নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্ম একবারই হয়...\nমৃত্যুও....\n\nযতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন আশেপাশের মানুষকে আনন্দ দিন.\nএতে নিজেও সুখি হবে....\n\nপ্রমিজ.....!

নিজের সম্পর্কে কিছু বললেই নিজেই নিজের ঢোল পেটানো হয়ে যাবে।তাই আপাতত কিছু না বলাই ভালো :P

স্যার সাকিব ইফতেখার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একজন অনেক মেধাবি এবং বিচক্ষণ একজন মানুষ!তবে খুবই বাজে স্বভাবের.........!

স্যার সাকিব ইফতেখার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও \'গরুর রচনা\'!

০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১

আমরা সেই শিক্ষাব্যবস্থার দেশ যেখানে জন্মের পরপরই 'গরুর রচনা' মুখস্ত করতে হয়!
এদেশে কেউ বাকি নেই যে গরুর রচনা মুখস্ত করেনি কখনো......

গরু আসলে কি,তার কয়টা ঠ্যাং,কয়টা নাক,কয়টা পা,কয়টা লেজ তা 'মুখস্ত' করা হয়!

হ্যাঁ...আমি শুধু 'মুখস্ত' বিদ্যাকে ইঙ্গিত করেছি....

আমি বলছিনা 'গরুর রচনা' খারাপ...
আমি চিন্তা করি গরুর কি কি আছে তাও মুখস্ত করার জিনিস!?

এরচেয়ে কেউ একটা বাচ্চাকে ধরে নিয়ে কোনো গরু দেখিয়ে ব্যাখ্যা করলেই হয়ে যায়....নে বাবা প্র‍্যাক্টিক্যালি শিখে নে গরু আসলে কি....

আর যদি কোথাও গরুর খোঁজ না পান তাহলে শিক্ষামন্ত্রীর ছবি দেখিয়ে দিতে পারেন..........


আর তাও যদি না পান.....
তাইলে....
তাকেই আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিন....নে গরু দেখ!

ভাবতেছেন পাগল হয়ে গেলাম নাকি?

হু....সেই ছোটবেলা থেকেই স্যারদের কাছে আমরা গরু-বলদ নামক গালি গুলা শুনে আসছি!

স্যার যখন বলতেন "তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা....তুই গরু"
তখন দেমাগ কা বাত্তি জ্বলে উঠতো.......!
ধ্যাত্তোরি....
আগে বলবেন না স্যার?
তাইলেই তো আর ছোটবেলায় পরিক্ষার জন্য গরুর রচনা মুখস্ত করতে হতোনা....
লিখে দিয়ে আসতাম.....

গরুর একটা লম্বা নাক,দুইটা কান,দুইটা চোখ,দুইটা হাত,দুইটা পা আছে।
এরা অনেক উন্নত প্রাণি।
এদেরও সমাজ আছে।
এরা স্কুলে পড়ে।
এখন যে লিখিতেছে সেও গরু...সেই হিসেবে যিনি পেপার দেখবেন তিনিও গরু!
সব গরুই আলাদা নাম আছে।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় 'যারা ভালো ছাত্র নয় তারা গরু'।

গরুকে নাকি পিটিয়ে মানুষ করা হবে!
চিন্তা করি...
তাইলে দুনিয়াতে এতো গরু কেন?
সব পিটিয়ে মানুষ করা হোক!

তারপর এদের লাগিয়ে দেওয়া হোক অন্য দেশে আক্রমণ করার কাজে!
মাথায় আমেরিকান বুদ্ধি থাকলেই হয় বাপু...


আমাদের দেশ হবে ডিজিটাল...
ইন্টারনেট ডাটার মূল্য বাড়িয়ে এদেশকে নাকি করা হবে ডিজিটাল।

দেষে যত ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ছে ততই মানুষের পকেট খালি হয়ে ফইন্নির সংখ্যা বাড়ছে!

আমাদের শিক্ষায় নাকি ব্যবহার করা হবে ল্যাপটপ আর ট্যাব।
এমনিতেই পরিক্ষার হলে বসে চলে ডিজিটাল জালিয়াতি...
সেই জালিয়াতি কি নির্মূল করা যাচ্ছে একেবারেই?

চীন দেশটা আসলেই একখান 'দেশ'।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় জালিয়াতির শাস্তি ৭ বছরের জেল।
আর আমাদের দেশে?


আমাদের দেশ পিছিয়ে আছে?

আমার মনে হয়না...
এতোই দ্রুত এগোচ্ছে যে একেবারে লাইনচ্যূত হয়ে গেছে!

যেকোনো দেশে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়া উচিত প্রাইমারি আর মাধ্যমিক খাতে...
উন্নত দেশে যা হয়....
আর আমাদের দেশে সেই বাজেট দেওয়া হয় কোন খাতে?


যাহোক....
ছোট মাথায় যতটুকু ধরে তাই বললাম...

ওয়াজ নসিহত শুরু হয়েছে কোন ঘটনা থেকে অনুমান করতে পারছেন?

হু...
একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম জটিলতা নিয়ে যা হয়ে গেলো এতোদিন....
এখানেও গরুর রচনা...

আমরা সত্যিই গরু প্রিয় জাতি।
সব স্পেশাল গরুকে দিয়ে ওই কাজ করানো হচ্ছিলো বলেই সিকিউরিটি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিলো।


এরা মনে হয় 'গরুর রচনা'ও নকল করে পরিক্ষায় পাশ করছে! ;-) :-P

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.