![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিভির স্ক্রল নিউজে দেখলাম ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যাকান্ডের স্থান পরিদর্শনে গেছেন দুই ভারতীয় কূটনৈতিক।খবরটি দেখে মনে কয়েকটি প্রশ্ন জাগলো।সাধারনতঃ দেখা যায় ভিন্ন কোনো দেশের নাগরিক যদি কোনো ভাবে আক্রান্ত হয় তবে সেদেশের দূতাবাস তার দেশের নাগরিকের সাহায্যে এগিয়ে যায় এটা দূতাবাসগুলির অন্যতম দায়িত্ব।কিন্তু এদেশের একজন নাগরিক হোক সে যেকোনো ধর্মের তার হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অন্যদেশের আগ্রহের কারণ কী ? হিন্দু কি এ দেশের নাগরিক নয় ?হিন্দুদের দায়িত্ব কি সরকার ভারতের হাতে তোলে দিয়েছে ? অবশ্য নিরাপত্তা না দিতে পারলে দায়িত্বটা অন্য দেশের হাতে তোলে দেয়াই ভাল তাতে হিন্দুরা অন্ততঃ পায়ের তলায় মাটি নিয়ে এদেশে টিকে থাকতে পারবে।কিন্তু তাতে কি সার্বভৌমত্ব নামক ব্যাপারটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়না?বৃহৎ কয়েকটি দেশের কূটনৈতিকরা এদেশে প্রতিনিয়ত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরন করে যাচ্ছেন যার জন্য মুলতঃ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির পরনির্ভরশীলতাই অনেকাংশে দায়ী।যে জনগণের ভোটে জিতে তারা ক্ষমতায় আসেন বা আসতে চান সেই জনগণ থেকে প্রধান কয়েকটি দেশের দূতাবাসের প্রতিই তাদের আস্থা বেশী। ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের এই কর্মকান্ড কি আরেকটি শিষ্টাচার লংঘনের ঘটনা হয়ে গেলনা ?
২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: এখানে আমার মত ভিন্ন। পুরোহিত মানে যদি বুঝে থাকেন তাহলে বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। যখন কোন ধর্মের ধর্মগুরু কে মেরে ফেলা হয় তখন সেই সম্প্রদায়ের লোক সেটা দেখতে যাবেন এটাই স্বাভাবিকতা নয় কি?
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪০
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: কক্সবাজারে যখন বৌদ্ধমন্দির ভাঙ্গা হইছিলো তখন জাপানী রাস্ট্রদুত সহ অন্যান্য দেশের কূতনৈতিকরাও পরিদর্শনে গেছিলেন। তাইলে কি দেশ ওদের হাতেও বিক্রি হইয়া গেছিলো? পাকি আর সৌদি রাস্টদুতেরা নিয়মিত মাদ্রাসা আর এই সেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সব বাদ্দিয়া ওইখানেই ওদের যাওয়া লাগে কেন? আর যেই লোকটা হত্যার শিকার হইছেন, উনি একজন পুরোহিত ছিলেন। হিন্দুপ্রধান দেশ হিসেবে যাইতেই পারেন এইদেশের কোনও হিন্দুর খোজখবর নিতে। এতে দেশ বিক্রি হওয়ার কিছু নাই ভায়া। দোষের হইলে চাইনিজ, জাপানী, সৌদি, পাকী সবগুলারেই এইদেশে খোয়াড়ে আটকায়া রাখা হোক।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২১
মোস্তফা ভাই বলেছেন: ছাগল একটা
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এর জন্য আমাদের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি দায়ী। আমাদের দেশে রাষ্ট্রদূতদের যে ইজ্জত দেয়া হয় অন্য কোন দেশে মনে হয়না এত ইজ্জত পায় কোন রাষ্ট্রদূত...
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৭
প্রদীপ্ত অন্ত্যজ বলেছেন: এ ব্লগের মূল সুরটি মনে হচ্ছে বাংলাদেশে বিদেশী কূটনৈতিকরা যে যথেচ্ছ স্বাধীনতা ভোগ করেন তার প্রতি ইঙ্গিত করা।ওয়ান ইলিভেনের সময় কয়েকটি দেশের কূটনৈতিকদের দৌড়ঝাপ কথাবার্তায় মনে হচ্ছিল এটা স্বাধীন কোনো দেশ নয় জাতীসংঘ শাসিত একটি অমীমাংসিত ভূমি যার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কয়েকটি দেশকে।এখনও রাজনীতির উত্তপ্ততার সুযোগে এরা যেরকম সংবাদ সম্মেলন করেন দেশের আভ্যন্তরিন বিষয়ে যে ভাবে কথাবার্তা বলেন আবাল সাংবাদিকদের ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন যেভাবে তাদের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে তা পৃথিবীতে নজীরবিহীন ঘটনা।একটি রাজনৈতিক দলও কি জোর গলায় বলতে পারে আপনারা আমাদের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে নাক গলাবেননা।একটি দল ?কোনো নজীর দেখাতে পারবেন ? হাঁ মাঝে মাঝে মিউ মিউ করে কিছু বলে যখন এই তৃতীয় শ্রেণির কূটনৈতিকরা দলের সার্থের বিরুদ্ধে কথা বলে।ভারতীয় কূটনৈতিকদের দরদ উথলে উঠল একজন হিন্দু পুরোহিত খুন হয়েছেন বলে কদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে হত্যা করা হল কই সেদিনতো ভারতীয় কূটনৈতিকরা সেখানে ছুটে গেলেননা ?বৌদ্ধ বলে ? ভারত কি তাহলে হিন্দুরই দেশ ?বিশ্বহিন্দুর দেখভালের দায়িত্ব তাদের ?রাষ্ট্র পর্যায়ে এরকম সাম্প্রদায়িক মনোভাব দেখানো ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কাছে কাম্য হতে পারেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনার মতো প্রশ্নটা আমারও এবং ষোল কোটি জনগনের!