![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“আহ!”
যে তুমি ভোরের বেলায় এক
মসযিদ আযান
যে তুমি আহার শেষে হিয়ার
আকার পান ।
যে তুমি বাসি সকালে চায়ের
আহবান
যে তুমি দুপুর রোদে দুপুর ফুলের
আত্মহনন ঘ্রান ।
যে তুমি পড়ন্ত বেলায় রিকশার
একঘেয়ে বেল
যে তুমি মাতিয়ে রাখো মন
খারাপ বিকেল ।
যে তুমি এক সন্ধ্যায় একাই
একটা ছাদ
যে তুমি হঠাত
নেমে আসা একলা অবসাদ ।
সেই তুমি এক রাতে এক
বিছানা অসভ্যতা
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত
করে সলজ্জ শীৎকার “আহ!”
“উঃ!!”
আমার অনুভব
করা হয়নি তোমারে, স্বরস্বতী
জানি জন্মলগ্ণ হতেই
তুমি তেরোশত নদী ।
আমার অনুভব করা হয়নি তোমায়,
দুর্গা
অথচ তুমি ছিলে আদি হতেই
নাশিনী ঝর্না ।
আমি অনুভব করিনি তোমারে,
লক্ষ্মী
শুধু দেখেছি আকাশ মেঘ, কচুফুল,
পক্ষী ।
আমি অনুভব করিনি তোমারে,
শ্যামা
তুমি জন্মে আছো,
তুমি মৃত্যুতে আছো, তুমি এমন
যমুনা ।
আমি সেদিন তোমারে অনুভব
করিনি, পরমায়ু
আমি সে রাতে তোমারে প্রথম
অনুভব করলাম
যে রাতে হৃদয় মথিত
করে তুমি বললে “উঃ!!”
“ ইশ!!”
তুমি কুমোরেরে মত নিপুণ
হাতের মোচড়ে
এ হৃদয় ভেঙে ফেল বড়
যতনে গড়ে
যে হাত কেটে গেল
ভাঙা চুড়ির আঁচড়ে
তার রক্তে এ হৃদয়
ক্রমে উঠে ভরে ।
তুমি কামারের মত হাপরের
টানে
উত্তাপ ছড়াও হৃদয়ের সবখানে
তারপর তারে শক্ত
করে ধরে সাঁড়াশিতে
হাতুড়িতে পিটে ফের
টেনে ধর বুকেতে ।
তুমি সাপুড়ের মত
টেনে নামিয়ে বিষ
ফুসে উঠো সাপের মত হিস্, হিস্
“ ইশ” !!
“উম........!!”
আমায় সৃষ্টি করো চোখের জলে
তারপর রূপচাঁদা মাছ করে চাষ
কর আখিতারার ঝিলে।
আমায় সৃষ্টি করো গালের
তিলে
তারপর ব্রনের পুরানো দাগ
করে বুনে রাখো গালের
অনুকূলে ।
আমায় সৃষ্টি করো তোমার অমন
চুলে
তারপর উকুন
করে পুষে রাখো চুলের
গোড়ামূলে ।
আমায় সৃষ্টি করো কানের দুলের
ফুটোপৃষ্ঠে
তারপর নতুন করে ঝুলাও দুলের
ফাঁসিকাষ্ঠে ।
আমায় সৃষ্টি করো কপালের
পুরানো দাগে
তারপর আবদারী মেঘ
করে আবাদ
করো রাগে অনুরাগে ।
তোমার জন্য তো আমায়
সৃষ্টি করা খুব সহজ
শুধু একবার আনমনে বলে দিলেই
হল, “কুন!”
সেদিকে তখন তোমার নেই
কোন মনোযোগ
তুমি তো মগ্নভাবে জপছো অন্যমন্ত্র
“উম........!!উম......!!”
“আ......ম!!”
আরেকটু প্রসারিত করো পদযুগল
আরো গভীরভাবে জানা যাক
আগ্নেয়গিরির ভূগোল।
অথবা এর নাম সাগরের ফেনিল
আহ্বান
ডুবে যাওয়ার জন্য স্রোতের
আরও দুটো একটা ধাক্কা
কৃষ্ণগহবের শৈবালদ্বীপ
জানে আত্মহনন গান,
তোমার কল্পনায় মেয়েবেলার
এক্কাদোক্কা!
আমার
কল্পনাজুড়ে ছেলেবেলার
অ্যাসেম্বলি
মাস্টারমশাই বলছেন
আরামে দাঁড়া!
সোজা হ’রে অনির্বাণ!
বিধাতা ঠিক সে মুহূর্তেই
টিপসই দিলেন আবেদনপত্রে
পৃথিবীতে আসার ছাড়পত্র পেল
আরেকটি সন্তান!
যে পৃথিবীতে আসলে সবচেয়ে স্নেহময়ী হবে তুমিই
এখন তারদিকে তোমার
মনোযোগের লেশ নেই,
তোমার সমস্ত সত্ত্বা আচ্ছন্ন
করে আছে সুপ্রিয় শীৎকার,
"আ...ম!!, আ...ম!!”
১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: মন্তব্যের আগামাথা কিছু বুঝলাম না!! ইশ উঃ আহ বাদ দিলে কি কবিতার অর্থ , ভাব ঠিক থাকবে?? মূল উদ্দেশ্য ই তাহলে বিচ্যুত হবে বলে কি আপনার মনে হয় না?? আর ইশ আহ উঃ সহকারে কবিতাটা তো আমার কাছে ১৮+ ই লাগে!
২| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: আহঃ ইশঃ উহঃ শব্দগুলো বাদ দিলে ভাল হয়
৩| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: ইশ উঃ আহ বাদ দিলে কি কবিতার অর্থ , ভাব ঠিক থাকবে?? মূল উদ্দেশ্য ই তাহলে বিচ্যুত হবে বলে কি আপনার মনে হয় না??
৪| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার কবিতা আপনি যেভাবে লিখে শান্তি পান; আমি শুধু আমার মতামত জানিয়েছি। আশা করি এবার মন্তব্যটা বুঝেছেন।
ভাল থাকুন ভাই।
৫| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: আমি কি বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে গেছি! :/ ধন্যবাদ আর আপনিও ভালো থাকুন
৬| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
হেডস্যার বলেছেন:
আহ !!
উহ !!
ইশ!!
উম !!
এই চাইরটা শব্দ খুব ভাল্লাগছে....শব্দগুলাই লাইগা ৪টা +
৭| ১৫ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: হেডস্যার কি কইতে চাইলেন? ! :/
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অস্থির কবিতা হইছে ++++++++
১৮ + ট্যাগটা বাদ দিয়ে আর কবিতায় ব্যবহৃত আহঃ ইশঃ উহঃ শব্দগুলো বাদ দিলে ভাল হয়।