![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বা স্তন
গত একুশ বছরে আমি প্রায় ১৭০০ বার চুল কাটিয়েছি, পনেরশ বার নখ
সতের কোটি ছয়ষটটি লক্ষ্য ষোলশ বার ফেলেছি চোখের পলক!
মিনার তোরণ থেকে যেইভাবে একসাথে মাটিতে পড়ে পাথর ও পালক
সেই আগ্রহে চেয়ে থেকেছি সকাতরে একমিনিটে কতবার দোলে নাকের ও নোলক?
এক বসন্তে কতবার পাল্টে সন্ধ্যাপ্রদীপ কপালের টিপ
কার অঙ্গুলি কেটে কে পড়ায় এই কপালে রাজার তিলক
একুশ বছর কাটল অথচ একবারও
যেভাবে ছাটি বছর বছর গোলাপের ঝাড়, আমের চারা, কাঁঠালের গাছ
নতুন করে বাড়বে বলে, নতুন অনলে পুড়বে বলে
গেটফুলগুলো ওপেন্টি বাইস্কুপ নাইন টেন টেলস্কুপ বলে নৌকার গলুই ছাইবে বলে,
সেভাবে ছাটিনি হৃদয় কভু কখনও, যেন ছেয়ে যায় নতুন মুকুলে।
ভেবেছিলাম একুশ বছরে হয়তো একটু একটু বেড়ে
এ হৃদয় এ শরীর ছেয়ে যাবে একেবারে ।
তারপর আমার শরীর মানেই আস্ত একটা হৃদয়
আট কুঠুরি নয় দরজা বর্ণস্পর্শস্বাদগন্ধময়!
হায়রে হৃদয়, একুশ বছরে একটুও বাড়লেনা!
যায় যায় রে হৃদয় , জল বহায় রে হৃদয়
হৃদয় আমার! গ্রহন করো এ করুনা!
হৃদয় যেন একবিন্দু অসাবধানী চোখের জলের মত
যার মানে, আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে গহীন ক্ষত!
এ জল ঝরে না আকাশ হতে , সরোবরে করে না টলমল
এ জলে উঠে না মাটি ভেদ করে, আঁখি জুড়ে করে ছলছল ।
এ জল এমনই লম্পট
একটুখানি আদর পেলেই হাত ধরে দেয় চম্পট!
এ জল ঝরে কলকল সুরে আর নাচে
পানপাত্রে বজ্র যেমন আর রঙিন মাছে।
এ জল যেন দ্রাক্ষার দেহ দলিত করে গলিত এক রঙিন আগুন
এক বিন্দু অশ্রুসমান জল আমার, হৃদয় আমার,
বয়স তো অনেক হল, এবার একটু হাসুন, বাঁচুন, নাচুন, বেড়ে উঠুন!
,
শুধু শরীর বাড়ে ক্রমাগত, জল বাড়ে পাল্লা দিয়ে অবিরত
এ হৃদয় চিরশান্ত চিরস্থির, চুল বাড়ে , নখ বাড়ে,
জ্বালা যন্ত্রনা হাহুতাশ আর প্রতিমুহূর্তে মৃত্যু বাড়ে
পনের ইঞ্চি বাই নয় ইঞ্চির আজন্ম কৈশোর
হৃদয় আমার আর বাড়ে না ,হৃদয় আমার এমন স্বার্থপর!
ডান স্তন
যেইভাবে শস্যের খেতে আলোর ফাঁদে ধরা দেয় পোকারা
রুপ্যোজিবীনির রুপের দাঁতে ধরা দেয় খোকারা
ফুলেদের গায়ে দেয়া টোকাই এর টোকারা
সেইভাবে ঠিক তোমার বাড়ি আসি,
ভালোবাসি বলেছিলাম এগার বছর আগে
ওসব এখন বাসি।
যদি জিজ্ঞেস কর এতদিন পর এলে কি খাব
চা না কফি? তোমার হাতের গরম জিলাপি?
এই প্রশ্নের উত্তর পালটেনি
আমি এখনও কাঙ্খিত চুমুভোজী!
এগার বছরে পাল্টেছে কতকিছু
তুমি এখন পড়ো না আর কামিজ আর সালোয়ার
মুছে ফেলেছ অতীত চুমুর স্মৃতি
গলা জুড়ে পরানো চুমুর হার!
বুক পাঁজরে দুঃখ জমাট আছে ,স্তরে স্তরে জমে যেমন ধুলা
বুক খুলে কি আর দেখাবে না, তোমার বুকে আমার চুমুগুলা?
হৃদপিণ্ডের পাহারাদার তুমি, আজ সামলাও অন্য বাড়ির চুলা
রানতে বইসা কক্ষনো কি ভুলে, আমার কথা ভাবো রে বেহুলা?
খাদ্যস্তরে পাল্টেছি অবস্থান, এখন আমি নিচুস্তরের খাদক
রাক্ষুসে সব প্রাণীরা অবিরত, পৃথিবীমত আমার পরিব্রাজক!
যে আমাকে চুমুর দোষারোপে নাম দিয়েছিলে মাংসাশী প্রাণী বলে
তৃণভোজী হব কথা দিয়েছিলাম তোমার ঠোঁটে ঘাসের আবাদ হলে!
এতদিন পড়ে ভুলেই গেছ সব??
তোমার ঠোঁটে আমার করা চুমুর মহোৎসব!
এগার বছর বাদে এই যে এলেম তোমার দারে
বয়স বাড়ছে, চা কফি আর রোচেনা একেবারে!
একটু এদিক সেদিক হলেই ব্লাড প্রেসারের ধাক্কা
হৃদরোগের ঔষধগুলোও অই চুমুতেই আটকা!
খালি হাতে কি ফিরাবা বেহুলা??
আমায় চুমুভোজী করে তুমি কেন অন্যের হলা!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫০
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: কি হল??!!
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬
বাউল আলমগী সরকার বলেছেন: :-&
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: :/
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯
খেলাঘর বলেছেন:
ধুর