নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদাচোখে বিশ্লেষণ: "যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর সাথে মুহাম্মাদ ﷺ এর বিয়ে কি অজাচার (Incest) ছিল, নাকি ইতিহাস নিয়ে ইসলাম বিদ্বেশী মহলের চরম মিথ্যাচার?" শেষ পর্ব একসাথে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

যাইদ (রাঃ) এর সাথে যয়নাব (রাঃ) এর বিবাহবিচ্ছেদ:

মহান আল্লাহ বলেন:

আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সংগিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। (সুরা: রূম, আয়াত: ২১)

তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের পোশাক স্বরূপ আর তোমরাও তাদের পোশাক স্বরূপ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৭)

মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, তারা সৎকাজের আদেশ দেয়, এবং অসৎকাজ নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে; এদেরকেই আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা: তওবাহ, আয়াত: ৭১)

অর্থাৎ, ইসলামে হাজবেন্ড-ওয়াইফ সম্পর্কটা জাস্ট দুনিয়া কেন্দ্রীক ভোগ-বিলাসী কোন সম্পর্ক নয়, যার সমাপ্তিই হল মৃত্যু, বরং এই সম্পর্কের স্হায়িত্ব টিকে যাবে জান্নাত পর্যন্ত যা প্রতিটি মুমিন নারী-পুরুষের চুড়ান্ত গন্তব্য। বিবাহ হল একটি উত্তম বন্ধুত্ব। মহান আল্লাহ মুমিন নারী ও মুমিন পুরুষকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাথে সাথে তাদের উপর বেশ কিছু দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্যও চাপিয়েছেন, যা পালনে তারা একে অপরকে বন্ধুর মত সহায়তা প্রদান করবে এবং নিজেদের সম্পর্ককে জান্নাত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। তাদের ভুল-ত্রুটি আল্লাহ মাফ করে দিবেন তাদের সন্তানদের দোয়ায় যদি সে বাবা-মায়ের হাতে মুমিন হিসেবে গড়ে ওঠে। কিন্তু যদি এই বন্ধন সুখের না হয়, তবে আল্লাহ তাদের সে বিয়ে ভেংগে দেবারও নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ অসুখী বিবাহ বন্ধন টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা অপেক্ষা সেই বন্ধন ছিন্ন করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই বন্ধন ছিন্ন করতে হবে উভয়েরই স্বার্থ রক্ষা করে, যাতে কোন পক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। আমরা যয়নাব (রাঃ) ও যাইদ (রাঃ) এর মাত্র ২ বছরের সংসার জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, "হাজবেন্ড-ওয়াইফ হিসেবে তাদের মাঝে স্বাভাবিকভাবে যে "মায়া-মমতা, ভালবাসা, দায়িত্ববোধ, সহযোগীতামূলক আচরণ" ইত্যাদি জন্মানোর কথা ছিল, তা মোটেও জন্ম নেয়নি, তাদের সংসার জীবন সুখের ছিলনা। এক্ষেত্রে হয়ত দুজনের পরস্পর বিপরীত মানষিকতা, দুজনের দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা_ সহজভাবে বললে, দুজনের ভিন্ন অবস্হানই দায়ী ছিল। তাছাড়াও আগেই উল্লেখ করেছি যে, যয়নাব (রাঃ) উম্মুল মুমিনীন হতে চেয়েছিলেন। আবার যাইদ (রাঃ) এর জীবনি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তার মাঝে সমাজের সাথে খাপ না খাওয়ার মনোবৃত্তি বিরাজ করত। তিনি যয়নাব (রাঃ) এর স্বামী (স্বামী শব্দটি আমি ব্যাবহারের পক্ষপাতি না, যদিও লেখার প্রয়োজনে করতেই হল) হিসেবে হীনমণ্যতায় ভুগতেন। এজন্য তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চাইছিলেন এবং তা বারবার রাসূল ﷺ এর নিকট উল্থাপন করছিলেন কিন্তু রাসূল ﷺ রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু তার চাপাচাপিতে কিছুটা ধমক দিয়ে তাকে সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেটি কোরানের আয়াত থেকেও স্পষ্ট বোঝা যায়। "স্বরণ করুন আল্লাহ যাকে (যায়েদ রাঃ) অনুগ্রহ করেছেন এবং আপনিও যার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, আপনি তাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখ এবং আল্লাহকে ভয় কর।" (আহযাব:৩৭)

তবে মহান আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ভিন্ন, সেটি হল, আরবে শত শত বছর ধরে চলে আসা পোষ্যপুত্র সংক্রান্ত আরবীয় ভ্রান্ত বিশ্বাসের মুলোৎপাটন করা। আরবরা ছিল ইবরাহিম (আঃ) এর পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর বংশধর এবং তারা দাবি করত, তারা মিল্লাতে ইবরাহিম এর উপর প্রতিষ্ঠিত। অথচ মহান আল্লাহ ইবরাহিম ধর্মে পোষ্যপুত্রকে আপনপুত্র হিসেবে কোন অনুমোদন দেননি, বরং, তা ছিল আরববের নিজস্ব মনগড়া বিশ্বাস। তাই জাহিলিয়াতে পোষ্যপুত্রকে আপনপুত্র হিসেবে মানা হত, তাকে দত্তক নেয়া পিতার সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপারে উত্তরাধিকার হিসেবে গণ্য করা হত, পোষ্যপুত্রের কাছে তার বংশপরিচয় গোপন করা হত, তাকে দত্তক নেয়া পিতা নিজ বংশপরিচয় প্রদান করত... যা কিনা স্পষ্টত মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ genetics বা বংশগতিবিদ্যা আমাদের হাতে আছে যা আমাদের জন্য সত্য অনুধাবনকে খুব সহজ করে দিয়েছে। বিস্তারিত আলোচনায় যাবার আগে আমরা ঔরসজাত সন্তান আর পোষ্য সন্তানের মাঝে পার্থক্য নিয়ে কিছুটা আলোচনায় যেতে পারি যা আমাদের পরবর্তী বিষয়বস্তু বুঝতে সুবিধা করে দিবে।

প্রকৃত পুত্র ও পালিত পুত্রের মাঝে যে পার্থক্য কোথায়?

পিতার সাথে ঔরসজাত সন্তানের অস্তিত্বগত সম্পর্ক বিদ্যমান। পিতা হচ্ছেন সন্তানের জন্মগ্রহণ ও অস্তিত্বলাভের বস্তুগত কারণ। সন্তান হল পিতা ও মাতার শারিরিক ও আত্নিক বৈশিষ্টাবলির উত্তরাধিকারী। যেমনটি আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, " ফাতিমা আমার শরীরেরই অংশ, যা তাকে বিষন্ন করে, তা আমাকেও বিষন্ন করে, তাকে যা কষ্ট দেয়, আমাকেও তা কষ্ট দেয়। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ৬০৮৭, অধ্যায়ঃ ৪৫/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত ,পাবলিশার: ইফাবা)"

কাজেই এধরণের একত্ব ও রক্তসম্পর্কের কারণেই পিতা ও সন্তান একে অপরের ধন-সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে এবং বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত বিষয়গুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। অর্থাৎ, পিতা তার ঔরসজাত সন্তানের বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারেননা আবার পুত্রও তার পিতার বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বা মাকে অথবা সৎ মাকে বিয়ে করতে পারেনা।

সুতরাং এধরণের সম্পর্কের সাথে অস্তিত্বগত বা রক্তগত সম্পর্ক রয়েছে, তা কেবল কথার জোড়ে বা গায়ের জোড়ে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না, যেটি সূরা আহযাবে বলা হয়েছে, এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ সত্য বলেন এবং তিনি এবং তিনিই সরল পথ নির্দেশ করেন। (আহযাব:৪)

