![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে কখনও মাছ ধরিনি। তো বর যখন বলল যে, চল একদিন মাছ ধরতে যাই, তখন বুঝতে পারছিলাম না যে খুশি হব নাকি বেজার। মিনেসোটার মানুষেরা মাছ ধরতে ভালবাসে, ভালবাসাটাই স্বাভাবিক কারণ আমেরিকার এই স্টেটে আছে ১০,০০০ এরও বেশি লেক। শুধু তাই নয়, মিসিসিপি নদীও বয়ে গেছে এই স্টেট দিয়ে।
মাছ ধরবার জন্য এখানে প্রথমেই দরকার হয় লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া মাছ ধরা বেআইনী। একটি সুপার ওয়ালমার্টে (ওয়ালমার্ট একটি সুপারমার্কেটের নাম) গিয়ে $১৮ দিয়ে লাইসেন্স করা হলো। তারপর কেনা হলো কেঁচো, বড়শি আরও নানা টুকটাক জিনিষে ভর্তি একটি বক্স যেগুলোকে বাংলায় কি বলে জানিও না। মাছ ধরতে এত নানা কিসিমের জিনিষের প্রয়োজন হতে পারে সেটিও ধারণার বাইরে ছিল।
যাই হোক, একদিন সময় করে বিকেলে গেলাম মিসিসিপির তীরে। ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ দেখি মাছ ধরছে, দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। শেষ পর্যন্ত জায়গা পেলাম কিন্তু ইয়া মাবুদ, দু'ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন মাছকে আমরা আমাদের ফাঁদে ফেলতে পারলাম না!
দু:খটা বেড়ে গেল যখন দেখলাম আমাদের কয়েক গজ দূরে দাঁড়িয়ে দু'টি লোক একের পর এক বিশালাকৃতির পাইক ধরছে। বেশিরভাগ মাছ ধরে আবার তারা পানিতে ছেড়েও দিচ্ছেন। আমার বর লোক দুটোকে দেখে নতুন আশার আলো দেখলো। দিগুণ উৎসাহে বড়শি পানিতে ফেলতে লাগলো। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয় আর কি, নদীর তীরের এক ঝোপে আটকে সুতো গেলো ছিঁড়ে, পানিতে ভেসে গেল হুক আর তার সাথে আটকানো আরও দু'টি জিনিষ। জিনিষগুলোকে মিসিসিপির পানিতে ডুবতে দেখে খারাপই লাগলো। ভারী মন আমরা বাসার দিকে রওনা হলাম এবং অবশ্যই শূন্য হাতে। শূন্য হাতে মানে হাতে ছিপ্ ছিল কিন্তু কোন মাছ ছিল না।
সব মিলিয়ে প্রথম মাছ ধরার ঘটনাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:১৮
ওয়ারা করিম বলেছেন: বাহ্! মজা তো। খেয়েও নিশ্চয়ই মজা পেয়েছিলেন। আমরা দ্বিতীয় দিন মাছ ধরতে পেরেছিলাম, সানফিশ আর ব্যাস।
ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য।
২| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:১৬
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: মাছ ধরা আমারো পছন্দের, আমেরিকার ইস্ট কোস্টের একটা শহরে থাকি, এখানেও অনেক লেক, সামারে মাছ ধরি। বেশীরভাগ সময়ই ব্লুগিল নামক একটা মাছ পাই, যেটার চেহারা আমাদের দেশের খলসে মাছের মত আর সাইজ তেলাপিয়ার মত।
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:২০
ওয়ারা করিম বলেছেন: খেতে কেমন মাছটা? এদিকে বেশি পাওয়া যায় সানফিশ, ব্যাস আর পাইক।
৩| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৭
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: সানফিশ আর ব্লুগিল সম্ভবত একই বা খুব কাছাকাছি মাছ। খেতে তো ভালই, পরিষ্কার করাটাই মুশকিলের ক্যাটফিশও পাওয়া যায় এদিকে, দেশের মাগুর/আইড় মাছের মত।
বড়শি এখনো কিনি নাই, লেকের অফিসে ধার দেয়, সেটা দিয়েই চালাচ্ছি
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১০
ওয়ারা করিম বলেছেন: দরকার না হলে কেনার দরকার নেই। সামারেই মানুষকে বেশি দেখি মাছ ধরতে, শীতকালটা এখানে এত বাজে যে নদী, লেক সব বরফ হয়ে যায়। মজা করে মাছ ধরুন গ্রীষ্ম থাকতে থাকতে
৪| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪০
লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: অনেক ছোটবেলায় ভাইয়ার সাথে মাছ ধরতে যেতাম বাসার সাথের পুকুরে
সেই দিনগুলো
নর্থ আমেরিকায় সামারের শুরুতেই দেখি সবাই মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয়।
আরও যাবেন নিশ্চয়ই মাছ ধরতে?
