নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বেহুদা প্রেমের গল্প

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

বনলতা সিগারেটের প্যাকেটটা এগিয়ে দিয়ে বলল, “প্যাকেট থেকে একটা বের করে নাও। যেটা উঠবে সেটাই টানতে হবে কিন্তু!”
চারুকলার বকুল তলায় বসে আছি আমি, বনলতা আর কমল। বনলতার আসল নামটা ভুলে গেছি, নামটা এতোটাই বিদঘুটে যে, কোন সুন্দরী মেয়ের ওমন নাম হতে পারে, বিশ্বাসই করা যায় না। নাটোরে বাড়ি বলে ওকে বনলতা বলেই ডাকছি প্রথমদিন থেকেই। তিনজনের পকেট থেকে বেড়িয়েছে মোটে একুশ টাকা। তাই দিয়ে এনেছি একটা করে গোল্ডলিফ, স্টার আর ডার্বি। প্যাকেট থেকে একটা বিড়ি বের করলাম বনলতার কথা মাফিক। ডার্বি! ভাগ্যটা আমার এমনই।
কমল বলল, “আচ্ছা বনলতা, নাটোরের সব মেয়েই কী তোমার মতো হয়? মাতালকরা সুন্দরী?”
কমল নাটোরের মেয়ের প্রশংসা করল নাকি বনলতার, বুঝলাম না। কমল শালা হার্ডহিটার, কাউকে, বিশেষ করে মেয়েদের, কিছু বলতে ওর আটকায় না। অনেক মেয়ে পটেও ওর এ গুণের জন্য।
“জীবনানন্দ তো চাইলে নাটোরের জায়গায় যশোরও লিখতে পারতেন। পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে যশোরের বনলতা সেন! কবিতা কিন্তু পালটায় না। জীবনানন্দ নাটোরে কোনদিন যাননি, নাটোরের কাউকে চিনতেনও না। বনলতা নাটোরের না হয়ে দুই অক্ষের নামওয়ালা যেকোন স্থানের হতে পারতেন! বনলতাকে নাটোরের মেয়ে বানিয়ে দিয়েছেন বলে নাটোরের সব মেয়েই সুন্দরী হবে নাকি?”, বলল বনলতা বাঁকা চোখে তাকিয়ে।
বনলতার চোখ পাখির নীড়ের মতো না হলেও, মারাত্মক। টোপাকূলের মতো বড়বড় চোখদুটি ও এমনভাবে বাঁকিয়ে কমলের দিকে তাকিয়েছে, দেখে মানতেই হয়, এর চেয়ে ভালোভাবে চোখ বাঁকাতে কোন অভিনেত্রীকেও দেখিনি আমি। যেন এভাবেই চোখ বাঁকাতে হয়, এটাই যেন চোখ বাঁকানোর মানদণ্ড।
কমল বলল, “নাটোরের যত মেয়েকে চিনি, সবাই তোমার মত। খুব বেশি সুন্দরী!”
বনলতা আদর করে কমলের গালে একটা চাটি মেরে বলল, “চুপচাপ আছি বলে খুব ফ্লার্ট করা হচ্ছে, না?”
কমল গালে হাত বুলিয়ে হাসতে লাগল।
আমি একটু সাহস করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ওর প্রশংসা করলে, ও হয়ত আমার গালেও এমন আদরের চাটি মারত! কোন মেয়ে আমার গালে কোনদিন চাটি মারেনি- না আদর করে, না রেগে গিয়ে।
এরপর যা কথা হলো সব কমল আর বনলতার মধ্যে। আমি হঠাৎ করেই আড্ডায় গৌণ হয়ে গেলাম। তিনজন একসাথে বসে আছি, কথা বলছে দুজন পরস্পরের সাথে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে থাকা যায় কতক্ষণ?
