নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

: কাউকে শত্রু ভাবতে পারি না :

ন্যাকামো ভীষণ অপছন্দ, যদিও বাধ্য হয়ে সহ্য করি!

ভিশন-২০৫০

অন্যকে মন্দ ভাবার আগে নিজেকে নিয়ে ভাবি দশবার, তাই অনেকে বলে বোকা তাও তৃপ্তির সীমা নেই আমার!

ভিশন-২০৫০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবন্ধীদের জন্য মা-বাবার দরদ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৯



সন্তানের জন্য মা-বাবার টান তো নতুন কিছু না। কিন্তু সে সন্তান যখন জন্মগতভাবে দুরারোগ্য কোনো ত্রুটিযুক্ত থাকে - যাদের জন্য সারা জীবন শুধু করেই যেতে হয় - পাওয়ার কিছু নেই - কোনো আশা নেই- তাদের জন্য মা-বাবার যে কি পরিমাণ বিশেষ দরদ থাকে - আমার দেখা তার দু’টি চিত্র তুলে ধরছি:

১. চৌদ্দ বছরের ছেলে অরুণ। মাস খানেক আগে প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় তাকে আমি রিসিভ করি আইসিইউতে। সে আর শ্বাস নিতে পারছিল না। হাত-পাগুলো নীল। মাস্ক দিয়ে অক্সিজেন দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছিল না। এমন সুন্দর ও সুঠাম এক কিশোরের আজ শ্বাস নেয়ার শক্তিই প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে। অগত্যা তাকে ইনটিউবেট (শ্বাসনালীতে টিউব) করে ভেন্টিলেটরে (কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র) দিলাম। যাহোক, পরক্ষণে মা-বাবার কাছ থেকে জানা গেলো সে ডাউন্স সিন্ড্রোমের রোগী। আর তার বর্তমান সমস্যার ধরন বিবেচনা করে তার মাইয়েস্থেনিয়া গ্র্যাভিস (মাংসপেশির শক্তিহীনতা) হয়েছে বলে গণ্য করা হলো।



একবার ভাবুন, জন্মগত প্রায় অমোচনীয় একটি রোগের সাথে আবার আরেকটি দীর্ঘমেয়াদী রোগের আক্রমণ! ভয়ঙ্কর ব্যাপার! এদের সিক্রেশন খুব বেশি হওয়ায় কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রে থাকাকালীন অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। তবুও বিশেষ যত্ন, নির্দিষ্ট ওষুধ (গামা-গ্লোবিউলিন, বেশ এক্সপেন্সিভ), ডাক্তার-নার্সদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও পরিচর্যার মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে প্রায় ৩ সপ্তাহ পর তাকে ভেন্টিলেটর থেকে মুক্ত করা গেলো। এখন সে মোটামুটি স্বাভাবিক, তবে ডাউন্সের রোগী তো!



তাকে নিয়ে মা-বাবার যে উৎকণ্ঠা আর তৎপরতা আমি দেখেছি - তা সত্যিই অনেক চিন্তার উদ্রেক করে! গত ১৪ টি বছর মা তাকে নিজে তুলে খাইয়ে দিয়েছেন, অনেক সময়ই তার বিছানাও পরিষ্কার করতে হয়েছে, রাখতে হয়েছে চোখে চোখে। আইসিইউতে ভর্তি হবার প্রথম দিকে আমি তার অবস্থা যখন তাদেরকে বর্ণনা করি - সে কি কান্না! এরপরও সকাল-বিকাল-রাতে-মধ্যরাতে-শেষরাতে-ভোরে যখনই আমি গিয়েছি - মাকে - কখনো কখনো বাবাকে বাইরে বসে থাকতে দেখেছি। এতটুকু হতাশা বা অনীহা তাদের মধ্যে কখনো লক্ষ্য করিনি। মায়ের মুখটি ঠিক যেন শুকিয়ে যাওয়া একটি বাসি বেলী ফুলের তোড়া!



বারবার মায়ের প্রশ্ন - ডাক্তার সাহেব, আমার ছেলের অবস্থা কেমন? কবে ভালো হবে? অথচ তারা খুব ভালো করেই জানেন যে, সে এই রোগ থেকে ভালো হলেও তার আসল রোগ থেকে তো মুক্তি নেই। কোনদিনও স্বাভাবিক কোনো বৈষয়িক কাজে আসবে না সে। আমি ডরমিটরিতে ফিরে একাকী প্রায়ই ভাবি - মানুষের জীবনে একজন মায়ের যে কি অবস্থান - তা কি আমি ঠিকভাবে বুঝতে পেরেছি? সবাই কি পেরেছে? ক’জন পারে?





