নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ হতে চাই

নির্বোধদের সাথে কখনো তর্ক করা উচিত না, তারা প্রথমে তোমাকে নিজেদের কাতারে নামিয়ে আনবে এবং তারপর তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে তর্কে পরাজিত করবে - মার্ক টোয়েন।

ভোরের বাতাস

টাকা নামের এক মূল্যবান কাগজ দ্বারা চালিত এই পৃথিবীতে সব জায়গাতেই কেউ কেউ জিতে যায়, কেউ কেউ হেরে যায়। যারা জিততেও পারে না, হারতেও পারে না, মাঝখানে নির্লজ্জের মতো ঝুলে থাকে - তারাই মধ্যবিত্ত নামে পরিচিত। (কপি করা, কিন্তু কোথায় শুনেছি মনে নেই)

ভোরের বাতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন হতো দ্বিমাত্রিক জগত? এই মহাবিশ্ব কি শুধুই ত্রিমাত্রিক (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা)? - কিছু ভাবনাঃ পর্ব ৩

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

পর্ব ১

পর্ব ২

[৩ টি পর্বই একসাথে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল :) ]



তাহলে ১০ টা ডাইমেনশনের কি হবে? ১৯১৯ সালে পোল্যান্ড এর গণিতবিদ Theodor Kaluza ধারনা প্রদান করেন যে ৪ নম্বর মাত্রার উপস্থিতি আমাদেরকে জেনারেল রিলেটিভিটি আর ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক থিওরীকে একত্রিভুত করতে সাহায্য করবে। তার এই ধারণাটি পরবর্তীতে সুইডিশ গণিতবিদ, Oskar Klein আরও একটু সম্প্রসারিত করে প্রস্তাব করেন এইরকমঃ এই মহাজগতে সরলরৈখিক এবং বাকাঁনো এই দুই ধরনের ডাইমেনশন আছে। সরলরৈখিক ডাইমেনশনগুলো হচ্ছে আমাদের চিরচেনা ত্রিমাত্রিক ডাইমেনশনগুলো আর সেই বাকাঁনো ৪ নম্বর ডাইমেনশনটা এই ত্রিমাত্রিক ডাইমেনশনগুলোর গভীরে লুকিয়ে আছে এবং সেই ডাইমেনশনটাকে একটা বৃত্তের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যদিও পরে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণীত হয় যে Kaluza and Klein এর এই বাকাঁনো ডাইমেনশন জেনারেল রিলেটিভিটি আর ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক থিওরীকে এক করতে পারছে না, যেটা আশা করা হচ্ছিলো।



কিন্তু তাদের এই বাঁকানো ডাইমেনশনের ধারনা পরবর্তীতে superstring theory নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছিল। আগেই বলেছিলাম যে, superstring theory তে কমপক্ষে ১০ টা ডাইমেনশনের দরকার। এই থিওরী অনুসারে, আমাদের পরিচিত ৩ টা স্থানিক ডাইমেনশন এবং ১ টা সময় ডাইমেশনের পাশাপাশি আরও ৬ টা বাকাঁনো ডাইমেনশন আছে যেটা Calabi-Yau shapes নামে পরিচিত। superstring theory নিয়ে এই লেখায় আর বিস্তারিত আলাপ করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে শুধু এইটা নিয়ে আলাদা একটা প্রবন্ধ লেখা হবে ইনশাআল্লাহ। এখানে অতি উৎসাহীদের জন্য string theory এর সংজ্ঞা টাইপের একটা প্যারাগ্রাফ তুলে দেয়া হলো এবং সাথে এই ৬ টা অতিরিক্ত ডাইমেনশন দেখতে কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের আইডিয়াতে তৈরি একটা এনিমেশনও দেখানো হলো।



According to string theory, there are additional dimensions that we are unfamiliar with because they are curled up into tiny complicated shapes that can only be seen on tiny scales. If we could shrink to this tiny, Planck-sized scale we could see that at every 3D point in space, we can also explore 6 additional dimensions. This animation shows a Calabi-Yau surface which is a projection of these higher dimensions into the more familiar dimensions we are aware of.







