেশী চাই সত্যটা উম্মোচিত হোক। কারন আল কায়েদা কি জিনিস তা আপনি আমি সবাই ভালো করেই জানে। তাই কোন ভাবেই আল কায়দা আগুন নিয়ে খেলা এদেশের জন্য সুখকর হতে পারেনা।

হেফাজতের সমাবেশে গনহত্যা হয়েছে ৫ মে ২০১৩ সেই হত্যাকান্ডের
রেশ নিয়ে আল কায়দা কথা বলছে এখন। ভাই কিছুটাতো অন্তত বুঝতে হবে কি উদ্দেশ্যে একবছর পরে, যখন ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের পরে সরকার ভাবমূর্তি ও গ্রহনযোগ্যতা তলানিতে তখন এটা প্রকাশ করা হয়েছে।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২২

লাতি বলেছেন: আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে ভিডিওটি মিথ্যা,

যাই হোক সত্য বা মিথ্যা কোন।

কিন্তু আপনাদের এত চুলকানী কেন? মিথ্যা হলেতো এত চুল কানী হবার কথা ছিলনা।

একটি চিরন্তন সত্য যে চোর কখনো নিজেকে চোর হিসাবে স্বীকার করেনা,

কাদের মোল্লার ফাঁসীর পর পর পাকিন্তানের জামাত ইসলামী ও পাকিস্তানের উগ্রমৌলবাদী দল গুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেই ভাবে ফুসে উঠেছে, তার চিত্রই প্রমাণ করে বি,এন,পি জামাত তালেবান ও পাকিস্তান কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তার্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্টী।
দশট্রাক অস্ত্র কে কার জন্য কেন নিয়ে এসেসেছিল তা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যা আপনিও জানেন, আর কি প্রমাণ চান জামাত শিবির যে উগ্রমৌলবাদী তালেবানদের দালাল।







১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯

উপপাদ্য বলেছেন: দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে যদি আপনার চুলকানী থাকে তাহলে আপনি আমার পোস্টে কমেন্ট করবেন না প্লিজ। কারন আমি আসামের নির্যাতিত নিপিড়িত মজলুম মানুষের স্বাধীনতার দাবীর সাথে একমত।

আর চুলকানীর কথা যদি বলেন তাহলে আমি আপনাকে একটু তথ্যাবাবা, বিশিষ্ট ফেইসবুক বিজ্ঞানী সজিব ওয়াজেদ জয়ের আজকের পোস্ট পড়ে আসার আমন্ত্রন জানাচ্ছি। দেখুন তথ্যবাবার চুলকানী কোন পর্যায়ে চলে গেছে। আরো দেখুন আপনাদের নেতৃত্ব কোন পর্যায়ের তলানীতে পৌঁছে গেছেন। জাওয়াহিরি নিয়ে কত নিম্ন মানের রাজনীতি করতে চাচ্ছেন।

তালেবানের সাথে এখন জামায়াতের সম্পর্কের কথা বলছেন একটু পরেই বলবেন তারেক রহমানেরও সম্পর্ক আছে। আপনাদেরতো চেনা আছে এটা আপনাদের বহূ পুরানা বর্নচোরা রূপ।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩০

বেঈমান আমি. বলেছেন: হেফাজতের সমাবেশে গনহত্যা হয়েছে ৫ মে ২০১৩

আপনারা কি গনহত্যার ডেফিনেশন পাল্টায় দিবেন?

দেখি আল কায়েদা কি মন্তব্য করে এই ভিডিও নিয়া।ততক্ষন পর্যন্ত অফ গেলাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৪

উপপাদ্য বলেছেন: উপস সরি, আপনি আবার বিশ্বাস করেন যে ওখানা হুজুরেরা সব রং মেখে শুয়েছিলো।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩২

বেঈমান আমি. বলেছেন: তাহলে সমীকরনটা কি দাঁড়াইলো?

খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে।৭১ এ ফাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহয়াতকারী রাজাকারদের বিচারের বিপক্ষে কথা বলছে ফাকিস্তান।

আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে আমেরিকার নিজের হাতে গড়া আল কায়েদা এখন হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

রাজাকারদের ফাঁসি ঠেকাতে ফোন করে আমেরিকান পররাস্ট্রমন্ত্রী তাতেও কাজ হয়না।

জামাতের আন্তর্জাতিক লবিস্ট হলো ইহুদী।

জামাত বা আল কায়েদা যে ইসলামের কেউ না সেটা মনে হয় এই বার মানুষের আর বুঝতে বাকি নাই?


আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসটা দিয়া গেলাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৫

উপপাদ্য বলেছেন: ফাকিস্তান সব সময়ই বিপক্ষে কথা বলবে, এমনকি সুষ্ঠু বিচার হলেও বলবে আর স্কাইপ স্টাইল বিচার হলেও বলবে। কারন ৭১ তাদের প্রকৃত চরিত্র উম্মোচন করে দেয়। তাদের গনহত্যার বিচার তারা যেকোন ভাবে বানচাল করতে চাবে।

ভাই জামায়াত নিয়া কম টেনশান করি। করি যতক্ষন আমার স্বার্থ আছে। জামায়াতের আন্তর্জাতিক লবিস্ট হচ্ছে ইহুদী। ভাই কথাটা কি আপনারা বুঝে বলেন। কিছুটা হলেওতো দেশ বিদেশের খেয়াল রাখি।

জামায়াতের টাকা, জামায়াত অমুক কিনছে তমুক কিনছে জামায়াত ইকোনমিস্ট কিনছে, বিবিসি কিনছে, আল জাজিরা কিনছে, আমেরিকা কিনছে, ইজরেল কিনে ফেলেছে তাইলে আর ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ করে লাভ কি, জামায়াত, ব্রাদারহূড, হামাসতো একই আদর্শ নাকি।

একটা কথা বলি ভাই। আজকের ভিডিও বার্তাটি জাময়াত বা হেফাজট নয় টার্গেট বিএনপি। এটা বুঝতে হবে।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৪

বেঈমান আমি. বলেছেন: এইটা পড়ে ঘুমাতে যা

ছাগু টাইপ পোস্ট দিলে আমি কাউরে আপনি করে বলতে পারি না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৮

উপপাদ্য বলেছেন: মতের বিরুদ্ধে যায় এমন পোস্ট দিলেই হাম্বারা হাম্বা হাম্বা শুরু করে।

পড়েছি। চিন্তার খোরাক আছে। মোশারফের অনুরোধ?? খুব সুন্দর হইছে একদম নবনীতা মার্কা রিপোর্ট।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪০

লাতি বলেছেন: আসামের নির্যার্তিত মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্ত দিলেন।

ভারতে কে ভেঙ্গে দুর্বল করতে চায় এই তালেবান, পাকিস্তানীরা। তালেবান আর পাকিস্তানীদের এজেন্দা আর তাদের উদ্দেশ্যে সাথে আপনার বক্তব্য হুবুহু মিল, এতেই কি প্রমাণিত হয়না , তালেবান আর পাকিস্তানীদের সাথে জামাত শিবির আর বি,এন,পির সাথে গভীর সর্ম্পক আছে।


১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৫

উপপাদ্য বলেছেন: ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কোন সমস্যা আছে। সমস্যা যদি থাকে তাহলে হয় আপনি ভারতীয় কেউ না হলে ভারতের সেরকম দালাল যাদেরকে জনগন ভাদা বলে। আপনি হাম্বা হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছেন। কারন হাম্বারাও ভারতের এই দাদাগিরি ঘৃনা করে।

একটা এক্সাম্পল না দিলেই নয়। কড়িগ্রামের ভুরুংগামারী থানার এক ছআত্রলীগ নেতা খুব সম্ভবত সে থানা সেক্রেটারী ছিলো। গত ১৪ বছর ধরে এখনো ভারতের জেলে বন্দি আছে। উলাফাকে সাহায্য করার জন্য। পারলে একটু জেনে নিয়েন এই বিপ্লবীর কথা।