“তোরা থাক। আমার একটু কাজ আছে”, বলে বিদায় নিতে হলো।
সেদিনের পর থেকে বনলতা আর কমলকে ক্যাম্পাসে দেখতে লাগলাম প্রায়ই। কোনদিন ওরা ফুচকা খায়, কোনদিন নাটক দেখে, কোনদিন পাশাপাশি চেয়ারে হাত ধরাধরি করে বসে কনসার্ট উপভোগ করে। না দেখতে চাইলেও হলে ফেরার সময় ফুলার রোডে দেখা হয়ে যায় ওদের সাথে। ভালই দিন কাটাচ্ছিল ওরা। বনলতা আর কমলকে দেখে ঈর্ষা হত না বললে, মিথ্যে হবে বলা। তবে এত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় যে, ওদের কথা প্রায়ই ভুলতে বসেছিলাম।
একদিন হঠাৎ কমল হন্তদন্ত হয়ে আমার রুমে এসে বলল, “জানিস, জোবায়দার বিয়ে হয়ে গেছে?”
“জোবায়দাটা কে?”, অবাক হয়ে বললাম আমি।
কমল বলল, “*ড়া, জোবায়দাকে চিনিস না? তোর মাধ্যমেই তো চিনলাম ওকে। আমার গার্লফ্রেন্ড!”
বনলতার বিদঘুটে নামটা একদম ভুলে ছিলাম এতদিন। বনলতার মুখটা আর জোবায়দা নামটা কল্পনা করে শিউরে উঠলাম আবারও। এই নাম রেখে বড় অন্যায় করেছে ওর বাবা-মা।
জিজ্ঞেস করলাম, “হুট করে বিয়ে হয়ে গেল? কোথায়, কীভাবে? বনলতা মানে জোবায়দা তোকে কিছু বলেনি?”
কমল ছটপট করছিল। প্রায় চিৎকার করে বলল, “পুজোর ছুটিতে নাটোরে গেছিল। ওর বাবা আম্রিকা থাকা একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে! জোর করে। বিয়েটাও হয়েছে ম্যাসেঞ্জারে!”
“ম্যাসেঞ্জারে?”
কমল পাগলের মত হাতপা ছুঁড়তে ছুঁড়তে বলল, “আমি জানি না, *ড়া। জোবায়দা বলল, ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কল দিয়ে কবুলটবুল বলিয়ে নিয়েছে। আমি *ড়া যার সাথেই প্রেম করি, তারই বিয়ে হয়ে যায় কেন?”
এমন ট্র্যাজিক মুহূর্তেও হাসি চেপে রাখা কষ্টকর হয়ে গেল আমার জন্য। বললাম, “দেশ যে আসলেই ডিজিটাল হয়েছে, তার কিন্তু এটা একটা বিশুদ্ধ প্রমাণ। বাসরও ম্যাসেঞ্জারে হয়ে গেছে নাকি? বাস্তবে তো আর সম্ভব না, কিন্তু ভিডিওতেও তো সব করা যায়। সাইবারসেক্স নামে একটা টার্ম এখন চালু হয়েছে, জানিস?”
কমল চোখ ট্যারা করে এমনভাবে আমার দিকে তাকাল, কথা বাড়াতে পারলাম না আর।
সেদিন কমলকে শান্ত করতে আমাকে “প্রায়” মোটিভেশনাল স্পিকার হতে হয়েছিল। সে যে ছেলে হিসেবে কতটা ভাল আর মূল্যবান, জগতে যে জোবায়দা ছাড়াও অনেক মেয়ে আছে, কমল চাইলেই আরো কত মেয়ে পটাতে পারে- ইত্যাদি অনেক কিছুই বলতে হয়েছিল।
পুজোর ছুটি শেষ হয়ে এলো দেখতে দেখতে। পরীক্ষা বলে বাড়ি যাইনি। ছুটি শেষ হতেই সরগরম হয়ে গেল ক্যাম্পাস। বনলতা আর কমলকে ক্যাম্পাসে দেখা যায় না আর যেখানে সেখানে। ভেবেছিলাম, ওদের সবকিছু চুকেবুকে গেছে। কিন্তু ভাঙ্গতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলো না।
বই কিনতে গিয়েছিলাম নীলক্ষেতে। সমরেশ বসুর ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধ্যানে’ পেয়েছি মাত্র একশো টাকায়, সেই খুশীতে ঢুকেছি তেহারির দোকানে। দোকানে ঢুকতেই দেখলাম ওদের দুজনকে, দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বনলতা আর কমল।
কমলকে টেনে নিয়ে কানেকানে বললাম, “ওর না বিয়ে হয়ে গেছে? তোর সাথে কেন?”