কাজেই উত্তরাধিকার, বিয়ে, তালাক ইত্যাদি বিধানগুলোর ক্ষেত্রে একজন পালিত পুত্র একজন ঔরসজাত পুত্রের সমকক্ষ হওয়া তো দূরের কথা, সে প্রকৃত সন্তানের দাবিদারই হতে পারেনা। আবার অনেকক্ষেত্রেই পালিত সন্তানের কাছে তার বংশপরিচয় গোপন করা হয় এবং দত্তক নেয়া পিতা-মাতা তাকে নিজেদের পরিচয় প্রদান করেন অথচ সেটি স্পষ্টত মিথ্যা, কারণ তারা তার প্রকৃত বাবা-মা নন। এজন্যই আল্লাহ বলেছেন, তোমরা তাদেরকে তাদের পিতার পরিচয়ে ডাক কিন্তু যদি পিতৃপরিচয় না জানো, সেক্ষেত্র তারা দ্বীনি ভাই ও বন্ধু।

তাই আরবদের এধরণের অংশিদারিত্ব সঠিক নয়, বরং বংশ পরিচিতিকে হাসি-ঠাট্টার বিষয় বানিয়ে ফেলা। মহান আল্লাহ জাহেলিয়াত যুগের অনেক ভ্রান্ত প্রথাই রাসূল ﷺ এর নিজের দ্বারা প্রথম রহিত করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় কয়েকটি ঘটনা:

১. খুনের বদলে খুন: এই মারাত্নক আরব রীতিকে রাসূল ﷺ বাতিল বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার বংশের ইবন রবীয়া ইবন হারিছের রক্তের বদলা বাতিল ঘোষনা করে, যা যুগ যুগ ধরে আরব গোত্রগুলোর মাঝে যুদ্ধ-বিগ্রহ সদা জাগ্রত রাখত।

২. সুদ প্রথা: রাসূল ﷺ তার দাদা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের সুদের দাবী বাতিল ঘোষণা করে সর্বপ্রথম তা বাতিল বলে রায় দেন।

একইভাবে "পোষ্যপুত্র" সম্পর্কে যেসব জাহিলিয়াত ভ্রান্ত বিশ্বাস আরবে বিদ্যমান ছিল, আরব সমাজে তা রাসূল ﷺ কর্তৃক যয়নাব (রাঃ) কে বিয়ে করার মাধ্যমে দূর করেছিলেন। ইসলামি আইন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, পোষ্যপুত্র বা পোষ্যকন্যা বলতে কিছুই নেই। পালকপুত্র বা কন্যার দ্বারা পর্দা প্রথাও নষ্ট হয়। তবে যাদের সাথে বিয়ে হারাম তাদের কে দত্তক/পালক নেয়া যায়। যেমন আয়েশা (রাঃ) তাঁর আপন ভাইয়ের ছেলেকে দত্তক নিয়েছিলেন। এছাড়াও রাসূল এর ঘরে দুররা বিনতে আবু সালামা (রাঃ) তার নিজ কণ্যার স্নেহে মানুষ হন, যিনি ছিলেন তার দুধ ভাই আবু সালামা ইবনে আবদুল আসাদ (রাঃ) ও উম্মে সালামার কণ্যা।

পাঠক, ইসলাম বিদ্বেশীরা বিশেষত বাংলাভাষী ইসলাম বিদ্বেশীরা যয়নাব (রাঃ) এর সাথে রাসূল ﷺ এর বিবাহের ব্যাপারটি কালিমালিপ্ত করার জন্য সর্বদা জোড়াতালি মারা দুটি গল্প প্রচার করে থাকে সেগুলো হল,

গল্প এক: "কোন এক সময় নবী মুহাম্মাদ ﷺ যয়নাবের ঘরে প্রবেশ করে যখন যয়নাব পোশাকে কিছুটা এলোমেলো ছিল তাই নবী মুহাম্মাদের ﷺ দৃষ্টি তার উপর পরে ফলে.......... যেই ঘটনাটি যাইদ (রাঃ) এর নজর কাড়ে। তিনি তার স্ত্রীর প্রতি নবীর মনোভাব বুঝতে পারেন তাই তার নিকট প্রস্তাব করেন, আমি জয়নাবকে তালাক দিতে চাই (অর্থাৎ আমি তালাক দিই আর আপনি তাকে বিবাহ করে নেন)। জবাবে নবী মুহাম্মাদ ﷺ তার মনোবাসনা (যয়নাব রাঃ কে বিয়ে) গোপন করার জন্য বলেন, তাকে তালাক দিওনা তোমার কাছেই রাখ, খোদাকে ভয় কর।"

গল্প দুই: " মুহাম্মাদ ﷺ বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার জন্য যয়নাবের ঘরে প্রবেশ করেন যখন যাইদ (রাঃ) ছিলেননা। যয়নাব পোশাকে কিছুটা এলোমেলো ছিল যা নবী ﷺ এর নজরে পরে এবং এ ঘটনায় যয়নাব (রাঃ) ও মুহাম্মাদ ﷺ দুজনই বিয়ের জন্য অস্হির হয়ে ওঠেন। (আল্লাহ আমাদের এরূপ মিথ্যে থেকে হেফাজত করুন)

পাঠক, এসব নিতান্তই ইসলাম বিদ্বেশীদের মনগড়া মিথ্যাচার ব্যতীত আর কিছুই নয়। এই বিয়ে স্বয়ং মহান আল্লাহ সম্পন্ন করেছেন, এখানে কোন পরকীয়া প্রেম বিষয়ক কারণ জড়িত ছিলনা। তার প্রতি যদি সত্যিই এমন কোন আসক্তি বিদ্যমান থাকত, তবে তিনি তাকে আগেই বিয়ে করতে পারতেন কারণ যয়নাব (রাঃ) সে ব্যাপারে আগেই আগ্রহী ছিলেন। অথচ রাসূল ﷺ যাইদ (রাঃ) এর সাথে তার বিবাহ দিয়েছিলেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল, "আপনি যা নিজ অন্তরে গোপন রাখছেন আল্লাহ তা প্রকাশ করে দেবেন" একথার মানে কি?

উত্তর: যখন যাইদ ও যয়নাব (রাঃ) এর বৈবাহিক সম্পর্ক দোদুল্যমান, তারা বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছিলেন এবং যাইদ (রাঃ) রীতিমত রাসূল (সাঃ) কে এব্যাপারে ব্যাবস্হা গ্রহণ করতে বলছিলেন, তখনই মহান আল্লাহ ওহী যোগে রাসূল ﷺ কে জানিয়ে দেন যে, তাদের সম্পর্ক টিকবেনা, অচিরেই ভেঙ্গে যাবে এবং আল্লাহ তোমার সাথে যয়নাব (রাঃ) এর বিবাহ দেয়ার দ্বারা আরবদের পোষ্যপুত্র সংক্রান্ত বিশ্বাসের উপরে আঁঘাত হানবেন তা বিলোপের জন্য। তাই যে মুহূর্তে তিনি যাইদ (রাঃ) কে উপদেশ দিচ্ছিলেন যে, "তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখ, আল্লাহকে ভয় কর," সে মুহূর্তেও এ ওহীর বাণীর প্রতি তার মনোযোগ নিবদ্ধ ছিল কিন্তু তিনি যাইদ (রাঃ) ও অন্যান্য মুসলিমদের কাছে ব্যাপারটি গোপন রাখেন যা আল্লাহ কুরআনের আয়াত নাজিলের দ্বারা প্রকাশ করে দেন। আর এই ওহীর কথা গোপন করার পেছনেও যৌক্তিকতা ছিল। যে সমাজে কোন পুরুষ যদি রাগ করেও তার স্ত্রীকে বলে ফেলত যে, "তুমি আমার মা" ব্যাস! এতেই তাদের মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যেত। অথচ কাউকে মা ডাকলেই বা ছেলে ডাকলেই জেনেটিক ধারা বদলে যায়না। ঠিক এমন পরিস্হিতিতে তাকে রীতিমত সেই সমাজের শত শত বছর ধরে পালন হয়ে আসা পোষ্যপুত্র সংক্রান্ত কুপ্রথার বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে, ফলাফলস্বরূপ তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হবেন। যদিও বাস্তবতা হল, যয়নাব (রাঃ) তার ফুফাতো বোন যার সাথে স্বাভাবিকভাবে বিয়ে কোনভাবেই অনৈতিক নয়। ঠিক একারণেই তিনি সমাজকে ভয় পাচ্ছিলেন। একাধিক হাদিসে এ ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়েছে। যেমন:-