২. আরেকটি ৫ মাসের বাবু এসেছে আইসিইউতে। জন্মগতভাবে তার হার্টে রয়েছে এক মহা-গোলযোগ! ট্র্যান্সপজিশন অব গ্রেইট ভেসেল্‌স এবং ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট। অর্থাৎ হৃদযন্ত্র থেকে বড় রক্তনালীগুলো উল্টোভাবে বের হয়েছে এবং দু’চেম্বারের মাঝখানে রয়েছে একটি বড় ছিদ্র। অবশ্য এই ভিএসডি’র জন্যই সে এখনো বেঁচে আছে। তবে এর কারণে তার আবার হয়েছে পালমোনারী হাইপারটেনশন। বাচ্চাটির অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট! তাকে ওপেন-হার্ট ডাবল-সুইচ অপারেশন করা হবে। বেশ জটিল এটি। তবে ফলাফল খারাপ না। কিন্তু প্রবল ঝুঁকি তো রয়েছেই। এই মা’কেও দেখলাম কিভাবে তিনি সারাদিন-সারারাত শুয়ে থাকা বেবীটিকেও যেন তাঁর বুকে তুলে আগলে রেখেছেন। তাঁর আরেকটি সন্তান যেন কাছেই আসার সুযোগ পাচ্ছে না। ফরমুলাটি যেন এরকম: যে যত বেশি নাজুক - তার প্রতি দরদ তত বেশি!



তাই ভাবি, মা’দেরকে আল্লাহ কি দিয়ে বানিয়েছেন! একদম ছোটবেলার কথা তো আর আমাদের মনে নেই। কি কষ্টই না করতে হয়েছে মা’কে? কিন্তু তার প্রতিদানে আমরা মা-বাবার আনুগত্য, সেবা-যত্নে, পরিচর্যায় কতটুকু সচেতন ও বাস্তবে তৎপর?



মহান আল্লাহ বলেন:

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়াতে লেগেছে দু’বছর। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে তোমাদের। [সূরা লোকমান: ১৪]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২২

নিমচাঁদ বলেছেন: প্রতিবন্ধী বাবুদের অসুস্থতা তার বাবা মায়ের জন্য দ্বিতীয় চিন্তার সূচনা করে। এ বড় কষ্টকর অধ্যায় । সারা জীবন সন্তানকে নিয়ে টেনশন আর কষ্ট আর তারপর যদি একটা ডাউন বেবী অসুস্থ হয় , সেটা আরো মারাত্মক । ডাউন্স দের এম্নিতেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে । আরো ব্যাপার আছে । অনেক বেবী ট্রিটমেন্ট নিতে চায় না । ইনেকজেকশন ভীতি থাকে অনেকের , অনেকে অরাল কিছুই নিতে যায় না । এদের বাবা মায়ের অনেক কষ্ট , অনেক বেদনা ।
এতো বেদনা বহন করার জন্য আল্লাহ পাক , এই বাবা মায়েদের স্পেশাল ক্ষমতা দিয়ে থাকেন । এরা গিফট অফ দ্যা গড। আল্লাহ পাক তাদের ী এই বাবু দেন , যাদের তিনি অনেক ভালোবাসেন । আর যাদের উনি ভালোবাসেন , তাদের উনি নিয়ত পরীক্ষা করেন ।

আমার প্রথম সন্তান টি অটিষ্টিক ।গত ১৪ বছর প্রতি মূহুর্তে , প্রতি ঘন্টায় , সে আমাদের চিন্তার কেন্দ্রে এবং আমাদের মনের বৃত্তে আবদ্ধ। অন্য সন্তান দের চেয়ে ,আমি জানি , তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং মনোযোগ অনেক বেশী , কিন্তু কিছু করার নেই । এর বিকল্প কোন পথ আমাদের জানা নেই ।

আপনার পোষ্ট এবং প্রতিবন্ধী দের জন্য পোষণ করা আবেগের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: যে সাধনা আপনি ধৈর্যের সাথে করে যাচ্ছেন - এর ফল অবশ্যই পাবেন আপনি। আল্লাহ সহায়। আপনার সন্তান ও আপনাদের জন্য দোয়া রইলো। ভালো থাকুন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৭

