![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশে পড়ালেখা করবার পরও চাকরি-টাকরি কিছু না করে ঘরে বসে আছি বাচ্চার জন্য। আমার সবসময় মনে হয় এবং হয়েছে যে একটি ছোট বাচ্চার সবচাইতে বেশি প্রয়োজন তার মাকে। (এটি একটি ব্যক্তিগত মতামতও হতে পারে।) কিন্তু বিদেশে যেসব মায়েদের ছোট বাচ্চা আছে তাদের বাচ্চা রেখে চাকরি করাটা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে বাচ্চাকে কে দেখবে সেটার কথা চিন্তা করে। দেশে অনেক মায়েরাই বলে যে ডে কেয়ার থাকলে অনেক সুবিধা হত তাদের। বিদেশেতো ডে কেয়ার আছে, তারপরও কেন কিছু মা কাজ করেন না?
সবার কথাতো বলতে পারব না তাই নিজের কথাই বলছি।আমার আম্মু আমাকে প্রায়ই প্রশ্ন করে কেন আমি কাজ করতে চাই না। কেন চাই না তার সবচেয়ে বড় কারণ আমি বাচ্চাকে অন্য কারও কাছে দিয়ে মনে শান্তি পাব না। আমার সামনের ফল সেমেস্টার থেকে পিএইচডি শুরু করবার কথা ছিল কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি করব না। কারণ? এক, বাচ্চাকে ডে কেয়ারে লম্বা সময় কাটাতে হবে আমি পিএইচডি করলে। দুই, বাচ্চা বড় করবার পাশাপাশি এত পড়ালেখা আর কাজের চাপ হয়তো অনেকে সামলাতে পারবেন, আমি পারতাম না। পিএইচডিতে যাকে বলে আনডিভাইডেড এটেনশন দিতে হয়। বাচ্চা কোলে নিয়ে আর যাই হোক রিসার্চ পেপার লেখা যায়না!
পারতাম কোন চাকরি করতে কিন্তু বাচ্চাকে ডে কেয়ারে রাখতে হবে দেখে সেটা করছিনা। যত ভাল ডে কেয়ারই হোক, মায়ের মত করে বাচ্চার যত্ন কেউ করবে না। আর ভাল ডে কেয়ারগুলো কি পরিমাণ টাকা নেয় তার একটা উদাহরণ দেয়া ভাল - আমার বাসার কাছে যে ডে কেয়ারটি আছে সেটিতে সপ্তাহে নেয় $৩৫০, মানে মাসে আপনাকে গুনতে হবে $১৪০০! চিন্তা করি, এত টাকা ডে কেয়ারকে দিয়ে দিলে আমারতো নিজের কাছে তেমন কিছুই থাকবে না। কি দরকার তাহলে এত কষ্ট করে চাকরি করবার?
