![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এক প্রতিবেশী ফুফুর বিয়ে
হয়েছিলো সম্ভান্ত্র এলাকায়।
সেখানে নাকি কারো বাড়িতে
মেহমান হিসেবে গেলে শার্ট প্যান্ট
পড়ে সাহেব হয়ে যেতে হয়!কিন্তু
সমস্যা বাধলো ফুফুর এক কৃষক ভাই
(সম্পর্কে আমার চাচা) কে নিয়ে।
বাড়িতে কেও না থাকায় একবার
ফুফুকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনার
দ্বায়িত্ব পড়লো ঐ কৃষক চাচার উপর। বলা
বাহুল্য,ফুফুর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় যে
শার্ট প্যান্ট পড়ে যেতে হবে তা
জানা ছিলো না ফুফুর বাপের বাড়ির
লোকদের।তাই যথারীতি ঐ কৃষক চাচা
ভালো একটা লুঙ্গী -শার্ট পড়ে, হাতে
মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির হয় ফুফুর
শ্বশুরবাড়ি।
উনাকে দেখেই তো ফুফুর শ্বাশুড়ী নাক
ছিটকাতে থাকে।তারপরেও কুটুম বলে
আদর যত্নি করে।চাচা যখন ফুফুকে বাড়ি
নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তখন ফুফুর
শ্বাশুড়ী বিদ্রুপ আর অহংকারী এক
হাসি দিয়ে চাচাকে বলে,"কী যে
বলেন না তাঐ (তালোই), আপনি যে
পোশাকে আসছেন আমার বাড়ি
তাতেই আমার ইজ্জত শেষ। তার উপর
আপনার সাথে যদি বউমা কে পাঠাই
এলাকায় আর মুখ দেখাতে পারবো না।"
পোশাকের জন্যে এমন কাহিনী!!!
সহজ সরল চাচা পান খাওয়া মুখে একটা
হাসি দেয়।ভিতর থেকে ফুফু মনে হয়
আঁচলে চোখ মুছে।
এটা কি অতি সুখ আর সম্ভান্ত্র রাজ্যে
বিয়ে হওয়ার আনন্দে চোখ মুছা নাকি
অপমানে।
কথায় আছে,"বেশি ভালোবাসা বা
আদর কখনো কখনও বিরক্ত বা কষ্টের হয়।"
ফুফুর বুঝি তাই হলো।
যাইহোক, পরে ঐ চাচা শুধু তার বোনের
শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্যেই একটা শার্ট
প্যান্ট বানিয়েছিলো!
কথা হচ্ছে
সেদিন শুনলাম বসুন্ধরা শপিং
কমপ্লেক্সে নাকি একলোক লুঙ্গী পড়ে
ভিতরে ঢুকতে চাচ্ছিলো কেনাকাটা করতে।কিন্তু
গার্ডরা তাকে তাড়িয়ে দেয়
(হয়তোবা ভিক্ষুক ভেবে কিন্তু লোকটা
আদৌ তা ছিলো না)।
অদ্ভুত!
নিজের টাকায় মার্কেট করবো তাও
আবার জমিদার সেজে আসতে হবে।
দুইদিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন!
শুধু বসুন্ধরা না,ঢাকার অনেক অভিজাত,
নামিদামী মার্কেটেই এরকম অবস্তা।
লুঙি পড়া উসকো খুসকো চুলওয়ালা সব
মানুষই কি ভিক্ষুক? গরীব দের কি ইচ্ছা
নেই একটা ইদ শপিং কোন ভালো
মার্কেট থেকে করার? নাকি জীবন ভর
তারা ঐ ফুটপাত থেকেই ঈদের
কেনাকাটা করবে?
এটা কি দেশ এগিয়ে যাওয়ার সুফল
নাকি গরীব কে আরো গরীব
বানানোর পায়তারা?
শেখ সাদির যুগ কি এখনো শেষ হয়
নি.....???
২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
venus বলেছেন: এই দুঃখে এবার মার্কেটই করতে মন চাচ্ছে না
২| ২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
তারেক ভূঁঞা বলেছেন: আমরা মানুষ হতে পারি নি।
আমাদের ভর্তি হতে হবে মানুষ গড়ার স্কুলে।
২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০০
venus বলেছেন: স্কুলের টিচারগুলিও তো চাঁদে হাটে,তাদের দৃষ্টি উপরের দিকে।
আমরা সাধারনরা বঞ্চিতই হতে থাকি....
৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পোশাক দেখে এখনো আমরা মানুষ বিচার করি। এটা আসলেই অন্যায়।
২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪
venus বলেছেন: অন্যায় তো অবশ্যই.... টাকা হলেই কেন যে আমাদের চোখ উপরে উঠে যায় আল্লাহ্ই জানে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: সমাজ এখনো পোশাক দেখে মানুষের বিচার করতে অভ্যস্ত।সত্যিই এটা দুঃখজনক ঘটনা