কুঞ্জ পথে ছখী কেহসে যাও আব

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

নিগুর করে,শক্ত করে বাঁধো তোমার ঝুঁটি,
প্রান কেন যে এমন করে উছলে পড়ে মুঠি??
বেন্ধে রাখো সকল রাত্রি লাল ফিতারই আচ্ছাদনে
বাছাধনে ডাকো, জীবন যে কেন বাঁধা এমন পিছুটানে!
উড়তে গেলে পৃথিবী ডাকে, নামতে গেলে আকাশ
স্তনের দিকে তাকালে বলে কেন এমন বদনজরে তাকাস!
অথচ আকাশ মানে তো চিবুক ছিল, পৃথিবী মানে কোমর
দৃষ্টিসীমা খুঁজে পাইনি তাই ভেবেছি নিরাপদ মাঝ বরাবর!
পিছুটানের দৌরাত্ম নেই সাগর অকপট
আকাশ পৃথিবী এক হয়েছে, পাহাড় হয়েছে প্রকট!

তেরলক্ষকাটায় বাঁধো চুলের খোঁপা
প্রতি কাঁটায় একটা কথা একটা ব্যথা।
স্তরে স্তরে পাহাড়া বসিয়ে গহীনে গেঁথে রাখো স্মৃতি
কেও যেন না জানতে পারে স্তন টেপাটেপি, মিতি
বিষাদমাখা এই জীবনে ওইটুকু যা সুখ
পাব্লিক লাইব্রেরীতে বইয়ের আড়ালে দুধ খেয়েছিলাম চুকচুক!
দাঁত বসিয়ে স্তনের মেদে আঘাত যত দিয়েছিলাম
তার কিছুটা নতুন করে আজ মনে করাতে এলাম!
চুলের খোঁপায় গেঁথে রাখো সকল আড়াল
হৃদয় জুড়ে মিউ ডাকে কে?
আর কেও নয়,আর কেউ না, আমিই তো সে
এই যে এলাম আমি তোমার পোষা বেড়াল!

আলতো ভোরের তরুণী রোদ জিরোয় তোমার বেণীজুড়ে
আমার কিন্তু ইচ্ছে ছিল হবই হব এক ভবঘুরে!
ইচ্ছে ছিল বেভুল হব মাঝি ছেলের মতিগতি
যখন তখন উঠবো গেয়ে ভরাট কণ্ঠে লালন গীতি।
কামছাড়া প্রেম যথাতথা , প্রেম হয়েছে কামের লতা
ও বেণী ,ও বেণী, তুমি বৃক্ষ নাকি কলমী লতা?
রোদ এসে কি জিরোয় তোমার নিখুঁত গাঁথুনিতে
ইচ্ছে ছিল হব এমন মানুষ যার শিরা ধমনীতে
নাচে রক্তেরা, নাচে ভক্তেরা , নেচে উঠে সকাল
যার এক বিন্দু জলের ফোঁটায় কেঁপে উঠে ত্রিকাল।
আজ শিশ্নের ঘুম ভাঙাল সাপের ফনা তোমার বেণী,
কাঁপে মহাকাল, জল বেসামাল, কেঁপে উঠে ত্রিবেণী ।

আজকে আমি খুলেই নেব জীবন মৃত্যু,ঝুটি-খোঁপা-বেণী,
এই রজনী মাতাল করবে শীৎকারের ধ্বনি,
তুমি এসো, পাশে বস, মাথায় রাখো হাত,
আচ্ছা আমার কি জ্বর বাড়ছে? নাকি উত্তপ্ত এ রাত??
সেসব কথা বাকি থাকুক অনাবিষ্কৃত গুহার
কতটা গভীরে খনন করেছিল সুলেমানী তরোয়ার।
কতটা গভীরে জল ছিল তার, সুগভীর নলকূপ ,
রক্তমাখা লাজে আবীরে কত রাঙা ছিল মুখ!
যে মুখ বলল সম্মোহনের সুরে ফাটিয়ে দাও এ যোনি
আহ উহ ইশ শীৎকারে তখনও ছন্দে দুলছে ঝুটি-খোঁপা আর বেণী!

০ টি +০/-০