নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

venus

সুন্দর চেহারা না থাকলেও সুন্দর একটা মন ছে যা দিয়ে জীবনটা গোধূলীর মত বর্নিল করতে চাই।

venus › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের কত কষ্ট......

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

গল্পঃ শুভলগ্ন.....
____________________
__"ছেলেদের গালও এত তুলতুলে হয়,এত
মায়াবী হয় চোখগুলি!!! ঝুটনকে না
দেখলে সত্যিই আমি কখনো জানতাম
না।"
,
কোরাল পিংক কালারের লেহেঙ্গা
পরিহীতা ইন্দ্রা বধূ সেজে হবু বরের রুপ
প্রশংসা করছিলো সাথে থাকা
কাজিন আর বান্ধুবীদের কাছে।
বর পক্ষের আসতে দেরি হওয়ায় কিছুটা
শঙ্কাও দানা বাধছিলো মনে।পরক্ষনেই
তা মরুভুমির রাতের মত শীতল করে
দিচ্ছিলো রোমান্থন স্মৃতিময় পিছনের
দিনগুলি।
মনে পড়ে গতবছরের ভ্যালেন্টাইন
দিনটির কথা....
,
(ফ্লাশব্যাক)
চার পাপড়ির দুর্বল, পুষ্টিহীনতায় ভুগা
একটা ছোট গোলাপ ফুল ইন্দ্রার সামনে
ধরে ঝুটন মাথা নিচু করে কিছুটা
হাপাতে হাপাতে বলে,
__"গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং ছিলো।
পাশের দোকানে গিয়ে দেখি সব
গোলাপ শেষ!পরে এই গোলাপটাই পাই।
কিন্তু রিক্সার প্রচন্ড ঝাঁকিতে এটারও
অর্ধেক পাপঁড়ি পড়ে গেছে... সরি
বাবু।"
ইন্দ্রার চেহারায় ফুটে উঠে বিষন্ন
বিকেলের ম্লান আভা।
__ঝুটন, আমি কোন ফর্মালিটি চাই না।
আমি চাই শুধু আমার হাত দুটি তোমার
হাতের মধ্যে গভীর বিশ্বাসে
নিপীড়িত হোক,অটুট ভালোবাসায়
নিষ্পেষিত হোক।শক্ত হোক দু'জনের
মধ্যাকার বাধন,মূল্যবান চাওয়া
পাওয়ার দ্বারা।
ঝুটন ইন্দ্রার হাতটা শক্ত করে ধরে।
ইন্দ্রাও ওর মাথাটা গুঁজে দেয় ঝুটনের
বুকে।দুজনের শরীর যেন হয়ে যায়
প্রানহীন,স্পন্দনহীন।ওদের ভালোবাসা
আগ্নেয়গিরির মত টগবগ করতে থাকে।
বরফের মত সময় গলে যায় ওদের......।
,
ওদের পরিচয়ের গল্পটা উহ্যই থাক।ঝুটন
মোটামুটি একটা চাকরি করে, ইন্দ্রা
অনার্স ফাইনাল ইয়ার।
প্রনয়ের গভীরতায় ওরা যখন অকূল
দরিয়ায় ভাসতে থাকে তখন দু'জনের
পরিবার বিয়ের মাধ্যমে ওদের তীরে
ভিড়াতে চায়।বিয়ের লগ্নও ঠিক হয়।
কিন্তু বিয়ের দিন ইন্দ্রার ঠাকুরমা
মারা যায়।মৃতবাড়িতে বিয়ে
কিভাবে শুদ্ধ হয়।
হিন্দু বিবাহ অনুযায়ি ভালো লগ্নও
আসে না সব সময়।ফলে পিছিয়ে যায়
ওদের বিয়ে।
,
শোক কাটিয়ে উঠার পর ওদের
ভালোবাসা আরো পরিণত হয়। কাছে
থাকার আকুলতা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
নিজেকে কলংকিত ভেবে ইন্দ্রা
ঝুটনের কাছে ছোট হয়ে থাকে।
বুঝতে পেরে ঝুটন বলে,
__ইন্দ্রা,প্রথম যেদিন তোমাকে
দেখেছিলাম সেদিনই আমি ভস্মীভূত
হয়েছি তোমার ঐ হাসিতে।
ভালোবেসে ফেলেছি তোমার
ভেজা ঠোট কে।বন্য হয়ে যাই তোমার
অনুপস্থিতিতে।
ঝুটনের ঠোটে আঙ্গুল দিয়ে করুন চোখে
ইন্দ্রা বলে,
__পারবো কি শুকতারা হয়ে শেষ প্রহর
পর্যন্ত আমার আভায় তোমাকে নিষ্পাপ
রাখতে?!
,
শুভ লগ্ন দেখে এবার বিয়ের দিন ঠিক
ঠিক,বাধ সাজে ইন্দ্রার ফাইনাল
পরীক্ষা। জেদি মেয়ে ইন্দ্রার কাছে
বিয়ের থেকে পড়ালেখাটাই গুরুত্বপূর্ণ
বেশি।ওর মিনতিতে বিয়েটা
পিছাতে বাধ্য হয় ঝুটন।

