অথচ ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি {{ কবিতা ১৮++ বিষয়বস্তু সম্পূর্ণরূপে বড়দের }}

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১৪

অথচ ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি ,

ক্ষুধার জ্বালায় মেয়েকে নিজ হাতে মেরে মায়ের আত্মহত্যা,

মানবতা, মানবতা বলে কারা যেন চিল্লালো খুব,

তারা শুনল না যারা ভুখা, রেললাইনে মাথা রেখে বলল

ভরপেট খাবার চাই, আমিও ছিলাম তাদের দলে

বললাম আধপেটেই চালিয়ে নেব এ বারের মত জীবন

একটু ভালোবাসা খাবার শেষে জলের মতন পেলে ভালো হত।

তারা বলল, শালা বাইংচুত! খাবি না কিন্তু ফেলবি না!

মতিনের বউ পোয়াতি , বাড়তি খাবার চাই, দুই মুখ, রক্তচোষা ভিতরে

মতিন জানলো না আসলে কার রক্তে কে রক্তচোষা

মতিনের বউ এমনিতে সম্পর্কে আমার ভাবী

কিন্তু অই যে ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি ।



বদরুল ভাই চা এর দোকানে জয়নাল খবরের কাগজ পড়ছিল

বস্ত্রশিল্পে ধ্বসের সম্ভাবনা, ই এস পি সুবিধা হাবিজাবি, শ্রমিক মালিক

সংঘর্ষ, হাই তুলতে তুলতে জীবন পোদ্দার বলে উঠে,

বেতন না বাড়াইলে কামে কামে যামু না,

তিনহাজার টাকায় সংসার চলে??

বউরে বেলাউজ কিনা দেই না দেড় বছর,

বউ ছিঁড়া বেলাউজ পড়ে, বাড়ির বউ কি খেমটা কইরা বেড়াইব??

জীবন পোদ্দার যদি শুনে বস্ত্রের চেয়ে আমার ভালোবাসার দাবি বেশি

তাহলে হয়তো আমার জিভ টেনে গার্মেন্টস মেশিনে সেলাই করে দেবে।

অথচ তারা মৌলিক দাবি উপেক্ষা করে বলেই,

গত তিনবছরে বাড়ির বউ এর তিনখানা ব্লাঊজ ছিঁড়েছি আমি,

পোদ্দারবধূর ব্লাঊজ বড্ড টনটনে থাকে, সে ছেমড়ি উপড়ের

দুটো বোতাম খুলে যেই বলেছে তুমি আমি মাইরি হেব্বি,

তারপর আমি টেনে ছিঁড়ে ফেলেছি চড়চড় করে,

কারণ আমার ভালোবাসার দাবি ।

ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি!



তেমন কোন আবরন নেই, রাস্তার পাশে পলিথিনের ঘের দেওয়া,

অথচ এখানেও রাত আসে।

পঙ্গু যে ভিক্ষুক চলতে পারে না, ব্রিজের উপর মাংসের দলা হয়ে

পড়ে থাকে সারাটাদিন , সে হাচড়ে পাছড়ে ভিখারিনীর উপর উঠে যায়,

ভিখারিনী কখনো রাজার মত সম্মান করে, কখনো মাছির মত তাড়িরে দেয়,

অথচ এরা ভালোবাসার দাবি বুঝে না।

এরা বাসস্থানের দাবি করে মৌলিক হিসেবে।

ভার্সিটি বন্ধু বর্তমানে (শুনলাম এবার নাকি নির্বাচন করবে, ওর গুন্ডাবাহিনী আমার চেনা

অনায়াসে এম পি হয়ে যাবে) হিরণ সেদিন আমার মৌলিক

দাবির প্রস্তাব রেগেমেগেবলল, আরে চুমু

খাওয়ার জন্যও তো একটা শক্তপোক্ত আবরণ লাগে।

অথচ ভার্সিটি পিকনিকে যেদিন আমি আর ওর প্রেমিকা, রোকসানা

যখন সবার পিছন থেকে জঙ্গলে ঢুকে গেলাম তখন চুমু খেতে

আমাদের বাসস্থানের কথা মাথায় আসেনি ।

রোকসানা একটানে এত দ্রুত পায়জামা খুলে ফেলেছিল যে

আমার মনে হয়েছিল আসলে মেয়েটা খুবই অভাবী

এবং সে সুন্দর ছিল নিঃসন্দেহে,

আমিও তাকে ফেরাইনি বাসস্থানের প্রসঙ্গ তুলে

কারন ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি ।।

।

জমির উর্বরতা কমছে , সাথে নারীর উর্বরতাও

আগের লাঙ্গল জোয়াল ভালো ছিল বলে উদাস মনে বিড়িতে টান দেয় জমির,

বাজারে মাইকে ডেকে ডেকে বিক্রি চলে ঔষুধ

লিঙ্গ নিস্তেজ, শক্ত হয় না, এই ঔষূধ নিন

খাবার মাত্র পাঁচ মিনিটেই দাঁড়িয়ে যাবে

কোন প্বারশ প্রিতিক্রিয়া নেই ।

ক্লাস টেন পড়ুয়া মারুফ গোল হয়ে দাঁড়িয়ে

চোখ বড় বড় করে দেখে হকারের দেখানো ছবি

কোন জায়গায় দুআঙুলে চাপ দিলে আবশ হবে তার প্রেমিকার শরীর!

লুঙ্গির উপর দিয়ে একটু চুলকে নেন সত্তর বয়সী মাতবর সাহেব,

এসবই শিক্ষা, আমাদের মৌলিক অধিকার হাটে মাঠে বাজারে বিকিকিনি হয়

অথচ মারুফের প্রেমিকা ক্লাস টেন পড়ুয়া বিলকিস সেদিন আমাকে

হাতধরে টেনে নিয়ে গেল গোয়ালঘরে,

গাভীর উপর চড়ে বসার অনবরত চেষ্টায় মশগুল ষাঁড়,

গাভী সরে সরে যাচ্ছে, বিলকিস সরে গেল না,

বরং কাছে ডাকল, আসো কবি!

আমিও প্রত্যাখান করিনি, কারন, ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি ।



খাদ্য খাদ্য চেঁচাও আর ছিন্ন বস্ত্র পেঁচাও,

আবাস আর শিক্ষা দিয়ে একটু মোদের বাঁচাও!

কিন্তু আমার এক কথা নাও তুলে নাও সবই

ভালোবাসা থাকুক, ভালোবাসা আমার মৌলিক দাবি ।

২ টি +০/-০