এখন আসুন ভারতকে আর কে কে দুর্বল দেখতে চায়। বাংলাদেশ, চীন, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, পাকিস্থান, জাপান, আমেরিকা এমনকি বৃটেন।

শুধু রাশিয়া আর ইরান সম্ভবত ভারটকে একটু স্ট্রং দেখতে চায় এই অঞ্চলে।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১০

লাতি বলেছেন: ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

ভারতে ভেঙ্গে হাজার টুকরো করলেও আমার কিছু যাই আসেনা।

জনাব এটাই আপনাদের শুধু মুখের কথা,

বাস্তবে ভারতের বিরুদ্ধে টু শব্দও করার সাহস পায়নি যখন বি,এন,পি ক্ষমতায় ছিল।

ভারত বলৎকার বলতে আপনার শুধু বাংলাদেশের আওয়ামীলীগকে বলৎকার করেন। আর এটা দিয়ে যাষ্ট রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করেন। কারণ আওয়ামীলীগকে ভারতের দালাল বলে বলে প্রচার করতে পারলে অন্তত কিছু ভোটতে বি,এন,পির বক্সে নেওয়া যাবে।
এটা ছাড়া আপনাদের আর কিছুই করার নেই,

মনে করিয়ে দিতে চায় আপনাকে , গত কয়েক বছর আগে খালেদা জিয়া ভারত সফর করে লাল গালিচা সর্ম্বধনা নিয়ে আসেছিল ভারত হতে, সেই দিন মহা খুশিতে অন্তহারা হয়েগেছিল বি,এন,পি, কারণ ভারত হতে লালগালিছা সর্ম্বধনা চারটি খানি কথা নয় , ভারত হতে সফর শেষে বি,এন,পি তারা নিজেরে ধন্য মনে করেছিল।


আমি, আপনি সবাই চায় ভারত বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা সর্ম্পূণ বন্ধ করুক,
কিন্তু এর বাস্তব সমাধান বি,এন,পি কখনো দিতে পারিনি, বরং উল্টো আওয়ামীলীগকে গালাগালি করে, পারলে ভারতে গিয়ে যুদ্ধ কর, কিন্তু আওয়ামীলীগে পেচনে বাশদেওয়া বন্ধ করুন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: তো আপনি চান বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিক যেহেতু ভারতের বিরোধী। ভাই খালি তর্কের খাতিরে দুটা কথা লিখলেই হয়না চিন্তা করে লিখতে হয়।

খালেদা জিয়ার ভারত সফর শেষে বিএনপি ধন্য!!! হায় একি কথা? তো "শুধু একটি দল নয় ভারতকে বাংলাদেশের জনগনের মনের কথা বুঝতে হবে" কে বলেছিলো? প্রনবের মতো চিকন বুদ্ধির আওয়ামী পেট্রনরে কে বেইল দ্যায় নাই।

যাইহোক এসব নিয়ে তর্ক করার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো ভারত ও আওয়ামীলীগ একই সূত্রে গাঁথা। তাই মাতাল আশরাফ বলেছিলো সীমান্তে হত্যা নিয়ে রাস্ত্র চিন্তিত নয়। আপনার চিন্তা আছে দেখে ভালো লাগলো।

আর আওয়ামীলীগ এমনই এক দল যে কিবরিয়া হত্যার চার্জশীটই এখনো আদালতে জমা দিতে পারে নাই তার কাছে আপনি আমি আর কি আশা করি ভাই বলেন।

