নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

থুথু উপরের দিকে ছিটালে নিজের গায়েই পরে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭

১৯৮১ সাল



প্রথমে তাকে হত্যা করার জন্য খাবারে বিষ মেশানো হলো। শ্বদন্ত আরতির ষড়যন্ত্র ধরা পরে গেলো। কিন্তু বিষাক্ত নাগিনী ফনা তুলে বসেই ছিলো, ছোবল সে মারবেই। খুন সে করবেই বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, উন্নয়নের রূপকার জিয়াউর রহমানকে। গভীর রাত। ভোর হতে তখন আর বেশী বাকী নেই। মুআজ্জিন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোরের আজানে সব অন্ধকার দূর করবেন কিছুক্ষনের মধ্যেই। কিন্তু এজিদের দল দিনের আলো ভয় পায়। রাতের অন্ধকার তাদের আজিবন সংগী। ষড়যন্ত্র তাদের তপস্যা। তাই রাতের আঁধারে হানা দিয়েছে ঘুমন্ত জিয়ার রুমে। এ সেই সীমার যার সাথে একই টেবিলে বসে রাতের খাবার খেয়েছিলেন। হেসেছিলেন, বুক মিলিয়েছেন, পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছেন।



জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরন করেছেন। তার লাশ দেখে তার সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পরছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। দিশেহারা হয়ে গেছে। শোকে মাতম করছে। সারাদেশ শোকে মুহ্যমান। পিতার লাশ দেখে দুই ভাই মুর্ছা যাচ্ছেন। মহান আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে পিতার জন্য প্রার্থনা করছেন।



২০০৯ সাল



ড. ওয়াজেদ মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বেশ কিছু দিন ধরে প্রায় মৃত্যুশয্যায় শায়িত হয়ে আছেন। ৬৭ বছর বয়সের বৃদ্ধ হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে মৃত্যর দিনক্ষন গুনছেন। অত্যাধুনিক স্কয়ার হাসপাতালের আধুনিক কেবিনে নিঃসংগ হয়ে মাঝে মাঝে জানলা ধরে তাকিয়ে থাকেন দূর দিগন্ত পানে। মেয়ে কানাডায়, ছেলে আমেরিকান ইহুদী বিয়ে করে সেটেল্ড ডাউন। স্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে গিয়ে মৃত প্রায় স্বামীকে ভুলেই থাকেন। ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করলেন। সারাদেশের রাজনৈতিক নেতারা, সুশীল সমাজ গেলেন শ্রদ্ধা জানাতে। কিন্তু নিঃসংগ ওয়াজেদ মিয়ার বড়ই দূর্ভাগ্য তার একমাত্র পুত্র সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় খুবই ব্যাস্ত দিন কাটালেন সেদিন। পিতার লাশ শেষবারের মতো দেখার সময় তার নেই। প্রকৃতির নিয়মে ওয়াজেদ মিয়াকে সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে শুইয়ে রাখা হলো।



নোংরা রাজনীতিকের নোংরা মন



আজ একজন রাজনীতিকের পিতা, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাস্ট্রপ্রধান ছিলেন। তার লাশ দেখে তার সন্তানেরা কাঁদেনি বরং দর কষাকষি করেছে বলে যারা বিবৃতি দেয় তারা অন্তত সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ নয়। অসুস্থ এইসব মানুষ ও তাদের এই প্রলাপ আসলে নিজেদের নেতার পরিচয়ই প্রকাশ করে পক্ষান্তরে। উপরের দুটি ঘটনা থেকে আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন পিতার প্রতি কার ভালোবাসা আছে আর কার নেই। বাংলাদেশ মুক্তি পাক এসব অসুস্থ মস্তিষ্ক বিকৃত মতিয়া, তোফায়েলদের হাত থেকে।



থুথু উপরের দিকে ছিটালে নিজের গায়েই পরে



প্রিয় সাজিব ওয়াজেদ জয়, আমার এই পোস্ট টি আপনাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে নয়। আপনি আপনার পিতার লাশ দেখবেন কি দেখবেন না। আপনার পিতার লাশ নিজ হাতে কালেমার সাথে কবরস্থ করবেন কি করবেন না। এটা সম্পূর্ন আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়। কিন্তু আপনার লেলিয়ে দেয়া কুকুরেরা যখন অন্যের ব্যাক্তিগত বিষয় ও আবেগ নিয়ে নোংরা কথা বলে। পাশাপশি একজন শহীদ দেশপ্রেমিক ও তার পরিবার নিয়ে না জেনে না বুঝে মিথ্যা বয়ান করে তখন আমাদের খুব ঘৃনা হয় আপনাদের প্রতি। ঘৃনা হয় কি ধরনের কুকুর আপনি লালন পালন করছেন তা ভেবে। তাই মনে রাখতে হবে থুথু উপরের দিকে ছিটালে নিজের গায়েই পরে।







মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২২

মদন বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতি খুবই নোংরা একটি অবস্থানে চলে গেছে...