"ওদের বিয়ে কি হবে শেষ
পর্যন্ত????"কোটি টাকার প্রশ্ন পাঠকের
কাছে,লেখক চিন্তিত!

মজা করে ইন্দ্রা বলে,
__ভালোই হলো, আরেকবছর চুটিয়ে
প্রেম করতে পারবো।বিয়ের পর তো আর
এভাবে ভালোবাসবে না,তা আমার
জানা।
কোলে মাথা রেখে ঝুটন বলে,
__ইন্দ্রা,তুমি হচ্ছো আমার প্রানের
আরাম,মনের আনন্দ,আত্নার শান্তি।তুমি
আমার আলিঙ্গনে সকল অঙ্গ ভরে
থাকবে অনন্ত কাল।
ঝুটনের তুলতুলে গালটা টেনে ইন্দ্রা
বলে,
__জানো ঝুটন,তোমার এই গালটা না
আমার খুব পচ্ছন্দের।
মুখটা আরেকটু নিচু করে ইন্দ্রা বলতেই
থাকে,
__মনে হয় এখনি একটা ভালোবাসার
চিহ্ন এঁকে দেই....
ঝুটন গালটা ইন্দ্রার ঠোটের সামনে
নিয়ে গিয়ে বলে,
__ বান্দার গাল হাজির,তাড়াতাড়ি
কাজটা সেরে ফেলুন!
__যাহ,অসভ্য কোথাকার। ওটা বাসর ঘরে
সুদে আসলে দিবো।
,
(বর্তমান)
__ইন্দ্রা,ঝুটনের বাবা মৃতপ্রায়।
হাসপাতালে সবাই.....।
মায়ের ডাকটা যেন মহাসিন্ধুর ওপার
থেকে আসলো। সংবিৎ ফিরে পায়
ইন্দ্রা।সাজঘর থেকে লেহেঙ্গা পড়েই
ছুটে যায় হাসপাতালে।
,
প্রচন্ড গরমে শ্বাসকষ্টে রাত ১১টায়
মারা যায় ঝুটনের বাবা।বলুন,এই
অবস্তায় কি বিয়ে সম্ভব।
,
মাসখানেক পর ইন্দ্রা কেঁদে বলে,
__"মা,অপয়া কি আমি নাকি লগ্ন!"
আবার কবে শুভ লগ্ন আসবে,রীতি
ভেঙ্গে কিছু করাও তো যায় না।আর
কতবার বিয়ে পিছাবে।
কামনার স্রোতে যে ওরা কুড়ে কুড়ে
মরছে।
ওদের বাবা মা বুঝতে পারে ওদের কষ্ট।
তাই শেষে বাধ্য হয়ে ওদের আশীর্বাদ
দেয়,
__ যা,পালিয়ে যা......!!!
____________________________
ফিক্সড কিছুদিনের ভালোবাসা
মাথা নত করতে বাধ্য বাবা-মায়ের
অন্তহীন আশীর্বাদ সূচক ভালোবাসার
কাছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: খুবই আপসোসের ব্যাপার। আমার বিয়েরদিন মর্নিং থেকে উপবাস থাকতে হবে সারাদিন প্রায় সারারাত। রাত চারটায় বিয়ের লগ্ন। বিয়েতে সময় লাগবে কমপক্ষে তিন চার ঘন্টা । ভাগ্যক্রমে ঐদিন একাডেমিতে ছিল আমার সঙ্গীত পরীক্ষ। ঐ উছিলায় চলে গেলাম শহরে । সুযোগের সদ্ব্যবহার করলাম। হোটেলে বসে মেরে দিলাম মাংসভাত। হাঁ হাঁ হাঁ ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.