"ইমাম বায়হাকী (রঃ).. হাম্মাদ ইবনে যায়দ.. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যাইদ (রাঃ) যয়নাব (রাঃ) এর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে এলে রাসূল ﷺ তাকে বলেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমার স্ত্রীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখ। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ আদৌ কোন কিছু গোপন করে থাকলে অবশ্যই তিনি এই আয়াতটি (যাইদের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে এবং তার সাথে যয়নাব এর বিবাহ হবে) গোপন করতেন। যয়নাব (রাঃ) তো অন্যান্য স্ত্রীদের উপর গৌরব করে বলতেন, তোমাদের অভিভাবকরা তোমাদের সাথে রাসূল ﷺ এর বিবাহ প্রদান করেছেন, আর মহান আল্লাহ স্বয়ং সপ্ত আসমানের উপর থেকে আমার সাথে রাসূল ﷺ এর বিবাহ প্রদান করেছেন। (বুখারী: ৪৭৮৭/৭৪২০, মুসলিম: ৮৩, ১৪২৮, তিরমীযী: ৩২১২, ৩২১৭-৩২১৯)

অর্থাৎ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, মহানবী ﷺ অন্তরে যা গোপন করেছিলেন সেটি হল এই ওহীর (পরোক্ষ ওহী) জ্ঞান, যা তাকে পূর্বেই সরাসরি কুরআনের আয়াত নাজিল হওয়ার আগে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, এই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে আর আমি (আল্লাহ) তোমার সাথে যবনাবের বিয়ে দিব ভুল প্রথা উচ্ছেদে। কিন্তু রাসূল ﷺ সমাজের ভয়ে বিষয়টি যাইদ ও অন্যান্য মুসলিমদের নিকট গোপন রাখেন। এজন্যই মহান আল্লাহ তাকে বলছেন, "আপনি মানুষকে ভয় পাচ্ছেন, অথচ মহান আল্লাহই হচ্ছেন সবচেয়ে উপযুক্ত সত্তা যাকে আপনার ভয় করা উচিত।" (আহযাব ৩৭)

পাঠক এই ঘটনা যখন ঘটে (৬২৭ খৃঃ) তখন যয়নাব (রাঃ) ছিলেন ৩৭ বছর বয়সের একজন নারী, আমি প্রথমেই বলেছি তিনি ছিলেন রোগা শুকনা মহিলা, যার ইতিপূর্বে দুজন পুরুষের সাথে সংসার জীবন কেটেছে অর্থাৎ তিনি মোটেও শকুন্তলার ন্যায় যুবতী নারী ছিলেননা, যাকে দেখে কোন পুরুষ সহজেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। আর তিনি ছিলেন মুহাম্মাদ ﷺ এর ফুফাত বোন যাকে ছোটকাল থেকেই রাসূল ﷺ দেখে আসছেন, তাকে নতুন করে দেখার কি আছে? এমন একজন নারীর সাথে যখন মুহাম্মাদ ﷺ এর পরকীয়ার সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্য শকুন্তলা- দুষ্মন্ত টাইপ চটকদার মিথ্যা গল্প পরিবেশন করা হয় তখন কি তা হাস্যকর লাগেনা?

তারপর আবার বিষয়টি মোটেও এমন ছিলনা যে, যাইদ (রাঃ) তাকে তালাক দিয়ে দিলেন আর পরেরদিনই রাসূল ﷺ তাকে বিয়ে করে ঘরে উঠিয়ে নিলেন। ইসলামিক নিয়মমতে, হাজবেন্ড-ওয়াইফের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে ইদ্দত (৯০ দিন বা তিন চন্দ্রমাস অপেক্ষা) পালন করতে হবে। ইদ্দত পরিপূর্ণ হলে সে নতুন কোন পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে। আমি "আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪র্থ খন্ড, ৫ম হিজরীর ঘটনাবলি" অধ্যায় থেকে এই ঘটনার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু অংশ উল্লেখ করছি:-

"ইমাম আহমাদ (রঃ) বলেন, যয়নবের ইদ্দত সমাপ্ত হলে নবী ﷺ যাইদ (রাঃ) কে বলেন, তুমি যয়নবের নিকট গিয়ে আমার কথা (বিবাহের প্রস্তাব) আলোচনা কর। যাইদ (রাঃ) তার কাছে গেলেন এসময় যয়নাব )(রাঃ) আটা খামীর করছিলেন। যাইদ (রাঃ) বলেন, তাকে দেখে আমার অন্তরে তার মহত্বের ছাপ মুদ্রিত হয়। আমি তার দিকে তাকাতে পারিনা; তবে যেহেতু রাসূল ﷺ এর তার কথা উল্লেখ করেছেন, তাই আমি তার দিকে পিঠ দিয়ে পেছনে ফীরে আসি এবং বলি, যয়নাব, সুসংবাদ গ্রহণ কর। তোমার কথা স্বরণ করে রাসূল ﷺ আমাকে তোমার নিকট প্রেরণ করেছেন। যয়নাব (রাঃ) জবাবে বললেন, মহান আল্লাহর সাথে পরামর্শ না করে আমি কোন কাজ করিনা। এই বলে তিনি নামাজের স্হানের দিকে (ইস্তিখারার নামাজ পড়তে) চলে গেলেন। তখন তার সাথে রাসূল ﷺ এর বিয়ে সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত নাজিল হল। (যা মসজিদে পাঠ করা হয় সকলের সামনে) এবং রাসূল ﷺ যয়নাব (রাঃ) এর গৃহে বিনা অনুমতিতেই প্রবেশ করেন। যয়নাব (রাঃ) রাসূল ﷺ বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা দেখেই বুঝে ফেলেন তার সাথে রাসূল ﷺ এর বিয়ের ব্যাপারে আয়াত নাজিল হয়েছে। ইমাম মুসলিম (রঃ) ও ইমাম নাসায়ী (রঃ) সুলাইমান ইবনে মুগীরা সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেন।"

কাজেই ব্যাপারটি খুব স্পষ্ট। রাসূল ﷺ বিবাহ, সফর ও ব্যবসায়িক লেনদেনের ব্যাপারে ইস্তিখারা নামাজ ব্যতীত সিদ্ধান্তগ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি স্বীয় রবের সাথে ইস্তিখারা করে নিল তাকে ব্যর্থ হতে হবেনা। স্বীয় রবের সাথে ইস্তিখারা না করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কাজেই, যখন যয়নাব (রাঃ) যাইদ (রাঃ) এর নিকট হতে রাসূল ﷺ এর সাথে বিবাহের ব্যাপারে সংবাদ পেলেন তখন তিনি বললেন, আমি স্বীয় রবের সাথে পরামর্শ (ইস্তিখারা নামাজ) ব্যতীত কোন কাজ করিনা এবং নামাজের জায়গার দিকে অগ্রসর হলেন। এবং তার নামাজের মাঝেই সূরা আহযাবের ৩৭ নাম্বার আয়াত নাজিল হল এবং রাসূল ﷺ তা মসজিদে পাঠ করে যয়নাব (রাঃ) এর গৃহে প্রবেশ করলেন বিনা অনুমতিতে। যয়নাব (রাঃ) তার বিনা অনুমতিতে প্রবেশে (ইস্তিখারার আলামত অর্থাৎ আল্লাহর সিদ্ধান্ত) বুঝে ফেললেন রাসূল ﷺ কুরআনের আয়াত প্রাপ্ত হয়েই এসেছেন।

পাঠক, এটির ব্যাপারে এত বিস্তারিত আলোচনার কারণ হল, ইসলাম বিদ্বেশীরা "বিনা অনুমতিতে প্রবেশ" নিয়ে রীতিমত মিথ্যাচার করে যে, এসময় যয়নাব (রাঃ) এলোমেলো পোশাকে ছিলেন যা রাসূল ﷺ এর নজরে পরে। পাঠক, একজন নামাজরত মহিলা জায়নামাজে বসে বা দাড়িয়ে কিভাবে এলোমেলো পোশাকে থাকেন?? এটি কি আদৌ সম্ভব??

