![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন: কবি কোন ‘মন ভোলানো সুর’ সম্বন্ধে বলেছেন?
উত্তর: বাংলা ভাষার প্রতি গভীর মমতা আর ভাষা শহীদদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধায় ভরা একটি অনবদ্য কবিতা ‘ফেব্রুয়ারির গান’। এই কবিতায় কবি লুৎফর রহমান রিটন প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের ছন্দ-সুরের সঙ্গে বাংলা ভাষার মানুষের এক অনুপম চিত্রকল্পের বর্ণনা ফুলপাখি, প্রজাপতি, ঝরনা, পাহাড়, তরুলতার পাশাপাশি সাগর-নদীর-ঊর্মিমালার মন ভোলানো সুর সম্বন্ধে বলেছেন।
প্রশ্ন: গ্রীষ্ম-বর্ষা শীতের বাতাসে কিসের প্রতিধ্বনি ছড়ায়?
উত্তর: প্রতিধ্বনি বলতে আমরা বাতাসের ধাক্কায় ধ্বনির পুনরায় ফিরে আসাকে বুঝে থাকি। রূপে অপরূপা বাংলাদেশের প্রকৃতিতেও প্রতিনিয়ত চলছে প্রতিধ্বনির আনাগোনা, প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান বিভিন্নভাবে তাদের সৌন্দর্য বিতরণ করে থাকে। পাহাড়ও তার সুরের সৌন্দর্য বিকশিত করে ঝরনার ছন্দে। কবির দৃষ্টিতে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত ঋতুর বাতাসে পাহাড়ের সেই সুর সৌন্দর্যের প্রতিধ্বনি ছড়ায়।
প্রশ্ন: পাতা মুগ্ধ হচ্ছে, স্বর্ণলতা মুগ্ধ হচ্ছে কিসের গানে?
উত্তর: ‘মুগ্ধ’ শব্দটির অর্থ বিমোহিত বা আনন্দিত। প্রকৃতির সবকিছুরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কবির দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান নানাভাবে নিজেকে প্রকাশিত করে চলেছে। সাগর, নদী, পাহাড়, ঝরনা, পাখি যে মন ভোলানো সুর আর গানে প্রকৃতিকে বিমোহিত করছে, ঠিক একইভাবে পাতা ও স্বর্ণলতাও মুগ্ধ হচ্ছে গাছের গানে।
প্রশ্ন: আমরা কোন ভাষায় আমাদের মনের কথা বলি?
উত্তর: ফুল, পাখি, পাহাড়, ঝরনা ও সাগর নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে তাদের নিজেদের মতো করে। তাদের নিজস্ব ভাষা-বৈচিত্র্য ও বিশিষ্ট্যে তারা গরীয়ান, আমরা ফুল-পাখি নই। কিংবা পাহাড় ঝরনা-সাগরও নই। আমরা মানুষ। বাংলাদেশের বাঙালি। আমাদের মায়ের মুখের ভাষা বাংলা। আর মায়ের মুখের এই মধুর ভাষা বাংলা ভাষাতেই আমরা আমাদের মনের কথা বলি।
প্রশ্ন: ‘শহীদ ছেলের দান’ হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর: বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষাতে আমরা মাকে মা বলে ডাকতে শিখেছি। এই বাংলা ভাষাতেই আমাদের সব চাওয়া আর সব পাওয়া এবং স্বপ্ন আশা বাস্তবায়িত হয়। অথচ এই ভাষার ওপর আঘাত হেনেছিল পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী। চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদের উর্দু ভাষা। কিন্তু বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তা হতে দেয়নি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত দিয়ে শহীদ হয়ে এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে। একুশে ফেব্রুয়ারির সেসব শহীদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। পেয়েছি রাষ্ট্রভাষা বাংলা ভাষা।
©somewhere in net ltd.