![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাগ ইমন।এক সময় দেশ নিয়ে, মানুষ নিয়ে লিখতাম। কবিতা লিখতাম। এখন কবিতা লিখতে বসলে দেশের সমস্যা গুলোর কথা লেখার কথা মনে পড়ে যায়। অনেক কিছু - যা নিয়ে কেউ লিখছে না। দুঃখ নেই। একটা সময় তো আজলা ভরে কাদামাটি , শীতলক্ষ্যার জল নিয়ে খেলেছি। সে খেলাও ছাড়তে হয়েছে। আছি । পেন্সিলে আঁকা ছবির মত।
কবি বলেছেন,
"কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর !"
এত সহজে মানবের চরিত্র সম্পর্কে এ অমোঘ সত্য মনে হয় আর কেউ বলতে পারেন নাই। সত্যিই মানুষের মাঝেই বসবাস করে মানুষ ও দানব- দুই রুপ। আমরা অনেকেই ভাবতে ভালোবাসি, আজকে যারা খারাপ তাদের মনে হয় জন্মই খারাপ! ওদের রক্তের দোষ ইত্যাদি। আপাত ভালো মানুষেরা কোন খারাপ কাজ সহজে করতে চায় না বা করে না। সত্যিটা এর চেয়ে অলীক হওয়া সম্ভবই না!
আমাদের সো কলড ভালো মানুষেরা অবশ্যই সব রকমের খারাপ কাজ করতে পারবে আর তার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত পূরণ হলেই চলবে। যেমন- কোন মা স্বাভাবিক অবস্থায় নিজের শিশুকে খুন করবে না। কিন্তু ইদানিং পত্রিকায় অহরহ শিশু হত্যায় মায়েদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলছে । আবার, ১৯৭১ এ কেউই বিশ্বাস করতে পারে নাই, তার ছাত্র কিংবা প্রতিবেশী ঘাতক হয়ে খুন করতে আসবে। কিন্তু বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী ধর্ষণ , লুটপাট - এসবই হয়েছে পরিচিতদের হাত ধরে। নাহ, এরা কেউ আদিম- অসভ্য- গুহা যুগের মানুষ ছিলো না। কিন্তু, এরা তাহলে দানবে পরিণত হলো কেন?
আগেই বলেছি, মানুষ থেকে দেবতা কিংবা মানুষ থেকে দানব মানুষই হয়। গরু ছাগল হয় না। এর কারণ হলো মানুষেরই একমাত্র চিন্তাশক্তি আছে যা ব্যবহার করে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে আর নেওয়া সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে। এর পিছনে কতগুলো শক্তিশালী নিয়ামক কাজ করে । আর এই নিয়ামক গুলোর সমষ্টিই হলো দানব তৈরী কারখানা।
দানব কেন?
দানব কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তু থেকে হয় না। তাই কথায় বলে, " যেই যায় লংকায় , সেই হয় রাবণ।" অর্থাৎ আমরা প্রত্যেকেই রাবণ বা দানবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আমাদের বুকের ভিতরে নিয়ে ঘুরি আর সেই সুপ্ত সম্ভাবনাকে সফল করার পেছনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হচ্ছে "ক্ষমতা" , উল্লেখিত উদাহরণ অনুযায়ী 'লংকার রাজসিঙ্ঘাসন'। কিন্ত, শুধু সিংহ আসনের মতন একটা ক্ষমতার চেয়ার পেলেই কি মানুষ দানব হয়ে উঠে?
