![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরআন,বাইবেল,ত্রিপিটক,গীতা_প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ-ই আমি খুঁটে খুঁটে পড়ে দেখেছি।
প্রতিটি শব্দ-প্রতিটি বাক্যেই দেখেছি মানবতার জয়গান।
.
...."ধর্ম" (ধৃ ধাতু+ মন্ প্রত্যয় = যা ধারণ করা যায়)
কি ধারণ করবে?
মানবতা ধারণ করবে।
অর্থাৎ ধর্মের সংজ্ঞা হচ্ছে যা মানবতাকে ধারণ করবে তা-ই ধর্ম।
ধর্মের উদ্ভব কখন জানেন?
সেই সনাতন থেকে শুরু করে আজকের বাহাই পর্যন্ত প্রতিটি ধর্মেরই উদ্ভব ঘটেছে যখন মানবতা বিপর্যস্ত,সেই বিপর্যয় ঠেকাতে।
ধর্ম জিনিসটার বিশালত্ব অননুমেয়।
তাই এটাকে বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব না।
আর যারা এটা বুঝতে পারেন না তারাই কখনো বা হয়ে ওঠে ধর্মবিদ্বেষী কখনো বা চাপাতিধারী আস্তিক।
.
পয়েন্ট টু বি নোটেড....নাস্তিকতা আগেও ছিলো।তবে ধর্মবিদ্বেষ জিনিসটার আমদানী নতুন।
পূর্বে যারা নাস্তিক ছিলেন তারা ছিলেন আসলে অজ্ঞেয়বাদী বা Confused. ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।তবে তারা কখনো ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না।
বরং ধর্মগ্রন্থ ও মানবকল্যাণের সম্পর্ককে তারা সকলেই ইতিবাচকভাবে শ্রদ্ধার সাথে নিতেন।
.
আর নব্য নাস্তিকদের মেইন টার্গেট অতিধার্মিকদের(ধার্মিক আর ধর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন মাইন্ড ইট) অতিধর্মাচার জনগণের সামনে তুলে ধরে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করারা।
এসব এন্টিধর্ম-গুরুদের বেশিরভাগই ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা কিভাবে পেঁচিয়ে দেওয়া যায় সে চেষ্টায় রত।
.
এবার আসি ধর্মকে না বোঝা অন্য পক্ষের কাছে।
এই পক্ষের গুরুরা ধর্মকে বেশি-ই বুঝে ফেলেছেন। অর্থাৎ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন।
আর তার সাগরেদদের বেশিরভাগ মাদ্রাসার ছাত্র যারা এগুলো পড়তে পারে ঠিকই কিন্তু নিজেরা ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা করতে পারেনা।
তাদের গুরুরা যা ব্যাখ্যা দেন সেটাই মুখ বুজে কান খুলে হৃদয়াঙ্গম করে।
.
এই দুই পক্ষ সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হলেও এদের সাধারণ পরিচয় কিন্তু এক...ধর্মাজ্ঞ।
.
তবে এর মধ্যে প্রথম পক্ষ অপরপক্ষের কোনো উপকারে না লাগলেও তাদের বস্তুগত কোনো ক্ষতি করে বলে আমার জানা নেই।
আর দ্বিতীয় পক্ষ ঠিক বিপরীত। কখনো কোনো উপকার তো করেইনি।বরং নিজেদের (ধর্মব্যবসা) অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে তখনই চাপাতি নিয়ে তেঁড়েফুড়ে গিয়ে কল্লা নামিয়ে দিয়ে আসা চাই।
.
উপকার!
কি ভাবছেন?
উপকার এলো কোথা থেকে?
...দ্বিতীয় শ্রেণি যদি চাপাতির বদলে তাদের ধর্মের বাণী নিয়ে অপরপক্ষের কাছে যেতো,তাদের মধ্যে থেকে কি একজন হলেও আলোর পথে আসতো না?
.
মুসা থেকে যীশু, মুহাম্মদ থেকে নিত্যানন্দ,বুদ্ধ থেকে নানক কেউ কি আছেন যিনি মানবতার জয়গান গাইতে গিয়ে লাঞ্ছিত,অপদস্থ হননি?
.
তখন কি তারা চাপাতি নিয়ে তেড়ে গেছেন?
.
নিজেই ভাবতে থাকুন।
.
এবার নীলয়'দার কথায় আসি।
গতবছরের আইডি থেকে বেশ কয়েকটা স্ট্যাটাস ওনার পেজে গিয়েছিল।
সেই সূত্রে পরিচয়।
কয়েকজন ওনার ব্যাপরে সাবধানও করে দিয়েছিল তাছাড়া ওনার লেখাগুলো আমারও ভালো লাগতোনা।
আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে প্রায়ই ইনবক্সে ঝগড়া হতো।
উনি জানতেন যে আমি উনাকে অতোটা পছন্দ করি না।
তবু প্রথম গল্প লেখার পর বেশ বড় সাইজের একটা মেসেজে খুব সুন্দর কয়েকটা কথা লিখেছিলেন।
.
লোকটা ভালো কিংবা খারাপ যা-ই হোন তাই বলে তার দেহের প্রতিটি কোষকে মেরে ফেলতে হবে?
.
আঘাতকারীরা কি জানে কত যত্ন আর মমতা নিয়ে একেকটি সেল গড়ে ওঠে?
.
ভাবছি আইডিতে এড্রেসে Gopalganj এর পাশের Bangladesh টাকে Banglastan করে নেবো।
আফটার অল দেশটাতো একসময় Fuckistan -ই ছিলো।
.
আর যারা "বিচার চাই!" "বিচার চাই!" বলে চিৎকার করছেন,তাদের বলছি আপনারা কি আজাদ,রাজীব,অভিজিত,বাবু,বিজয় কারো বিচার পেয়েছেন?
.
তাহলে?
.
মনে রাখবেন বাংলাদেশ সরকারের একটি ৯০% সম্প্রদায়ের ভোট প্রয়োজন।
বাকীরা ভাগাড়ে গেলেও They Damn Care....
.
.
ঈশ্বর সুবুদ্ধি দাও তোমার সৃষ্টিকে... :-(
.
.
অনেক কথাই তো বললাম।আর কিছু বলব না।এবার আসেন একটা গল্প বলি। অনেক অনেক বছর আগে...
.
.
হায় রে ভজনালয়,
তোমার মিনারে চড়িয়া ভণ্ড গাহে স্বার্থের জয়!
ও' কারা কোরান,বেদ,বাইবেল চুম্বিছে মরি' মরি'
ও' মুখ হতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর ক'রে কেড়ে,
যাহারা আনিলো গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে,
পূজিছে গ্রন্থ ভণ্ডের দল!_মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ;_গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।
.
.
গাহি সাম্যের গান_
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান।
©somewhere in net ltd.