আবার যুক্তির খাতিরে (যদিও অযৌক্তিক) তাদের কথা মেনে নিলেও পাল্টা যুক্তিতে তারা হার মানবেন। কারণ আরব নারীদের পোশাক হল ছোট গলার লম্বা কামিজ ও ইজার এবং ওড়না যা সর্বদাই একজন নারীর সমস্ত শরীর ঢেকে রাখে, যেখানে আমাদের দেশের নারীদের শাড়ি যা কিনা পেট ও পিঠ খোলা রাখে, লম্বা গলার ব্লাউজ যা কিনা গলার নিচের অনেকখানি অংশ খোলা রাখে। তাই একজন আরব নারী জায়নামাজে সর্বোচ্চ তার উড়নাটা মাথা থেকে নামিয়ে রাখতে পারেন কিন্তু তাতেও কি "তার পোশাক এলোমেলো হয়? শরীরের কোন অংশ দৃষ্টিগোচর হয়?" যা কোন পুরুষের চোখে যৌনতা আনবে?? অর্থাৎ এসব অপপ্রচার ইসলাম বিদ্বেশীদের বিকৃত মস্তিষ্ক নিসৃত ঘৃণ্য মিথ্যাচার।

তবে এখানে আরেকটা বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন রাসূল ﷺ ও যয়নাব (রাঃ) এর বিয়ের ব্যাপারে অপপ্রচারের পেছনে রসদ যুগিয়েছে আল-ওয়াকিদীর কিতাবুসসীরাহ ও কিতাবুততারিখ ওয়াল মাজাগী ওয়াল মাবআস (৭৮৪-৮২২ খৃঃ) গ্রন্হগুলি। কুরআন-হাদিসকে তোয়াক্কা না করে এই ব্যক্তি দলিল বিহীন ভিত্তিহীন গাল-পগ্গো দ্বারা তার ইতিহাস গ্রন্হ সাজিয়েছেন। রাসূল ও যয়নাব (রাঃ) এর বিয়ে হয় ২৭ মার্চ ৬২৭ খৃঃ এর দিকে যেখানে এই ব্যক্তির জন্ম তারও ১২২ বছর পর। ইসলামের মহান আলেমগণ তথা মুহাদ্দিস, ফকীহ, তাফসীরকারক, ইতিহাসবিদ সকলেই আল ওয়াকিদীর বর্ণনাসমূহকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ও ইমাম আহমদ (রঃ) এ ব্যক্তিকে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণকারী ও মিথ্যাবাদী বলেছেন। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (ইবনু তাইমিয়া এর সময়কার একজন বিক্ষাত আলেম),আল্লামা আলূসী (রঃ)( তাফসীরে রুহুল মাআনীর রচয়িতা) এসব বর্ণনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে, ইসলামের শত্রুরা এসকল কল্পকাহিনী তৈরী করেছে এবং মুসলিম লেখকদের মাঝে তা প্রচার করেছে।

এই বিষয়টি ইহুদীদের দ্বারা পরিচালিত উইকিপিডিয়াতেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, এসব ভুল ও মিথ্যা বর্ণনা যা মুসলিম স্কলারদের নিকট প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এটি উইকিপিডিয়ার লিংক Click this link

পরবর্তীতে কিছু মুসলিম সাহিত্যিক যারা নন-আলিম তারা ওয়াকিদীর ইতিহাসগ্রন্হ থেকে নানান উপাদান সংগ্রহ করে ইসলামের ইতিহাসের নামে ভিত্তিহীন কথাবার্তা রচনা করেন। আর আজ এসব উপাদানই পশ্চিমা ইসলাম বিদ্বেশী ইতিহাসবিদদের হাতিয়ার। তারা কুরআন-হাদিসকে পাশ কাটিয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা ইতিহাসের জ্ঞান প্রচারে সদা সচেষ্ট থাকেন যা কিনা দুজন উত্তম চরিত্রের মানব ও মানবীকে কলুষিত করে যাদের শত শত বছর ধরে কোটি কোটি মানুষ অনুসরণ করে আসছেন।

"আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ এর স্ত্রীগণের মাঝে একমাত্র যয়নাব (রাঃ) নিজেকে আমার সমতুল্য বলে দাবি করতেন। তিনি সর্বদা গর্ব করে বলতেন, আমি হলাম রাসূল ﷺ এর ফুফাত বোন, তোমাদের বিয়ে তো দিয়েছে তোমাদের অভিভাবকরা, পক্ষান্তরে আমার বিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ সপ্ত আকাশের উপর থেকে। দীনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষে, তাকওয়ায়, সত্যবাদিতায়,আত্বীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার ব্যাপারে, আমানতদারী ও দান-খয়রাতের ক্ষেত্রে যয়নাব বিনতে জাহাশের চাইতে উত্তম কোন নারীকে আমি দেখিনি। রাসূল ﷺ বলতেন, তোমাদের মাঝে সেই আমার সাথে সবার আগে মিলিত হবে (পরকালে) যার হাত অধিক লম্বা। আমরা (উম্মুল মুমিনীনগণ) সবাই একে অপরের সাথে হাত মিলিয়ে দেখতাম কার হাত বেশি লম্বা। অবশেষে আমরা বুঝলাম যয়নাব (রাঃ) এর হাত বেশি লম্বা। তিনি নিজ হাতে নিজের সকল কাজ করতেন এবং প্রচুর পরিমাণ দান-খয়রাত করতেন। (বুখারী-মুসলিম, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪র্থ খন্ড, ৫ম হিজরীর ঘটনাসমূহ অধ্যায়)"

তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ তাকে কেন্দ্র করেই পর্দার আয়াত নাজিল হয়। তিনি বিভিন্ন চামড়াজাতীয় দ্রব্যাদি তৈরী করতেন এবং বিক্রি করে যা পেতেন তা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। যখন উমার (রাঃ) রাসূল ﷺ এর বিধবা স্ত্রীদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করলেন এবং সেই হিসাবে ১২০০০ দিরহাম তার নিকট পাঠালেন যয়নাব (রাঃ) তার সমস্ত কিছুই গরীবদের মাঝে দান করে দিলেন।

# মোটকথা, আরব তথা কুরাইশরা দাবি করত নবী ইবরাহিম (আঃ) এর বংশধর হিসেবে তারা ইবরাহিম মিল্লাতের উপর প্রতিষ্ঠিত, অথচ পোষ্যপুত্র, যিহার, সুদ, রক্তপণের জন্য পবিত্র যুদ্ধ, বিধবা সৎ মাকে বিবাহ ইত্যাদি কোনটিই ইবরাহিম ধর্মের অংশ ছিলনা, বরং আরবদের নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় রীতি। তাই আল্লাহ ইবরাহিম মিল্লাতকে কলুষমুক্ত করে পূর্বাবস্হায় ফীরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন এজন্যই এই বিবাহের সিদ্ধান্ত। আল্লাহ বলেন, পূর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটিই ছিল আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত। (আহযাব ৩৮)

