নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

venus

সুন্দর চেহারা না থাকলেও সুন্দর একটা মন ছে যা দিয়ে জীবনটা গোধূলীর মত বর্নিল করতে চাই।

venus › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূন্যতম ধার্মিক প্রজন্ম কি পাবো আমরা ভবিষ্যৎ এ???

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

মেয়ে মাকে বলছে,"সবাই টপ জিন্স
পড়ে আর আমি কিনতে চাইলেই নানান
বাহানা।আমাকে এবার কিনে দিতেই
হবে!"
স্ত্রী স্বামী কে বলছে,"পরিচিত সব ভাবীরা বোরকা ছাড়াই শপিং এ
যায় আমি গেলেই তোমার গা জ্বলে। সারাজীবন গ্রাম্য করেই রাখলা আমাকে!"

এ তো গেলো এক শ্রেণী আধুনিক মেয়েদের কথা।আসুন ছেলেরা কি বলে শুনি।
"দুনিয়া সুদ্ধ লোক পূজা মন্ডপে যায়,প্রসাদ খায় তখন কিছু বলতে পারো না আর আমি একটু গেলেই এত এত গুনাহ
হয়!"
"সব বন্ধুরা পার্টিতে ড্রিংকস করে, তাদের বাবা-মা কিছু বলে না আর আমি এক চুমুক খেলেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়!"

হ্যা এসব কাজে যখন বাবা-মা বা কোন
শুভাকাঙ্ক্ষী কেও বাধা দেয় তখন হাজার টা মন্দের তুলনা আমাদের ঠোটে এসে হানা দেয়।
কিন্তু দুনিয়ার কত মানুষ যে প্রতিবন্ধীদের বিয়ে করছে,কোরআনের হাফেয হচ্ছে,সমাজের নানান
উপকারী কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে (ইত্যাদি...) তার তুলনা আমরা ক'জন দেই?

অটোতে করে বাসায় আসার সময় কাঠফাটা রোদ দেখে পাশের এক মধ্যবয়সী লোক বলে,"বর্ষা মাস,বৃষ্টির ঢ্ল নামার
কথা।কিন্তু একটু ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েই আর খবর নেই....অসহ্য গরম।"
আমি সাহস নিয়ে তার কথার উত্তর
দিলাম,"বৃষ্টি হবে কিভাবে আঙ্কেল। শপিং এ যে পরিমাণ মানুষের ঢল আমলে তো সেরকম নেই।"
লোকটা বলে,"আমার বউ কে যদি এখন
মার্কেটে আসতে বাধা দেই মানবে? মেয়ে শুনবে আমার কথা? এগুলি মানতেই হবে।"

বাহ, কত সহজভাবেই না বর্তমান সংস্কৃতি আর নগ্ন সভ্যতার কাছে গৃহকর্তারা পরাজিত হচ্ছে।তাদের
শাসন ব্যবস্তা অহরহ অবহেলিত আর অকেজো হচ্ছে।আজকের অবুঝ তারুন্যের কাছে তার খারাপ বন্ধুটাই যে আইডল
যেখানে অভিভাবকের ভালো কোন মন্তব্য সেকেলে, অগ্রহনযোগ্য।
এমতাবস্থায় যদি সমাজে অন্যায় কর্মকান্ডের পরিমাণ বেড়ে যায়
সেটা তো অভিভাবকের দোষ না, দোষ পারিপার্শ্বিক অবস্তার।

চারপাশের এ অবস্তা দেখে ভাবি,
"নূন্যতম ধার্মিক প্রজন্ম কি পাবো আমরা ভবিষ্যৎ এ??? :(

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: "নূন্যতম ধার্মিক প্রজন্ম কি পাবো আমরা ভবিষ্যৎ এ???

