![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুশফিক ভেবেছিলো আত্নহত্যা করাটাই মনে হয় এখন একমাত্র সলিউশন হবে । ডিপ্রেশন ওকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে ফেলছিলো ক্রমশ । জীবনের প্রতি তেমন বিশেষ আগ্রহ নাই, ব্যাপারটার একটা মাত্রই সমাধান হতে পারে, মরে যাওয়া ! চিঠিতে তাইই লিখেছিলো আগের দিন রাতে । কিন্তু হঠাৎ, একটা দিন বাঁচতে ইচ্ছা হলো ক্যান জানি । জীবন কে শেষ একটা সুযোগ তো দেওয়াই যায় । জাস্ট একটা দিন...
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বেড়িয়ে মুশফিক অদ্ভুত কিছু জিনিসের সম্মুখীন হলো । এমন কিছু মানুষ হাসিমুখে সেদিন কথাবার্তা-খোজ খবর নিলো ওর, যাদের কিনা ও ভালোভাবে চেনেও না । পাশের বাড়ির তাবাস্সুম আন্টির পাঁচ বছরের পিচ্চি জেবা মেয়েটা যখন বললো, “কই যাও ভাইয়া তুমি প্রত্যেকদিন এত সকালে?”... ক্যান জানি শুনে খুব বাঁচতে ইচ্ছা হলো ওর, অন্তত জেবার জন্য হলেও, যে কিনা প্রতিদিন সকালে তার অফিসে যাওয়ার ব্যাপারটা মনযোগ দিয়ে খেয়াল করে ।
সবজিওয়ালা মামা আজ হঠাৎ জোড় করেই দুইটা ফুলকপি এক্সট্রা দিলো । বললো, “মামা, ট্যাকা কাইল দিয়েন”! মুশফিক অবাকই হলো । হাসলো একটু । কারন, হয়তো সবজিওয়ালা মামার ওই একটা কথাই তাকে কাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারে ।
উপরের ফ্ল্যাটের স্নিগ্ধার নানু হঠাৎ আজ রাতে পিঠার দাওয়াত দিয়ে বসলেন, দুধ চিতোই! আহা… মুশফিকের খুবই প্রিয় পিঠা যে । শুধুমাত্র ওকে খাওয়াবে বলে স্নিগ্ধার নানু গ্রামের বাড়ি থেকে আসার সময় এক্সট্রা কিছু পিঠা স্পেশাল করে বানিয়ে এনেছেন । কিন্তু এই হতচ্ছাড়া ছেলেটা মনে মনে কিসব আজগুবি জিনিস ভেবে রেখেছে ।
বিকালে বের হওয়ার সময় গলির পিচ্চি-পাচ্চা ছেলেরা ধরে বসলো ওকে । একজন বললো, “ভাইয়া, বিকালে ব্যালকনিতে আগের মত আসো না ক্যান? তুমিই তো আমাদের প্রতিদিনের খেলার একমাত্র ভিআইপি দর্শক”! মনের অজান্তে বিকালে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে থাকাও যে অনেকগুলো ছেলেপেলেকে ক্রিকেট খেলায় সাহস-সমর্থন যুগিয়েছে, তা জানাই ছিলো না মুশফিকের ।
গত সপ্তাহে বেয়াদবী করার জন্য শাসন করা পাড়ার ছেলেগুলা আজ রাস্তায় দেখা হতেই সুন্দর করে সালাম দিলো । বিকালে মসজিদের তোফাজ্জল ইমাম মাগরিবের নামাজ টা একসাথে মসজিদে পড়ার জন্য অনুরোধ করলেন । এত এত মানুষের ভালোবাসা এতদিন খেয়ালই করেনি মুশফিক । নিজেকে সবসময় অদৃশ্য একটা মানব ভাবতো সে, কখনো বুঝতেও পারেনি… এতগুলো মানুষ ওর কেয়ার করে, ওর অজান্তেই ।
পরিশেষঃ
রাতে টেবিলে বসে আগের রাতে লেখা চিঠিটা মনযোগ দিয়ে পড়ছে মুশফিক । আত্নহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ আপনার পক্ষে, কিন্তু আত্নহত্যা করবেন কি করবেন না এই সিদ্ধান্ত এবং হেজিটেশন টা অনেক জটিল । দশ মিনিট ভাবার পর, চিঠিটা হাতে নিলো ও । ঠান্ডা মাথায় ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো, অপর পৃষ্ঠায় ছোট করে লিখলো, “বাঁচবো”
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫১
বিক্রমাদিত্য মুশফিক বলেছেন: চাইলেই কি পালিয়ে বাঁচা সম্ভব? তাতে কি আদৌ শান্তি মেলে?
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: এক বছর ব্লগ জীবনে ৭ টা পোস্ট করলেন। তার ৬ টাই করলেন আজকের একদিনে!!!!!!! মজা মজা।
কিছু মনে করবেন না, আমি ১ম পাতায় ব্যান তো তাই আপনাকে দেখে হিংসা হয়েছে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
বিক্রমাদিত্য মুশফিক বলেছেন: আসলে লেখাগুলো জমে গিয়েছিলো, সময় হচ্ছিলো না পোস্ট করার! তাই! ১ম পাতায় ব্যান কিজন্য আপনি? জানতে পারি?
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০
বেনামি মানুষ বলেছেন: ঠান্ডা মাথায় ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো, অপর পৃষ্ঠায় ছোট করে লিখলো, “বাঁচবো
বাঁচবো।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৩৬
মামুন৫৫৮ বলেছেন: বিক্রমাদিত্য মুশফিক
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
নির্বোধ সুবোধ বলেছেন: কিন্তু সুবোধ পালাবে, পালাতে হবেই, সুবোধের ভাগ্যে কিচ্ছু নেই। সুবোধা একটা গাধা। সুবোধের পালানোই শ্রেয় হবে।