![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।
পাপ!
ওহে কিশোর ওহে কিশোরী ওহে ছাত্র ছাত্রী
সোনার বাংলা বিনির্মানে তোমরা আগামীর যাত্রী,
আমরা পার করিয়াছি বিস্তীর্ণ পথ পাঁচ দশক
স্বাধীনতার আতুর ঘর থেকে সুবর্ণ জয়ন্তীর সড়ক।
গৌড়চন্দ্রিকার দরকার নাই ঘটিয়া দ্যাখো অন্তর্জাল
মহান নেতা ভেদিয়াছিলো পাকিস্তানের শৃঙ্খলের ফাল,
স্বাধীনতার অন্যথায় বর্তমান মোদের জীবন কর অবলোকন
কল্পনায় নয় চাহিয়া দ্যাখো আঞ্চলিক দেশ সমূহের প্রদেশ গণ।
মহান নেতার উদারতায় মহানুভবতায় সব চাটার দল
বাংলার মাটিতে রোপিল বীজ ফলের নাম দূর্নীতি ফল,
বুজিতে পারিয়া নেতা ঘুনে ধরা সমাজকে যখন দেবে ঝাকুনি
দেশি বিদেশী স্বাধীনতার শত্রু মিলে ঘটিয়ে দিলো খুনোখুনি।
ভোজবাজির মত মঞ্চে আবির্ভুত হলেন শাহেন শাহ
অথচ নৈপথ্যে ছিল অতি বিপ্লবী জাসদের হাত বা,
চটকদার স্লোগানে তাহারা ছড়াইয়া ছিল মন্ত্র
হয়তো মহাকাশের কোথায় বিদ্যমান সে "বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র".
ধূর্ত কুচক্রী শাহেন শাহ দল পাকালো পরাজিত শত্রুর সাথে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ পিষিয়ে একশো আশি ডিগ্রী উল্টোরথে,
তারপরের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধকে কবর দেয়ার ইতিহাস
তেইশ বছরের সংগ্রামের মূল নীতির মৃত সোনালী হাঁস।
পরবর্তী একুশ বছর স্বৈরাচারের মঞ্চায়নে নাটকের অঙ্কে
দূনীতি ঝাকিয়া বসিল সমাজের রাষ্ট্রের খোল শঙ্খে,
ইতিমধ্যে ঘটিয়া গিয়াছে মানব আকারে বংশ বিস্তার
শাহেন শাহের অনুসারী কোটি, রাষ্ট্রের মূল নীতির নাই নিস্তার।
বর্তমানে তাহারা রাষ্ট্রের অর্ধেক জনসংখ্যা আজব ব্যাপার স্যাপার
মানেনা রাষ্ট্রের জনক, জন্ম প্রক্রিয়া অদ্ভুত কারবার,
ষোলকলা পূর্ণ পরাজিত শত্রুকে মসনদে করিল আসীন
মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে চিতায় শুইয়ে যুদ্ধাপরাধী কুলিন।
সময় এবং বিধাতা উন্মোচিলো কিয়দংশ নব্বইয়ে
ততদিনে সেটিয়া বসিয়াছে পরাজিতের দোসর ক্ষমতার রন্দ্রে,
সত্যের উন্মোচন একাদিক্রমে নব্বই, ছিয়ানব্বই, আট এবং পুন্:পৌনিক
বিস্ফোরণ দেখেছে জাতি শাহবাগে ছড়ায় ভৌগোলিক।
মুক্তিযুদ্ধের শক্তি যতই খুলিয়াছে বিশ্বের দুয়ার ঘরে ঘরে
এক ঝাঁক এক দশক প্রজন্ম রূপান্তর "বঙ্গবন্ধুর খোকা" জেনে পড়ে,
মুদ্রার উল্টোপিঠে দুর্নীতির বিস্তার জ্যামিতিক
ক্ষমতার পালাবদলে সর্বস্তরে সমান তালে আক্ষরিক।
ওহে সোনার বাংলার রূপকার হয়তো দেবদূত তোমাদের বেশে
আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বিনির্মানে মোদের দেশে,
তোমরা যে দৃঢ়তা আদর্শ চেতনা দেখিয়েছো মাঠে
ফিরিয়া দ্যাখো এবার ঘরের অন্দর দুর্নীতির উত্স বাড়ির ঘাটে।
কথায় আছে দাতব্যের শুরুটা হওয়া উচিত নিজ ঘরে
কৈশোরের চারিপাশের দুর্নীতিবাজদের উত্তরসূরি সোচ্চার বর্তমানের পরে,
এমন বৈপরীত্যে সুদূর পরাহত নির্মাণে সোনার বাংলা
মাঠের দৃঢ়তা সঙ্কল্প নিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজ ঘরে ঘরের ঝাংলা।
দেশের আনাচে কানাচের ঘরে ঘরে প্রত্যয় দীপ্ত চিত্তে জিজ্ঞাসো অভিভাবকেরে
মোদের পরিবারে ব্যয়ের সাথে আয়ের উত্সের হিসাব মিলিয়ে দাওরে,
নিশ্চিত করে বলতে পারি তাতে অনিয়ম দূর হবে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে
নচেত অশ্ব ডিম্ব প্রসিবে তোমরা আগামীর বাংলার পরে।
অন্তর্জালে এ লেখা মুহূর্তে ছড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যত্র তত্র
অন্তর থেকে উত্সারিত ভাবনা লিখে দিলাম পদ্যের আকারে পত্র (পাপ).
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৬
সামাইশি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস যেন কাব্যকারে প্রকাশিত হল। ++
কবিতায় ভালো লাগা রেখেগেলাম।
শুভকামনা রইল।।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৬
সামাইশি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২২
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল কবিতা । ভাল লেগেছে । লাইক দিলাম ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৭
সামাইশি বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: অনবদ্য
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৭
সামাইশি বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর আসল মজাই পাপে।
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৮
সামাইশি বলেছেন: বোধগম্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭
সনেট কবি বলেছেন: এ যেন জলজ্যান্ত এক ইতিহাস, নিখাঁদ হওয়ার হিসেবে এখন না হয় না গেলাম। আপাতত কবিতার আবেশে অবশ হয়ে থাকি!