নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উননুর

সামাইশি

সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।

সামাইশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনের পর দিন

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

"সবাইকে শুভেচ্ছা। সামুতে আমার প্রথম লেখা। সকলের সঙ্গে হৃদতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালবাসা পাব। দেশের ক্রান্তি লগ্নে আমরা যে যেখানে আছি চলেন আমাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরি "।

হঠাত হরেই প্রিয় বাংলাদেশে নাকি এক অভাবনীয় শক্তির উদ্ভব হয়েছে এমন ভাষ্য জানিয়েছে দৈনিক মানব জমিন। দৈনিকটির ভাষ্য অনুযায়ী "রাজনীতির আকাশে উদিত হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ এক অভাবনীয় শক্তি"। বিবদমান পরাশক্তি ভেদ করে তারা তৃতীয় পরাশক্তি হয়ে নাকি আকস্বিক ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। তায় মোহবিষ্ট হয়ে দেশের জাদরেল জাদরেল সব নেতারা (এক সময়ের প্রভাব, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও রাজ্যপাট হারিয়ে এখন সাইন বোর্ড সর্বস্ব নেতা)দিলের নুরানী জোশে আপ্লুত হয়ে মারহাবা মারহাবা বলে নিজদের সমর্থন ব্যক্ত করে মনে হয় নিজেদের নতুন করে ইসলামে দীক্ষিত করলেন। আচ্ছা এই লং মার্চ হওয়ার আগে কি বাংলাদেশে ইসলাম ছিলনা। এদেশে কি দিনে দিনে মসজিদের সংখ্যা কমে আসছিল!কমে আসছিল কি? শুক্রবারে,শবে বরাতে,সবে মেরাজে, ঈদে মিলাদ্দুন্নবিতে মসজিদে মসজিদে উপচে পড়া মুসল্লির সংখ্যা। কমে আসছিল কি! দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য পীরের মুরিদের সংখ্যা। কমে আসছিল কি!সেই সমস্ত পীরের ওরশ,ওয়াজ,দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণকারী অনুসারীদের সংখ্যা। জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন সকল বাংলাদেশী নিশ্চয়ই বলবেন,না! তা তো দিনের পর দিন আগের থেকে বহু বহু গুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে ইসলাম কি লুপ্ত হয়ে গেল আমাদের দেশ থেকে? যুগে যুগে লালন করা আমাদের ধর্মানুরাগ কি এতই ঠুনকো? রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া আমাদের সে সকল রথী মহারথীরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যার আলামত লং মার্চের দিন আমরা দেখতে পেয়েছি, নারী সংবাদিকদের উপর হামলার মধ্যে দিয়ে। তাহলে আমরা কি তালেবানি আফগানিস্থানি যুগে ফিরে যাব,যে মেয়েরা ঘরের বাইরে কোথায় যেতে পারবেনা,লেখা পড়া করতে পারবেনা,চাকুরী করে সংসারে ব্যয় নির্বাহ করতে পারবেনা। বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণ তরুণী,যুবক,যুবতী,সাধারণ জনগনের নিকট আমার প্রশ্ন আপনার কি তাই চান?পৃথিবী কোথায় এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির চরম উত্কর্ষ'র যুগে (যখন ইন্টারনেট এক খোচা দিয়ে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসা যায়) কি গুহার যুগে ফিরে যাব? আমাদেরকে ভড়কে গেলে চলবেনা। মানব জমিনের কথিত "উদিত অভাবনীয় পরাশক্তি" সম্পর্কে বলতে চাই লং মার্চের উপস্থিত জনসংখ্যা হোল একটা "Rejimented Institutional Number" ওই যে শিয়ালের কুমিরের ছানা দেখানোর মত। নতুন বোতলে পুরাতন মদ আর কি। তাদের মধ্যে জামাত শিবির,কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও তাদের সুযোগ্য বাধ্যগত ছাত্রগণ ও বিভিন্ন পীরের মুরিদ গণ ই উপস্থিত ছিলেন। আমার তো মনে হয় আটরশির পীর,শর্ষিনার পীর,ফুরফুরার পীরদের মাহফিলেও ওই রকম জনসমাগম হয়। তো তারা কি রাজনীতির ময়দানে বিশাল পরাশক্তি। আটরশির পীরের অনুসারীদের দল জাকের পার্টির কথা আমাদের সবার জানা। যারা লং মার্চে উপস্থিত জনসংখ্যা দেখে খুশিতে খুশিতে গদ গদ হয়ে ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন বা নাটিকা তৈরী করছেন (জনাব শফিক রহমান এর 'পাকিস্তান যাওয়ার সহজ উপায়") তাদের জন্য খুব ক্ষুদ্র একটি উধাহরণ দিই। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবিরের মিছিল সবচে বড় হোত। হল বলেন,ক্যাম্পাস বলেন সব সময় একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক হত কম ও না বেশিনা। অন্য দল তো সব ভড়কে যওয়ার অবস্থা। নির্বাচন শেষে দখা গ্যালো তাদের মিছিলে যেই কজন লোক হোত প্রত্যেক ক্যান্ডিডেট ঠিক সেই পরিমান ই ভোট পেয়েছে। এবং বলা বাহুল্য তা সকল প্রার্থীর চেয়ে সবচেয়ে কম। আশা করি গোঁফে তেল দেয়া নেতারা অনুধাবন করতে পারবেন নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে ঘুরে ফিরে দুই দলকে ঘিরেই ভোটাররা আবর্তিত হবে। তাই দুই দলের মধ্যে কি করে অচলাবস্থা দূর করা যায় তার কার্য্যকরী দিক নির্দেশনা দেন দেশবাসীকে।