উপরের এনিমেশনে ফুলের পাপঁড়ির মতো পেচাঁনো যে ৬ তা শেইপ দেখা যাচ্ছে সেগুলোই আসলে string theory এর ৬ টা অতিরিক্ত ডাইমেনশন।



এরপর? কিছু চিন্তা করার বিষয়ঃ এই পর্যন্ত যা আলাপ করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া কিছু চিন্তা ভাবনা নিচে তুলে ধরা হলো। আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি, এই অংশটা শুধু তাদের জন্য।



# ইসলাম ধর্ম অনুসারে জ্বীন এবং ফেরেশতা নামক আরও দুটা সৃষ্টি আছে যাদের আমরা দেখিনা কিন্তু তারা আমাদের দেখে। শুধুমাত্র তাদের ইচ্ছা হলেই তারা নিজেদেরকে আমাদের সন্মুখীন করতে পারে এবং তারা সচারাচর আমাদের মানুষের মত আকৃতি নিয়েই আমাদের সামনে আসে। এখন একটু চিন্তা করে দেখুনতো এই ব্যাপারটাকে flatland এর সেই দ্বিমাত্রিক বর্গের সাথে ত্রিমাত্রিক জগতের গোলকটির সাক্ষাত এর সাথে তুলনা করা যায় কি না? গোলকটি শুধুমাত্র যখনই দ্বিমাত্রিক flatland এর তলটাকে ছেদ করছে (কিংবা আমরা একটু অন্যভাবে বলতে পারি “যখনই দেখা দিচ্ছে”, চাইলে দ্বিতীয় পর্বের লেখার এই এনিমেশনটা আবার দেখে আসতে পারেন বুঝার সুবিধার জন্য) একমাত্র তখনই দ্বিমাত্রিক পৃথিবীর বাসিন্দা বর্গটা তাকে দেখতে পাচ্ছে। অন্যদিকে গোলকটা কিন্তু সবসময়ই বর্গটাকে এবং তার পৃথিবীটাকে দেখছে। আবার খেয়াল করুন, গোলকটা যখন দেখা দিচ্ছে বর্গটা তখন তাকে তার নিজের জগতের অন্য আরেক বাসিন্দা বৃত্তের মত দেখছে, সে কিন্তু গোলকের আসল আকারটা ধরতে পারে নাই। কারন সে ত্রিমাত্রিক জগতটা দেখছে না।



তাহলে আমরা কি বলতে পারি জ্বীন এবং ফেরেশতারা ৪ ও ৫ নম্বর কিংবা আরও উপরের কোন ডাইমেনশনের বাসিন্দা?



# এইবার চলুন শবে মেরাজ (মহানবী (স) এর উর্ধলোকে ভ্রমন) নিয়ে একটু চিন্তা করি। flatland এর বর্গটি কিন্তু নিজে থেকে ৩ নম্বর মাত্রায় যেতে পারেনি। ত্রিমাত্রিক জগতের বাসিন্দা গোলকটি তাকে সেই ৩ নম্বর মাত্রায় নিয়ে যায়। একইভাবে আমাদের মানুষের দ্বারা নিজে থেকে হয়তো অন্য ডাইমেনশনে যাওয়া সম্ভব না, কিন্তু অন্য ডাইমেনশনের কেউ এসে যদি আমাকে সেখানে নিয়ে যায়? তাহলে কি সম্ভব? আমাদের নবীর ক্ষেত্রে কি সেইরকম কিছু ঘটতে পারে?



# ৩ এর পরের ডাইমেনশনগুলো কেমন আমরা এখনো জানি না, তবে সেগুলো যদি আসলেই বাকাঁ হয়ে থাকে, তাহলে সেই ডাইমেনশনের বাসিন্দাদের কি অনেক দ্রুত চলাফেরা করা সম্ভব? এবং তারা চাইলে আমাদের কে ও কি তাদের সাথে নিয়ে দ্রুততার সাথে চলাফেরা করতে পারবে?

নিজের মাথা থেকে চিন্তা করে নিচের ছবি দুইটা তুললাম। মনে করুন বিন্দুটা একটা পীপঁড়া। সে কাগজের এই মাথা থেকে ওই মাথায় যেতে চাচ্ছে। প্রথম ছবি অনুসারে সে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই যাচ্ছে। কিন্তু যদি কোন একটা বাকাঁনো ডাইমেনশন ২য় ছবির মতো হয় এবং ওই ডাইমেনশনের কেউ একজন পীপঁড়াটাকে সেই ডাইমেনশনে যেতে সাহায্য করে তাহলে কি হবে? পীপঁড়াটা কি দ্বিতীয় ছবির মতো চোখের পলকে তার গন্ত্যবে চলে যাবে? জ্বীন বা ফেরেশতারা কি অন্য ডাইমেনশনে থাকার কারনেই আমাদের চেয়ে দ্রুত চলতে পারে?









