নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ইতিবাচক চিন্তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনে ।\"

ভ্রমণ বাংলাদেশ

“ভ্রমণ বাংলাদেশ” ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ভ্রমণ এবং এডভেঞ্চার এক্টিভিটিস এর পাশাপাশি সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। আর সেই সূত্রে ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফী সংক্রান্ত লেখালেখি’র জন্য আমাদের এই আইডি। FB Page: http://www.facebook.com/VromonBangladeshpage E-mail: [email protected] Website: www.vromonbangladesh.org আমাদের ফেসবুক গ্রুপ https://www.facebook.com/groups/vromonbangldesh

ভ্রমণ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহেড়ায় মজা ! সাথে কি চমচম ? .........

১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭






ভ্রমণ বাংলাদেশ এর আপকামিং ইভেন্ট

“তাড়াহুড়োর লেখা কিছু বাদ গেলে প্রশ্ন করবেন বা জানাবেন আশা করি” ।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়ে ছিল ভ্রমণ পাগল মানুষ গুলোর । দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুরো সিজনটা মাটি হয়ে গেল ।
কি আর করা ?
দূর্ভাগ্যকে সংগী করে অপেক্ষা করতে লাগলাম । দেশ এক শান্ত কিন্তু গরমটা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত না । তারপরও ক্লাবের মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হল কয়েকটি ইভেন্টের । ইভেন্ট ঘোষনা হল । কিন্তু আগ্রহী বন্ধুর সংখ্যা হতাশাজনক । মাত্র নয় জন । কি আর করা যেতেই হবে । তাহসিন ইব্রাহিম ভাইকে বলে মাইক্রোবাস ঠিক করে রাখলো । রাতে সবার সাথে কথা বলে জায়গা ও সময় বলে দিলাম ।

সকাল সকাল সময় মত সবাই হাজির হয়েছিল । যাত্রার শুরুটাও ছিল ভাল । গাড়ির এসিটা ঠিকমত কাজ করছিল ।
নাস্তার খিচুড়ি সাথে গরুর গোস্তটা ছিল চমৎকার । ভুল ছিল প্রথমে মহেড়া যাবার প্লান করা । কিন্তু ভুলটা যেন প্রকৃতি ঠিক করে দিল ।

পথ ভুলে চলে গেলাম “করটিয়া সাদাত কলেজ”
করটিয়া সাদাত কলেজ অবিভক্ত বাংলায় মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ। ১৯২৬ সালে আটিয়ার চাঁদ ওয়াজেদ আলী খান পন্নী পিতামহ সাদাত আলী খান পন্নীর নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডের উপরে ঢাকা থেকে ৫৫ মাইল দূরে এবং টাঙ্গাইল থেকে ৫ মাইল আগে ৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ জন্ম লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রিন্সিপাল ইবরাহিম খাঁ এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৯২৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ একুশ বছর তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৩৮ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যখন অবিভক্ত বাংলার প্রধান মন্ত্রী তখন তিনি কলেজটি পরিদর্শন করতে আসেন এবং কলেজের জন্যে মোটা অংকের অনুদান বরাদ্ধ করেন। ঐ বছরই কলেজটি ডিগ্রি কলেজে উন্নিত করা হয়। কথিত আছে শেরে বাংলার সফরের সময় করটিয়ার জন সাধারণ প্রধান মন্ত্রীর কাছে করটিয়াকে একটি আদর্শ গ্রামে পরিণত করার জন্যে আবেদন করেছিল। প্রতি উত্তরে তিনি বলেছিলেন করটিয়াকে আর কি করে আদর্শ করবো, এ গ্রামতো আদর্শ গ্রামেরও আদর্শ।


এরপর দেখলাম ডেপুটি স্পিকার (প্রাক্তন) হুমায়ুন খান পন্নির পূর্ব পুরুষদের নিবাস । বিশাল বাড়ির তিনটি অংশ এখন । সম্ভবত তিনভাইেয়র বা তিন অংশীদারের নামে । একটি অংশ দেখা নিষেধ ।

এরপর চলে গেলাম “আতিয়া জামে মসজিদ” । “আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের” টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষড়োশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।

টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.) দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.) উল্লেখ করা হয়েছে।

আরবি ‘আতা’ থেকে ‘আতিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি, যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘দান কৃত’। আলী শাহান শাহ্‌ বাবা আদম কাশ্মিরী (রঃ)-কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিযোগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু হরেন; সেসময় তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের এবং আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য আফগান নিবাসী কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকেসংলগ্ন এলাকা দান বা ওয়াকফ্ হিসাবে লাভ করেন। এবং এই এলাকাটি তাঁকে দান করায় এই অঞ্চলটির নাম হয়েছে ‘আতিয়া’।

