![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের দৃশ্যমান প্রথম টার্গেট বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা। এটি করা গেলে কারচুপি না করেই আগামী নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে জিতে আসবে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য প্রথমে অত্যন্ত বিতর্কিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বাদ দেওয়া হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সামর্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের প্রতি অপপ্রচার, দমননীতি ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচন-পূর্ব ৯০ দিন সময়েও আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন অনৈতিক ও অন্যায় পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
মেরুদণ্ডহীন ও জি হুজুর ধরনের নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিএনএফ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠনকে বিএনপির যৌক্তিক আপত্তি সত্ত্বেও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, আরপিও একতরফাভাবে সংশোধন করে বিএনপির যেসব নেতা সুবিধাবাদী হতে চাইবেন, তাঁদের যেকোনো দল থেকে নির্বাচন করার পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে, জাতীয় পার্টিকে দৃষ্টিকটুভাবে মন্ত্রিত্ব এবং সম্ভবত আরও বিভিন্ন ধরনের উৎকোচ প্রদান করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে, বিএনপির জোটসঙ্গীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিএনপিবিহীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার তৎপরতা চালানো হচ্ছে এবং তথাকথিত সর্বদলীয় সরকারে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতাকে আরও বলীয়ান করা হয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর থেকে নির্বাচন-পূর্ব ৯০ দিন সময়ে সরকারের সবচেয়ে সাম্যমূলক ও গণতান্ত্রিক আচরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এই সময়ে বিএনপির প্রতি দমননীতি ও বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ আরও তীব্রতর করা হয়েছে। এই ৯০ দিন সময়ে সরকারি ক্ষমতা ও সরকারি প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে অবাধে চলছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচারণা।
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কর্তৃত্বাধীন সরকারের যা উদ্যোগ আয়োজন, তাতে নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে বিতর্কমুক্ত রাখার তেমন কোনো অর্থবহ প্রচেষ্টা তাই লক্ষ করা যায়নি। এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আবার একটি আওয়ামী লীগ সরকারকে ভবিষ্যতে আমরা নির্বাচিত হতে দেখতে পারি। তবে সে সরকার হবে জনসমর্থনের দিক দিয়ে এবং নৈতিকভাবে ২০০৮ সালের সরকারের চেয়ে অনেক দুর্বল। সেই ভবিষ্যৎ সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে আরও অনেক বেশি দমনমূলক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
একপেশে ও বহুলাংশে বিতর্কিত একটি নির্বাচনী সরকারের মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাই তারা বিজয়ী হবে সাময়িকভাবে। কিন্তু তাতে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
-- আসিফ নজরুল @ প্রথম আলো (চুম্বক অংশ)
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: শেখ হাসিনার একগুয়েমির খেসারত দিতে হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশকে তাজা রক্ত দিয়ে । এক তরফা ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে এখন তিনি আব্দার ধরেছেন সব দলকে তার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে । ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে যারা ন্যায়ের পক্ষে সাময়িক ভাবে তারা আক্রান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত জনগণ তাদের সাথেই থাকে ।