![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
বিয়ের আগে রাতে টিউশনি করাতাম
আর বিকেলে ওকে নিয়ে ঘুরতাম,আমি
না মাসুম।
ঘুরাঘুরি করতে করতে যখন কোন কোন
দিন শপিং মলে যেত ওরা তখন মাসুম
পুন্নীকে দামী কোন কসমেটিকস বা
জামা-কাপড় কিনে চাইলে পুন্নী
বলতো "থাক বাবু,আমার এত টাকা
দামের জিনিস লাগবে না।টাকাটা
দিয়ে বড়ং তুমি দুধ,ডিম খেয়ও।যে কষ্ট
করে তুমি টিউশনি করাও!!!"
মাসুমের চোখে পানির ফোটা টলমল
করতো। ভাবতো,"আহা,এমন লক্ষি মেয়ে
কজন ছেলের কপালে জোটে।"
,
অবশ্য পুন্নীও মধ্যবিত্ত, না নিম্নমধ্যবিত্ত
বললেই জুতসই হবে,ঘরের মেয়ে।
,
মাসের প্রথমে পকেট গরম থাকায় মাসুম
পুন্নীকে নিয়ে ভালো কোন
রেস্টুরেন্টে যেতে চাইলে পুন্নী
বলতো, "আমি রেস্টুরেন্টে খাবো না।
চলো পাচ টাকা দিয়ে উদ্দ্যানের
পাশের চিতই পিঠা কালোজিরা আর
সজের বাটা দিয়ে খাই।খুব টেস্ট!!"
মাসুম অবাক হয়ে ভাবতো, পুন্নী কি
আমাকে করুনা করছে নাকি ও
সমরেশের মাধবুলতা বা শরৎএর ললনা
হয়ে আমাকে ভালোবাসার
আলিঙ্গনে চেপে ধরছে।
,
বার্গারের স্বাদে চিতই পিঠা খেতে
খেতে মাসুমকে বলতো, "শুনো চশমিশ
কানা,যে টাকা বাচিয়ে দিলাম
সেইটা দিয়ে বেশি করে ছোট মাছ
আর শাক কিনে খাবে।চশমার যে
পাওয়ার কবে যে পুরা অন্ধ হয়ে যাবে
কে জানে।"
মাসুম এর উত্তরে কিচ্ছু বলতে পারতো
না শুধু আলতো ভালোবাসার পরশে
পুন্নীর গালটা ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে
করতো কিন্তু জায়গাটা পাব্লিক
প্লেস হওয়ায় ইচ্ছাটা চেপে রাখতে
হয়।
,
বিশেষ কোন উৎসবে কোন পার্কের
ভিতর সময় কাটাতে চাইলে পুন্নী
বলতো,"কি দরকার ভিতরে ঢুকার।মানুষে
গিজগিজ করছে ভিতর। না পারবো
তোমার সাথে মন খুলে দুটো কথা
বলতে না পারবে তুমি আমায় আদর
করতে।এর থেকে চলো রেললাইন ধরে
হেটে নির্জন কোন জায়গায় যেয়ে
দুজনে গোধূলি দেখি,সপ্ন দেখি
আমাদের শুকতারা ময় সোনালী
প্রভাতের।"
,
রোবটের মত মাসুম পুন্নীর পিছে পিছে
যেত।পুন্নী দেখতো গোধূলি আর মাসুম
দেখতো গালের এক পাশে লুটিয়ে
থাকা চুলের ফাঁক দিয়ে পুন্নী কে।
.
হঠাৎ পুন্নী বলতো, "বিয়ের পর কিন্তু বড়
কোন চাকরি করে আমার সব আশা
মেটাতে হবে।"
দুজনেই হেসে উঠতো।মাসুম আনমনে
ভাবতো যে মেয়ে এত অল্পতেই সন্তুষ্ট
সে মেয়ের আশাই বা আর কতটুকু হতে
পারে!!!