আল কায়দা নিয়ে লাফালাফিটা যেভাবে আপনারা শুরু করেছেন তআতে শুধু খারাপই লাগে না। বরং মিথ্যেবাদী রাখালের গল্পটাও মনে পরে যায়। সেদিন দেখা যাবে সাধারন কিছু মানুষ ভিক্টিম হচ্ছে। মাননীয়রা ঠিকই দুধে ভাতে থাকছেন।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: যৌক্তিক পোষ্ট। বিষয়গুলি বিবেচনার দাবী রাখে।দালালদের জ্বলুনি স্বাভাবিক ভাবেই অনুমিত।যেখানে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা বা খন্ডনের চেষ্টা নেই সেখানেই তো ব্যক্তিগত আক্রমন আসবে!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০০

উপপাদ্য বলেছেন: জ্বলুনিতো উঠবেই। কারন তথ্যবাবা অলরেডি সার্টিফিকেট দিয়েছে যে আল কায়দাই এই হুমকি দিয়েছে। এর সাথে টবি ক্যাডমেনরেও একটু প্যাচাইছে।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

রায়হান০০৭ বলেছেন: উপসসস!!!
এ যে দেখি আওয়ামি মেলায় চলে এলুম যে ...
হরি হরি!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

উপপাদ্য বলেছেন: চেতনা বাজরে চলে এসেছেন। হাম্বা হাম্বা করতেই থাকবে মাগার কোন লাভ হবে না। একজনের অবস্থা দেখুন পারলে তো দাদারে মাথায় তুলে নাচে।

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

রায়হান০০৭ বলেছেন: অনুগ্রহ করে এক টা মন্তব্য মুছে দেবেন, মোবাইল এ কমেন ট দেয়ার ফলে এমন হয়েছে

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২১

উপপাদ্য বলেছেন: দিয়েছি ভাই।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: একমত।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

উপপাদ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো আছেন??

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষণ

আসলে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধী দলের কোন কর্মসুচী না থাকায় চাপাবাজ লীগ নেতা ও বুদ্ধিপ্রতিবন্দীদের কথা বলার কোন বিষয় ছিল না। ওনারাতো আবার প্রতিপক্ষকে গালি দেয়া ছাড়া কথাই বলতে পারেন না। তাই বিরোধীদের নীরবতা সহ্য করতে না পেরে এই নতুন বিষয়ের অবতারণা করেছে।

তবে আশংকার বিষয় হচ্ছে এই নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে কিছু নিরীহ মানুষকে না প্রান দিতে হয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

উপপাদ্য বলেছেন: বড় প্লটের একটা ছোট অংশ ছিলো ওটা। ধীরে ধীরে সবই উন্মোচিত হচ্ছে আরো হবেও।

অনেক ধন্যবাদ কাঙ্গাল ভাই

১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার কেন যেন ছোটবলার সেই রাখালবালকের গল্পের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আর মনে পড়ছে বুশ,পারভেজ মোসারফদের কথা। অথচ এই কায়দা-ফায়দা কিন্তু সাম্রাজ্যবাদেরই পোষ্যপুত্র। এদের দ্বারা কবে কোথায় পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষতি হয়েছে? যেগুলিও প্রকাশিত,পমানের অভাবে লটকে আছে । অথচ তৃতীয় বিশ্বে সব সরকার বিরোধীরাই কায়েদার নামে সাধারন মানুষ মারছে,যুদ্ধ চালাচ্ছে। এরমাঝে এমন সব দেশও আছে যেখানে কায়দার জন্মের আগে থেকেই যুদ্ধ চলছে।
গাদ্দাফী,বেন আলী,আলি সালেহ,মোবারকদের হাত থেকে মুক্তি পাগল জনতা যখন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তখন কায়দা লুকিয়ে ছিলো তোরাবোড়ায়। আজ উল্লেখিত সবকটি দেশেই না কি তাদের অস্তত্বের প্রমান!! আর কত দেখবো বা বুঝবো। ধন্যবাদ।বুঝহ সুজন...........।

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৮

মদন বলেছেন: হেড লাইন দিয়ে হেডলাইন চাপা দেওয়ার থিওরীতে ইদানিং হেডলাইন সংকট নিরসনের একটি অনন্য প্রচেষ্টা।

হ্যাটস অফ টু লীগ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.