অনেকে বাসায় বেবি সিটার বা ন্যানি রাখেন। অভিজ্ঞ, ফার্স্ট এইড এবং CPR ট্রেনিংপ্রাপ্ত ন্যানিরা কিন্তু কম টাকা নেন না, ঘন্টায় তাদের দিতে হতে পারে $১৫ থেকে $২০ পর্যন্ত। $১০/ঘন্টাতেও পাওয়া যায় কিন্তু বাচ্চা পালনে তাদের তেমন কোন অভিজ্ঞতা থাকে না।
আমার যেমন স্বভাব আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বাচ্চাটাকে সাধ্য অনুযায়ী ভালটা দিতে। কিন্তু ভাল জিনিষ ব্যয়সাধ্য। হ্যাঁ, চাকরি করলে হয়তো আমার হাতে কিছু টাকা হতো, হাত খুলে খরচ করতে পারতাম কিন্তু বাচ্চার অবহেলা হতো। আমি তাকে যেভাবে যত্ন করে খাওয়াই, ঘুম পাড়াই, গান গেয়ে বা বই পড়ে শোনা্ই সেটা অন্য কেউ করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। আর তাই তো অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছি সন্তানের দিয়ে তাকিয়ে।
১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার সবসময় মনে হয় ভিতরে একটা অপরাধবোধ কাজ করবে ওকে ডে কেয়ারে রেখে আসলে। আমি অবশ্যই সময় করে শুনবো। ভাল থাকবেন।
২| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৮
রায়হান কবীর বলেছেন: টপিকের বাইরে একটা প্রশ্ন করিঃ ওয়ারা নামের অর্থ কি? ওয়ারা শব্দটির অর্থ খুঁজছি বেশ কিছুদিন ধরে কিন্তু পাচ্ছি না।
ধন্যবাদ।
১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
ওয়ারা করিম বলেছেন: ওয়ারা'র অর্থ আরবীতে খুব সম্ভবত ধর্মভীরু। অন্যান্য ভাষাতেও এই শব্দটি আছে। কোথাও পড়েছিলাম যে আফ্রিকার কোন এক ভাষায় ওয়ারা'র অর্থ হচ্ছে, তারা। আরও কি কি আদিম ভাষায় যেন এই শব্দটি পাওয়া যায়।
ভাল থাকবেন
আমিও নিজেও ১০০ ভাগ কনফার্ম না আমার নামের অর্থ নিয়ে।
৩| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০০
আকরাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।একটি ছোট বাচ্চার সবচাইতে বেশি প্রয়োজন তার মাকে।
পড়াশোনা /পিএইচডি জীবনে অনেক করতে পারবেন, কিন্তু বাচ্চার এই সময়টা আর আপনার জীবনে ফিরে আসবে না।
ভালো থাকবেন।শুভেচ্ছা।
১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯
ওয়ারা করিম বলেছেন: পিএইচডি এই জীবনে আর করা হবে না। কারণ দ্বিতীয়বার আমি জিআরই দিতে পারবো না। মজা করলাম! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য। ভাল থাকবেন আর আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩০
খেয়া ঘাট বলেছেন: মা হিসাবে আপনি সর্বোত্তম কাজটি করছেন।
১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৫০
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৫| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: part time 12hrs জব করতে পারেন দুই বা একদিন ,
১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
ওয়ারা করিম বলেছেন: পিচ্চিটা বড় হলে সেটাই করবো চিন্তা করেছি ডে কেয়ারকে তারপরও গাদা খানেক টাকা দিয়ে দিতে হবে। পার্ট টাইম চাকরি বেতনও পাব কম। তারপরও প্ল্যান সেটাই।
৬| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২১
যোগী বলেছেন: আমাদের এখানে মা এরা দেখি ৩ মাস বয়ষের পর থেকেই বাচ্চাদের ডে কেয়ার সেন্টারে দেয়।
আর সেটাই নাকি সুনাগরিক তৈরী করার জন্য সব চেয়ে ভাল উপায়।
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১০
ওয়ারা করিম বলেছেন: আমার বাচ্চা তাহলে হয়তো সুনাগরিক হবে না!
দোয়া করবেন যেন ভাল মানুষ হয়। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য। ভাল থাকবেন।
৭| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
ঐশীকা বলেছেন: Sorry for english typing. Apnar cintata onek dik thekei thik. Amio probashe thaki and ekhane dekhechi je sob bacchara ekta boyos porjonto sudhu ma babar kache thake tara khube sensitive hoye jay. onno bacchader shathe ba karu sathei kotha bolte chay na shy feel kore ar khub beshi jedi hoy. ar probaser jibon to emoni relative keu thake na so bacchata saradin sudhu ma babar mukhe dekhte pay. tai ekta boyoser por oder dorkar onnoder shathe meshar. Tobe apnar cintata khube savabik ar ma na hole ei onuvutita hoy na. apnar o apnar bacchar proti onek valobasha roilo.valo thakben.