না। এর সাথে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বা সিস্টেম থাকতে হয় যা একজন মানুষকে নিরবিচ্ছিন্ন এবং বাধাহীন ক্ষমতার প্রয়োগ করার পরিবেশ তৈরী করে দেয়। অর্থাৎ, স্বৈরাচারী ক্ষমতার প্রভাবে সেই মানুষটি দানব হয়ঃ
১। মানুষকে মানসিক ভাবে কষ্ট দেয়।
২। মানুষকে শারীরিক ভাবে আহত করে।
৩। মানুষকে মারাত্মক আঘাত করে ( মেরে ফেলে বা আদর্শগত ভাবে )
৪। মানবিকতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপরাধ করে।
কেন করে এমন? এর সবটাই স্রেফ ক্ষমতা আর ক্ষমতার অপব্যবহার। আমরা ভাবি এ বুঝি অজ্ঞানতা, কিংবা ধর্মের জোশ কিংবা সম্পদের লোভ! নাহ, কোনটাই নয়। এ স্রেফ এবং কেবলই মাত্র ক্ষমতার প্রভাব!
তাই আমরা জানি, "পাওয়ার করাপ্টস এন্ড এবসোলুট পাওয়ার করাপ্টস এবসোলুটলি"। অধুনা ছাত্র লীগের যে অকল্পনীয় অত্যাচার দেখছি, এর আগে হাওয়া ভবনের দোর্দন্ড প্রতাপ কিংবা ১৯৭১ সালে জামাত, আল বদর , আল শামস, রাজাকারদের যে বিভৎস হত্যা, ধর্ষণ, লুট আমরা দেখেছি - এই সবই "এবসোলুট পাওয়ার" এর দোষ। ক্ষমতা আসলেই এবসোলুট থাকার দরকার নেই, দানব হতে হলে সেই মানুষ গুলোকে স্রেফ এই কল্পনা বা ঘোরের ভিতরে থাকলেই চলবে যে তারা ধরা ছোঁইয়ার বাইরের কেউ! যেইটা বাংলাদেশের সকল রাজনীতিবিদ মনে করেন (ইহকালে) আর জামাত শিবির মনে করে (পরকালে)।
ঠিক কি দায়ী এই দানব সৃষ্টির জন্য?
১। প্রথমেই বলেছি , মানুষের ভিতরেই বাস করে অসুর। সুতরাং একটা মানুষের চিন্তা, ভাবনা, বিশ্বাস, আদর্শ এই সব মিলে যেই মনটা তৈরী হয়, সেই মন।
২। আশেপাশের চাপ বা পরিবেশ - এমন কোন ঘটনা যা হঠাৎ ঘটে ( ২৫শে মার্চের গণহত্যা) কিংবা এমন কিছু যা প্রতিদিন ঘটে ( ক্ষুধা, দারিদ্র)
৩। সমাজ বা রাষ্ট্র/ পৃথিবীর সিস্টেম - এর সাথে মানুষের অর্থনৈতিক , সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত সত্ত্বা/ জীবন জড়িত। দেশের পলিটিকো-ইকোনমিক-সোশিও কালচারাল এবং লিগাল সিস্টেম যখন ক্রমাগত একটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উপর দানবীয় চাপ সৃষ্টি করে বা দানব হতে উৎসাহিত করে, তখনই মানুষ দানব হয়ে উঠে। এই একটা মাত্র কারণেই বাংলাদেশের সাধারণ সহজ সরল মানুষ ইদানিং দুর্নীতিবাজ টাউট হয়ে উঠেছে।
কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা ধীরে ধীরে দানব হয়ে উঠি? একদিনে নিশ্চয়ই না। রিসার্চ বলে, আমরা খুব ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পৈশাচিক হয়ে উঠি। ( যাইটাকে আমরা বলি ব্রেইন ওয়াশ)। এর সাথে নিম্নোক্ত ৭টি প্রক্রিয়া আমাদের দানব হতে সাহায্য করেঃ
১। না জেনে, না বুঝে, অবচেতন ভাবে ১ম ছোট ধাপে পা দেওয়া।
২। 'আমি বা আমরা' বাদে বাকি সবাইকে 'মানুষ' এর সমান না ভাবা।
