নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি: বিজ্ঞান

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৭

অধ্যায়-১৪ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি



প্রশ্ন: তথ্য বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: কোনো বিষয় সম্পর্কে খবরাখবর হচ্ছে তথ্য। পৃথিবীতে নানা রকম তথ্য রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবার তথ্যের দরকার হয় এবং অন্যের সঙ্গে সেই তথ্য বিনিময় করতে হয়।

প্রশ্ন: তথ্য যোগাযোগের একটি উদাহরণ দাও?

উত্তর: আমরা প্রতিমুহূর্তেই একে অন্যের সঙ্গে তথ্যবিনিময় বা তথ্য যোগাযোগ করছি। সবচেয়ে সহজভাবে তথ্য যোগাযোগ করা হয় কথা দিয়ে। একজন শিক্ষক ক্লাসে যখন ছাত্রছাত্রীদের কিছু বুঝিয়ে দেন, তখন তিনি কথা বলেন। তাঁর কথাগুলো কণ্ঠ থেকে শব্দ হিসেবে বের হয়ে ছাত্রছাত্রীদের কানে গিয়ে পৌঁছায়। এখানে তথ্য যোগাযোগ হচ্ছে শব্দ দিয়ে।

প্রশ্ন: আজকাল টেলিভিশনে কতগুলো চ্যানেল দেখা সম্ভব?

উত্তর: আজকাল টেলিভিশনে শত শত চ্যানেল দেখা সম্ভব। একসময় ছোট সাদা-কালো টেলিভিশন দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন রঙিন ও বিশাল পর্দার টেলিভিশন রয়েছে।

প্রশ্ন: ইন্টারনেট কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীর লাখ লাখ কম্পিউটার একটির সঙ্গে আরেকটি জুড়ে দিয়ে বিশ্বজোড়া কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। তথ্য পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য এটি হচ্ছে সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা। এই লাখ লাখ কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করার এ প্রক্রিয়াকে ইন্টারনেট বলে।

প্রশ্ন: ইন্টারনেট ব্যবহার করে কী কী করা যায়?

উত্তর: রেডিও-টেলিভিশন বা টেলিফোন ব্যবহার করে আমরা যা যা করতে পারি, ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার সবই আমরা করতে পারি এবং এর বাইরে যা করতে পারি তা হলো—

১. আমরা চিঠি বা মেইল করতে পারি। ২. ছবি পাঠাতে পারি।

৩. লাইব্রেরির কাজ করতে পারি। ৪. তথ্য খুঁজে বের করতে পারি।

৫. জিনিসপত্র কেনা-বেচা করতে পারি। ৬. যেকোনো এলাকার ম্যাপ দেখতে পারি। ৭. ভিডিও কনফারেন্স করতে পারি। ৮. মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারি

প্রশ্ন: বিজ্ঞান কাকে বলে?

উত্তর: প্রকৃতিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কারণ জানার জন্য মানুষ নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। ফলে সৃষ্টি হয় নতুন নতুন জ্ঞান। এ জ্ঞান ও জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াই হলো বিজ্ঞান। বিজ্ঞান মানুষকে নতুন নতুন ধারণা দেয়।

প্রশ্ন: প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আমাদের জীবন ও জীবিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার জন্য বিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগানো অর্থাৎ বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে প্রয়োগ বা ব্যবহার করাকেই প্রযুক্তি বলা হয়।

প্রশ্ন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহূত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম লেখো।

উত্তর: চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহূত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম হচ্ছে—আলট্রাসনোগ্রাফ, লেজাররশ্মি, ইসিজি, এক্স-রে, ইনসুলিন পেসমেকার, কৃত্রিম কিডনি ইত্যাদি।

প্রশ্ন: একটি উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য লেখো।

উত্তর: বিজ্ঞানী নিউটন মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেছেন। নিউটন তার সূত্রে বলেছেন, সব বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তিনি বলেছেন, সূর্যকে কেন্দ্র করে এর চারদিকে বিভিন্ন গ্রহ আবর্তন করে। তাঁর মহাকর্ষ সূত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে রকেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহ। এখানে নিউটনের সূত্র আবিষ্কার হলো বিজ্ঞান। এর ওপর ভিত্তি করে রকেট বা কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির বিষয় হলো প্রযুক্তি।

