![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ও!!
তুমি যখনি কাছে আসো, ছুঁয়ে যাও এ বুকের বিচ্ছিন্ন বদ্বীপ
আসো বুকের নরমে, আমি ক্রমশ হয়ে উঠি সরীসৃপ ।
সিংহিনীর চন্দ্র স্পর্শে উত্তপ্ত হতে থাকা এ কেশর
ওপাশে নির্ঘুম রাত আমাদের, এপাশে এলোথেলো চাদর। ।
তোমারে দেখলে বুকের সাগর হঠাত ই খুব শান্ত স্থির , জাগে চর
অথচ কাল পযন্তও তা ছিল ঢউয়ে ঢেঊয়ে সুতীব্র উত্তল
তুমি ছুঁয়ে দিলে নিমেষেই চোখে পড়ে দূরের বাতিঘর
আশ্রয় দিলে বুকের আরামে খুঁজে পাই এক ফোঁটা স্থল।।
জন্মাবধি চলতে থেকে উভয় বুকেই ক্লান্ত যে নিঃশ্বাস
নাসারন্ধ্যের সংগমে তার উত্তাপ গড়ে উদ্ভ্রান্ত সুন্দর আকাশ।
দৃষ্টিসীমানার বাইরে বলে নীল নীল,অথবা আঁখিরাই অন্ধ, অশ্রুসজল,
তুমি ছুঁয়ে গেলে বুকের পশমে টিনের চালে নেমে আসে গলগলে গজল ।
তুমি ছুঁয়ে দিলে মুহূর্তে সব সমস্যা সমাধান
ঠিক যেন ছু মন্তর ছু!
হাজার বছর ক্লান্তির শেষে এক দণ্ড শান্তির উপাখ্যান
চির সুপ্রিয় শীৎকার “ও!!”
“উহু!!”
হঠাত করে যদি ৭০০ মাইল বেগে বইতে থাকে থাকে হাওয়া
কোথায় আর যাব বল, কোথায় আশ্রয়স্থল,
সেইতো ঘুরে ফিরে তোমার কাছেই যাওয়া
সেইতো তোমার বুকের চিরনরম উঁচুআশ্রয়কেন্দ্রের ছাউনিআঁচল ।
হঠাত করে যদি ৫০মিটার উঁচু হয়ে আছে জ্বলোছ্বাস,
কোথায় আর পালাব বল,আমি কি এমন সাতারু?
সেইতো তোমার চোখের গহীন সাগরে ডুব দিয়ে বেঁচে থাকার আশ
সেইতো তোমার লুকানো অশ্রুর কানেকানে বলা আসলে আমিও ভীরু!
হঠাত করে যদি ছুটে আসে কোন বোমা নেই কোন কওয়া বলা,
কোন দিকে ছুটবো বল , আমি কি এমন পর্যটক??
যেদিক চিনেছি আজন্ম ধরে, সেই তো তোমার দিকেই ছুটে চলা
হৃদয় থেকে হৃদয়ে দিয়ে দেয়া অসুখ এমন সংক্রামক!
হঠাত করে যদি ছুটে আসে প্রত্যখান
তুমি ছাড়া কে আর গ্রহন করবে বল এমন অভিধান?
সেই তো অভিগ্রহনের আলিঙ্গনে বাঁধাবাহু,
এর থেকে কি আর তীব্র আবেদন আছে ওরে
যে আবেদন তোমার অমন প্রত্যখান সুরে,
বুকে টেনে নিয়ে দূরে ঠেলে বলা সুপ্রিয় শীৎকারে ,“উহু!!”
“আ!!”
আমি কখনো চাঁদ ফেড়ে দেখিনি কতোটা যন্ত্রণা
কখনো দেখিনি সমুদ্রের গলায় ছুড়ি চালিয়ে
যে মানুষগুলো সমুদ্রে গেল হারিয়ে
তাদের রক্তে সমুদ্রের বুক লাল হয়ে উঠে কিনা!
যে ঈগল ছোঁ মেরে নিয়ে গেল হরিনের চোখ
আমি কোনদিন হত্যা করিনি সে হরিণকে বা ঈগল পক্ষী
খুঁটিয়ে দেখতে আসলে কে কতটা নিরীহ !
অথচ মহাকাল সাক্ষী
আমার হৃদপিণ্ড ও প্রবাহিত করে শিকারীর প্রবাহ!
তাই আজকের রাত্রির গা জুড়ে শিকারের আবহ
আজ রাতেই আমি তোমায় প্রথম দেখেছি ফেড়ে
শিরা আর ধমনীর চিরন্তন প্রবাহ জুড়ে
শুধু আজো তোমাকেই কামনা,
আকাশ ফুঁড়ে, চাঁদ ছিড়ে, সাগর সাঁতরে
ঈগল আর হরিণ শিকার করে ,
আজও শিকারের হিংস্র আনন্দ
তোমার গলা ফাটানো বন্য শীৎকারে “আ!!”
“আউচ!!”
তুমি কুশনে বুনছিলে আমার জন্য ফতুয়া
যদিও শ্মশানে পুড়ছিল তখন লাশ,
তোমার চোখের লেভেলক্রসিং জুড়ে জীবন ডাকছে সআবেগে
এক আধটু যা মৃত্যু সে তো ঐ হঠাত দীর্ঘশ্বাস ।
এক দুবেলা মৃত্যু আছে গরম ঘিয়ের ভাতে
এক লাখ এক মৃত্যু ছিল বিয়ের কাবিন নামায়
সাত আসমান গোলাপ ছিল আমাদের দেনমোহর,
বাসর ঘরেই এপাশে ওপাশে লাশকাটা আর কালি বারির ঘর।
সারারাত একদিকে হরি নাম জপে একঘেয়ে অষ্টপ্রহর
পাল্লা দিয়ে তারায় চড়েছে তোমার প্রিয় শীৎকার স্বর!
আত্মহত্যা করেছিল তোমার বুকের ব্লাউজ,
সে এক নেশাতুর ছন্দ, আহ আহ আহ “আউচ!!”
তোমার একবার “আউচ” বলা যেন দশবার জপা হরি,
প্রিয় শীৎকার টেনে টেনে বলা একটু...... আস্তে......লাগছে...মরি...। মরি।
২| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
জেরিফ বলেছেন:
আত্মহত্যা করেছিল তোমার বুকের ব্লাউজ,
সে এক নেশাতুর ছন্দ, আহ আহ আহ “আউচ!!” [/sb
কবিতায় ভালো লাগা রইলো ,
৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: ধন্যবাদ জেরিফ :-)
৪| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: এবং কিছুটা অসাধু ও! @বিডি আইডল
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:০১
বিডি আইডল বলেছেন: সাধু সাধু!!