উদাহরণ - রাজাকারদের দ্বারা বাঙ্গালীকে হিন্দু, কাফের, ইতর ভাবা।
৩। অপরিচিতি বা পরিচয় আড়ালের সুযোগ
উদাহরণ- বাংলা ব্লগে নিকের আড়াল, কিংবা ক্যাডার হয়ে মিছিলে মিশে যেতে পারা।
৪। ব্যক্তির দায়বদ্ধতা হ্রাস বা অন্যের উপর দায় চাপানোর সুযোগ
উদাহরণ- মাল্টিনিকের আড়ালে রিভার্স খেলার সুযোগ
৫। কর্তা / কর্তৃপক্ষের প্রতি 'বস ইজ অলওয়েজ রাইট' বা অন্ধ আনুগত্য
উদাহরণ- আল্লাহর নামে জামাত যা বলবে তাই বিশ্বাস করা
৬। প্রশ্নহীন ভাবে গোষ্ঠী বা দলের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো
উদাহরণ- জামাত ঠেকাতে গিয়ে জামাতের নারীদের ধর্ষণের ইচ্ছাপ্রকাশ
৭। পৈশাচিক/ দানব আচরণের প্রতি উদাস থাকা/ নিষ্ক্রিয় থাকা
উদাহরণ- কি হবে প্রতিবাদ করে বলে চুপ করে অন্যায় সহ্য করা।
সুতরাং, দানব হতে হলে কোন 'বিশেষ বংশে' জন্ম নেওয়া লাগে না, কোন 'রক্তের দোষ' লাগে না - শুধুই উপরের সোশাল- সাইকোলজিকাল প্রসেস গুলো লাগে। তাই দানব কে? কেন? কি ভাবে - বুঝতে হলে আমাদের বুঝতে হবে- দানবত্ব কোন ব্যক্তি নির্ভর এক্সিডেন্ট নয় - এটি একটি সমাজ ও পরিবেশ নির্ভর মৃদু ও ধীরগতির বিষ প্রয়োগ প্রক্রিয়া। ধর্মীয় দাঙ্গা, জাতিগত বিদ্বেষ, পাহাড়ী - বাঙ্গালী শত্রুতা সবটাই বিষক্রিয়া।
তাহলে এই দানব রুখে দিতে উপায় কি?
আশাবাদী হওয়ার মতন ব্যাপার হইলো যেই পরিবেশ ও সাইকো-সোশাল প্রক্রিয়া অথবা চাপ কিছু মানুষকে ধীরে ধীরে দানব করে তুলে- সেই একই চাপ কিছু মানুষকে দেবতা বা নায়ক হতে সাহায্য করে।
যেমন ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এ এই বাংলাদেশে অনেকেই পাকিস্তানীর পা চেটে খান বাহাদুর হয়েছে , আর কেউ হয়েছে সংগ্রামী নেতা। ২৫শে মার্চের পর কেউ হয়েছে মুসলমান রাজাকার , কেউ হয়েছে মুসলমান মুক্তিযোদ্ধা। অর্থাৎ, মানুষ দেবতা কিংবা দানব হয়ে উঠে তার নিজস্ব কল্পনা ও সিদ্ধান্ত দ্বারা। সিদ্ধান্তই আসল- সিদ্ধান্তই সব! পুরোটাই!
আমাদের সামাজিক দেবতারা (যেমন গান্ধীজি, মাদার তেরেসা কিংবা মান্ডেলা) বড় বেশি অসাধারণ, আমরা ওঁদের মত হতে পারি না। আমাদের কল্পনার দেবতারা ( যেমন - ফেরেস্তা, দুর্গা, জিউস ) সব কিংবা ধর্মীয় নায়কেরা ( মুহম্মদ , মূসা কিংবা বুদ্ধ) অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন - আমরা তাঁদের মত হতে পারি না। আমরা বরং স্মরনীয়, বরণীয় , অনুকরণীয় নায়ক বলতে আমাদের আশে পাশের সাধারণ মানুষ গুলোকেই বেছে নেই! তারা দেবতা না হোক, তাদের কাজ গুলো হোক দৈবিক, নায়কোচিত , বীরত্বের। ডুবুরী চাঁন মিয়া হোক আমাদের দেবতা- এই দানব প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিরোধ।
দুর্বল চিত্তদের নিচের ভিডিওটি দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ !
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৮
রাগ ইমন বলেছেন: পলিটিকাল কিলিং এই দেশে নতুন না। আগের গুলার বিচার এ সোচ্চার হইতেন, এইটার বিচার পাওয়া সহজ হইত।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৪৬
সেজুতি_শিপু বলেছেন: ভাল লেগেছে ।
আসলেই তাই । মানুষ জন্মগতভাবে তো পশুই ক্রমশ: জ্ঞানবৃত্তি, মানবিক ইত্যাদির চর্চা দিয়ে মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাতে হয় । ভেতরে পশু ঘাপটি মেরেই থাকে ।প্রতিরোধ প্রবল না হলে, অনুকূল পরিবেশ পেলে বেরিয়ে আসে ।
প্রতিরোধ প্রবল হোক ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৯
রাগ ইমন বলেছেন: পোস্টটা পড়ে আপনার মনে হইলো মানুষ জন্মগত ভাবে পশু?
আপনি তো দেখি কিছুই বুঝেন নাই!
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫৪
যীশুমন বলেছেন: হম ............................. মানুষ যেভাবে দানব হয়.
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৯
রাগ ইমন বলেছেন: কি কইলেন?
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:০২
kisuna বলেছেন: +
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩০
রাগ ইমন বলেছেন: বক্তব্য নাই?
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৪
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: সব ধরনের দানবতা, পৈচাশিকতা, অমানবিকতা, নির্মমতা, হত্যা-ধর্ষনকে ঘৃনা করি। আপনি এই দানবতা দেখে শিহরিত হন-অথচ আপনার অন্য একটি পোস্টে ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার দানবতাকে লালল করেন! ধিক! শত ধিক!! আপনার মত নারীকে!!! আপনাদের মত নারী যেনো কোনো দিন কোনো সন্তানের মা নাহয়।আপনারমত নারীরা "মা" জাতির কলংক।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৯
রাগ ইমন বলেছেন: ছাগলামিটা অন্য কোথাও করলে কাজে দিতে পারে। আমি এইসব বেইল দেই না।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৭
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: এক খান প্রেমের কবিতা--
Click This Link
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০০
রাগ ইমন বলেছেন: আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: কোন বক্তব্য নেই............+
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০১
রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:১২
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: @ পোস্ট দাতা, আপনি আমাকে কিশের "বেইল" দিবেন। আমিতো আপনার উপড় মুতিওনা। আর আপনার মতন 'রাগ ইমন' আমার মুতের সাথে কয়েক গন্ডা প্রতিদিন বাইর হইয়া যায়......
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪
রাগ ইমন বলেছেন: মুখ দিয়ে মুতেন, এইটা জানলাম। গু ও কি মুখ দিয়েই?