প্রশ্ন: পাঁচটি পুরোনো প্রযুক্তির নাম লেখো।

উত্তর: পাঁচটি পুরোনো প্রযুক্তির নাম হচ্ছে—

(১) গরুর গাড়ি (২) ঘোড়ার গাড়ি (৩) পশুচালিত লাঙল (৪) পানি সেচের দোন (৫) নৌকা।

প্রশ্ন: তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাঁচটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম লেখো।

উত্তর: তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাঁচটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম হচ্ছে—(১) কম্পিউটার (২) ফ্যাক্স (৩) ই-মেইল (৪) ইন্টারনেট (৫) টেলিফোন।

প্রশ্ন: রিমোট কন্ট্রোল কী? রিমোট কন্ট্রোল কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: রিমোট কন্ট্রোল কথাটির অর্থ ‘দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ’। রিমোট কন্ট্রোলকে সংক্ষেপে রিমোট বলা হয়। বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা ১৮৯৮ সালে প্রথম রিমোট কন্ট্রোল তৈরি করেন। রিমোট কন্ট্রোল একটি ছোট যন্ত্র, একেকটি বোতাম টিপলে একেকটি কাজ হয়। কোনো বোতাম সুইচ অন বা অফ করে, কোনোটি চ্যানেল পাল্টায়, কোনোটি শব্দ বাড়ায় বা কমায়। টিভির রিমোট এ কাজটি করে এক প্রকার অদৃশ্য রশ্মির সাহায্যে। এর নাম অবলোহিত রশ্মি।

রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নানা রকম খেলনা চালানো যায়, এ ছাড়া, স্টেরিও সিস্টেম, ডিভিডি প্লেয়ার, কলেবল, ফ্যান, এয়ারকুলার, দরজা ইত্যাদি চালাতে ব্যবহূত হয়। আরও আছে গাড়ির দরজা বন্ধ করা বা খোলা, বাড়ির মেইন গেট খোলা ও বন্ধ করা।





অধ্যায়-১২ পৃথিবী ও বিশ্বজগৎ



# সংক্ষেপে উত্তর দাও।

প্রশ্ন: জ্যোতিষ্ক কাকে বলে? জ্যোতিষ্কের নাম লেখো।

উত্তর: রাতে পরিষ্কার নীল আকাশের দিকে তাকালে অসংখ্য আলোকবিন্দুকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। আকাশে দিনের সূর্য, রাতের চাঁদ এবং অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝিকমিক করা এই আলোক বিন্দুকে বলে জ্যোতিষ্ক। কোনো কোনো জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আছে। যেমন, সূর্য। আবার কোনো কোনো জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই। যেমন, চাঁদ। কয়েকটি জ্যোতিষ্কের নাম হলো: সূর্য, চন্দ্র, শুক্রগ্রহ, মঙ্গলগ্রহ, নক্ষত্র।

প্রশ্ন: পৃথিবী তার অক্ষের চারদিকে একবার এবং সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে কত সময় লাগে? এই দুই ধরনের গতির নাম কী?

উত্তর: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে এবং সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। এই দুই ধরনের গতির নাম: ১. আহ্নিক গতি ২. বার্ষিক গতি।

প্রশ্ন: আহ্নিক গতি কাকে বলে? আহ্নিক গতির বর্ণনা দাও।

উত্তর: পৃথিবী গতিশীল। পৃথিবী তার মেরুরেখার ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে। পৃথিবী তার মেরুরেখার ওপর একবার ঘুরে আসতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এই ২৪ ঘণ্টাকে বলা হয় একদিন। পৃথিবীর ওই দৈনিক গতির নাম আহ্নিক গতি।

এ আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের দিকে থাকে, সেই অংশে দিন এবং অপর অংশে রাত থাকে। আহ্নিক গতির ফলে দিন ও রাত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: সৌরজগৎ কী? সৌরজগতের সদস্য কারা?

উত্তর: সূর্যকে ঘিরে তার চারদিকে আবর্তিত গ্রহ ও উপগ্রহ নিয়ে যে জগৎ, তাকে সৌরজগৎ বলে।

সূর্যকে কেন্দ্র করে যেসব গ্রহ-উপগ্রহ নির্দিষ্ট পথে ঘুরছে, তারাই সৌরজগতের সদস্য। সৌরজগতের সদস্য ৮টি গ্রহ, ৪১টি উপগ্রহ। একসময় প্লুটোকে গ্রহ বলা হতো। এখন বিজ্ঞানীরা প্লুটোকে গ্রহ বলেন না।

প্রশ্ন: কক্ষ পথ কী?