এই ঘটনা একদম সাদামাটা ও সব ধরণের অস্পষ্টতা থেকে মুক্ত। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখেনা, আজ আমরা ইতিহাসের একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি আর প্রাচ্যের উপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য সম্রাজ্যবাদীরা কেবল সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির আশ্রয়ই গ্রহণ করছেনা, বরং তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইতিহাস গবেষণার ধুয়ো তুলে মুসলিম ভূমিতে প্রবেশ করে এবং কিছু লোককে টাকা খাইয়ে, ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে, কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তাদের হাতে তুলে দিয়ে সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা সহ সবচেয়ে নিকৃষ্ট পর্যায়ের দাসত্ব অর্থাৎ চিন্তামূলক দাসত্ব বাস্তবায়িত করছে। এদের প্রধান টার্গেট মুসলিমদের ভেতর থেকে ও বাইরে থেকে সমূলে ধ্বংশ করা। অনুরোধ থাকবে লেখাটি প্রিয়জনদের পড়ার জন্য আহবান জানাবেন এবং প্রচারের দায়িত্বটি আপনিও পালন করবেন।

আল্লাহ আমাদের প্রকৃত সত্য জানার ও প্রচারের শক্তি দিন। আমীন। জাঝাক আল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সহজপাঠ্য সাবলীল একটি পোষ্ট
ভীষন ভালো লেগেছে......প্রিয়তে রাখলাম
অনেক অনেক ধণ্যবাদ
আল্লাহ আমাদের প্রকৃত সত্য জানার ও প্রচারের শক্তি দিন। আমীন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: কি করি ভাইয়া আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আল্লাহ আপনাকে সন্মানিত করুন।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই ঘটনা একদম সাদামাটা ও সব ধরণের অস্পষ্টতা থেকে মুক্ত। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখেনা, আজ আমরা ইতিহাসের একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি আর প্রাচ্যের উপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য সম্রাজ্যবাদীরা কেবল সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির আশ্রয়ই গ্রহণ করছেনা, বরং তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইতিহাস গবেষণার ধুয়ো তুলে মুসলিম ভূমিতে প্রবেশ করে এবং কিছু লোককে টাকা খাইয়ে, ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে, কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তাদের হাতে তুলে দিয়ে সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা সহ সবচেয়ে নিকৃষ্ট পর্যায়ের দাসত্ব অর্থাৎ চিন্তামূলক দাসত্ব বাস্তবায়িত করছে। এদের প্রধান টার্গেট মুসলিমদের ভেতর থেকে ও বাইরে থেকে সমূলে ধ্বংশ করা। অনুরোধ থাকবে লেখাটি প্রিয়জনদের পড়ার জন্য আহবান জানাবেন এবং প্রচারের দায়িত্বটি আপনিও পালন করবেন।

আল্লাহ আমাদের প্রকৃত সত্য জানার ও প্রচারের শক্তি দিন। আমীন।

++++++++++++

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: জ্বী ভাইয়া! খুব খারাপ লাগে। অন্য সবাই নিজের বিশ্বাস, নিজের দেবতার গুণগান গাইতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই অথচ আমি শান্তিপূর্ণ ভাবেও আমার ধর্মের কথা বলতে পারবোনা। অন্যরা মিথ্যা প্রচার করুক সমস্যা নেই আমি শুধু প্রতিবাদ করতে পারবোনা।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগুঃ চমৎকার বলেছেন।১০০% সহমত।
এটাই মোদ্দাকথা।আপনার কমেন্টটিই একটা চমৎকার জবাব হয়ে গেলো।
আপনার জন্য শুভ কামনা।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

চ্যাং বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই । আচল কথা ফাঁস কলে দিলে ??? :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: হ্যা! এটাই তো আসল কাহিণী, যদিও অচল। হেহে

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

বিপরীত বাক বলেছেন: আমার ধারণা বৃদ্ধাশ্রম কনসেপ্ট টা ইসলাম ধর্ম থেকেই এসেছে।।। কেননা যেহরতু মুহাম্মদ (সাঃ) এর মা ছিল না সুতরাং ইসলামে মুসলিম পুরুষ দের দুনিয়াবি জীবন এবং আখিরাতের সমস্ত কিছু, জবাবদিহিতা বউ, শালী কেন্দ্রিক।।।
আল্লাহ মুসলিম পুরুষ দের শুধু জিজ্ঞাস করবেন, " তুমি কি তোমান বউ এর সমস্ত হক পালন করেছ?? জী আল্লাহ।।

তোমার শালী শাশুড়ি কি তোমার উপর সন্তুষ্ট ছিল?? জী আল্লাহ।।

আল্লাহ বলিবেন,, " অতঃপর তুমি বেহেশতে প্রবেশ করে অবিরাম সঙ্গমে লিপ্ত হও।। ""

বড়লোকের মাইয়া বিয়া কইরা ধনী হওয়া আর শশুরবাড়ির পোষাকুত্তা হওয়ার স্যাম্পল জীবন ইসলামের প্রধান উদাহরণে ই আছে।।

নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করলাম।।।।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আপনি লেখাটির কোন লাইনই পড়েননি আর নিজেদের চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী আন্দাজে ঢিল ছুড়েছেন।যা বলেছেন প্রতিটিই আমার টপিকের বাইরে তবুও যেহেতু প্রশ্ন উঠিয়েছেন তাই জবাব দিয়ে দিচ্ছি। পৃথিবী কি ধারণার উপর চলে?? আপনাদের তো ধারণাও অসীম। বৃদ্ধাশ্রম যদি ইসলাম থেকে আসে তাহলে আপনাকে সেটার প্রমাণ দেখাতে হবে, ধারণা ধুয়ে পানি খাব? চ্যালেজ্ঞ পারলে প্রমাণ দেখান। মুহাম্মাদ ﷺ এর মা ছিলনা!!! তাহলে উনি পৃথিবীতে কিভাবে আসলেন?? আমিনা তাহলে কার মা? হালিমা কার দুধ মা?? শালীর সন্তুষ্টির উপর জান্নাত???? এইটা আবার কোন ধারণার ফসল?? ইসলামে শালী দুলাভাই, দেবর-ভাবী-ভাসুর এই টাইপ সম্পর্কগুলোকে মৃত্যু সমতুল্য বলে পরিচয় প্রদান করা হয়েছে, আর আপনি মহাশয় ইহা কত সুন্দর করে ধারণা হতে ইহা প্রসব করলেন। শাশুড়ির সন্তুষ্টি!!! তো ভাই আপনার অভিজ্ঞতার লেভেল তো বিশাল, বেশ উচু দরের তাহলে প্লিজ এ বিষয়ে কুরআন-হাদিসের কোন রেফারেন্স দেন যেখানে বলা হচ্ছে, তোমাদের জান্নাতে যেতে হলে অবশ্যই শালী-শাশুড়ির সন্তুষ্টি লাগবে। আদালতে সাক্ষি হয়েছেন কখনো?? সেখানে যদি বলেন, "জজ সাহেব, আমার ধারণা বলছে, উনিই খুন করেছেন আর আমার অভিজ্ঞতা তার সত্যতা যাচাই করে সুতরাং প্রমাণিত হল এই ব্যক্তিই খুনী তাই তাকে ফাঁসি দিয়ে দিন"" শুনতে হাস্যকর লাগেনা? ইসলাম বলেছে মায়ের পায়ের তলে সন্তানের জান্নাত। এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) এর নিকট এসে বলল, সেবার ব্যাপারে জানতে চাইল। রাসূল (সাঃ) তিনবার বললেন তোমার মা এব্যাপারে অধিক হকদার ৪র্থ বারে বাবার কথা বললেন। এ ব্যক্তি জিহাদে অংশগ্রহণ করতে চাইল, রাসূল (সাঃ) তাকে প্রশ্ন করলেন ঘরে কে আছে? সে জানাল মা। রাসূল (সাঃ) তাকে বললেন, তোমার জিহাদে যেতে হবেনা, মায়ের সেবা কর। রাসূল (সাঃ) এর সাথে তার দুধ মা হালিমা দেখা করতে আসলেই তিনি নিজের মাথার পাগড়ি খুলে তা বিছিয়ে দিতেন তার দুধ মা হালিমা এর বসার জন্য।
সরি! কি বললেন জানি?? বড়লোকের মাইয়া বিয়া!! রাসূল (সাঃ) কুরাইশ বংশের যুবক ছিলেন। একসময় হিন্দু সমাজে ব্রাক্ষণরা যেভাবে সকলের উপরে বলে গণ্য হত, আরবে কুরাইশদের অবস্হানও তাই ছিল। তাদের সাথে বিবাহ ছিল অন্য আরবদের কাছে সন্মানের ব্যাপার, মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যাপার। রাসূল (সাঃ) নিজেও ব্যাবসায়ী ছিলেন কোন ফকির ছিলেননা। তার সাথে মেয়ে বিয়ের দেয়ার জন্য যে কোন কুরাইশ বাবাই রাজি হবে এটাই স্বাভাবিক। লোভ?? মক্কার প্রধানতম নেতা ও ধনী ব্যক্তি আবু সুফিয়ান নিজের মেয়ের সাথে তার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অথচ তিনি রাজি হননি। কাজেই লোভের প্রশ্ন ঠিক তখনি আসত যদি খাদিজা (রাঃ) যুবতী হতেন, বড়লোক বাপের কণ্যা যার সকল সম্পত্তির মালিক সে। অথচ তিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়ষ্কা ও ২ বারের বিধবা একজন নারী। আর বাপের টাকাতেও তিনি বড়লোক হননি, তিনি ব্যাবসা করতেন এবং নিজের ব্যাবসার টাকায় বড়লোক হয়েছেন। রাসূল (সাঃ) ও ব্যাবসায়ী ছিলেন এবং ব্যাবসার মাধ্যমে তার ব্যাপারে খাদিজা (রাঃ) তার ব্যাপারে অবগত হয়েছিলেন। আর বিয়ের প্রস্তাবও রাসূল (সাঃ) দেননি, দিয়েছেন খাদিজা (রাঃ) কিন্তু রাসূল (সাঃ) লোভী হলে সরাসরি বলতে পারতেন আমি রাজি, কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমি এব্যাপারে কিছু বলতে পারবোনা আমার চাচাদের সাথে কথা বলেন। ধরেন, আপনি ২৫ বছর বয়সের সুন্দর চেহারার যুবক আর নিজেও ব্যাবসা করেন কোন ব্যাবসায়িক কারণে আপনার সাথে একজন নারীর দেখা হল যে আপনার চাইতে ১৫ বছরের বড়। আপনাকে যদি এই ৪০ বছর বয়ষ্কা যিনি দুবার বিধবা হয়েছেন, বিয়ের প্রস্তাব দেন আপনি রাজি হবেন? কাজেই ফাউ প্যাচাল কম পাইরেন। আর যৌনতা নিয়ে কথা বলা আপনাদের কমন বৈশিষ্ট। কথায় আছে যার মনে যা বের হয়ে আসে তা। আল্লাহ কোথায় বলেছেন, হে জান্নাতীরা! যাও এবার যৌনতায় লিপ্ত হয়ে যাও। মূর্খতা নিজেও মানুষ অহংকার দেখায় বড় তাজ্জাব ব্যাপার।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম। কিছু বলতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কিভাবে বললে জিনিসটা সুন্দর এবং বুঝাতে সহজ হবে। যাই হোক, যা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলঃ
১। আপনার প্রথম দিকের কথা ঠিকই আছে। আল্লাহর বিধানে পালক পুত্র এবং নিজের ঔরস জাত সন্তানের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেওয়া আছে। সেই হিসাবে যেহেতু জায়েদ পালক পুত্র, ঔরস জাত নয়, এবং অন্যকোন দিক দিয়ে এমন রক্তের বাধন নেই , সেহেতু সে আর দশটা মানুষের মতই গণ্য হবে, রক্ত সম্পর্কীয় বংশধর হিসাবে নয়। এর ফলে আরেকজনের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে যেমন নিয়মের মধ্যে বিবাহ করা জায়েজ, তেমনি একথা পালক পুত্রের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই কথা আপনিও বলেছেন, এবং এটাই আল্লাহ প্রদত্ত বিধান। এই নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। এটা এখানেই শেষ হতে পারত বা আপনি এখানেই শেষ করলে ভাল হত।

২। কিন্তু আপনি কোরআনের রেফারেন্স সহকারে একটা সলিড যুক্তি দেবার পর, ঐ যুক্তিটাকে আরও মজবুত বা ডিফেন্ড করার জন্য অযাচিত ভাবে আরও কিছু যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন। এই প্রেক্ষিতে আপনি যে গুলি বলেছেন, তা বেশিরভাগই ধোপে টিকবেনা। একজন ইসলাম বিদ্বেষীর সাথে বা অমুসলিমের সাথে যে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানে তার সাথে আপনার পরের যুক্তিগুলি দিয়ে পেড়ে উঠা কঠিন, ক্ষেত্র বিশেষে আপনি নিজেই কোণঠাসা হয়ে যেতে পারেন। এবং আপানর পরের দিকের একটা যুক্তি সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে যায়, আর বাকি গুলির অবস্থা খারাপ কারন হাদিসের বিপরীতে হাদিস আছে।

৩। আল্লাহ কোরআনে বলেছেনঃ “......They have no protector other than Him; nor does He share His Command with any person whatsoever.(১৮:২৬)।
আপনি বলেছেনঃ “১. খুনের বদলে খুন: এই মারাত্নক রীতিকে রাসূল ﷺ রহিত করেছিলেন তার বংশের ইবন রবীয়া ইবন হারিছের রক্তের বদলা বাতিল ঘোষনা করে।“- খুনের শাস্তির বিধান কোরআনের ৫:৪৫ দেওয়া আছে। কোরআনের ১৮:২৬ এবং আরও অনেক আয়াত দ্বরা এটা প্রমানিত যে আল্লাহ নবীকে কোরআনের বাইরে কোন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেন নাই। সুতরাং খুনের বদলে খুন – এই বিধান নবী রহিত করেন নাই, বা করার কোন ক্ষমতা আল্লাহ উনাকে দেন নাই। উনি যেটা করেছিলেন, সেটা হচ্ছে দাবী ছেড়ে দিয়েছিলেন, বিধান রহিত করেন নি। আশা করি পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন।

৪। আপনি অন্য বিভিন্ন ধর্মের উদাহরণ টেনেছেন। এইটাকে আমি বলি কাদা ছুড়াছুড়ি। উদাহরণ দেইঃ ধরেন আপনি আমাকে চোর বলে গালি দিয়েছেন। এর উত্তরে আমি যদি বলি আপনিওত চুরি করেন। এখন আপনাকে এই কথা বলার অর্থ এই না যে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমান করলাম। সেই জন্য, নবীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তা খন্ডাতে গিয়ে অন্য ধর্মের দেবতারা কি করেছে সেটা বললে নবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খন্ডন হয়না, বড়জোর সবাইকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায়, তাতে মুল উদ্দেশ্য অর্জন হয়না। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

৫। আপনি বলেছেন “হে ইসলাম বিদ্বেশীর দল! একটা ঘটনা দেখান, মাত্র একটা। ইস! পেলেন নাহ তাইনা? তবুও মিথ্যা প্রচার করেন আপনারা একজন পুত পবিত্র ব্যক্তির নামে। আফসোস”!- আমি ইসলাম বিদ্বেসী না। কিন্তু এই ধরনের চ্যলেঞ্জ করলে ইসলাম বিদ্বেসীরা যদি আপনাকে এই রকম কাছাকাছি ধরনের রেফারেন্স দেয়, তখন কি করবেন? আপনি কি “Can a queen give herself to a thief?” এই ধরনের কোন ডায়াল্গ শুনেন নাই? আমি এগুলি বিশ্বাস করিনা, কিন্তু আপনারা ত করেন নাকি?

