![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
উয়েল আম ব্যাক!
আমাদের সময় যেদিন ঢাকা ইউনিভার্সিটির রেজাল্ট দিল সেইদিন আমি ধুমাইয়া বসুন্ধরা সিনপ্লেক্সে মুভি দেখতেছিলাম। মনে মনে তো ধরেই নিছি, চান্স তো পাবই পাব। আর এর আগে নটরডেমে চান্স পাওয়ায় নিজের কনফিডেন্স লেভেল ছিল সেই লেভেল এর। পরীক্ষার আগে এমন পড়া দিছিলাম যে আরেকটু হইলেই শহীদি খাতায় নাম লেখান লাগত। আর রেজাল্টের আগে তো আল্লাহ-আল্লাহ করতে করতে মুখে ফেনা উঠাইয়া ফেলছিলাম। ভাবছিলাম চান্সটা হইবে। পকেটে টাকা না থাকা সত্তেও বন্ধুর কাছ হইতে টাকা লইয়া সিএনজি মারফত দৌড়াইতে দৌড়াইতে আসিয়াছিলাম।
কিন্তু হয় নাই।
কমার্স ফ্যাকাল্টির বারান্দায় বসে ওরে সে কি কান্না। অলিম্পিকে কান্নার ম্যারাথন রেস থাকলে আমাকে স্বর্ণপদক দেয়া হইত! দুইজন মিলে আমাকে থামাইতে পারে না।
আমার কেবল মনে হইতেছিল 'আল্লাহ! এইটা কি হইল। এখন কি হইব? কি নিয়া থাকব?মুখ দেখাব কেমনে? বাঁচব কেমনে? আল্লাহ ক্যান শাস্তি দিল? আমি তো ঠিক চেষ্টা করছিলাম'
মানুষ দুখঃখে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আর আমার ক্ষেত্রে উল্টা। খিদা লাগে। Ashikur Rahman এর টাকায় মাটন লেগ রোস্ট সাবড়ে দিয়ে বাসায় যখন ফিরছি। তখন বাবার মুখ অন্ধকার। সাফ কথা পড়াশুনা বন্ধ। একটা টাকা ও তিনি দেবেন না। মনে করছিলাম, থুক্কু মুক্কু টাইপ কথা। কিন্তু না।
ওইটা ৩ সত্যি টাইপ এর সত্যি কথা ছিল।
আমার অবস্থা তখন টাইট!
দিন রাত কান্দি। আর খালি আফসোস করি কেন চান্স পাইলাম না আল্লাহ! কি ভুল করছিলাম? কি শাস্তি দিলা! জীবনটা কি তাইলে এখানেই শ্যাষ?
একদম শোকে যখন পটল তোলা গ্রস্থ তখন মনে হয়, না এই শেষ না!
পকেটে তখন খালি এক ছাত্রকে পড়ানো বাবদ যা পাই তাই সম্বল। ভর্তি হলাম Eastern University তে।
তার পরের বছর চলে আসি Jahangirnagar University এ। বাকিটা ইতিহাস। আরেক গল্প। তবে বুঝতে পারি বছর আগেকার তখন আসলে জীবনের শেষ ছিল না। উপরয়ালা এই সময়টায় যে শিক্ষা আমি পেয়েছি তা দেয়ার জন্যই এই কাজ করেছেন।
যে কারনে এত বিশাল ত্যানা প্যাঁচানো তা হল লাইফ কখনও থেমে যায় না বস। হ্যাঁ এইটা ঠিক আমরা আগে যেমন চিন্তা করে স্বপ্ন দেখেছিলাম তেমনটা থাকে না, কিন্তু চলে। প্রত্যেক মানুষের জীবনের গল্পটাই ইউনিক।
মজার কথা হল, শেষ পর্যন্ত গল্পটা শেষ হয় সুন্দরভাবে। মাঝখানে এই যে ভিলেন টাইপের সময়টা থাকে, এইটা হচ্ছে ক্ল্যাইমেক্স।
বিষয়টা হল আমরা সবাই জানি এই ক্ল্যাইমেক্স এর সময়টা এক সময় না এক সময় কাটবেই। কিন্তু এই সময়ে আমাদের কারও ধৈর্য থাকে না।
এখুনি লাগবে টাইপ একটা অস্থিরতা থাকে।
অতীত এর সব থেকে বড় শিক্ষা হল এইটা থেকে কেউ কোন শিক্ষা নেয় না।
আমি ও নেই নাই। লুল!
একটা ক্ল্যাইমেক্সে আছিরে মমিন। দোয়াপ্রার্থী।
কিন্তু আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে? কুচ পরোয়া নেহি! আক্রমণ!!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩২
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: সত্যি বলতে কি ওই সময়গুলার জন্যই আমি লাইনে আছি রে ভাই
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
-সাইরাস বলেছেন: "আক্রমণ!!"
সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবার পর আক্রমনের কি হেতু ?
ভালো লাগলো আপনার কাহিনী, আমার লাইফের সাথেও কিয়দাংশ মিলেই গেল
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৩
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আক্রমণ হল ভাই ক্ল্যাইমেক্সের ঠেলা সামলানোর জন্য
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম বেলায় লাড্ডু মাইরা শেষ বেলায় আমি ছক্কা পিটাইছিলাম সেই রকম ।
এখন বুঝি শক্ত লক্ষ্য আর লেগে থাকা এবং মাঝখানে কোন রকমের সমস্যায় পরে হতাশ হয়ে পথ থেকে সরে না দাড়ানোই লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে ।
হাল ছেড়ো না বন্ধু ...
ফিআমানিল্লাহ ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৪
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: হাল তো ছাড়ব না ইনশাআল্লাহ কিন্তু এই ক্লাইম্যাক্সের সময়ে খুব দিশেহারা লাগে!
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
স্পর্শিয়া বলেছেন: আমার কেবল মনে হইতেছিল 'আল্লাহ! এইটা কি হইল। এখন কি হইব? কি নিয়া থাকব?মুখ দেখাব কেমনে? বাঁচব কেমনে? আল্লাহ ক্যান শাস্তি দিল? আমি তো ঠিক চেষ্টা করছিলাম'
আমারও এই অবস্থা হইসিলো ক্লাস এইটে ট্যালন্টপুলে বৃত্তি পাই নাই শুইনা। আমি ভাবতেছিলাম সাধারণ গ্রেড আমার জন্য না আমি বিশাল ট্যালন্ট।
পরে দিন যত পার হইসে তত বুঝছি জীবনে ট্যালেন্টের ট্যালেন্ট বাবা ট্যালেন্ট দাদা ট্যালেন্টও আছে রে ভাই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৫
ভিজ্যুয়ালাইজার বলেছেন: আসলে লাইফে যে কত বড় বড় প্রবলেম আছে তা আগে ভাগে বোঝা যায়না দেখেই ছোট ছোট প্রবলেম এ হা হুতাশা লাগে
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ঐ সময়টা আমিও পার করেছি। না পড়তাম কলেজে না পড়তাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঐ সময়টার কাছে আমিও ঋণী, কারন ওটার মধ্য দিয়ে না গেলে মানুষ , সমাজ কোনটাকেই চেনা হইত না