ব্যাপারটা আপাতদৃষ্টিতে হাস্যকর মনে হচ্ছে। আমি বলছি না যে এইটাই ঠিক, বা ব্যাপারটা এত সহজ কিছু। কিন্তু এইরকম কিছু হওয়া অসম্ভব ও না। আমরা মুসলমানরা সবাই জানি যে আমাদের সবার কৃতকর্মসমূহ আমাদের হাশরের মাঠে দেখানো হবে। ভিডিও রেকর্ডিং, সিকিউরিটি ক্যামেরা ইত্যাদির বদৌলতে বর্তমান যুগে এসে এই ব্যাপারটা চিন্তা করতে আমাদের তেমন কষ্ট হয় না। কারন আমরা আল্লাহর সৃষ্টি হয়েই যদি অতীত ভিডিও করে রাখতে পারি, তাহলে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর কাছে এর চেয়ে উন্নত কোন প্রযুক্তি অবশ্যই আছে। কিন্তু আজ থেকে ২০০ বছর আগের মানুষকে এই ব্যাপারটা চিন্তা করতে নিশ্চয় অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তারা হয়তো কল্পনা করতে পারেন নি এবং শুধুমাত্র আল্লহর উপর বিশ্বাস রেখে অনেকে ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন আর বাকিরা এইটাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে এখনো অনেক কিছুই আছে যা বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারে নি। কারন বিজ্ঞান ঐ পর্যায়ে যেতে পারেনি।



# সর্বশেষ চিন্তা, গোলকটি যেমন করে ৩ নম্বর ডাইমেনশনে থেকে বসে বসে দ্বিমাত্রিক flatland এর সব বাসিন্দাদের একসাথে (বলা যায় একনজরে) এবং একেবারে ভিতর পর্যন্ত দেখছিল, ঠিক একইভাবে ফেরেশতারা ও কি অন্য ডাইমেনশনে থেকে আল্লাহর নির্দেশ আনুসারে আমাদের এই ত্রিমাত্রিক জগতের কার্যক্রম দেখা, পরিচালনা করা এবং লিপিবদ্ধ করে চলেছেন? আর সর্বশক্তিমান, মহান আল্লাহ তাআলা কি সর্বোচ্চ কোন ডাইমেনশন থেকে এই সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে চলেছেন? যাইহোক, এই সবকিছু মহান আল্লাহ একমাত্র নিজেই ভালো করে জানেন, আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিস্কে সেটা কিছুতেই আসবে না।

পর্ব ১

পর্ব ২



(আর আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর বিশালত্বের সামনে আমাদের এই আধুনিক বিজ্ঞান কতই নগণ্য শুধুমাত্র সেটা তুলে ধরা আর এইটা নিয়ে খানিক্ষন চিন্তা করা। কারন, আল্লাহ পবিত্র কুরআনে কয়েক স্থানে বলেছেন যে আমি জ্ঞানীদের জন্য এখানে নিদর্শন রেখেছি। এইসব বিষয় চিন্তা করতে গিয়ে কোন কুধারনা আমাদের মনে আসলে আল্লাহ আমাদের কে সেটা হতে রক্ষা করুন। আমীন। যেখান থেকে সাহায্য নেয়া হয়েছে:Main source )

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

বাহলুল বলেছেন: ভাল লাগল। চিন্তার খোরাক আছে

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

ভোরের বাতাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :) । চিন্তা করতে উৎসাহ যোগানোর উদ্দেশ্যেই এই লেখা।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

এস বাসার বলেছেন: চমৎকৃত হলাম। পোস্ট শোকেজে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

ভোরের বাতাস বলেছেন: আমিও চমৎকৃত হলাম। অনেক ধন্যবাদ :)

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

সালমা শারমিন বলেছেন: আমি কাল যখন লিখাটা পড়ি মাথায় ঠিক নিতে পারছিলাম না। অদ্ভুত চিন্তা মাথায় বাসা বেধেছিলো।এও কি সম্ভব?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

ভোরের বাতাস বলেছেন: আপনি ৩ টা পর্বই একসাথে পড়েছেন কি না জানি না। একসাথে পড়লে হয়তো আরো অন্যরকম লাগবে।

তবে আপনার কমেন্টটা ও কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। :) আপনি কি হতাশ হয়ে লিখলেন, নাকি অবাক হয়ে? সেই সাথে আপনার আমাকে পাগল ও মনে হচ্ছে কি না, আল্লাহ'ই ভালো জানেন! :D

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গতির কথা আর কি বলবো ভায়া ...

