![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় বয়ে যায়, ক্ষয়ে যায় জীবন, মন, সৃষ্টি, ক্লেদের গ্লানি জমা হোল যত যথাপি ঝরে যায় বৃষ্টি।
সংযমে উপলব্ধি। (শবে বরাতের ফজিলতের সিক্যুয়াল )
মস্ত আমার দেশে সকল মস্ত হুজুর
লাখে/দেড়ে বয়ান তাদের রাত দুপুর,
হরেক রকম বয়ান তাদের অলৌকিক কেচ্ছা গল্প
নামাজ রোজা যাকাতের বয়ান তাদের সেথায় অল্প।
আরো আছে খিস্তি খেউর দেয় ফতোয়া
নিজেরাই নিজেদের করে কঞ্চি ধোয়া,
নবী নয় মুসলিম নয় ঈমানদার নয় মাটির তৈরী নুরেরই কারবার
নবী হাগিয়া দিলে মাটি তারে নিশ্চিহ্নে ছারখার।
মুসলমান হইয়া কেন গলায় টাই পর
বেগানা আওরাতের স্থান কেবল ঘরের কোনায় বড়,
সব ছাপিয়ে আরেক হুজুর "ফাতেমার স্বামী" আল্লাহর প্রিয় দোস্ত
তার সমস্যায় আল্লাহ নিজেই নাকি বড় চিন্তিত।
ঘরে নিজের মেয়ে একা থাকায় ওমর ঢুকতে ভয় পায়
কি জানি কি শয়তান কখন তারে কুমন্ত্রণা দেয়,
এমনতর কেচ্ছা গল্প ওয়াজ ভারী ভারী
অপরাধী সকল সেথায় যোগদান সারি সারি।
দেশটা মোদের ছোট অতি ষোলো কোটি মুসলমান
প্রতি ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে পুরো খালি স্থান,
দেশের প্রায় তাবত মানুষ পাপী গুনাহগার
চুরি লুটপাট অবৈধ কাজে সয়লাব নগর হাট বাজার।
একাকী আয়নায় নিজের আসল চেহারা দেখতে পায়
ভয়ের চোটে হেগে মুতে উর্দ্ধশ্বাসে ওয়াজে ছুটিয়া যায়,
হুজুর তাদের পার করিবে পুলসুরাত কবরের আজাব
কুয়াকাটা জৈনপুরী ওলিপুরী শান কি তাদের বাপরে বাপ্।
নামাজ না পডে ওয়াজ শুনে পার পাওয়া যাবেনা
নিয়মিত নামাজ পড়ার করো সাধনা,
ইনশাল্লাহ হুজুর ভীতি দূর হবে সবার
আয়নায় নিজের পরিবর্তন দেখিবে বারবার।
নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ওয়াজের দরকার নাই
প্রতি ওয়াক্ত নামাজেতে নাও করে ঠাই,
হুজুরের ওয়াজেতে যদি শ্রোতার নসিহত হতো
প্রতি ওয়াক্ত মসজিদেতে স্থান অধিকাংশ অপূর্ণ না থাকতো।
ওয়াজ যদি করতেই হয় নামাজের খুতবায় করো
হুজুরের ওয়াজ নয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ থেকে বড়,
ওহে পাপী গুনাহগার নিয়মিত কর নামাজ রোজা যাকাত
শর্ত আছে সদা ঈমান সত্কর্মের সাথে হতে হবে আঁতাত।
গুটি কয় হুজুরের ওয়াজে পাওয়া যায় আলোর দিশা
বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় ইসলামের মর্মগাঁথা ভরপুর ঠাসা,
শোকর সবর বৃক্ষ রোপন ভালো, নকল, জায়গা দখল ইসলাম বিরুদ্ধচারী
মনের কোন ঠাই নিয়াছে সে হুজুর রফিকুল্লা আফসারী।
জীবন তো অনেক হলো কোরান বোজা বড়ই সাধ
হেলা ফেলা অজ্ঞানতায় বয়স এখন ঊনষাট,
থোরাই আমলে নিই জ্ঞানপাপীদের ভ্রু কুটি
শিক্ষা কাজ অর্থে তাদের পদযুগল পরেনা মাটি।
প্রায় সকল হুজুর ভন্ড যেমন তেমন জ্ঞানপাপীরা মোনাফেক
বিধাতা সাটিয়া দিয়াছে মোহর তাদের অন্তরের বিবেক,
উভয় দলেরই অহম ভারী অল্প বিদ্যায় কুয়ার ব্যাঙ
তাদের বয়ানে তারা সবজান্তা দম্ভ ভৱে বলার ঢঙ।
এখনই সামাল না দিলে ঘনীভূত হইবে দেশে অশনি সংকেত
সরকার বাহাদুর নাও পদক্ষেপ এড়াতে ঘটনা অনভিপ্রেত,
দেশের সকল স্কুলে বাংলা কোরান সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করো
ভবিষ্যতের ধর্মান্ধ হুজুর ভীতি মুক্ত সহি নাগরিক গড়ে তোল।
কোরান বুজিয়া তারা গোড়ামি মুক্ত আত্মবিশ্বাসী হইবে
নিশ্চিত সকল ভন্ড হুজুরদের দেশে ভাত মারা যাইবে,
কোরানের আয়াত বেচিয়া তারা পারিশ্রমিক গ্রহণ করে
আল্লাহর কাছ থেকে তাদের পারিশ্রমিক ঝরিয়া পরে।
ধর্মের প্রতি যদি তোমাদের থাকে অগাধ সম্ভ্রম
এড়িয়ে চল দেশের সকল ভন্ড পীর হুজুরদের আশ্রম।
০৭/০৫/২০১৯ইং.
২| ১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫
সামাইশি বলেছেন: Many many thanks brother
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ্ এদের হেদায়েত দান করুন।আমীন।