কমল বলল, “ভালমত তো হয়নি। ম্যাসেঞ্জারের বিয়ে আবার বিয়ে নাকি? আনুষ্ঠানিক বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওর সাথে প্রেম করাই যায়!”
তব্দা খেয়ে গেলাম শুনে। তেহারিই খেলাম না আর সেদিন।
পরে অবশ্য ভেবে দেখলাম, কমল অপরাধ করছে না কোন। জোবায়দা আকা বনলতার বাবা জোর করে বিয়ে দিয়েছে (যে লোক মেয়ের নাম জোবায়দা রাখতে পারে, সে মেয়ের বিয়ে জোর করে দেবে, এটাই বরং স্বাভাবিক)- এতে বনলতার দোষ তো নেই কোন। বরং বনলতা যে বাবার সিদ্ধান্তকে মধ্যাঙ্গুল দেখিয়ে এখনো কমলের সাথে প্রেম করছে, এতে ওর বিদ্রোহী চেতনাই প্রকাশিত হয়। বনলতার প্রতি তাই সম্মান বেড়ে গিয়েছিল।
অবশ্য, ওদের প্রেমটাকে ঠিক পরকীয়ার পর্যায়ে ফেলা যায় কিনা, সে নিয়েও বিস্তর ভেবেছি। কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।
কিছুদিন পর আবার হুড়মুড় করে এলো কমল। বাইরে প্রচণ্ড অকালের বৃষ্টি, এসেছে সে ভিজে। রুমের যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সে জায়গাটাও চপচপ করছে ওর শরীর নিঃসৃত পানিতে।
বলল, “বিশাল সমস্যায় পড়ে গেছি বাল!”
“তুই সমস্যা ছাড়া তো আসিস’ই না আমার কাছে। কী হয়েছে?”
বলল, “জোবায়দা বাল প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে! ওর স্বামী তো আসেই নাই বিয়ের পর আম্রিকা থেকে! আমি এখন শালা কী করব?”
হতবাক হয়ে গেলাম। এর জবাবে কী বলা যেতে পারে? আমি হয়ত চেষ্টা করলে ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় বের করতে পারি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দিতে পারি, কাশ্মীর সমস্যার মূল চিহ্নিত করতে পারি, কিন্তু প্রেমিকা হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হলে কী কর্তব্য, সেটা জানি না। এমন সমস্যা নিয়ে তো কোনদিন মাথা ঘামাইনি!
কমলকে রুমমেটের লুঙ্গিটা দিলুম মাথা মুছতে। তারপর বললাম, “দেখ ভাই, আমার কোন গফ এপর্যন্ত প্রেগন্যান্ট ট্রেগনেন্ট হয় নাই। আমি জানি না কিছু। তুই বরং তাদের কাছে যা, যার গফ আগে প্রেগন্যান্ট হয়েছে। তারা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তোকে কার্যকর উপদেশ দিতে পারবে!”
কমল রুমমেটের লুঙ্গিটা আমার মুখে ছুঁড়ে দিয়ে বলল, “শালা মশকরা করিস? আমি মরছি টেনসনে আর তুই আমাকে নিয়ে ফান করছিস?”