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
ওয়ারা করিম বলেছেন: আপনার কথা হয়তোবা ঠিক। যাদের বাচ্চারা ডে কেয়ারে যায় তারা বলে, বাচ্চারা সেখান থেকে ম্যানারস শিখে, সোসালাইজ করতে শিখে, শিখে অন্যদের সাথে নিজের জিনিষ শেয়ার করতে। সবকিছুরই আসলে ভাল খারাপ দিক আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে মন্তব্য করবার জন্য। অনেক ভালবাসা আর শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। ভাল থাকবেন।
৮| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:০৬
অ্যামাটার বলেছেন: ক্যারিয়া্রের সাথে কম্প্রোমাইজ করার সিদ্ধান্তটাও কঠিন!
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:২১
ওয়ারা করিম বলেছেন: আসলেই কঠিন বিশেষ করে মেধার ব্যবহার হচ্ছে না এটা যখন ভাবি তখন খারাপ লাগে। বাচ্চাটা ভাল মানুষ হলে কষ্ট অনেকখানিই কমে যাবে। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৯| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩২
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: স্যালুট আপনাকে। ক্যারিয়া্রের সাথে কম্প্রোমাইজ করার সাহস অনেকে করেন না।
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ! সবসময় মনে থাকবে আপনার কথাটি। অনেক শুভকামনা রইলো।
১০| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
যোগী বলেছেন: এটা কেন বলছেন? আমি ঐ টা মিন করিনি।
আমি জাপানের কথা বলেছি। এখানকার সরকারই মোটামুটি ভাবে শিশুদের দ্বায়ীত্ব নিয়ে নেয়।
অবশ্যই দোয়া করবো আপনার সন্তান যেন সুনাগরিক এবং ভাল মানুষ হয়, ঠিক আপনারই মত।
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
ওয়ারা করিম বলেছেন: আমি জানি। মজা করে বলেছি
আর অনেক ধন্যবাদ আবারও।
১১| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মায়ের ভালবাসা অতুলনীয় ।আমার এক মামী অস্ট্রেরিয়া যাওয়ার পরও ফিরেএসেছেন ।পিইচ ডি না করেই।শুধু সন্তানের কথা ভেবে।
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য। ভাল থাকবেন।
১২| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
যোগী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ম্যাম,
তবে এদেশে এসে আমার ভিউটা চেঞ্জ হয়েছে অনেকটা। জানিনা আমার ধারনা ভূলও হতে পারে।
আমার ধারনা সন্তানরা বাবা মার কাছে মানুষ না হয়ে যদি এব্যাপারে ওয়েল ট্রেইন্ড কিছু মানুষের কাছে বড় হয়, তাহলে সেটা আরও বেটার।
কারন অনেক বাবা মা আবেগের কারনে হয়তো অনেক সময় প্রোপার ওয়েটা ফলো করতে পারেনা।
তাই দেখেছি এখানকার কেয়ারিং সেন্টার গুল স্ট্রিকলি কিছু রুলস ফলো করে। যাতে তাদের সহনশীলতা এবং বুদ্ধীর বিকাশটা ভাল ভাবে হয়।
মজার ব্যাপার হলো অনেক বাঙ্গালী বাবা মাই বাচ্চাকে কেয়ারিং সেন্টারে রেখে আসার সময় কাঁদতে কাঁদতে ফেরে। যদিও তারা জানে এই সব রুলসগুলা তাদের বাচ্চাদের জন্যই ভাল।
একটা জিনিশ দেখেছি, কেয়ারিং সেন্টারে নাকি বাচ্চাদের টেষ্টলেস খাবার দেওয়া হয়, যাতে বাচ্চারা কোন একটা টেষ্টি খাবারের প্রতি এ্যাডিক্টেড না হয়ে পড়ে বা সেটাই সব সময় খাওয়ার জন্য জেদ না করে।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫২
ওয়ারা করিম বলেছেন: আপনি যে কথাটা বললেন যে বাবা, মায়েরা অনেক সময় আবেগতাড়িত হয়ে বাচ্চাকে ঠিকমত বড় করতে পারে না, সেটি কিন্তু একদম সত্যি। এই কথাটা আমার সবসময় মনে থাকে এবং খেয়াল রাখতে চেষ্টা করি বাচ্চা যেন আমার আবেগের সুযোগ নিয়ে আমাকেই যেন কন্ট্রোল না করবার চেষ্টা করে।
