![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গট যারা দেখেছে, তাদের নেড স্টার্কের কথা মনে থাকার কথা। নেড চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সিন বেন। গোটা সিজন মাতিয়ে শেষে এসে কল্লা বিসর্জন দিতে হয়েছিল বেচারাকে। যদিও সিনেমা কিংবা টিভির পর্দায় সেটাই তার প্রথম মৃত্যু ছিল না- আগে মোট ২২ বার পর্দায় তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। পর্দায় তিনি একজন “আসল” ট্রাজিক হিরো! আজ সিন বেন লিখে সার্চ করতেই একটা নিউজ পেলাম, যার শিরোনাম এমন- “Sean Bean is so tired of screen deaths that he’s REJECTING roles where he gets killed!”
ভদ্রলোক প্রাণপণ চেষ্টা করছেন নিজের 'ট্রাজিক-হিরো-ইমেজ' থেকে বের হতে।
বরেণ্য বাঙালি অভিনেতা আনোয়ার হোসেন বিখ্যাত হয়েছিলেন, পরিচিতি লাভ করেছিলেন সিরাজুদ্দৌলার চরিত্রে অভিনয় করে। সিরাজের চেয়ে ট্রাজিক চরিত্র আর ক'টা আছে আমাদের ইতিহাসে? সে চরিত্রে অভিনয় করে আনোয়ার হোসেন পেয়েছিলেন বাংলা সিনেমার 'মুকুটহীন নবাব' উপাধি। বৃদ্ধ বয়সে এসে আনোয়ার হোসেন আবার সেই ট্রাজিক হিরোর চরিত্রে ফিরে গিয়েছিলেন। ছোটবেলায় যখন টিভি পর্দায় বাংলা সিনেমা দেখতাম নিয়মিত, স্কুল থেকে ফিরে, কোন সিনেমায় তাকে দেখলেই বুঝে যেতাম, এই সিনেমায় অন্তত একটা মৃত্যু আছেই। এবং আমার ধারণা সত্যি করে, আনোয়ার হোসেন সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ কোন মূহুর্তে বুকে হাত চেপে ধরতেন আর তারপর তার অবধারিত মৃত্যু!
বাপ্পারাজও তেমন ট্রাজিক হিরোই ছিলেন। তার কথা শুনলেই এখনো চোখে ভাসে, তিনি ঢোলা একটা শার্ট পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর গাইছেন 'পাখি যায় উড়ে যায়'। পরিচিত কোন একজনকে বলতে শুনেছি, “বাপ্পারাজের মত 'নাআআআ…এ হতে পারে না’ আর কেউ বলতে পারে না”। কথাটা এখনো কানে বাজে। বাপ্পারাজের হাসিমাখা ছবি আমার মনে নেই, চোখ বন্ধ করলেই তার অশ্রুসিক্ত করুণ মুখ মনে পড়ে শুধু!
আসলে কেউ কোন চরিত্রে একবার ভাল করে ফেললে, তাকে বারবার তেমন চরিত্রেই দেখা যায়। লোকের দেয়া 'ট্যাগ' থেকে সবাই বের হতে পারে না, সম্ভবও নয়। প্রচন্ড প্রেমিক ও রসিক হয়েও নজরুল বিদ্রোহী'ই থেকে গেলেন। Rowan Atkinson যে চরিত্রেই অভিনয় করুন না কেন, অনেকের কাছেই এখনো তিনি মিস্টার বিন।
কথাগুলো অকারণে বলছি না। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজের শেষ T20 হারলে, দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশের নাইমকে আনন্দবাজার 'ট্রাজিক হিরো' ট্যাগ দিয়ে দেয়- সমস্যাটা এখানেই। সে অদ্ভুত ভালো খেলে দলকে জয়ের দারপ্রান্তেই নিয়ে গিয়েছিল প্রায়, তারপর স্বভাবসুলভ বাংলাদেশ- বালির ঘরের মত বাংলাদেশের ব্যাটিং ভেঙ্গে পড়ল।
সিন বেন, আনোয়ার হোসেন আর বাপ্পারাজের মত সেও আজীবন ট্রাজিক হিরোর দলে থাকে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আগেই বলেছি, সবাই 'ট্যাগ' খুলে ফেলতে পারে না। হয়ত দেখা যাবে, আগামীতে নাইম যে ম্যাচে ভাল খেলবে, সে ম্যাচেই জিততে জিততে স্বভাবসুলভ হারবে বাংলাদেশ; সিনেমায় আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর মত নাইমের ভাল খেলায় দলের হার হবে অবশ্যম্ভাবী!- সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এক হিসেবে অবশ্য, বাংলাদেশ দলটাই 'ট্রাজিক'। জয়ের এত কাছে এসেও জয়ের স্বাদ মিস করা দল আর কয়টা আছে বাংলাদেশ ছাড়া?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কথাটা ভুল বলেননি
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের সাথে ট্র্যাজিকটা বেশী বেশী হচ্ছে। আমাদের মানসিকতাও এখনও পরিণত বলে মনে হচ্ছে না। জয়ের আগেই মিডিয়া ও ভক্তদের হাইপ, ম্যাচে ভাল অবস্থানে থাকতেই বুনো উল্লাস - এগুলো কমাতে হবে...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মিডিয়াই তো ক্রিকেট টিকিয়ে রেখেছে। ওরা সাথে না থাকলে এত ব্যর্থতার পর, এরা আলোচনায় থাকতোই না
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভাল লাগলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:১৬
বিষন্ন পথিক বলেছেন: আহাহা ! এভাবে বলেন কেনো? ছেলেরা শিখছে, একটু সময় তো লাগবেই। আমাদের দেশে রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র আর খেলায় শেখা মনে হয় কেয়ামতের দিন পর্যন্ত চলবে।