নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃত্তে বন্দী

বৃত্তে বন্দী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ {{কবিতাব্লগ ১৮+}}

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৩

শুধু প্রদীপ ই কেন আশ্চর্য হল তুমি এবং তোমার শরীরের গহীণ

চিরন্তন আস্চর্য শহর,অবাক কৌতুহল, আচ্ছা আমিই কি আলাদিন??

মুহুর্তে মধ্যাঙ্গুলে চলে যায় চোখ, খুজাখুজি হয় কিছুটা কোরক

নেই নীল পাথরের আলাদিনের হীরার আংটিখানি

সাপের মাথায় বিরল মনি, তার কিছুটা কানাকানি

বাদবাকিটা সত্যি জানি তোমার চোখের পানি!

মুছে দেই যদি চোখের নদী , প্রদীপের খুলে যাবে ব্যবধি,

এক ফালি চাদের মত ঝুলে থাকবে চোখের ইশারাদানি

মহাবিশ্বের প্রথম ধ্বনি ওংকার, পিছে ফেলে যাবে তোমার শীতকার

মধ্যাঙ্গুলি খনন করবে যখন যোণী!

যত গহন নদীই হোক পদ্মা মেঘনা যমুনা

মাঝে মাঝে খনন করতে হয়, নচেত হারাবে নাব্যতা

তুমিও কিছুটা অসভ্য হও প্লীজ়, তুমিও হও আমার মতই নীচ

দ্রৌপদীর বস্ত্রাবলি হরন করতে দাও, ভুলে যাও সব সভ্যতা!

অনাদরে অবহেলায় নদীর পাড়ে চর জমছে, বাড়ছে ধুধু বালি

অনুমতি প্রত্যাশী, ওড়ণা দিয়ে বেধে রাখো হাত, জিভ দিয়ে চেটে ফেলি?!



তোমার ঠোটযুগল যারা স্বীকৃত খুনী-হন্তারক , অবিনাশী সিরিয়াল কিলার

আমার ঠোটও ঘষে চলে ঠোট চিচিংফাক মহারত্নভান্ডারের দরজা খোলার!

বিষাদে আচর কেটে ছূটে পালাই, বিষাদ প্রবল পিছুটান দিয়ে ডাকে

বিষাদ কি করে তাকে ছোবে তোমার ঠোট যাকে আদরে মাখে!

উলটোদিকে দৌড়ে এসে পালিয়ে বসি, বুকে তোমার যুগল তাবু

নাক এবং মুখ ডূবিয়ে আছি, এখানে বিষাদ নিষিদ্ধ ট্যাবু!

তাবুগুলোও ফূলে আছে যেন হাওয়া ভীষন উন্মাদ ভবঘুরে ধবধবে

শীর্ষে এত ঝকঝকে গোলাপ যেন পাপড়ি মেলে আকাশ ছোবে!

যে চাদ আমি এতদিন খুজে বেরিয়েছি গোটা ঢাকা শহর নিয়নে কাশে

এক খানা নয় তারই গোটা দুই লুকিয়ে ছিলে অন্তর্বাসে!

অন্তর্বাসেই এতটা অপরুপ চমক, অন্তরে তো রুপের খনি,

ব্রা এর হুক খোলার স্বরুপ পিঠ আর বুকের চামড়া খূলে হৃদয় দেখে ঝলসে গেছে চোখের মনি!

কত শত ফুল দেখল জীবন , শঙ্কর হাইব্রিড একেক জ়নের হাজারখানা মালী

তোমার বুক বলে গেল ওসব ভোলো মন, বনফুল সে তো বনফুল ই!

আহ কি যে বন্য, তন্নতন্ন করে প্রদীপের এপাশ দিয়ে ওপাশ ঘষা,

কে ্যে কার জন্য, কে যে কার অন্য, দুধ পানে পুরো শরাব নেশা!

প্রথম বয়োসন্ধি তোমার যবে, আয়নার সামনে তুমি ঘেটেঘূটে গালিয়ে নিচ্ছ পিম্পল

আজ তারই হুবুহু স্মৃতিচারন হবে, বৃ্দ্ধাঙ্গুলি আর তরজনীর নখের ঘায়ে গলবে যুগল নিপল!

প্রদীপ থেকে যে ধোয়া বেরুবে তাই শুষে নেবে ফূসফুস,কলিজারা

ফ্ল্যাশবাকে আলাদীন, সেইসব রাতদিন এবং সেইসব চোরের ডাকাতেরা!



ইদানীং তোমার নিতম্ব দেখলেই আমার ইচ্ছা হয়

মেলে ধরে নখে চিরে জিভ আর চরে থাপড়ে একটা অবাক সূর্যাস্তের ছবি আকি

যে ছবি থেকে ভেসে আসে এক হাজার বন্য ঘোড়ার শব্দ

নাক ডূবিয়ে বসে থাকি নাভির গহীনতায় অনন্তকাল

দশ হাতে বিলি কেটে যাই নাভির নিচের জঙ্গল, উড়িয়ে দেই বন্দী ইচ্ছাপাখি

যে ইচ্ছাপাখি ইশ্বরের কানেকানে গিয়ে বলে আসবে আমাদের সঙ্গম শেষে শুরু হবে সময়, ঘন্টা মিনিট অব্দ!



বাঙ্গাল ভালো লাংগল চালায়, নির্বাসনের মালা গলায় গেরুয়া

উন্মাদ লাঙ্গল ভীষণ হাতড়ে ফেরে আস্চর্য প্রদীপ

কত নদী জ়ল, কত ফুল ফল, কত জঙ্গল ,কত শতদল বিহবল মন হরনিয়া

লাঙ্গল আবাদ করবে তোমার বদ্বীপ!

ঠাপাঠাপি হবে, চুদাচুদি হবে, মাইর হবে, হবে আদিম হিসাব নিকাশ

ইশ্বরের স্বচ্ছতম দিঘীতে তখন নিস্চিন্তে সাতার কাটছে যে হাঁস

সে তো জ়ানে না কবেকার পৃথিবির কার কার মাতাল নিষিদ্ধ সংগমে

সে জন্মাবে আশাপুরানিয়া জ্বিন হয়ে আশাভাসানিয়া ধরাধামে!

তোমার জঙ্গলে ধীরে ধীরে আসে জল, আসে ঢল, নামে গাঢ় অন্ধকার,

আমি ভেসে যাই ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের ডাকে বাড়ে শেয়ালের হুংকার

রাতের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে তোমার বন্য শীটকার কানে এসে বাজে,

চোখে্র তারা জুড়ে জোনাকির আলো জ্বলে আর নিভে, মাঝে মাঝে



এই যে তুমি হৃদমাঝারি প্রনয়ধারী, তোমার শরীর , শরীরজোড়া ঐশ্বর্য

এই যে আমি আলাদিন, ভিখারী, কি করে তার একটা প্রদীপ হল আস্চর্য??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.