সম্ভবত পাবেন না। কারণ ধর্মের অত ক্ষমতা নেই।
অধিকাংশ মানুষ ধর্ম পালন করে ভয়ে, বিপদে, ভক্তিতে নয়।খুব কম।

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

venus বলেছেন: হিন্দুরা আজ ঈদের মাঠে ঘুরাফেরা করে মুসলিম করে মন্দিরে
নামে ধর্ম কামে শূন্য বিপদে পড়লেই ডাকে সৃষ্টিকর্তারে।

অশ্লীলতায় যে সব একাকার :(

২| ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

নতুন বলেছেন: কারণ ধর্মের অত ক্ষমতা নেই।
অধিকাংশ মানুষ ধর্ম পালন করে ভয়ে, বিপদে, ভক্তিতে নয়।খুব কম।


আর এখন আগের মতন মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায় না... তাই ধম` ভয়ও অনেক কমে যাচ্ছে এবং যাবে।

এখন মানুষ কিন্তু আগের মতন ভুত প্রেতে বিশ্বাস করেনা... করে কি? তেমনি ধমে`র কাহিনি গুলির প্রতিও বিশ্বাস করে যাচ্ছে।

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

venus বলেছেন: টাকার গরম যত বাড়ে মানুষের ধর্মের বিশ্বাস তত কমে।
কমে ধার্মিকদের ন্যায় কথার দাপট,বাড়ে অন্যায়ের কলরব!!!

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: ধর্মই শেষ কথা নয়...ধর্মের আগে মানবতাকে প্রাধান্য দিন মনে শান্তি পাবেন। আর কোন্ ধর্মের মানুষকে আপনি অবজ্ঞা করবেন! ঈশ্বর-আল্লাহ মানলে তো তাদের বাঁকা চোখে দেখার সুযোগ থাকেনা মানুষের, কেননা তা মানতে গেলে এটা মেনে নিতেই হবে সেইসব ধর্মও তারই তৈরী।

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

venus বলেছেন: সৃষ্টি কর্তা নতুন জিনিসের আবির্ভাব ঘটাবেই। তাই বলে তো তিনি আসল খোলসের বাইরের আসতে বলে নি।


যদিও এটাও তাঁরই লীলাখেলা... কেয়ামতের আলামত।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

যোগী বলেছেন:
নিজের নিকটাতো নিছেন ঠিকি গ্রীক দেবীর নামে। আবার ধর্মীক চেহারার একটা ফটো লাগাইছেন।
ধর্ম বিশ্বাষ কমলে অন্যায় বাড়ে তা কী প্রমানিত সত্য?
পৃথিবীতে অনেক দেশ জাতী আছে যাদের কোন ধর্ম বিশ্বাষ নাই, কিন্তু তাদের সমাজে অন্যায় খুবই কম। আবার অধিকাংশ ধার্মীক দেশেই অন্যায় বেশি।
তাদের সম্পর্কে জানতে চান?

২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

venus বলেছেন: যোগী ভাই যোগশাস্ত্র পড়ে আর লম্বা উকুন ওয়ালা দাড়ি বানিয়ে খোঁচা মেরে ব্যক্তিত্বকে আঘাত করে..... হি হি হি, মজা পেলুম।

বিধর্মী দের কথা বাদ।মুসলিম সমাজ ধর্মে আজ অনাগ্রহ আমার মত... তাই সমাজের আজ এই বেহাল দশা।

আর ধর্মহীন উন্নত জাতিরা ভাই ইহকালেই চকচকা পরকাল.... কিচ্ছু না।

ধন্যবাদ

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নূন্যতম ধার্মিক প্রজন্ম পাবো আরো কিছুদিন...

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: টাকার গরম যত বাড়ে মানুষের ধর্মের বিশ্বাস তত কমে।
কমে ধার্মিকদের ন্যায় কথার দাপট,বাড়ে অন্যায়ের কলরব!!!

জ্ঞান যত বাড়ে কুসংস্কারের প্রতি বিশ্বাস তত কমে...

আপনিও আগের মতন অনেক কুস্ংস্কারে বিশ্বাসী নন.... সেই রকমের অনেকে ধমের ফাকিবাজি গুলি ধরে ফেলে এবং ধম বিশ্বাস কমে যায়।

যদি পুরা দুনিয়ার প্রক্ষিতে বিষয়টা দেখেন তবে বুঝতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.