![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অনলাইনে লিখতে ভালোবাসি
দিন গড়াচ্ছে, ইন্টারনেট আর অনলাইনের বদৌলতে বিভিন্ন কোম্পানি দেশি বিদেশি পণ্য মানুষের দেড়গোড়ায় পৌছৌবার প্রয়াস পাচ্ছে। ফলে অনলাইন শপিং বা কেনাকাটা যেমন বাড়ছে, বাড়ছে অনলাইন ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্টানগুলোর অসৎ বা নেতিবাচক কর্মকাণ্ড। যেহেতু বাংলাদেশে অনলাইন শপিং এখনো প্রসার পর্যায়ে, বহুভোক্তা তাদের অষুন্তষ্টির কথা প্রকাশ করেন না। আমি নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে আজ অনলাইন শপিং বা লেনদেনের বিষয়ে কিছু শেয়ার করব যা অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অনলাইন লেনদেনে চ্যালেঞ্জ
এত সব নতুন নতুন অনলাইন শপিং সাইট বা মিডিয়ার ভিড়ে আমরা অনলাইনে কেনাকাটার যে চ্যাল্যঞ্জের সম্মুখীন হই, তা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। উধাহারণে বলা যায়, নিরাপত্তার কথা, আসল পণ্য নিশ্চ্যতার কথা, বিজ্ঞাপন ও সর্বপরি বাছাইকৃত পণ্য প্রদানে নিশ্চয়তার কথা। মানুষ স্বভাবতই এমন বস্তু পছন্দ বা নিরাপদবোধ করে যা দেখা যায়, ছোঁয়া যায় বা ব্যাবহার করা যায়। যে কারণে অনলাইনে বিক্রয় বা লেনদেন বা সার্ভিস শেয়ার করা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া ও নতুন কিছু নয়। আর আমাদের দেশে তো এটা সাধারণ কিছুর পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, যা আপনাকে ছিনতাই বা ডাকাতি করার মতো ।
বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে, আমাদের দেশে কেনা কাটার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোরছিং, ব্লগ লেখা, ই- কমারর্স কার্যবলি ব্যাপকভাবে প্রসার হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে নিরাপদ লেনদেনের বিষয়টি আরো গুরুত্তপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিদেশ হতে অর্থ আদান প্রদান বা বাল্যান্স ট্রান্সফার করার মতো কাজগুলো সব মাধ্যমে হয় না বা ঝুঁকি থাকে।
এসব চিন্তা করাটা অস্বাভাবিক নয় বরং তথাকথিত অনলাইন শপগুলর অসারতা, নকল পণ্য, পণ্য ডেলিভারিতে সেচ্ছাচারিতা- এসব আমার মত সাধারণদের বহুবার ভাবায়। তারচেয়ে গুরত্বপুর্ণ বিষয় হল নিরাপদে অর্থ আদান প্রদান বা অর্থ দান প্রদানে নিশ্চ্য়তা পাওয়া।
বিদেশি পণ্য অনলাইনে ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় লক্ষণীয়-
বিদেশি পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অধিকতর সচেতন হওয়া জুরুরি যেহেতু পণ্য বা সেবার সত্যতা অনেকক্ষেত্রেই সরাসরি যাচাই করা যায় না। তথাপি অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখলে শ্রেয় । যেমন ধরুন-
বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও ভিত্তি।
বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের কার্্য পরিধি
অন্যান্য পণ্যের সমাহার
নিশ্চয়তার ধরণ
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি একটু বেশি যেহেতু অর্থ আদান প্রদানের মাধ্যমগুলো এখন পুরোপুরি মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না বা নিয়ম থাকলেও অনেকে জানেন না বা মানেন না। সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই অনিয়মের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সুতরাং, লেনদেন করার আগে আদান প্রদান মাধ্যমটি সঠিক কি না তা যাচাই বাছাই করে নিন।
অনলাইন শপিং- এ আশার কথা..
অবশ্য ইদানিইং অনেক প্রতিষ্ঠান বহুবিদ বিদেশি পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌছে দিচ্ছে। এসব অনলাইন শপের ভিত্তিও মজবুত যা দেখে অনেকেই আশ্বস্ত হতে পারে। যা অনলাইন ব্যবসার জন্য নতুন দিনের বার্তা নিয়ে আসছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন আর্ন্ত্জাতিক প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন সুবিধাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও বুঝে শুণে সিদ্ধান্ত নেয়াটা শ্রেয়।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে প্রথমেই বোধ করি লেনদেনের মাধ্যমখানার যা দ্বারা আপানার অর্থ পাঠানো বা গৃহীত হবে। আমি বলব যেই মাধধ্মে কেনা কাটা করুন না কেন, মাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা যাচাই করে নিন। আমাদের দেশে ইদানিং বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিংগুলো চলছে। কিন্তু বিদেশি পণ্য বা অনলাইন সার্ভিস কেনার জন্য বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং কাজে দেয় না। সে ক্ষেত্রে আর্ন্ত্জাতিক লেনদেন মাধ্যমগলো যেমন মাস্টার কার্ডের কিউ কার্ড একটি ভাল বিকল্প হতে পারে যেটা কেবল অনলাইনে কেনাকাটার জন্য।আপনি চাইলে বিকাশের মাধ্যমে এই কার্ডে টাকা লোড করে অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনতে পাড়বেন, এখনি একটি কার্ড নিনঃ
Online Payment Bangladesh
সর্বপরি, অনলাইন শপিং নিয়ে আরও কিছু কথা......
ইন্টারনেট আর ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে অনলাইন শপিং হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়া সঠিক সমাধান নয়। বরং সঠিক তথ্য আর মাধ্যম হাতে থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ। তার চেয়ে বড় কথা হল, নকল বা অনিয়মের ভয়ে আপনি কেন ইন্টারনেটের অপার সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হবেন। আর্শীবাদ অনেখানাই নির্ভর করে অনলাইন শপ গুলর সততা আর সত্যতার উপর। পাশাপাশি, ভোক্তার সচেতনতা, যাচাই বাচাই আর সঠিক সিদ্ধান্ত এর সর্বচচ উপযোগ গ্রহণে সাহায্য করতে পারে।
©somewhere in net ltd.