ধন্যবাদ আপনাকে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুপরামর্শের জন্য। কেউ আমাকে শুধরে দিতে চাইলে আমার খুব ভাল লাগে। যাইহোক ভাইয়া আমি ২০১১ থেকে ব্লগিং করি এবং এই টাইপ লেখা যে আমি নতুন লিখছি তাও না, ইতিপূর্বে নাস্তিকঘেষা ব্লগে আমার ব্লগ আইডি বাতিলও হয়েছে। কারণ যুক্তিতে যখন পারা যায়না তখন তারা গায়ের জোড়ে চলে। তাই আমার লেখায় কি রকম Reaction আসতে পারে তা আমার কাছে খুব পরিষ্কার, আর আলহামদুলিললাহ আল্লাহ আমাকে সেই জ্ঞানও দিয়েছেন কিভাবে পাল্টা জবাব দিতে হবে? তাই কোণঠাসা হবার প্রশ্নই আসেনা। হ্যা! ভাইয়া এটা ঠিক আপনি যেটা বলেছেন, অন্য ধর্মের দেবতা নিয়ে টানাটানি করে রাসূল (সাঃ) এর সাথে তার তুলনা করা সঠিক না, নিছক কাঁদা ছুড়াছুড়ি আর আমিও লেখার সময় ভাবছিলাম এটা ঠিক হচ্ছেনা। এমনকি বারবার ভাবছিলাম এই অংশটা কেটে দেই। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেশীরা সবসময় অন্য ধর্মের দেবতাদের চরিত্রেই রাসূল (সাঃ) কে চরিত্রায়িত করার প্রচেষ্টা করে তাই এই তুলনামূলক কথা দ্বারা বোঝানোর চেষ্টা করেছি, তাদের চরিত্রের সাথে রাসূল (সাঃ) এর চরিত্রের ব্যাবধান কত বিশাল। যদিও আমিও ব্যাপারটি নিয়ে সন্তুষ্ট নই।
আর আপনি ২য় প্যারায় বলেছেন যে আমার একটি কথা সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে যায়। ভাইয়া প্রথমেই বলি, আমি কিসাস নিয়ে কোন উদাহরণ দিইনি, বরং আরবদের কু প্রথা রক্তের বদলে রক্ত বা যুদ্ধ, সেটি নিয়ে বলেছি যা গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ বাঁধাত। রাসূল (সাঃ)বিদায় হজ্জের ভাষণে তা বাতিল বলে রায় দেন আমি সেটাই বলেছি। এখানে কোরানের কিসাস নিয়ে কিছু বলা হয়নি। আমি কিন্তু বলিনি যে রাসূল (সাঃ) আইন প্রণয়ণের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। দেখেন আগের বাক্যেই আমি লিখেছি, মহান আল্লাহ জাহেলিয়াত যুগের অনেক ভ্রান্ত প্রথাই রাসূল ﷺ এর নিজের দ্বারা প্রথম রহিত করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় কয়েকটি ঘটনা: তবে আমি স্বীকার করছি আমার লেখার পদ্ধতিতে ভুল ছিল তাই আপনার কাছে ব্যাপারটি বিতর্কিত লাগছে। ইনশাআল্লাহ আমি এডিট করে ব্যাপারটি ঠিক করে দিব।
আর ফাইনালি ভাইয়া,আপনি শেষে একটি কথা বলেছেন, "আমি ইসলাম বিদ্বেসী না। কিন্তু এই ধরনের চ্যলেঞ্জ করলে ইসলাম বিদ্বেসীরা যদি আপনাকে এই রকম কাছাকাছি ধরনের রেফারেন্স দেয়, তখন কি করবেন?"
উত্তরে বলছি, ফাকা মাঠে হুংকার ছাড়ার বা চ্যালেজ্ঞ করা বোকামি সেটি আমিও জানি। মুসলিম ফ্যামিলিতে জন্মেছি তাই মুসলিম, গরু খাই তাই মুসলিম! আমি এমন মুসলিম না, আমি এক সময় বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, সো কলড উদারমণাও ছিলাম কিন্তু এখন নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি আর এই চেষ্টা নিছক কোন আবেগ থেকে না বরং ইসলামের ব্যাপারে জেনে বুঝেই। আমি খুব স্পষ্ট করে জানি বা আল্লাহ আমাকে সঠিকভাবে জানার বুঝ দিয়েছেন বলেই দাবি রাসূল (সাঃ) এর চরিত্রতে এসব ছিলনা। থাকলে সে নবী হয় কিভাবে? এজন্যই চালেজ্ঞ করেছি পারলে তারা দেখাক। আমি জানি দেখাতে পারবেনা কাছাকাছি আনলেও তারা হাদিসটির কোন অংশ কাটছাট করবে বা বিকৃতি ঘটাবে অর্থাৎ মিথ্যাচার করবে। যেমন ধরেন আযলের হাদিস নিয়ে তারা নিয়মিত যেভাবে মিথ্যাচার করে।
আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূল (সাঃ) এর সাথে বনূ মুস্তালিকের যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহূ বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েশ হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্হা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাড়াল। তাই আমরা আযল পছন্দ করলাম এবং আযল করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, আল্লাহর রাসূল আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে জিঙ্গেস না করেই আমরা আযল করে ফেললাম? আমরা তাকে এ বিষয়ে জিঙ্গেস করলে তিনি বললেন, এরূপ না করলে তোমাদের কি ক্ষতি? জেনে রাখ কেয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমণ ঘটবার কথা আছে, ততগুলোর আগমণ ঘটবেই।
এবার প্রকৃত হাদিসটি পড়ুন: কুতায়বা ইবনে সাইদ(রঃ)...ইবনে মুহায়রীয (রঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং তাকে আযল সম্পর্কে জিঙ্গেস করলাম। আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূল (সাঃ) এর সাথে বনূ মুস্তালিকের যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহূ বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েশ হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্হা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাড়াল। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করার মনস্হ করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, আল্লাহর রাসূল আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে জিঙ্গেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাকে এ বিষয়ে জিঙ্গেস করলে তিনি বললেন, এরূপ না করলে তোমাদের কি ক্ষতি? জেনে রাখ কেয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমণ ঘটবার কথা আছে, ততগুলোর আগমণ ঘটবেই। (বুখারী, ৭ম খন্ড, ইফাবা পৃষ্ঠা: ৬৯-৭০, সংখ্যা: ৩৮৩২)
এবার দুটি হাদিস মিলান দেখেন মিথ্যাচারের লেভেল। আযল করতে চাওয়া আর আযলের ইচ্ছা করা কি এক জিনিস?? আর প্রকৃত ইতিহাস কি? যুদ্ধে বনূ মুস্তালিকের ১০ জন নিহত হয় এবং ১০০ জন নারী-পুরুষ বন্দী হয় কিন্তু তাদের সামান্য পরিমাণ স্পর্শও করা হয়নি। বনু মুস্তালিক যুদ্ধে জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) যখন বন্দী হন এবং সাবিত ইবনে কায়েস আনসারী (রাঃ) এর অধিকারে পরেন তখন তিনি সাবিত (রাঃ) এর সাথে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির চুক্তি (মুকাতাবা) করেন এবং সেই অর্থ সংগ্রহ করার জন্য স্বয়ং রাসূল (সাঃ) এর নিকট গিয়েই অর্থসাহায্য কামনা করেন, তিনি ছিলেন বিধবা এবং রাসূল (সাঃ) তাকে প্রস্তাব দেন, এটা কি ভাল হয়না যে, আমি সাবিত (রাঃ) কে আপনার মুক্তির অর্থ পরিশোধ করে দেই এবং সে অর্থকেই মোহরাণা হিসেবে ধার্য করে আপনাকে বিবাহ করি?
প্রস্তাবে জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) রাজি হন এবং যখন রাসূল (সাঃ) তাকে বিয়ে করেন তখন মুসলিমগণ বনু মুস্তালিকের বন্দী ১০০ জন নারী-পুরুষকে বিনা শর্তে, বিনা অর্থে মুক্তি দিয়ে দেন। মুকাতাবা চুক্তিই তারা বাতিল করে দেন তাদের কাছে কোন অর্থ চাওয়া হয়নি কোন শর্তও চাপানো হয়নি। জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) এর সন্মানে এমনটি করা হয়। এবং যখন বনু মুস্তালিকের ১০০ জন নারী-পুরুষ আপন গোত্রে ফীরে যায় এমন জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) এর সাথে রাসূল (সঃ) এর বিয়ের খবর ও তাদের মুক্তির খবর শুনে তখন গোটা গোত্রটিই ইসলাম কবুল করে মুসলিম হয়ে যায়। কাজেই ভাইয়া বুঝতেই পারছেন আমি কেন এমন চ্যালেজ্ঞ দিচ্ছি। তাদের ছলচাতুরী আমার গত চার বছরের ব্লগিং লাইফে দেখা হয়েছে। নিজের যুক্তিতে যদি নিজেই ধরা খাই তখন এই যুক্তি দিতে যাব কেন? যাইহোক ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আমার লেখার দূর্বলতা গুলি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @িবপরীত বাক, পুরোপুরি আউলা বাকবচন করছেন,কি বলছেন নিজেই জানেন্না!!!
অজ্ঞতা দোষের নয়,কিন্তু অসম্মানজনক আর বেহুদা কথা বলা মূর্খের পরিচায়ক,।
আত্মসম্মান রেখে কথা বলবেন,এতটা হালকা হওয়া অরুচিকর।
মার্জিত ভাষায় প্রজ্ঞার সাথে কথা বলুন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: এরা কমন কিছু কথা কম্পিউটারে সেভ করে রাখে আর ইসলাম বিষয়ক কোন লেখা পেলেই তা কপি পেস্ট মেরে দেয়। লেখার টপিক কি? ভেতরে কি আছে? এসব এরা জানেও না। মূর্খ্যতা নিয়েও এরা অহংকার করে বড়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ
''ছুম্মুম বুকমুন উমিয়ুন ফাহুম লা ইয়ারজিয়ুন''
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। [সুরা বাকারা: ১৮]