,
কিন্তু ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পরই যে
মুষলধারার সৃষ্টি, মাসুম মনে হয় সেটা
বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলো।
,
মাসুমের আয়কর বিভাগে চাকরি হওয়ার
তিন মাসের মাথায় দুই পরিবারের
সম্মতি তে ওদের বিয়ে হয়।
গভীর রাত পর্যন্ত জোসনা দেখা,তারা
গুনার প্রতিযোগিতা, খাবার নিয়ে
বসে থাকা সত্ত্বেও মাসুমের ঠিক
সময়ে না আশায় পুন্নীর অভিমান সহ
ভালোবাসার দোলনায় চেপে ওরা
দুলছিল বেশ কিছুদিন। অশান্তির হাওয়া
যেন ওদের স্পর্শই করতে পারবে না এরকম
বিশ্বাস জন্মেছিল ওদের মনে।কিন্তু
বাস্তবতা কি তাই মেনে নিবে???
,
যে পুন্নী আগে লিপিস্টিক নিতো না
সে এখন দুইহাজার টাকা দামের
লিপিস্টিকের প্রলেপ দেয় ঠোটে!
একশ টাকার নেইল পালিশেই যে সন্তুষ্ট
থাকতো তার এখন আটশ টাকা দামের
নেইলপালিশ হাতে পায়ে না
লাগালে চলেই না!
ব্রান্ডের জামা-কাপড় না পড়লে উপর
নিচ ফ্লাটের ভাবিদের সাথে চলতে
প্রস্টিজে বাধে!!!
এখন রেললাইন এর ধারে গোধূলী
দেখার চেয়ে ভিতরের পরিবেশ টাই
পুন্নীর কাছে বেশি স্মার্ট আর আধুনিক
মনে হয়!
,
পুন্নীর এসব আবদার মেটাতে বা ওর কাছ
থেকে আগের মত ভালোবাসা পেতে
মাসুমের বেতনে কুলায় না।
মাঝেমাঝে নিষ্ঠাবান মাসুম
দুর্নীতির বিষ্ঠায় পা দেয়।হয়ে যায়
আয়কর বিভাগ দুর্নীতিময়,সততার হয়
পরাজয়। সংসারে অসৎ টাকা প্রবেশ
করায় অশান্তির হাওয়াও মৃদু মৃদু বইতে
থাকে।এই মৃদু হাওয়ার বেগটা যে শেষ
পর্যন্ত কতটুকু হয় তা না হয় অনুমান
করুন.........।
_____________________________________
আমি বলছি না মেয়েদের জন্যেই সব পুরুষ
এসব কাজ করে।বিয়ের কয়েক বছর পরই বউ
এর হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা
টাকে জিন্দা করতেই হঠাৎ হঠাৎ দামি
কোন সারপ্রাইজ এর ব্যয় বহন করতেই
পুরুষের এই পন্থা হতে পারে।
হয়তবা পুরুষেরাও ব্যস্তাতায়
ভালোবাসার চাদর টাকে মেলে
দিতে পারে না প্রানপ্রিয় বউটার উপর
ঠিক ভাবে।কিন্তু এই ব্যস্ততা কার
জন্যে সেটা তো বুঝতে হবে.......।
,
আরেকটা কথা,
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, হঠাৎ করে
চাওয়ামাত্র পাওয়া, মোটামোটি
টাকার প্রতুলতাই যেকোন নিম্ন
মধ্যবিত্ত ছেলে-মেয়ে কে পরিবর্তন
করতে পারে।এটা সময়ের ব্যাপার
মাত্র।এরকম পরিবর্তন চোখের সামনে
বহুত ঘটেছে।
ভালোবাসাময় হোক সবার দাম্পত্য
জীবন।
লেখাঃ http://www.facebook.com/venus.vasper
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
আহলান বলেছেন: হ তাই তো .... সবই তার ইচ্চা ...
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
venus বলেছেন: মোরে একখান বিয়া করাইয়া দেন
আমি ও সুখি দাম্পত্য বানামু
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
venus বলেছেন: এত ইচ্ছা তো ভালা না
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভালোবাসাময় হোক সবার দাম্পত্য
জীবন। আমি ও তাই চাই।