ডে কেয়ার থেকে বাচ্চারা যেমন শেয়ার করা, সোসালাইজ করা শিখে একই সাথে কিন্তু নানা রকমের দুষ্টামিও শিখে আসে অন্য বাচ্চাদের কাছ থেকে (ডে কেয়ারে বাচ্চা রাখে এমন মায়ের কাছ থেকেই শোনা)।
আর বাচ্চারা নানা রকমের অসুখেও ভুগে। আর ভুগলে বাবা, মাদের চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় থাকতে হয় কারণ অসুস্থ বাচ্চাকে ডে কেয়ারে আসতে বারণ করা হ্য়।
ভাল ডে কেয়ারগুলো থেকে আসলেই ভাল জিনিষ শিখবার আছে। কিন্তু ভাল ডে কেয়ারগুলো অনেক টাকা নেয়। আমার বাসার কাছের ডে কেয়ারটি যেমন মাসে $১,৪০০ নেয়। এত টাকা অনেকের পক্ষেই দেয়া সম্ভবা না। আর মোটামুটি মানেরগুলোর অবস্থা আমার দৃষ্টিতে ভাল না।সেখানে বাচ্চা দিয়ে আমার মন কাজে বসবে না কিছুতেই। আমরা একটা বাচ্চা পালতেই হিমশিম খাই। আর ডে কেয়ারে একজন মহিলাকে দেখতে হয় ৩/৪টি বা এর অধিক সংখ্যক বাচ্চা। এক একটি বাচ্চা তাহলে কতটুকুই যত্ন পায় চিন্তা করুন।
আমি ঠিক করেছি পিচ্চিটা বড় হলে ওকে নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত যাব। সেখানে প্রচুর বাচ্চা যায় যাদের সাথে সে সময় কাটাতে পারবে। বাচ্চাদের জন্য আলাদা সেকশন আছে, যেখানে বাচ্চাদের অনেক কিছু দেখবার, করবার, পড়বার সুযোগ আছে।
জাপানের কথা আপনি ভাল বলতে পারবেন কিন্তু এখানে আমার বাচ্চার ডাক্তার বলেছে বাচ্চাকে যেন আমরা আমাদের রেগুলার মশলাযুক্ত খাবার খেতে দেই। তাতে বাচ্চা নানা রকমের খাবারে আগ্রহী হবে, আর ভবিষ্যতে তাকে নানা ধরণের খাবার খাওয়াতেও সহজ হবে। দেখলেন, কি বিস্তর ফারাক চিন্তা ভাবনায় দু'টি দেশের মানুষের!
আর একটি কথা মনে পরলো, বাচ্চা হবার আগে আমি প্রচুর পড়তাম বাচ্চাদের নিয়ে। লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে আসতাম, নেটে পড়তাম। খুব সম্ভবত ড: জেন বারমেন (বাংলায় সঠিক উচ্চারণটা টাইপ করতে পারছি না) এর লেখা "সুপারবেবি" বইটিতে পড়েছিলাম যে যেসব বাচ্চারা সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা বা এর বেশি সময় ডে কেয়ারে কাটায় তাদের সঠিক মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়। ছোট বয়সে একটি বাচ্চার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার মা'কে, বিশেষ করে জন্মের পর প্রথম তিন বছর। "সুপারবেবি" বইটি যারা মা, বাবা হবেন আমার মনে হয় তাদের একবার হলেও পড়ে দেখা উচিৎ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে মন্তব্য করবার জন্য। সুন্দর মানসিকতা আছে বলেই এই কাজটি করছেনা। আর আমি এবং অন্যরাও অন্য একটি দেশ সম্পর্কে জানতে পারছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১৩| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: একমাত্র আমাদের দেশের মায়েদের পক্ষেই সন্তানের জন্য এতটা ভাবা সম্ভব। আমি কখনো কোন আমেরিকান মাকে সন্তানের জন্য এত ভাবতে দেখিনি। ওরা ইন্ডিভিজুয়ালিজম এতই ফলো করে যে অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েদেরকে প্রায় পর করে দেয়। ব্যতক্রমও আছে। তারপরও বাংলাদেশের মায়েদের মত না।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১৪| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার ধ্যানধারনা। বাচ্চাদের ডে কেয়ার বা কাজের মানুসের কাছে রেখে চাকরীর অর্থ আমি খুজে পাইনা....
