![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ, সিক্ত, নিষিক্ত চুম্বন...
এরপর চুপচাপ কিছুক্ষণ।
অনেকটা পথ চলতে চলতে দীর্ঘ কথোপকথনের মাঝে নিরবরতার মত কি?
নাহ।অন্যরকম।প্রতি ও প্রথম সমুদ্র দর্শনের আনন্দ মন্থন,
আর শুদ্ধ স্নানের পর বেলাভুমিতে জোছনা দেখার মতন।
আমরা লোকগত প্রথাগত সব সংকোচের আড়ালে
বহু প্রতিক্ষীত পরিতৃপ্ত সহবত নিয়ে বসে আছি কাছাকাছি
মুখোমুখি অথবা ঊর্ধ্বমুখী।
আমার আঙুল তোমার চিবুক ও চুলে চঞ্চল হবার আগ পর্যন্ত আমরা
নীরব,
নিমজ্জমান,
আয়নিত।
এরপর ক্রমশ জেগে ওঠে
বর্ষনে প্রমত্ত পাহাড়ি নদীর উৎসমূল, ঝর্ণার মতন।
জলের শিল্প নিয়ে বহতা নদী।
স্বচ্ছ টলটলে জলাচল তখন-ঘোলাটে, অন্ধ।
আমরা তখনও যাইনি তাবেদারীর তকমা ছেড়ে দূরে,
অথচ স্রোত পূর্বাপর সকল কূল ছাপিয়ে উঠে এসেছে
গোড়ালি হতে নাভিদেশ ছেড়ে গ্রীবায়,
চোখে, চাহনিতে- সবখানে।
অধমর্ণ আমার, তুচ্ছ আমার লোভ যদি হয়
দেনা পাওনা থেকে ঢের বেশী...
তাকে আর বলা যাবে না ভয়ার্ত ভালবাসা।
দাবী তখন দ্বৈত; পাওনা ও পরিশীলন।
তীক্ষ্ণ শীতে তুষারপাতে ছত্রীবিহীন আর গ্রীষ্ম ছিল মরুময়
বর্ষা এসে যদি রেখে যায় কিছু জলাধার পুর্ণ
সাগর হয়ে মহাসমুদ্র পরিভ্রমনের পর প্রত্যাবর্তনের
প্রণয়,
প্রলাপ নয়।
প্রতিবিম্ব, প্রতিকৃতি নয়।
প্রতীক্ষায় প্রত্যয় আমার, আমাদের, আগ্রাসী হয়ে ওঠে যদি
পৃথিবীর
চোখের শাসন
প্রথার বাঁধন
ছিন্ন ভিন্ন ছাই হবে,
দুজন পরস্পর দেহে মজ্জায় মিশে যাওয়া স্পন্দনে অভিন্ন প্রাণ।
ভরা হেমন্তের সোনালী আমন মাঠ থেকে চলে আসে উঠানে
মিশে যায় হাসিতে, সম্ভাবনায়।
তেমনি দুঃখ চারা সরল সমভূমিতে এনেছে মহীরুহ শালবনে শীতল বসতি,শান্তির ঘর।
রৌদ্র জল ছায়া ছেড়ে স্বপ্ন স্বীয় তালুতে বন্দী- আজ্ঞাধীন।
আমি তখন জমি জোতদার; চিরদিনের, চিরস্বত্ত্বের একচ্ছত্র অধিপতি।
মন হতে উঠে আসা আলোয়
আমাদের দিনমান, আমাদের শুভ দৃষ্টি দান,
সাধের শখের যুগল যুগ যুগ যাপন।
মধু ব্যপনের পার্বণে আর নেই শাখা কোন যেন
মূল সুত্র,ভালবাসায়।
শুধু যুগলের যুগ ছাড়িয়ে কালান্তক অবধি প্রণয় পরিভ্রমণ
সমূলে বহুদূর তার বিস্তার, বহু বর্ণে বর্ণিল তার বিবরণ।
©somewhere in net ltd.