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। হ্যা! কুরআন অবিশ্বাসীদের প্রোফালটা প্রকাশ করে দিয়েছে।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

বিপরীত বাক বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন:
''ছুম্মুম বুকমুন উমিয়ুন ফাহুম লা ইয়ারজিয়ুন''
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। [সুরা বাকারা: ১৮]

উঃ ফিরে আসার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই।।। শুধু মাত্র নিজের ফ্যামিলি তে শ্বশুর- শাশুড়ীর পা চাটা আর শালীর নির্লজ্জ দালালির প্রতিবাদ করে ছিলাম বলে।। নিজেদের পারিবারিক সংগ্রাম আর ত্যাগ তিতিক্ষা র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম বলে।।। আমাদের পরিবারের বিশিষ্ট আলেম টাকে।। এতটাই আলেম ছিল ওই কুকুর টা যে তিরিশের কোঠায় হজ্ব সম্পাদন করেছিল।। আমি শুধু বলেছিলাম যে,, তোর বউ যেন ভাল থাকে বা সন্তুষ্ট হয় সেটা ফ্যামিলি র দায়িত্ব।। কিন্তু কেন তোর শালী- শাশুড়ির মন যুগিয়ে চলতে হবে আমাদের।।।?? ব্যস সাথে সাথে লানত বর্ষণ শুরু হল।।

এমনিতেই আগে নিজের মামা- চাচা- অন্যান্য আত্মীয় দের শশুরবাড়ীর দালালি বউ এর চামচামি দেখে ত্যক্ত বিরক্ত ছিলাম আর ভেবেছিলাম যে আমরা অন্তত এরকম হবো নাহয়ে,,, দেশের সবচেয়ে শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ থেকে পাস করে,,,, সবকিছু থাকার পরও অভাব অন্টনে বড় হয়ে,,,,,,, এতটা কষ্ট করে।।।।

কিসের কি?? দেখতে হলো জানতে হলো যে,,, স্ত্রী র কাছে উত্তম ব্যক্তি ই আল্লাহ র কাছে সর্বোত্তম।।।।। হতভম্ব হয়ে গেলাম আমাদের পরিবারেরর বিশ্বব্যপী পরিচিত আলেম এর কান্ড দেখে।।। স্ত্রীর মন পেতে হলে তার ফ্যামিলির ও মন পেতে হবে।।। আজব
।।।

তাই তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, যে ধর্ম মানুষকে তার জাত রক্তের উপর তুলতে পারে না সেটা ভালো হোক আর উত্তম হোক,,, একমাত্র বা বিকল্পহীন বা অপ্রতিদ্বন্দ্বী জীবনযাপন প্রণালি হতে পারে না।।।।।

সবকিছু থেকে বিরত আছি তখন থেকে।।। আল্লাহ যখন ধরবে তখন বলবো কি বাণী তুমি পাঠিয়েছ যে যেটা পড়ে বা পালন করে মানুুষ দালাল চাকর চামচা একচোখা হয় শুধু।।।

আমি প্রথমেই বলেছি,, " নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ""।।
তত্তকথা য় কি লেখা আছে তা তো বাস্তবে মেলে নাই।।।

আর সবকিছু বা মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা রা অতুলনীয় হয়ে থাকে।। পরে সেটা পালন করে মানুুষ জন কি করছে সেটাও বিবেচনা র বিষয়ও বটে।।।
আপনাদের ধন্যবাদ বাজে ভাষায় গালি দেন নি যেটটা ফেসবুকে অহরহ ঘটে।।।।

this is the end of the discussion.. bye

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকি বলেছেন: যুক্তিগুলো পড়লাম খুব হাস্যকর। গালি? আপনি কি জানেন, মুনাফিকদের অন্যতম একটা আলামত হল তারা ঝগড়া বাধায় ও অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। আপনার কি মনে হয় আমি মুনাফিক?
গেল আপনার যুক্তিতে আসি। মেডিকেল পেশা অবশ্যই খুব সন্মানজনক পেশা। আমি নিজেও এর সাথে সামান্য মাত্রায় জড়িত। মেডিকেল ডাক্তারদের এখন অবস্হাটা কি? বাংলাদেশে সিজারিয়ান সার্জারীর নামে ডাক্তাররা সম্পূর্ণ অনৈতিক এক জঘন্য কালচার শুরু করেছে শুধুমাত্র কিছু টাকা নিজেদের পকেটে ভরার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশে নরমাল ডেলিভারী বলতে গেলে হয়না। এর ফলে নারীদের ভবিষ্যৎ জীবন ধ্বংশের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সিজারিয়ান সাজার্রী করতে গিয়ে মারা যাবার অনেক উদাহরণও আছে অথচ বাইরের দেশগুলোতে সিজারিয়ান সার্জারী বলতে গেলে হয়না।আমরা নিজেরাই দেখেছি অনেক ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নারী রুগীকে যৌন হয়রাণির অভিযোগ আছে।
এগুলো কেন বলছি? এখন আপনি যদি যুক্তি দেন আসলে মেডিকেলে পড়ে ডাক্তাররা এসব কুকর্ম করছে আসলে ঐ শিক্ষাটাই যত নষ্টের মূল। কাজেই সব মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে, সব ডাক্তার এক সব ভন্ড। একের জন্য সব ডাক্তার দোষী সব্বাইকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে মারা হোক, এটা শুনতে কি হাস্যকর লাগেনা??
আপনার ফ্যামিলিতে সমস্যা থাকতে পারে সেটা আপনাদের জিনগত সমস্যা। আপনাদের ইন্টারনাল সমস্যা তা দিয়ে গোটা মুসলিম ইসলাম এমনকি রাসূল (সাঃ) কে গালাগালি করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?? আপনি ফ্যামিলিই কি ইসলামের সর্বেসর্বা নাকি? হাস্যকর যত্তসব কথাবার্তা। আপনার ইসলামী জ্ঞানের লেভেল দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। যেই ব্যাপারে আপনার স্পষ্ট জ্ঞানই নাই সে ব্যাপারে আপনি বিশেষজ্ঞের মত মতামত দেন কিভাবে? ডাক্তার যদি ইঞ্জিনিয়ারের কাজে হাত লাগায়, সেটা কি হাস্যকর নয়? গুডবাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.