এক কদম ফেলে যদি বৃহষ্পতি যাওয়া যায়... এক কদমে যদি সৌরজগতের সীমা পার হওয়া যায়- সেটা কত তম ডাইমেনশন কে জানে!!!!

কিন্তু যেতে খুবই মজা ;)

বস্তু থেকে বস্তুগত ভাবনাই বেশি ঘুরবে এটা স্বাভাবিক। অবস্তু বস্তু র কনসেপ্ট আপনার আগের দুই পর্বের মতো নীচের প্রজন্ম উপরের প্রজন্মকে মানতে চাইবেই না-যতক্ষন না সেই স্তরে উপণীত হবার জ্ঞান লাভ করছে।।।


মানুষ তার আসল ইমেজকে দেখতে পারেনা। যাকে আরবীতে বলে হাকীকত। যারা পারে তারা সেই ডাইমেনশনের অনেক ক্ষমতাই লাভ করে :)

প্রিয়তে রাখলাম।
+++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

ভোরের বাতাস বলেছেন: হুম।। আপনার কমেন্টে ও চিন্তা করার অনেক কিছু আছে। :)

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। প্রিয়তে নিলাম। অনেক কিছু জানা হল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

ভোরের বাতাস বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। :) ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট, এবং চমৎকার আপনার চিন্তাভাবনা। মাত্রা নিয়ে আপনার কাগজের দেয়া উদাহরনটার মতই একটা উদাহরণ স্টিফেন হকিংয়ের (ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম) বইয়ে ছিল, যেটা গাড়ির চাকা দিয়ে দেয়া- চাকার সারফেস দিয়ে চলা দূরত্ব বনাম সরাসরি দূরত্ব।

এর পরে ব্যাপারটা বিয়ে চিন্তা করে কাছে আর দূরের ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে-

বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।
...............................
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

ভোরের বাতাস বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। :)

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্রশ্ন করার আগেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

ভোরের বাতাস বলেছেন: আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। উত্তর পেয়ে গেলও এই বিষয়ে আপনার কিছু শেয়ার করার থাকলে করতে পারেন। আপেক্ষায় রইলাম।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
ভাল লিখেছেন। দুনিয়াটা বড়ই বৈচিত্রময়। অনেক সুন্দর করে চমৎকার একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। আরও আগেই পড়ার দরকার ছিল। আফসোস হচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

ভোরের বাতাস বলেছেন: ভাই আপনাকে আর ধন্যবাদ দিচ্ছি না! আলরেডি ২ বার দিয়েছি। :) লেখাটা আপনার এত ভালো লেগেছে জেনে আমি নিজেই আবার একবার পড়লাম। ভালো থাকবেন।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বিষয় হল রাসুল (স:) এর মেরাজ নিয়ে। আমি বেশ কিছু মানুষের কাছে আপনার বর্ননা কৃত বিষয়টা বুঝাতে চেয়েছি। বলদ গুলা কিছু না বুইঝা পুরাটা উরাইয়া দিল। এগুলার জন্যই আজকে নাস্তিক গুলা এত আস্কারা পায়। নাস্তিকদের মুখে ঝামা ঘষার জন্য আপনার এই লেখাটি যথেস্ট।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

ভোরের বাতাস বলেছেন: ভাইরে, কুরআনেই তো বলা আছে যে কিছু লোকের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। তারা ভালো মন্দ বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক। হেদায়েত করা আল্লাহর ইচ্ছাধীন, আমার আপনার কাজ হচ্ছে বুঝানো। বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা। :) আপনি চেষ্টা করেছেন, এর প্রতিদান ইনশাআল্লাহ পাবেন।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

যেনী বলেছেন: ভাই কি লিখলেন এইসব-------আর নিতে পারছি না মাথাই---------অনেক ধন্যবাদ চিন্তার খোরাক যোগানোর জন্য।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভোরের বাতাস বলেছেন: )