পড়শী বলেছেন: আর একটু লিখলে চোখে পানি আঁটকে রাখা কষ্টকর হয়ে যেতো।

পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৮

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: মায়ের ঋণ কোনো জনমেই শোধ দেয়া সম্ভব না।
এটি আগেও হয়তো পড়ে থাকতে পারেন... তবুও দিলাম:

কিশোর ছেলেটা রান্না ঘরে এসে হাজির হলো। মা তখন রাতের খাবার রান্না করছিলেন। হাসিমুখে মায়ের হাতে এক টুকরো কাগজ ধরিয়ে দিলো ছেলেটা।
‘মা, এই যে আমার পাওনা টাকার বিল।’ বেশ রহস্য করে বললো ছেলেটা।
অ্যাপ্রনে হাত মুছে কাগজটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন মা।
‘উঠানের ঘাস ছেঁটেছি -- ৫ ডলার
আমার ঘরটা পরিষ্কার করেছি -- ১ ডলার
দোকান থেকে তোমার জন্য সদাই এনেছি -- ৫০ সেন্ট
তুমি যখন বাসায় ছিলেনা, তখন পিচ্চি বোনটাকে দেখে রেখেছি -- ২৫ সেন্ট
ময়লার পোঁটলাটা গারবেজ বিনে ফেলে এসেছি -- ১ ডলার
ইশকুলে ভালো রিপোর্ট কার্ড পেয়েছি -- ৫ ডলার
তোমার গাছের যত্ন নিয়েছি -- ২ ডলার
----------------------------------------------------
মোট পাওনা -- ১৪ ডলার ৭৫ সেন্ট’
কাগজটা পড়ে মা স্নেহসিক্ত দৃষ্টিতে তাকালেন। ছেলেটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলো তা - মা যেন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন।
হাতে একটা কলম নিয়ে কাগজের উল্টো পিঠে কি যেন লিখতে শুরু করলেন মা।
তিনি লিখেছিলেন:
‘নয় মাস তোমায় পেটে ধারণ করেছি -- কোন পাওনা নেই
কত রাত জেগে আমি তোমার জন্য দোয়া করেছি -- কোন পাওনা নেই
তোমার দেয়া কষ্টগুলো মুখ বুজে সয়েছি -- কোন পাওনা নেই
তোমার মঙ্গলের জন্য কতটা উদ্বেগ নিয়ে সময় কাটিয়েছি -- কোন পাওনা নেই
তোমার সর্দি মুছে দেয়া, তোমার ভিজিয়ে দেয়া বিছানা সাফ করা -- কোন পাওনা নেই
বাবা তুমি যদি সব পাওনাগুলো যোগ কর, তাহলে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার মোট মূল্য -- কোন পাওনা নেই।’
ছেলেটা পড়লো এই লেখাটা। বড় একটা অশ্রুর ফোঁটা তার গাল বেয়ে নেমে এলো। ‘মা গো, আমি তোমায় খুব খুব ভালোবাসি’ -- বলে ছুটে জড়িয়ে ধরলো তার মা’কে!
ছেলেটা এরপর কলমটা হাতে নিয়ে তার পাওনার বিলে বেশ ভাব নিয়ে বড় বড় হরফে লিখলো, ‘আমি স্বীকার করছি যে, আমার সব পাওনা পরিশোধিত হয়েছে।’

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০২

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাই ঠিক বলেছেন। তবে বাবার কথা তেমন ভাবে বললেন না। স্নেহময়ী মা নাড়ীর ধন বুকে আগলে রাখেন। বাবাকে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাপিয়ে সন্তানকে নিরাপদে রাখতে হয়। তার স্নেহের প্রকাশভঙ্গী মায়ের মতো হয় না।কিন্তু বাহিরটা শক্ত দেখালেও ভেতরটা ঠিকই রক্ত ক্ষরণ হয়।
আমার বাচ্চাটি প্রিমেচুউর বেবী ছিল।ফুসফুসের পূর্ণাঙ্গ গঠন হয়নি। অনেক দিন আইসিইউ তে ছিল।অনেক অনেক টাকা ধার করতে হয়েছিল।এসময় অনেক অভিজ্ঞতার মুখমুখি হই।এক বাবাকে দেখলাম ৩২ দিন বাচ্চাকে ভেন্টিলেটর দেবার পর ডাক্তাররা যখন নিশ্চিত করলেন বাচ্চা বাচবে না বাবা তখনো ভেন্টিলেটর চালিয়ে যেতে বলল। প্রতিদিন শুধু ভেন্টিলেটর খরচ ১০,০০০ টাকা।অন্যান্য খরচতো আছেই। জমি বিক্রি করে তিনি খরচ চালাচ্ছিলেন। ৩৮ দিনের মাথায় বাচ্চাটি মারা গেল।মায়ের মতো বাবা উচ্চ স্বরে কান্না করেনি। চোখ মুছতে মুছতে তিনি হাস্পাতাল হতে বিদায় নিলেন। যাবার সময় আমার বাচ্চার আরোগ্য কামনা করে গেলেন।
সেসময় এমন আরো অনেক করুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। শুধু একটি বর্ণনা করলাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৫

