![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
তোমার মুখছবি সমুদ্রের পথে মৌন এবং রাত্রির প্রতি অবিকল
দূরগামী বাসের জানালার পাশের সিটের মত অবিচল ।
প্রার্থনার কাছে গৌণ—সন্ধ্যার সাথে সতের কিলোমিটার
নদীর কাছে নিরুত্তাপ অথচ শিশুর কাছে দুগ্ধবতী ফিডার!
প্রেমিকের কাছে যৌন আর বৃষ্টির কাছে রিমঝিম
জড়তার শেষে স্থবির—অনন্তের আড়ালে অসীম ।
তবুও প্রখরতার তুলনায় মহান—দুপুরবেলায় শুষ্ক, আজরাইল অথবা ভিক্টোরিয়া সেকেন্ড
যাবতীয় ডিসেম্বর নিয়ে আমার প্রতি তোমার প্রেম চৌদ্দ মাইল ছয়শ সেকেন্ড ।
এবং প্রতিটি দশ মিনিটের এক রাউন্ড সংগম শেষে আমি ক্লান্ত জোস্না
মুখরিত আতরের মত শুঁকে যাই বাতাসে ভেসে বেরানো শীৎকারের ঘ্রান, উফ...ইশ......আহ!
২
এমন জোড়ে শ্বাস নিতে নেই বুক যে কেঁপে উঠে
তোমার বুক কাঁপলে পড়ে যুগল শ্বেতপদ্ম ফুটে!
অসাবধানী থাকো যদি বেহায়া হাওয়া আসে
সলজ্জ তাকাতেই হাসে যুগল রাজহাঁসে!
বুক খুলে দেখাও যদি কেঁপেই উঠি ত্রাসে
হৃদপিণ্ড অস্থির হয় ফাঁস লাগা হাঁসফাঁসে!
দুহাতে তোমার চোখ মুদে দিয়ে দশ আঙুলে যদি ছুঁই
আঠার হাজার মাখলুকাতমিথ্যে লাগে, সত্যি শুধুই জুঁই!
ঠোঁট যদি আসে অনুমতিহীন আবদারী হতে নেমে
তোমার উপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটকে কামড়ে ধরে প্রবল প্রেমে!
জুঁই বকুলকে নিংড়ে নিতে আর যদি লাগে দাঁত
কতক্ষণ আর সামলে রাখা যায় এভাবে বল বাধন হারানো বাধ।
এতক্ষণ যারে সামলে ছিলে সতর্কিতে
হঠাত করে সেই যায় খুলে অতর্কিতে ,
স্তনের মেদে জেগে উঠে রোষ, খুশিতে তুমি আত্মহারা
দশ আঙুলে চেপে ধর পৌরুষ, নাচতে যে প্রায় পাগলপারা!
যোনির ঠোঁটেরা সতর্ক পাহারায় তুমি তারে রাখ বেঁধে
উহহ আহ আহ করতে করতে প্রায় যেন ফেলে কেঁদে!
৩
চায়ের কাপে বেঁচে যাওয়া শেষ মোহন চিনির দানার মত
তোমায় আমি গেলে ফেলব সমসত্ব মিশ্রণে,
অপরিচিতা তুমিই এখন আজন্ম চিনির মত
ভর দুপুরে, মাঝ রাত্তিরে সংযমে,সংগমে,উত্থানে পতনে।
তোমায় আমি মেখে নেব সকালে শেভিং ফোমের মত
খুরের ক্রোধে প্রতিশোধে কেটে যায় যদি গাল
তোমায় আমি দেখে নেব রাত্রি উদযাপনের মত
স্তনের মেদে মেখে দেব দাঁত বসানো লাল।
তোমায় আমি গলিয়ে দেব নিম্ন গলনাংক মোমের মত
মুগ্ধতায় বশ হয়ে যাওয়া নিতান্ত নিভৃত এ শরীর
উষ্ণতা পাচার হবে প্রবল চোরাচালানের মত
ঠোঁটের উপর ঠোঁট বসে চির সমুন্নত প্রাচীর!
তোমায় আমি পিষে ফেলব কালো ঘোড়ার খুড়ের নিচে
নির্মম আদর চাবুক চলবে শাই শাই শাই শাই,
এই রাত্রি মুখরিত হবে তোমার দ্রাক্ষা রসে ভিজে
পিপাসা কাতর আমি যদি যমযম কূপ পাই!
শীৎকার কি কবিতা জানে? শীৎকার জানে ছড়া?
শীৎকার জানে আমায় ভেঙে নিবিড় করে গড়া।
শীৎকার সুরে বল তুমি ঠাণ্ডা হচ্ছে চা তোর
অথচ আমি চা কফি না, চাঁদ পিপাসায় কাতর!
শুনেছি কোথাও, শুনেছি কোথাও এমন কথা আগে,
ভুলেই গেলাম তোমার উফফ…ইশ………আস্তে……উচ্চরাগে।
রাগসঙ্গীত ভাল বুঝি না, তোমায় কতটা বুঝি,
তোমায় খুলে, দলেমলে, তোমার ভেতর তুমিকে খুঁজি!
শাড়ি শায়া আর ব্লাউজের আড়ালে শীৎকারে মুখরিত
চামড়াও আজ খুলে ফেল দেখি কতটা উত্তেজিত,
আমার আমিকে করে চলেছ ক্রমাগত উত্থিত
এই তুমি কি সেই? যে আমার পরিচিত!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: পঠন এবং মন্তব্যে উৎসাহিত বোধ করছি!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রথম দুটোও ভালো হয়েছে, তবে তৃতীয়টার শেষে এসে একটা আক্ষেপের সুর আছে, যা তৃতীয়টা একটু অন্য মাত্রা দিয়েছে। ভালোবাসার একটা সূক্ষ্ম অভিনয় শেষে এসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দৈহিক সম্পর্কের বেলায় যা হয় সবই হয়েছে কিন্তু কোথাও যেন একটু ছন্দপতন লক্ষণীয়। তাইতো উচ্চারিত হয়েছে,
//এই তুমি কি সেই? যে আমার পরিচিত! //
কবিতার রোমান্স, কবিতার বাক্য বিন্যাস এবং রোমান্টিকতা সবই ভালো লাগলো।