![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আউ!!
আমাকে বলা হল যদি বলতে না পারো এমন ঝড়ের কারন
তবে আমৃত্যু বনবাস
আমি বললাম, ঝড় সে তো পুরাতন প্রেমিকার মত
বিনা নোটিসেই লণ্ডভণ্ড করে যায় হৃদয়ের চাষবাস।
কোমল অবাধ্য আর উশৃংখল প্রেমিকার ঠোঁটে
এরকম ঝড় লিখে হারারোগ্লিফিক্স হৃদয়ের স্লেটে । ।
শুনে বলা হল, যদি খুঁজে আনতে না পারো অমন ভালোবাসা
তবে গহীন অরন্যে নির্বাসন
আমি জানতে চাইলাম জঙ্গলের ঠিকানা
তোমাকে দেখিয়ে বলা হল তুমি আর শরীর জুড়ে
অতঃপর আমি দুর্লভ সে ভালোবাসা হাতে পেয়েও বললাম
পাওয়া যায়নি সারা পৃথিবী ঘুরে ,
তুমি নাকি তোমার শরীর জুড়ে চাষ কর ঘাসবন
আমারও তো চিরআরাধ্য তার সিংহাসন।
তোমার পায়ের ছাপ পড়বে বলে ঘাট শানে বাধি,
জানা গেল তোমার চোখেই স্বচ্ছ পুকুর , তেরশত নদী।
এমন অথৈ জল, প্রলয়ঙ্করী ঝড়, দিশেহারা নাও
শুধু এ শব্দের বৈঠা সুপ্রিয় শীৎকার “আঊ!!আঊ!!” ”
উফ!!
তোমাকে খুঁজে ফেরে এ চোখের ঝিল
যতবার তুমি হও স্বেচ্ছা ব্যাথায় নীল ।
তোমায় খুঁজে ফেরে এ হাতের ছোয়া,
যে লগ্নে তিলেরাও বৃষ্টিধোঁয়া।
তোমারে খুঁজে ফেরে এ বুকের শ্বাস
এ পাঁজর জুড়ে এমন তীব্র বসবাস।
তোমারে হাতড়ে ফেরে অশ্রু লবণ,
মেঘবালিকার মত এতটা আপন ।
তোমায় দাবি করে বুকের পশম
ছুঁয়ে দিয়ে যায় যেন তোমার নরম ।
তোমায় ছুতে চায় অবাধ্য আঙুল
পাশাপাশি হাঁটাহাঁটি চুলচেরা ভুল ।
তোমায় দাবি করে ধমনী আর শিরা
দুপুর রাত্রি আর অবাক ভোরেরা ।
তোমায় দাবি করে শরীরের প্রতি লোমকূপ
যতবার তোমার শরীরভাঙা শীৎকার “উফ!! উফ!!”
উপয!!
প্রধান পুরহিত হয়ে বিষাদ মন্দিরে ঘণ্টা বাজিয়ে গেল ঢুলি
গোপনে বুকের উঠানামা দেখিয়ে গেল কর্ণফুলী!
আহ কি প্রলোভন,
অনেক্ষন সাঁতার কেটে ডুবল ঘোরে মন।
মসজিদ থেকে ভোরের করুণ আযান দিচ্ছে মুয়াজ্জিন
রাত্রির ঘরে সিঁধ কেটে বের হয়ে আসে দিন।
আমরাও কাটি সিধ পরপ্সপরে
রাত্রির বুক থেকে ভোরের আখরে।
আহা কি মিষ্টি ভোর
একটু ছোঁব তোমায়, আর একটু আঁচড় ।
গির্জার ঘড়ি চলে টিক টিক টিক
কতটা গিয়াছে সময় কেউ জানিনাতো ঠিক,
ঠোঁটের এমন আয়োজন,
পৃথিবীর বয়সের সমান দীর্ঘ হোক চুম্বন।
জোনাকির কামনার আলো দেখে পথ চলে পেলুম প্যাগোডা
অথচ আমি নিরামিষাশী, তাই ঘাস হোক তোমার সমস্ত আত্মা।
এ এমন উত্থান
তোমার শরীর জুড়ে উপাসনা করে আমার শরীর প্রাণ।
সুপ্রিয় উপাসনায় খুব করে ডুব,
মাঝে মাঝে জলের উপর ভুস করে মাথা তুলে
শ্বাস নাও শীৎকারে “উপয!! উপয!!”
©somewhere in net ltd.