তাই হবে। দূরে যান। আপনার মুখে গন্ধ।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭
কুন্তল_এ বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত একজন মানুষ যতটুকু ভাল ঠিক ততটুকুই খারাপ। আমরা তাকেই ভাল (মানুষ) বলি যে তার ভিতরের খারাপটুকু কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে। উল্টোটা একজন খারাপ (দানব) মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মেডিকেল সায়েন্সে বলে একজন শিশুর ব্যক্তিত্বের গঠন শুরু হয় মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়। সে জন্যই আজকাল ডাক্তাররা একজন গর্ভবতী মাকে ভালো ভালো চিন্তা করতে বা হাসি-খুশি থাকতে উপদেশ দেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপরেও এ বিষয়ে দায়িত্ব এসে যায়। কাজেই পরিবার হলো প্রথম প্রতিষ্ঠান যেখানে একজন শিশুর (ভবিষ্যতের মানুষ বা দানব) মন তৈরী (আমি বলব shaping) হয় এবং বাবা-মা সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসাবে কাজ করেন। দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন কখনই দানব গড়তে দেয় না।
কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা ধীরে ধীরে দানব হয়ে উঠি? - যেসব প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তার সবগুলোরই প্রথম প্রতিরোধ আসতে পারে পরিবারের পক্ষ থেকে।
আপনার লেখার শেষ প্যারা "আমরা বরং স্মরনীয়, বরণীয় , অনুকরণীয় নায়ক বলতে আমাদের আশে পাশের সাধারণ মানুষ গুলোকেই বেছে নেই! তারা দেবতা না হোক, তাদের কাজ গুলো হোক দৈবিক, নায়কোচিত , বীরত্বের। ডুবুরী চাঁন মিয়া হোক আমাদের দেবতা- এই দানব প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিরোধ।" - ভাল লেগেছে। কিন্তু একমাত্র প্রতিরোধ কেন? এই দেশে রিয়েল লাইফ নায়ক-নায়িকারা সব সময়ই ছিলেন-থাকবেন। আমরা তাঁদের দেখেছি ৭১-এ, দেখছি বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি, আমরা ওনাদের দ্রুতই ভুলে যাই।
পোষ্টে +
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০
কুন্তল_এ বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত একজন মানুষ যতটুকু ভাল ঠিক ততটুকুই খারাপ। আমরা তাকেই ভাল (মানুষ) বলি যে তার ভিতরের খারাপটুকু কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে। উল্টোটা একজন খারাপ (দানব) মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মেডিকেল সায়েন্সে বলে একজন শিশুর ব্যক্তিত্বের গঠন শুরু হয় মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়। সে জন্যই আজকাল ডাক্তাররা একজন গর্ভবতী মাকে ভালো ভালো চিন্তা করতে বা হাসি-খুশি থাকতে উপদেশ দেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপরেও এ বিষয়ে দায়িত্ব এসে যায়। কাজেই পরিবার হলো প্রথম প্রতিষ্ঠান যেখানে একজন শিশুর (ভবিষ্যতের মানুষ বা দানব) মন তৈরী (আমি বলব shaping) হয় এবং বাবা-মা সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসাবে কাজ করেন। দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন কখনই দানব গড়তে দেয় না।
কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা ধীরে ধীরে দানব হয়ে উঠি? - যেসব প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তার সবগুলোরই প্রথম প্রতিরোধ আসতে পারে পরিবারের পক্ষ থেকে।