চুপ করে গেলাম। তারপর একের পর এক বিড়ির পুড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে আমরা কী করা যায় তাই নিয়ে আলোচনা করতে লাগলাম। যেহেতু বনলতার মত আছে, এবর্সন করানোটাই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত বলে আমরা ঠিক করলাম, যদিও আমি ভ্রূণ হত্যার বিপক্ষে। বৃষ্টি থামলে, বিড়ি টানতে টানতে কমল বিদায় নিল।
এরপর অনেকদিন কমলের খোঁজ পাইনি আমি। ক্লাস, পরীক্ষা, পড়াশুনা- এসবের ধান্দায় বনলতা আর কমল সম্পর্কে ভাবারও সুযোগ হয়নি। একদিন কার থেকে যেন শুনলাম, বনলতার আবার বিয়ে হয়ে গেছে। এবার ভার্চুয়াল নয়, একচুয়াল বিয়ে। আমেরিকার সেই ছেলেটা সেখানেই দক্ষিণভারতের এক মেয়ের সাথে লিভিং করছে, দেশে আসার ইচ্ছে নেই। বনলতার ‘নব্যবর’ একটা সরকারি ব্যাংকে চাকরি করে।
বনলতার বিয়ের পর কমলের সাথে দেখা হয়েছে কয়েকবার। রাস্তায়, ডাকসুতে, টিএসসিতে। বনলতার ব্যাপারে কোন কথা তোলেনি কমল, জিজ্ঞেস করিনি আমিও। সমকালীন রাজনীতি, মেয়ে (বনলতা ছাড়া) আর সিনেমা নিয়েই আমরা চাবিড়ির সাথে আলোচনা করেছি প্রতিবার। কমল এমন ভাব করত, যেন বনলতা নামের কোন মেয়ের অস্তিত্বই নেই, তেমন কাউকে সে চিনতই না। আমিও ওর কথা টেনে অপ্রস্তুত করতে চাইনি কমলকে।
আবারো ভেবে নিয়েছিলাম বনলতা আর কমলকে একসাথে দেখব না কোনদিন। সে চ্যাপ্টার ক্লোজড। অথচ আমাদের কল্পনার বাইরের কতকিছুই পৃথিবীতে ঘটে, ঘটছে।
হলে ফিরছিলাম। ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছে আসতেই দেখলাম ওরা গল্প করছে আর মুড়িমাখা খাচ্ছে বসে বসে। কমল আমাকে দেখে উঠে এলো। গলার স্বর নিচু করেই বললাম, “কীরে, ওর সাথে আবার শুরু করেছিস?”
কমল অপরাধীর মত বলল, “কী করব বল। ওকে ভুলতেই পারছি না!”
“ওর স্বামী?”
“সে শালা তো চুয়াডাঙ্গায়। ওখানে চাকরি করে ব্যাংকের!”
বললাম, “দেখিস কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলিস না আবার!”
কমল নির্দ্বিধায় হাসতে হাসতে বলল, “অঘটন ঘটালে সমস্যা নেই এবারে। ওর স্বামীর নামে চালিয়ে দেয়া যাবে!”
কমল বিদায় নিয়ে গিয়ে বসল বনলতার পাশে, বনলতা মাথা এলিয়ে দিল ওর কাঁধে। আমিও হাঁটা দিলাম হলের পথে। প্রতিজ্ঞা করলাম, আর কোনদিন এই দুজনকে নিয়ে ভাবব না। কোনদিন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০০

নাহিদ০৯ বলেছেন: *ড়া সেই মাস্টারপিস অরিজিনাল গল্প। এই প্রেম নাকি স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়!! ভাভা যায়!!