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য। ভাল থাকবেন। আর দোয়া করবেন যেন বাচ্চাটিকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
১৫| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
ধৈঞ্চা বলেছেন: আপু, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ;
সন্তানের প্রতি এমন সেক্রিফাইস দেখে আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই। সৃষ্টিকর্তার কারণেই হোক বা প্রকৃতির নিয়ম থেকেই হোক যে মায়েরা নিজ সন্তানকে কোলে পিঠে করে মানুষ করে সেই মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা হয় সবচেয়ে বেশী। জাপান-কোরিয়ায় দেখেছি মায়েরা বাচ্চা পালনের ঝামেলাটুকু করতে চায় না, তারা ডে-কেয়ার সেন্টারেই বাচ্চা রেখে বেশী সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফালাফলও সে রকমই হয়, একই শহরে সন্তানরা বাব-মা থেকে ডিটাস্ট হয়ে সিঙ্গেল থাকতে পছন্দ করে। বছরে শুধু পেরেন্টস-ডে তে সৌজন্য সাক্ষাত করতে বাবা-মার কাছে যায়।
আমি আমার মায়ের প্রতি সর্বদাই চির কৃতজ্ঞ। আমার জন্মের পরপরই আমার মা শুধু আমার টেক-কেয়ার করার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২০
ওয়ারা করিম বলেছেন: আমি এখানেও প্রায় একই জিনিষ দেখি। ছোট বয়সেই মাকে বাচ্চার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তখন যদি আপনি সময় না দেন ওকে, ও বড় হয়ে আপনাকে সময় দিবে না যখন আপনি তার সঙ্গ খুঁজবেন। আমরা আমাদের মায়ের প্রতি যতটুকু টান অনুভব করি, প্রতিদিন পাঁচ মিনিট অন্তত ফোন করে কথা বলি, এদেশের ক'টা সণ্তান তা করে? আমাকে আমার আমেরিকান বান্ধবীরা অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছে, কেন আমি টাকা খরচ করে প্রতিদিন বাংলাদেশে ফোন দেই?
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আর অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
১৬| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
কোহকাফের বাসিন্দা! বলেছেন: বাংলাদেশের মায়েরা সবসময় অন্যরকম, সবদেশের মায়েদের চেয়ে আলাদা। এরকম ত্যাগ সবাই করতে পারেনা।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২০
ওয়ারা করিম বলেছেন: আনেক অনেক ধন্যবাদ!