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১৩
ওয়ারা করিম বলেছেন: দু'বার গিয়েছি, দ্বিতীয় বার অনেকগুলো সানফিশ আর একটা ব্যাস পেয়েছি। আরও যাব কারণ বর মজা পেয়ে গেছে। আমার যেতে ভালই লাগে বিশেষ করে মাছ পরিষ্কারের যন্ত্রণা পোহাতে হয় না দেখে। আমার যদি মাছ পরিষ্কার করা লাগতো তাহলে এর ধারে কাছেও আমি থাকতাম না
৫| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:১৫
ফাইরুজ বলেছেন: ইশ একটা মাছ ও উঠল না বড়শীতে ।আশা রাখি নেক্সট টাইম আর খালি হাতে ফিরতে হবেনা।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১৪
ওয়ারা করিম বলেছেন: নেক্সট টাইম বালতি ভরে মাছ নিয়ে বাসায় এসেছি
৬| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৬
আনারকলি নিরু বলেছেন: ছোটোবেলায় বাসার পাশের পুকুরে খুব মাছ ধরতাম। সেই সময়ের কথা মনে পরে গেলো। ভালো লাগতো লাল রংয়ের কার্ফ মাছ ধরতে পারলে। ঢাকায় মেয়েদের মাছ ধরার তেমন পরিবেশ নেই তাই এখন আর মাছ ধরা হয়না।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:১৯
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য। পরবাসে দেশ ছেড়ে দূরে থাকার একটি মানসিক কষ্ট থাকে কিন্তু তারপরও ভাল লাগে কারণ এখানেই প্রথম মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলাম। দেশে থাকতে কত সামান্য জিনিষও করতে পারতাম না নানা কারণে, এখানে পারি। কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না, রাস্তায় বের হলে মানুষ ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকে না, মানুষের সমালোচনা শুনতে হয় না। আমি আমার মত করে থাকতে পারি। ভাল থাকবেন। আপনার মন্তব্যটি আমার মনে থাকবে সবসময়।
৭| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৭
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
কিছু অসাধারণ স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ছোটবেলায় বাবার সাথে মাছ ধরতে যেতাম। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পুকুরে। বর্ষাকালে গ্রামের কাদাময় রাস্তায় আছাড় না খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে পুকুর পাড়ে পৌছানো, জোঁকের ভয়ে অস্থির হয়ে থাকা, মশা তাড়াতে তাড়াতে হয়রান হয়ে যাওয়া। আর সবকিছু ছাপিয়ে যাওয়া মাছ ধরতে পারার আনন্দ।।।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৫
ওয়ারা করিম বলেছেন: ভাল লাগছে জেনে যে লেখাটি পড়ে আপনার কিছু অসাধারণ স্মৃতি মনে পড়ে গেছে। আমি কখনও দেশে মাছ ধরিনি কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে মনে মনে ভাবতে পারছি আপনি আপনার বাবার সাথে কতটা মজা করেছিলেন ছোটবেলায়। ভাল থাকবেন।
৮| ২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬
বড় বিলাই বলেছেন: আরে মাছ পাননি তো এত মন খারাপের কী আছে। অংশগ্রহণ করাটাই বড় ব্যাপার, জানেন না?
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২০
ওয়ারা করিম বলেছেন: হা: হা: হা: জ্বী, অবশ্যই।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৩
পুরাতন বলেছেন: আমি জীবনে মাত্র একবারই মাছ ধরেছিলাম। ঐটা ছিল প্রথমবার। এরপরে অনেক চেষ্টা করেও আর পারিনাই ।
০২ রা জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪৫
ওয়ারা করিম বলেছেন: কেন পারেননি? সময়, সুযোগের অভাবে? অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য।
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আহারে...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
ওয়ারা করিম বলেছেন: আসলেই আহা রে! টাইপ অবস্থা।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৮
১১স্টার বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমার ও মাছ ধরার কথা মনে পড়ে গেলো।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
ওয়ারা করিম বলেছেন: তাহলে লিখে কিছুটা সার্থক বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
১১স্টার বলেছেন: এখানে অনেক মাছ ধরেছি
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:১৬
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: কিছুদিন আগে আমরা টেক্সাসে এইরকম এক লেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সবাই বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে দেখে আমাদের মধ্যে এক ছেলে কোথ্থেকে একটা জাল কিনে নিয়ে আসলো। পুরা দেশী স্টাইলে ঝাপায় পড়ে মাছ ধরা। ছোট বড় ভালোই ধরা হয়েছিলো।