আজকাল Boyfriend বা Girlfriend না থাকলে তাকে Back Dated, সেকেলে, বলে তিরষ্কার করা হয়। পারিবারীক ভাবে ইদানিং যুবক-যুবতিদের এসকল অবৈধ কাজের সিকৃতি দেওয়া হয়। আজ-কালকার বাবা-মা বলেন ছেলে পুলে মানুষ একটা-দুটা মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু থাকতেই পারে। এখন তো এসব করারই বয়স। ওদের বয়সে আমরাও কত কিছু করেছি। আর একটু বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে সম্তান আরো দায়িত্বশীল ও বাস্তববাদী হবে। নিজের জন্য উপযুক্ত জীবন সঙ্গি যাচাই বাছাই করে নিজেই খুজে নিবে!!

ধিক শত ধিক এমন বাবা-মা ও পরিবারকে এমন সমাজকে_যারা তাদের সন্তানদের অশ্লিতা আর চরিত্রহীনতার আনন্দে আত্বহারা । তাদের অপকর্ম আর ধর্ম বিমূক্ষতাকে Support করে আধুনিক সাজার চেষ্টা করে বেড়ায়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অশীতিপর বৃদ্ধের মতো মন্তব্য। কবি রফিক আজাদ বলতেন, আজ যে ছেলেটা জন্ম নিয়েছে, আমি এই বৃদ্ধ বয়সেও তার চেয়ে আধুনিক। আপনার মন মানসিকতা যে কতটা বৃদ্ধ আর পশ্চাৎপদ, তা মন্তব্যটা থেকেই বোঝা যায়। আর আপনি যে গল্পটা বোঝেননি, তাও বোঝা যায় মন্তব্য থেকে। না হলে কোনদিন ভাবতেন না, আমি প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির বিরোধী। যদি গল্পের চরিত্রগুলো বাস্তব হতো, আমি কমল আর বনলতার এই প্রেমকে সমর্থন করতাম। যে কোন সুস্থ মানষই করবে।
আর দয়া করে, বানান শিখে মন্তব্য করুন। হেফাজত মননের মানুষেরা যে আসলেই লেখাপড়ার ধার ধারে না, তার প্রমাণ তাদের বানানে।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: একটি সহজ সরল গল্প।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
এখন এটাই আধুনিক সংস্কৃতি ।আর যারা এগুলি করে / সমর্থন করে, তারাই আধুনিক নাগরিক।

একজনের অনুপস্থিতিতে অন্য সবাই মাস্টার কী হয়ে যাচ্ছেন এবং তার অনুমতি ছাড়াই বা তার অনুপস্থিতিতে তার (
সুরক্ষিত ) লকটি খুলে ফেলছে এবং লুটে নিচছে / লুটতে দিচছে মজার মজার সব জিনিস (তালা নিজেই নিজেকে খুলে দিচছে অথবা চাবি নিজে নিজেই মাস্টার কী হয়ে যাচ্ছে ) ।
এখন সবাই ছাতি দিয়ে বাঘ মারায় ব্যস্ত ।কেহই এখন সত্যিকারের শিকারী হওয়ার চেষ্টা করছে না সবাই চোরা শিকারী হয়ে যে ভাবেই হোক শিকার করায় ব্যস্ত ।

এর দ্বারা তারা কি লাভ করছে বা কি হারাচছে তা তারা ভাবেনা।
তবে একটা জিনিস নিশ্চিত,এর ফলে তালা-চাবি (নর/নারী) উভয়েই উভয়ের উপর তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেএবং আমরা
দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি পুরো অন্ধকারের দিকে। যেখানে কেউ ন্যায্য নয়, বিশ্বাসযোগ্য
নয.

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার গল্পটা এতগুলো হেফাজতির মতামতের সাথে মিলে গেল- এটা চেয়ে হতাশার কী হতে পারে।
আমি আপনার মত গেল গেল রবে প্রেমকে ধিক্কার জানাতে গল্পটা লিখিনি৷ আমি তাদের সমর্থনই করি। আপনার মত মানুষদের জন্ম হওয়া উচিত ছিল আরো দুইশো বছর আগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.