উত্তর: পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর অবিরাম ঘুরছে এবং একটি নির্দিষ্ট পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী সূর্যকে যে নির্দিষ্ট পথে প্রদক্ষিণ করে, সেই পথকে বলা হয় কক্ষপথ। পৃথিবীর মতো প্রতিটি গ্রহের পৃথক পৃথক কক্ষপথ রয়েছে।





অধ্যায়-৬  প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রশ্ন: বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে কীভাবে আলাদা করা যায়?

উত্তর: তড়িতাহত বলতে আমরা তড়িৎ বা বিদ্যুৎ দ্বারা আহত হওয়া বুঝি। বিদ্যুতায়িত বস্তুটি থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ আলাদা করার জন্য প্রথমে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। মেইন সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না হলে শুকনো কাঠ বা বাঁশ দিয়ে এমনভাবে তড়িতাহত ব্যক্তিকে ধাক্কা দিতে হবে, যেন বিদ্যুৎবাহী বস্তুটির সংস্পর্শ থেকে সে আলাদা হয়ে যায়। কোনো অবস্থায় তড়িতাহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা যাবে না।

প্রশ্ন: তড়িতাহত ব্যক্তিকে বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে আলাদা করার সময় তুমি কোন কোন বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখবে?

উত্তর: তড়িতাহত বলতে আমরা তড়িৎ বা বিদ্যুৎ দ্বারা আহত হওয়া বুঝি। তড়িতাহত ব্যক্তিকে বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে আলাদা করার সময় আমাদের লক্ষ রাখতে হবে—

১. কেউ যদি তড়িতাহত হয়, তবে তাকে কোনো অবস্থায়ই স্পর্শ করা যাবে না। কারণ, মানুষের দেহ বিদ্যুৎ পরিবাহী। তড়িতাহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে সেও তাৎক্ষণিকভাবে তড়িতাহত হয়ে পড়বে।

২. ভেজা কাঠ ও বাঁশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে। অথচ শুকনা কাঠ ও বাঁশ বিদ্যুৎ অপরিবাহী। এ জন্য বিদ্যুতায়িত বস্তুটি থেকে তড়িতাহত ব্যক্তিকে আলাদা করার জন্য শুকনা কাঠ ও বাঁশ ব্যবহার করতে হবে।

৩. অনেক সময় তড়িতাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। প্রয়োজনে রোগীর জন্য কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসক ডাকতে হবে বা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন: কী কী কারণে একটি বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে লেখো?

উত্তর: একটি বস্তু বিদ্যুতায়িত হওয়ার কারণগুলো নিম্নরূপ:

১. বিদ্যুৎসংযোগে কোনো ত্রুটি থাকলে বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে।

২. বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে বাড়ি বা অফিসের কোনো বস্তু বিদ্যুতায়িত হতে পারে।

৩. বিদ্যুতায়িত তার বা বস্তুর সংস্পর্শে এলে মানুষ বা অন্য প্রাণী বিদ্যুতায়িত বা তড়িতাহত হয়।

এ সময় সঠিক ব্যবস্থা না নিলে তড়িতাহত মানুষ বা প্রাণীটি মারা যায়।

প্রশ্ন: মনে করো তোমার এক বন্ধুর হাত ভেঙে গেছে, তুমি এখন কীভাবে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেবে লেখো।

উত্তর: আমার কোনো বন্ধুর হাত ভেঙে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে আমি যা করব তা নিম্নরূপ:

১. আঘাত পাওয়া অঙ্গে বরফ বা ঠান্ডা পানির পট্টি দেব, এতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ফোলা ও ব্যথা কমে যাবে।

২. অঙ্গটি স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হবে। দুই পাশে দুটি বাঁশের চটা বা পাতলা কাঠের সঙ্গে তুলা জড়িয়ে প্রথমে বেঁধে দেব। ফলে ভাঙা হাড়খানা সহজে নড়বে না, রোগীও কষ্ট কম পাবে।

৩. ভাঙা অংশ বাঁধার কাজে ব্যান্ডেজও ব্যবহার করতে পারি। হাতের কাছে ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে পরিষ্কার শাড়ি বা লুঙ্গি ছিঁড়ে ব্যবহার করতে পারি।

৪. ভাঙা জায়গায় কখনো কোনো ওষুধ মালিশ করব না।

৫. ভাঙা হাড় টেনে সোজা করার চেষ্টা করব না।

৬. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে চিকিৎসকের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যাব।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.