আপনার লেখার শেষ প্যারা "আমরা বরং স্মরনীয়, বরণীয় , অনুকরণীয় নায়ক বলতে আমাদের আশে পাশের সাধারণ মানুষ গুলোকেই বেছে নেই! তারা দেবতা না হোক, তাদের কাজ গুলো হোক দৈবিক, নায়কোচিত , বীরত্বের। ডুবুরী চাঁন মিয়া হোক আমাদের দেবতা- এই দানব প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিরোধ।" - ভাল লেগেছে। কিন্তু একমাত্র প্রতিরোধ কেন? এই দেশে রিয়েল লাইফ নায়ক-নায়িকারা সব সময়ই ছিলেন-থাকবেন। আমরা তাঁদের দেখেছি ৭১-এ, দেখছি বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি, আমরা ওনাদের দ্রুতই ভুলে যাই।
পোষ্টে +
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
কুন্তল_এ বলেছেন: স্যরি, কিভাবে জানি মন্তব্য দুবার হয়েছে। দয়া করে একটি মুছে দিয়েন।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৭
মোসাব্বির বলেছেন:
আপনি অনেক দিন যাবৎ ব্লগে লিখছেন, আপনি অবশ্যই জানেন সবার মন্তব্য অভিন্ন হয় না। পোষ্টের উপর মন্তব্য একেক জনের একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে মন্তব্য গুলো আপনার ফেভারে নয়, সেগুলোর কাউন্টার মন্তব্যের ভাষা ব্যবহারে আপনাকে আরো সচেতন হতে হবে। কোন কনসেপ্ট আপনার সাথে অন্যেরটা না মিললেই যে তারটা ভুল এই মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন।
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৯
য়িমতিআজ বলেছেন: একজন যত খারাপই লিখুন তার লেখক সত্তাকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিসত্তাকে আক্রমণ করা কি ঠিক? "ধিক! শত ধিক!! আপনার মত নারীকে!!! আপনাদের মত নারী যেনো কোনো দিন কোনো সন্তানের মা নাহয়।আপনারমত নারীরা "মা" জাতির কলংক।" কথাগুলো কেন বলা হল বুঝলাম না। মনে হয় অন্য পোষ্টের রাগ এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে এভাবে বলা কথা (যদি সত্য হয়ও) সবসময় দোষণীয়।
মোসাব্বির স্যার উল্টা লেখককেই বললেন...!!!
সত্য কথায় যত দোষ ! স্যার সত্য তিক্ত করে বলতে হবে তেমন কোনো কথা কি আছে?
পুরোপুরি একমত নই (৯৫% একমত), অনেক সময় পারিপাশ্বিক কারণ ছাড়াও (এমনি এমনি) মানুষ দানব (বা পাগল) হয়ে যায়। সম্ভবত এদের জন্মের আগে থেকে ডি.এন.এ তে গন্ডগোল থাকে।
১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪০
য়িমতিআজ বলেছেন: একজন যত খারাপই লিখুন তার লেখক সত্তাকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিসত্তাকে আক্রমণ করা কি ঠিক? "ধিক! শত ধিক!! আপনার মত নারীকে!!! আপনাদের মত নারী যেনো কোনো দিন কোনো সন্তানের মা নাহয়।আপনারমত নারীরা "মা" জাতির কলংক।" কথাগুলো কেন বলা হল বুঝলাম না। মনে হয় অন্য পোষ্টের রাগ এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে এভাবে বলা কথা (যদি সত্য হয়ও) সবসময় দোষণীয়।
মোসাব্বির স্যার উল্টা লেখককেই বললেন...!!!
সত্য কথায় যত দোষ ! স্যার সত্য হলেই তিক্ত করে বলতে হবে তেমন কোনো কথা কি আছে?
পুরোপুরি একমত নই (৯৫% একমত), অনেক সময় পারিপাশ্বিক কারণ ছাড়াও (এমনি এমনি) মানুষ দানব (বা পাগল) হয়ে যায়। সম্ভবত এদের জন্মের আগে থেকে ডি.এন.এ তে গন্ডগোল থাকে।
১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫৩
য়িমতিআজ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটা দয়া করে মুছে দিবেন।
লেখাটা খুব ভাল হয়েছে তবে সত্যকথক আর মোসাব্বির স্যারের মন্তব্য পড়ে আপনার লেখাটার কথা instantly ভুলে গেসিলাম । আমি সত্য স্যারের মন্তব্য পড়ে এই লেখায় এই মন্তব্য কি করে সম্ভব ভাবতে ভাবতে দেখি মোসাব্বির স্যার উল্টা আপনারে জ্ঞানো দিয়ে দিসে...
তাই সব পেচিয়ে গেছে... লেখাটা সত্যিই আমাকে মানুষ কি ভাবে দানব হয় তা বুঝাতে পেরেছে।
তবুও আমার বিশ্বাস কিছু মানুষ এমনিতেই দানব হয়ে যায়...তাই ৯৫% সহমত...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩৮
ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন: মানুষ যেভাবে দানব হয়- Click This Link