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫২

উপপাদ্য বলেছেন: কথা সত্য বলেছেন ভাই।

আজ যখন তোফায়েল-মতিয়ার মতো সিনিয়র নেতারা নোংরা কথা বলেন তখন বুঝতে বাকী থাকেনা কোন অবস্থায় আমাদের রাজনীতি।

অনেক ধন্যবাদ

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

আমার নাম প্রভা বলেছেন: নোংরা রাজনীতি

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৮

উপপাদ্য বলেছেন: এই নোংরা রাজনীতি থেকে বের হওয়া উচিত।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪০

নিশাত তাসনিম বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান দুইজনই সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমাদের উচিৎ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই দুই মহা নায়ককে তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ও সকল আলোচনা ও সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখা । শুধু তার দুইজন না আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের বিন্দু পরিমাণ অবদান আছে আমাদের উচিৎ এমন কিছু না বলা যাতে তাদের অসম্মান হয়।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৩

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সূত্র ধরে বলতেই হয়। আমেরিকার ফাউন্ডিং ফাদারের যে প্রসংগ তাজউদ্দিনের মেয়ে তার বকতৃতায় এনেছেন তা নিে ভাবতে হবে।

মুজিব শেখ মুজিব শেখ করে একজনকে নায়ক বানিয়ে ইতিহাস বিকৃতি না করে। সবার অবদান স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুক্তি দেয়া হোক।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

মুহামমদল হািবব বলেছেন: রাজনীতিতে নোংরামি বাড়বে বৈ কমবে না যতদিন এই তথাকথিত জাঁদরেল রাজনীতিবিদরা বেঁচে থাকবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

উপপাদ্য বলেছেন: কি দেখার কথা, কি দেখছি।

আমি কোন কারন খুণনজে পাইনা মাতিয়া ও তোফায়েলরে কিছু বাম ও আো্যামীরা কেন এতো পছন্দ করে।

পছন্দের স্ট্যান্ডার্ড যদি এই হয় তাহলে বাকীদের কি অবস্থা বুঝে শংকিত হই।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এত নিকৃস্ট জঘন্য মানের রাজনীতি পৃথিবীর কোথাও নেই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

উপপাদ্য বলেছেন: সম্পূর্ন একমত ঢাকাবাসী ভাই।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসলেই সুক্ষ ব্যাপার গুলো লক্ষ্য করা উচিৎ!!! সুন্দর এবং আপনি অচিরেই গুম হবেন :P :P :P ;) ;) ;)

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪

উপপাদ্য বলেছেন: গুমের যে মিছিল আজ শুরু হয়েছে সারাদেশে, তা রক্ষী বাহিনীর বর্বরতাকেই মনে করিয়ে দেয়, মনে করিয়ে দেয় আওয়ামীলীগ আসলে কত ভয়ংকর একটা টেরোরিস্ট ওর্গেনাইজেশন।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: চরম বলেছেন।

আর নোংরা রাজনীতি বলে দায় সারা যাবে না। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের রাজনীতি কে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, তাই তাদের বয়কট করা ছাড়া উপায় নাই।


০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:০০

উপপাদ্য বলেছেন: আওয়ামীলীগকে অলরেডী বাংলাদেশের মানুষ বয়কট করে ফেলেছে। বাংলাদএশের সাধারন মানুষ একজনও পাবেন না যিনি আওয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলবেন। আওয়ামীলীগ জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের পরিনতিটা খুব ভয়ানক হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: তোমরা নোংরামি করবা আর জবাব দিইলে কইবা ভন্ডামি! এই সব আগাছা পোস্ট না করা ভালো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৭

উপপাদ্য বলেছেন: ঠিকাছে তোফায়েল আর মতিয়াদের তথাকথিত জবাব দেয়া আপনার শিখুন।

তারপর থুথুর ছিটা গায়ে মাখুন।

ধন্যবাদ

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এই জিয়া কিন্তু প্রায় ২০০০ মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে নির্মমভাবে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে হত্যা করেছিলেন। সেতাআপ্নি উল্লেখ করেন নাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: এই পোস্ট কি ঐ প্রসংগে লিখিত ডার্ক ভাই?

দ্বিতীয়ত, আপনার কথা সত্য নয়?

তৃতীয়ত, মুজিব শেখের গেস্টাপো বাহিনী রক্ষীবাহিনী কতৃক গনহত্যায় নিহত জাসদের ৪০ হাজার কর্মীদের মধ্যে কি সবাই রাজাকার ছিলো?

ঐসব প্রসংগে অন্য একদিন কথা হবে। তখন দেখা যাবে কে ক হাজার হত্যা করেছে। এখন বলেন তোফায়েল কিংবা মইত্যার মুখে এসব গালি-বুলি শুনে কি মনে করেন তারা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.