আশির দশকের শেষের দিকে হুমড়ি খেয়ে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পড়তাম "যায় যায় দিন". প্রথম আকর্ষণ ছিল শেষের পাতার "দিনের পর দিন" সেখানে জনাব শফিক রহমানের রগ রগে বর্ণনায় মইন মিলার দিনের পর দিনের পরকিয়া প্রেম কাহিনী,মইনের আকন্ঠ মদ্য পান (প্রকারন্তরে তার দৈনিন্দিন অভ্যাস)ও চরম আদি রসাত্মক কৌতুক (একটি এখনো মনে আছে,যেমন যেমন উপরের তলার ভদ্র মহিলা নিচের তলার এক পুরুষকে বলেছে "আপনার জাঙ্গিয়াটা খোলেন আমার শাড়িটা তুলবো"),এ রকম অসংখ্য যৌন সুর সুরি দেয়া লেখা নিয়মিত তিনি লিখতেন। প্রকৃতির কি বিচিত্র পরিহাস আজ তিনি চরম ইসলাম দরদী। জনাব শফিক রহমান অনুগ্রহ করে আগে প্রকাশ্যে তওবা পড়ে মাফ চেয়ে নিয়ে পবিত্র হয়ে ইসলামের গুন গান করুন। অন্যথায় বুড়ো বয়সে ভন্ডামি পরিত্যাগ করুন।



গণ জাগরণ মঞ্চের অমিত তেজের তরুনদের বলছি হতোদ্যম না হয়ে তোমরা জাগ্রত থেকে প্রানের বাংলাদেশ,শহীদেরবাংলাদেশ,বীরঙ্গনা মা'র বাংলাদেশ,বদ্বীপের বাঙালির বাংলাদেশকে তোমরা রক্ষা কর। নয়তো হয়ত,আমাদের একদিন "পাকেবাংলা" দেশের নাগরিক হয়ে প্রতিদিন ফুল ফোঁটার পরিবর্তে তালেবানি বোমা ফোঁটার বাংলাদেশ দেখতে হবে। তোমরা কি ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেই রকম পাকিতালিবানি,আফগানি রাষ্ট্র উপহার দিতে চাও? তিরিশ লক্ষ্ শহীদ,দুই লক্ষ্ বীরঙ্গনা ও বীরশ্রেষ্ঠরা কি তাহলে তোমাদের ক্ষমা করবে? আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তারা যদি তোমাদের একটি দেশ উপহার দিতে পারে আর তোমরা আজ চরম উত্কর্ষ'র যুগে তা রক্ষা করতে পারবেনা? মনে রেখো বাধা যখন এসেছে বাধার উল্টো পিঠেই জয় রয়েছে,যদি না তা তোমরা অর্জন করে নাও!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
যায় যায় দিন একসময় আমিও পড়তাম।
প্রেমলীলাটা বেশ পড়তাম।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৯

সামাইশি বলেছেন: হু ভাই তার প্রেম লীলা আফিমের নেশার মত তরুনদের বুদ করে রেখেছিল।মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো সকল সময়ের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.