পরবর্তীতে বাবা আদম কাশ্মিরীর পরামর্শক্রমে সাঈদ খান পন্নী নামক সূফিজীর এক ভক্তকে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর উক্ত আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই ১৬০৮ সালে বাবা আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।

মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন। লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)। এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।
সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।



“আতিয়া জামে মসজিদ” দেখা শেষ করে গেলাম জুম্মার নামাজে । নামাজের জায়গাটাও ঐতিহাসিক । বাংলার মজলুম জননেতা ভাসানীর স্মৃতি বিজড়িত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Mawlana Bhashani Science and Technology University)” বাংলাদেশের অন্যতম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাঙ্গাইলের সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের কিংবদন্তী রাজনৈতিক নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামানুসারে। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকল্যে ১৫০ জন। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত প্রভুত উন্নতি হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে নতুন এ্যাকাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য নতুন বেশ কয়েকটি আবাসিক হল ইত্যাদির কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছায়ঘেরা মসজিদের পাশেই শুয়ে আছে মাওলানা ভাসানী ও তার স্ত্রী ।
আবদুল হামিদ খান ভাসানী (ডিসেম্বর ১২, ১৮৮০-নভেম্বর ১৭, ১৯৭৬) বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের মানুষের কাছে 'মজলুম জননেতা' হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশীরভাগ সময় মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাঁকে "লাল মওলানা" নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের 'ওয়ালাকুমুসসালাম' বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

এরপর গেলাম খেতে নিরালা মোড়ে বাইম/বাইন মাছ দিয়ে ভাল । চমৎকার ছিল মাছটি ।

“গোপালের চমচম” কিনলাম লাইন ধরে ।
দাম অন্য দোকানের তুলনায় বেশি । কারন তারা নাকি ভাল জিনিস বানায় । এর প্রমান পেলাম খেয়ে। দাম মাত্র ১৮০ টাকা কেজি আর রসমালাই আছে৩০০টাকা কেজি ।

এরপর গেলাম ইভেন্টের মূল আর্কষন মহেড়া জমিদার বাড়ি ও পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে । অসাধারন .......

বর্ননা করে শেষ করা যাবে না । তাই সকাইকে যাবার অনুরোধ রইল ।
জমিদারবাড়ি ভ্রমণের শেষ পর্যায়ে বাতাস বইতে শুরু করলো ।

গরুর দুধের চা শেষ করা আগ পর্যন্ত সারাদিন ছিল প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম । চা শেষ করার সাথে সাথে শুরু হল দমকা বাতাস । এরপর গাড়ি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড বৃষ্টি । আমরা বৃস্টির হিমেল হাওয়ার ঝাপটায় ফিরে এলাম নীড়ে ।
ধন্যবাদ মহান আল্লাহ ও দলের সবাইকে ।



তথ্যঃ- http://bn.wikipedia.org/wiki

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: ভালো লাগল!

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫১

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ..ফাহাদ ইবনে মুরতাযা

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা ভাল লাগল্

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫১

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ঢাকাবাসী ধন্যবাদ.

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট। বর্ণনা আর ছবির মিশেলে দারুন হয়েছে। চলতে থাকুক ভ্রমণ, সাথে লিখতে থাকুন ভ্রমণ পোস্ট।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ.

৪| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০১

তাহসিন মামা বলেছেন: চমৎকার। বাবা অসুস্থ থাকায় সাথে যেতে পারিনি। ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো। সব পরিচিত মুখ :)

১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০১

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ.

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মহেরায় গিয়েছিলাম। চমৎকার জায়গা। পোস্টে প্লাস।

১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০০

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ.

৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইচ্ছে করে যেতে, কিন্তু সময়ের যে বড় অভাব,,,,,,,,,,,,,ভ্রমণ বাংলাদেশের প্রতি শুভকামনা অনেক অনেক

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: সাদা মনের মানুষ মহান আল্লাহর ঘরে যেয়ে সময় ভিক্ষা করে আনতে পারলেন না ?
আপনাকে ধন্যবাদ.........।

৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

সুমন কর বলেছেন: অফিসের পিকনিকে একবার মহেরায় গিয়েছিলাম। সুন্দর জায়গা। বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে দারুণ পোস্ট।

৪র্থ ভালো লাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.