নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যেখানে যখন যেমন...।

ওয়ারা করিম

ওয়ারা করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন ব্যাংকিং এর যত সুবিধা

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৫

বাংলাদেশও এখন অনেক এগিয়ে কিন্তু আমি যখন পাঁচ বছর আগে দেশ ছেড়ে আসি তখন অনলাইন ব্যাংকিং সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। জানলাম এখানে এসে ইউনিভার্সিটির একটি ক্রেডিট ইউনিয়নে যখন একাউন্ট খুললাম। কাউন্টারের পিছনের মহিলাটি জিজ্ঞেস করলো অনলাইন ব্যাংকিং এ আগ্রহী কিনা। আমি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। অনলাইন ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা ছোটখাটো কাজগুলোর জন্য ব্যাংকে দৌড়াতে হয়না আর গিয়ে লম্বা লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।



আমি আমেরিকা আসবার পর থেকে একটি not-for-profit ক্রেডিট ইউনিয়নের সাথে ব্যাংকিং এর কাজগুলো করছি তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল জানিনা। আমার ব্যাংকের অনলাইন একাউন্ট থেকে আমি খুব সহজেই আমার চেকিং, সেভিংস এবং ক্রেডিট কার্ড একাউন্ট বাসা থেকে পরিচালনা করতে পারি। ফান্ড ট্র‌্যান্সফার করতে ছুটতে হয়না ব্যাংকে, বাসায় বসেই সেভিংস একাউন্ট থেকে চেকিং বা এর অনুরূপ টাকা ট্র্যান্সফার করি। ক্রেডিট কার্ডের বিল দেয়ার সময় চেকিং থেকে টাকা ট্র্যান্সফার করে বিলে পরিশোধ করি - ৩০ সেকেন্ডও লাগে না।



ব্যাংকে যেতে হয় চেক বা ক্যাশ জমা দেয়ার জন্য শুধু। তাও চেক জমা দেয়ার জন্য না গেলেও হয়। ইলেকট্রনিক ডিপোসিটের সুবিধার জন্য, ছোট্ট একটা ফর্মে যে চেক দিয়েছে তার নাম, ব্যাংকের নাম, রাউটিং নাম্বার এবং টাকার পরিমাণ লিখে সেকেন্ডেই টাকা জমা করা যায় নিজ একাউন্টে। পরে শুধু চেকটা ব্যাংকের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দিলেই হয়।



যখন আমি কাউকে চেক দেই সেই চেক জমা হবার পর গ্রাহকের সিগনেচারসহ সেই চেকের স্ক্যান করা ছবি জমা হয় আমার অনলাইন চেকিং একাউন্টের স্টেটমেন্টে - এই ব্যপারটি বলতে পারেন আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে।



তাছাড়া যে কোন ট্র‌্যানসেকশন মূহুর্তেই চলে যায় অনলাইন স্টেটমেন্টে। বাইরে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এক ডলার খরচ করে বাসায় আসতে না আসতেই সেটা উঠে যায় অনলাইন স্টেটমেন্টে। এই জিনিষ অবশ্য যে কোন ক্রেডিট কার্ডের বেলায়ও প্রযোজ্য।



ফোনে ২৪ ঘন্টা কাস্টমার সার্ভিস তো সবকিছুতেই আজকাল আছে। ব্যাংকে যেমন আছে অনলাইনে চ্যাট করবার সুবিধাও। একবার বাসা বদল করলাম, ব্যাংকে নতুন ঠিকানা জানালাম চ্যাট করে। নতুন চেক বই অর্ডার করতে হবে তাও করলাম অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে। অবশ্যই আপনি আসল ব্যক্তি কিনা সেটা জানতে কাস্টমার সার্ভিস আপনার কাছ থেকে আগে জেনে নিবে আপনার সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বারের শেষ ছয়টি ডিজিট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.