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যদিও পরে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণীত হয় যে Kaluza and Klein এর এই বাকাঁনো ডাইমেনশন জেনারেল রিলেটিভিটি আর ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক থিওরীকে এক করতে পারছে না, যেটা আশা করা হচ্ছিলো।

আসলে ৭ মাত্রার ব্যাপারটাকে অনেকে অর্থহীন বলে থাকে কিন্তু যদি কোনো কিছুই অর্থহীন না ধরা হয় তাহলে যখন স্ফেরিক্যাল জিওমেট্রিতে ডাইমেনশন গুলো সিমেট্রি মোতাবেগ সাজানো হয় তাহলে পাওয়া যায় dF এর SU(3)×SU(2)×U(1)=7 যেখানে F কে একটা আস্তরন হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু আপনি পোস্টে লিখেছেন যে পরীক্ষাগত দিক থেকে এক করতে পারছে না, যেটা মনে হয় ঠিক নয়। কারন এটা কিভাবে এক্সপ্যারিমেন্ট করা যায় সেটা করার মতো এনার্জী ছিলো না।

এনার্জী এই জন্য ছিলো না যেহেতু বাকী ৭ টা মাত্রাগুলো সাবএটমিক লেভেলে এবং টোটাল গ্রাভিটী শক্তিশালী হলেও আমাদের চার মাত্রাতে ডিটেক্ট করার মতো বা পরীলক্ষিত হবার মতো খুবই দুর্বল বলে এলএইচিসিকে ১৪ টেরাভোল্টে উন্নীত করা হচ্ছে এবং এটা আবার অনলাইন হবে ২০১৫ তে। এই এক্সপ্যারিমেন্টে দেখা হবে ডিকে চ্যানেল বা বিভিন্ন সাবএটমিক কনিকার ক্ষয়িষ্ঞ্চু পথে এনার্জী জেট এর কি অবস্হা এবং কি কি স্পাইক পাওয়া যায়। সরাসরি এক্সট্রা ডাইমেনশন বা গ্রাভিট্রনের স্পাইক দেখা সম্ভব নয় তবে স্ট্যান্ডার্ড মডেল এবং ফাইনম্যানের ডায়াগ্রাম অনুযায়ী যদি ডিকে চ্যানেলে আনডিটেক্টেড বা এক্সট্রা এনার্জী পাওয়া যায় তাহলে সেটাই হবে নিউ ফিজিক্স। আর গ্রাভিটিকে মিলাতে গেলে ওটা একটা সিঙ্গুলারিটির জন্ম দিতে হবে যাকে বলে মাইক্রোস্কপিক ব্লাক হোল। হিসেব মতো প্লান্ক স্কেলের ভর অর্জন করা অসম্ভব, কিন্তু যদি এই হিউজ পরিমান এনার্জী দিয়ে সংঘর্ষ ঘটানো হয় তাহলেই জিনিসটা সম্পর্কে আসলে আইডিয়া পাওয়া যাবে। তাই আমার মনে হয় কালুজা-ক্লেইন এক্সপেরিমেন্ট এখনও করা সম্ভব হয়নি শুধু মাত্র এই কারনে।

পদার্থ বিজ্ঞান পর্যন্ত ঠিক ছিলো কিন্তু জ্বীন ফেরেশতাকে এর মধ্যে টেনে এনে ব্যাপারটা হালকা হয়ে যায়। প্রথমেই যে ব্যাপরটা সেটা হলো আত্মা ব্যাপারটা জৈবিক। আর সেটা জৈবিক বলেই অন্য উচ্চতর ডাউমেনশনে থেকে তারা যদি আমাদের নিয়ন্ত্রন করতে চায় তাহলে কিভাবে সম্ভব? উচ্চতর মাত্রা থেকে নিম্ন মাত্রায় যেতে যে পরিমান শক্তির প্রয়োজন সেটার জোগানটাই বা আসবে কোথা থেকে? যদি তা করতেই হয় তাহলে এত ফেরেশতা জান কবজ করে মানুষের তাহলে তো জায়গায় জায়গায় ব্লাক হোল হোয়াইট হোলের দরকার। জিনিসটা কেমন যেনো খেলো এবং অতিরিক্ত মাত্রা অসম্ভব জটিলতার রূপ নিচ্ছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.