![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অনলাইনে লিখতে ভালোবাসি
"থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে,
দেখবো এবার জগতটারে"
যতদূর মনে আছে- সেই ক্লাস ফাইভে পড়েছিলাম এই কবিতার এই দুটো লাইন। এই নিয়ে ৫ নম্বরের ব্যাখ্যা লিখতে হতো চার পয়েন্টে-
১. উৎস
২. প্রসঙ্গ
৩. বর্ণনা
৪. মন্তব্ব্য
বাঙ্গালী এভাবে বাংলা বইয়ের ব্যবচ্ছেদ করতে করতে বড় হয়। কিন্তু বইয়ের কথা আত্মস্থ করতে পারে কতটা? কবিতা পড়ার সময় মনে হয়েছিল আমিও একদিন বেড়িয়ে যাব অজানার উদ্দেশ্যে, জগতটাকে দেখব, এডভেঞ্চারাস নানান কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করবো। বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য কি যদি জীবন উপভোগ করা নাই গেল?
কিন্তু আসলেই কি বদ্ধ ঘর থেকে বের হতে পেরেছি? আসলেই কি পেরেছি জগতটাকে দেখতে? পেরেছি জীবনটাকে উপভোগ করে জীবনের মানে কি তা খুঁজে বের করতে?
নাহ! পারিনি! আজকে ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখে মনটা কেমন যেন হয়ে গেল!
ছোট বেলা থেকে আমার বেস জাম্পিং কিংবা সার্ফিং এর মত খেলাগুলোর প্রতি তীব্র আকর্ষণ ছিল। একদিন ওদের মত আমিও উঠে যাবো কোন পাহাড়ের চুড়োয়, প্যারাসুট পেচিয়ে লাফ দিব সব ভয়কে তুচ্ছ জ্ঞান করে। অথবা সমুদ্রের গভীরে চলে যাব সার্ফিং বোর্ড নিয়ে, মুখোমুখি লড়াই করবো ভয়ংকর ঢেউয়ের সাথে! কিন্তু বড় হওয়ার পর জীবনটা বদলে গেল! বান্দরবানে গিয়ে অনেক পাহাড়ের চুড়োয় দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা ঘুরে গেছে! কক্সবাজারের লাবণী বিচে ছোট ছোট স্থানীয় ছেলেমেয়েদের সার্ফিং করা দেখে আতংকে শিউরে উঠেছি। কারণ সাঁতার যে জানি না!
খুব অবাক লাগে বাইরের দেশের এই মানুষগুলোর জীবন দেখে! আমাদের জীবনে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়- এমন অবস্থা। সেখানে এই মানুষগুলো জীবনকে উপভোগ করছে বিপদজনক সব খেলায় অংশ নিয়ে।
বাঙ্গালি ভীতু পোষমানা প্রানে ওসব সয় না! তাই ভিডিওটা দেখে একদিকে যেমন মন খারাপ হয়েছে অন্য দিকে খুব ভয়ও পেয়েছি। এমনভাবে এডভেঞ্চারে অংশ নেয়া মানে হচ্ছে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ঘুরে আসা। মরে গেলে তো সব শেষ! আমি নাহয় গেলাম, আমার পরিবারের হবে কি?
ভয়ের চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে - সুযোগ কোথায়? আমাদের সবার পক্ষে তো আর দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়ে এ ধরনের এডভেঞ্চারে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়! আর আমাদের দেশে এ ধরনের খেলার আয়োজন করবে টা কে? অভিজ্ঞ কেউ নাই, কোন ক্যাম্প নাই, ক্লাব নাই। ভাল ট্রেইনার নাই। বাইরের ওরা প্রচুর ট্রেনিং নিয়ে ঝুঁকিটা একদম মিনিমাইজ করে ফেলে! আমাদের তো সেই সুযোগ নাই। তারমানে কি বাঙ্গালী আজীবন বদ্ধ ঘরেই রয়ে যাবে?
খেলতে না পারি অন্তত চর্মচক্ষুতে এমন সব খেলা দেখয়ার সুযোগ পেলেও ভাল লাগতো। এই চিন্তায় আমি অনলাইনে ইন্ডিয়ার কর্ণটকের একটা বেস জাম্পিং ক্লাবের সাথে যোগাযোগ করেছি। ওরা আমার আগ্রহ দেখে খুবই খুশি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওদের সাথে মিট করবো। (কর্ম সুত্রে আমি ভারতেই থাকি বছরের বেশির ভাগ সময়।) খুবই উত্তেজিত লাগছে!
*পোষ্টটি আমার হাজব্যান্ডের ফেসবুকের স্ট্যাটাস থেকে কপি প্যাস্ট! আমরা দুজনেই যাচ্ছি!
.
©somewhere in net ltd.