১৭| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
কষ্টসখা বলেছেন: আসলেই মায়েদের তুলনা শুধু মায়েরাই। একজন মা তার সন্তানকে যেভাবে লালন পালন করে তা ঐ ডে কেয়ার সেন্টার কেন সারা পৃথিবীর সবাই মিলেও পারবে না,কারন কিছু কিছু বিষয় থাকে যা আত্বিক যা শুধু মায়েরাই সন্তানের জন্য অনুভব করে অন্য কেউ নয়।
দোয়া করি আপনার সন্তান যেন একজন ভালো মানুষ হয় ,যতটা ভালো মানুষ হলে একজন মা হিসেবে আপনি নিজেকে শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যবান মা মনে করেন ঠিক ততটা ভাল হোক আপনার সন্তান।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২২
ওয়ারা করিম বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার দোয়া যেন সত্যি হয়। এত সুন্দর মন্তব্যটি সব সময় আমার মনে থাকবে। আপনার কথাগুলো আমার কাছে সত্যি। অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
১৮| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৮
বইয়ের পোকা বলেছেন: দোয়া করি,আপনার সন্তান যেন ভালো মানুষ হয়।আপনার এই ত্যাগ তাহলেই সার্থক হবে।
১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
ওয়ারা করিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
১৯| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৯
যোগী বলেছেন: নাইচ এক্সপ্লেনেশান ম্যাম,
সাথে আমি বেশ লজ্জাও পাচ্ছি যে আপনারমত এত এক্সপেরিয়েন্সড মানুষের কাছে আমার দুর থেকে দেখা অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গেছি।
আমি আসলে জাপানীজ জাতিটার সততা ভদ্রতা আর হেল্পফুল নেচারের খুব ভক্ত। আর এর কারন উৎঘাটন করতে গিয়ে জানতে পারলাম এই দেশের সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে হইকুএন বা ডে-কেয়ার সেন্টার ব্যাবস্থা পরিচালনা করে।
১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২০
ওয়ারা করিম বলেছেন: আরে ধ্যাৎ! আমার অভিজ্ঞতা মাত্র সাড়ে সাত মাসের। জাপানীদের নম্রতা আর ভদ্রতার কথা আগেও শুনেছি। জাপানে কখনও যাইনি (নারিতা এয়ারপোর্টে একবার স্টপওভার ছিল শুধু) কিন্তু এই আমেরিকাতে এসে এখানকার মানুষকে এখন পর্যন্ত বেশ নম্রই মনে হয়েছে। মুখে প্লিজ, সরি, এক্সকিউজ মি এবং থ্যাংক ইউ'র ফুলঝুরি। কিন্তু এই নম্র মানুষগুলির অনেকেই কিন্তু মাসেও মা, বাবার খোঁজ নেয় না। আমার চেনা আমেরিকানরা নানা সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, কেন আমি এত টাকা খরচ করে প্রতিদিন বাংলাদেশে ফোন দেই। বাবু হবার আগে আম্মু এসে ছিল আমার সাথে। দিনের পর দিন মা বাসায় থাকে দেখে বিরক্ত হই কিনা এমন প্রশ্নও মানুষ করেছে। কিন্তু বাইরে থেকে সবাই নম্র এবং ভদ্র। বাচ্চা হবার আগে এবং এখন যখন স্ট্রোলারে করে বাচ্চা নিয়ে বাইরে যাই আমাকে কখনও কষ্ট করে কোথাও দরজা খুলতে হয় না - কেউ না কেউ খুলে দিবেই, যে কোন লাইনেও আমাকে অনেক সময় আগে যাবার জায়গা পর্যন্ত করে দেয়া হয়!
আচ্ছা জাপানে কেন সরকার বাচ্চাদের দায়ীত্ব নিজের কাঁধে নেয়? শিশু জন্মের হার কম বলে?
২০| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২১
খেয়া ঘাট বলেছেন: মা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি, আশাকরি পড়বেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আজকের NPR রেডিও তে আ্যান মেরী স্লটারের (tenured professor at Princeton University/ Hilary Clinton's ex-advisor) বইয়ের আলোচনা শুনছিলাম সংসার আর চাকরীর ব্যালান্স নিয়ে। শুনে দেখতে পারেন এখানে:
Click This Link
যে কথাটা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে সেটা হল যে:
একজন মা যখন বাচ্চাকে ডে কেয়ারে নামিয়ে দিয়ে আসে, তখন তার গিলটি ফিলিংস হয় আর বাবা যখন নামিয়ে দেয়, তখন প্রাউড ফিল করে যে সংসারের কাজে হেল্প করল বলে।