![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় সংসদ শুওর তুই তোর স্বরূপ চিনিয়েছিস, তোর এমন নির্ভেজাল হন্তারক উচ্চারণ আমরা কখনো শুনিনি আদ্যোপান্ত। তোর এই ঘাতক চেহারার মধ্যে লুকিয়ে ছিলো তোর ধুসর গোঁফের গাঢ় চোখ রাঙানী। তারও নিচে শুওরের চামড়ার মতো তোর ঠোঁট জোড়া যখন নড়ছিলো তখন আমার ক্যামন জানি মনে হচ্ছিলো এ দৃশ্য আমি আরো কোথাও কোথাও দেখেছি।
কিন্তু তখনো আমি তোর অধরাবৃত পঙ্কীল নোংড়া দন্তখাঁজের ভেতরে কুকুর ছানাদের আনাগোনা দেখিনি। যখন দেখলাম তখন শুওরের মতো ঘোঁত ঘোঁত শব্দে ক্যাবল মাত্র উচ্চারণ করেছিস "গুলি করে মারব" এবং হ্যাঁ কথাটাকে জোড় দেয়ার জন্য আরেকবার বললি তুই "হ্যাঁ গুলি করে মারবইতো" আমার তখন মনে হলো ধবধবে সাদা ময়লার আস্তরনে লেপায়িত তোর গায়ের পাতলুন খুলে গেছে হে সংসদ শুওর। তোর সজারু সদৃশ চুল গুলো শয়তানের মাথাভর্তি সর্পের ন্যায় ফোঁস ফোঁস করে বিষবাস্প হয়ে পরিবেশ কলুষিত করে ফেলেছে ততক্ষনে। তোর কৃষ্ণ কদাকার মনের হন্তারক অভিলাষ কুকুরের লালার মতো ঝরছিলো। আমার আবারো মনে হলো এ দৃশ্য আমি আরো কোথাও দেখেছি।
মাননীয় সংসদ শুওর যাকে তুই হত্যা করার জন্য তোর দানবীয় হিংস্র শ্বদন্ত বের করতে চেয়েছিস, সে এক মমতাময়ী নারী। যে নারী কারো মা। মায়ের গায়ে হাত তুলতে চায় ক্যাবলমাত্র কুলাঙ্গারেরা। যে মায়ের মমতায় বড় না হয়ে হায়েনার মমতায় বড় হয় তার দ্বারাই কোন নারীকে, কোন মাকে হত্যা করার অসুস্থ চিন্তা প্রসুত হতে পারে। শুওরের ঘোঁত ঘোঁত তখনো চলছে। আশে পাশে কিছু ছাগল সদৃশ নিরীহ জীব ফ্যাল ফ্যাল করে শুওরটার দিকে তাকিয়েছিলো। তারা মোহমুগ্ধের মতো শুওরের ঘোঁতঘোতানী শুনছিলো যেন তানসেন সুরের মুর্ছনা তুলেছেন। ক্যামেরা লাইট আ্যাকশন সবই ঠিক ছিলো। আমার তখনো মনে হলো এ দৃশ্য আমি আরো কোথাও কোথাও দেখেছি।
হ্যাঁ আমার মনে পড়লো এ দৃশ্য আমি দেখেছি মধ্য আফ্রিকায় যেখানে কিছু অসুস্থ বর্বর হিংস্র অসভ্য মিলে মানুষের শরীর কেটে ময়লা দাঁত বের করে খাচ্ছিলো। সেদিন টিভি পর্দায় দেখা বিকলাঙ্গ শুওরের আস্ফালনের সাথে মানুষখেকো মধ্য আফ্রিকার অসভ্যদের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলোনা।
সেই চিহ্নিত মাননীয় সংসদ শুওরের ঘোঁত ঘোঁত নর্তন কুর্দন সেদিন টিভি পর্দা হয়ে ঢাকা শহরের যাবতীয় আবর্জনার স্তুপ শীর্ষ হয়ে শত কানাগলি পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত যে দূর্গন্ধ ছড়িয়েছে, সে ঘাতক দূর্গন্ধ পরিষ্কার করবে তারুন্যের জোয়ার। শ্লোগানে মিছিলে রাজপথে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রক্ত আর শ্লোগানে মুছে দেবো সব মাননীয় সংসদ শুওরদের পাপ পঙ্কিলতা।
[ টিভি পর্দায় অহরহ মানুষ হত্যার হুমকী প্রদানকারী মানবতাবিরোধী অসুস্থ ঘাতকদের আস্ফালন দ্যাখে তাজ্জব বনে যাই। ন্যায় বিচার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে চলবে। ]
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫১
উপপাদ্য বলেছেন: এ অবস্থা চলতে থাকলে আসতে আসতে রাজ পরিবার ছাড়া সরকারী দলেরও অনেকের মানবাধিকার থাকবেনা।
ফ্যানাটিকস ফাসিস্টদের ইতিহাস কিন্তু তা ই বলে।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: গত ফেব্রুয়ারী থেকে দেশে যা ঘটেছে, এটাকে দেশ বলা মুশকিল!
০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
উপপাদ্য বলেছেন: দেশ এভাবে চলতে থাকলে আস্তে আস্তে হয়তো আমাদেরকে মানুষ বলাটাও মুশকিল হয়ে পরবে।
ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
মুদ্দাকির বলেছেন: ভাষা কঠিন
০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৭
উপপাদ্য বলেছেন: তার পিছনেও কারন আছে। শুওরটার অংগভঙ্গি এতই অশ্লীল ছিলো যে ঘৃনায় শরীর রি রি করছিলো।
হি ওয়াজ আ্যাক্টিং লাইক আ্যা বিগ শট।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বাংলাদেশে বিরোধী দলের মানবাধিকার থাকতে নেই