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: নিঃসন্দেহে সন্তানের জন্য বাবার দরদ/অবদান/উদ্বেগের মর্যাদার এক ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। বাবার কন্ট্রিবিউশন অত্যন্ত ব্যাপক! এখানে হয়তো আমি সেভাবে লিখিনি। তাই তো আল্লাহ পিতা-মাতা উভয়ের প্রতি সন্তানদের কৃতজ্ঞ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দোয়া রইলো। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৪

মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। ইয়া আল্লাহ, তোমার প্রিয় বান্দা দের কে তুমি এতো কষ্ট দিওনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩২

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: আমীন!
এগুলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা।
ধৈর্যশীলদের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক অনেক বড় পুরষ্কার রয়েছে।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৯

মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: @ নিমচাদ, আপনাকে অভিনন্দন। আমি ও আপনার মত একজন অটিস্টিক শিশুর গর্বিত পিতা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: এজন্যই তিনি সেই মহান প্রতিপালক...
যিনি প্রতিবন্ধী, নাজুকদের জন্য মা-বাবার হৃদয়ে আরো অনেক অনেক বেশি স্নেহ, ভালোবাসা, দরদ দিয়ে দিয়েছেন।
আপনার সন্তান ও আপনাদের জন্য দোয়া রইলো...

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: ভরা অফিসে সবার সামনে চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরছে।

সামনের মাসে বাবা হতে যাচ্ছি। মনটা অজানা আশংকায় ভরে উঠছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: এনিয়ে একদম ভাববেন না। ইনশাআল্লাহ সবকিছুই সুন্দরভাবে হবে। ভাবীকে এখন এবং ভবিষ্যতেও অনেক সাপোর্ট দিতে হবে... ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৩

নিমচাঁদ বলেছেন: মাহাবুব১৯৭৪ @ শুভ কামনা থাক্লো , আপনার ,আপনার পরিবার এবং আপনার বাবু টির জন্য ।

আমরা মনে করি আমরা সুস্থ , তারা অসুস্থ , কিন্তু তারা যদি ভাবে আমরা অসুস্থ এবং তারা সুস্থ , তাহলে কেমন হবে ?? অটিষ্টিক বাবুদের ডিল করে আমার অনেক, অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে । এদের একটা আলাদা ভুবন রয়েছে , সেই ভুবনে আমাদের প্রবেশাধিকার নেই । আমি জানি না , কোন ঠিক ,আমরা নাকি তারা । রাব্বুল আলামিন এর উপর সব কিছু ছেড়ে দিয়েছি ।

এম এম ইসলাম @ ভহাই মর্মান্তিক কাহিনী টা পড়ে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না । এই ভদ্রলোকের মতোন পৃথিবিড় সবচেয়ে ভারী জিনিশ বহন করার ,আমার ও খুব করুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে । এই কাহিনী শেয়ার করতে পারি না , এই কাহিনী হতে আমি সব সময় দূরে থাকতে চাই ।কিন্তু কখনো ধূসর ,নীরব রাত্রে একা একা বসে থাকি ।
কষ্ট আমার সাথে , জীবন অনেক ছেলে-খেলা করেছে । সব সময় শুধু আল্লাহ পাকের কাছে পানা চাই ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: সবার সাথে আমি সহমর্মী! যে যেভাবেই আছি... আল্লাহ যেন আমাদের ভালো রাখেন... অতীতের চেয়ে ভবিষ্যৎ যেন আরো ভালো হয়...
মহান আল্লাহ বলেন:
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। সূরা ইনশিরাহ: ৫-৬।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৩

এম এম ইসলাম বলেছেন: আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।View this link

০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:২৬

ভিশন-২০৫০ বলেছেন: ঘুরে আসলাম...
সাথে রাখবেন... 8-|
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.