নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অেচনা পথীক পলাশ

অেচনা পথীক পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন, আর একবার প্রতিরোধ যুদ্ধে শামিল হই

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

আজকের জামাত-শিবিরের উত্থানের মূলে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি সমূহের মধ্যে অনৈক্য। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ইস্পাতসম যে ঐক্য, সংহতি আর সহমর্মিতা গড়ে ওঠেছিল স্বাধীনতা উত্তর মহান মুক্তিয্বদ্ধে পরাজিত সেই অপশক্তি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সেই ঐক্য, সংহতি আর সহমর্মিতায় স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে সক্ষম হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি রণাঙ্গনে্র মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্য, সংহতি আর সহমর্মিতার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত তৈরি করেই বসে থাকেনি; মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বৈরিতা সৃষ্টি করতেও সক্ষম হয়। রণাঙ্গনে্র মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তৈরি করা সেই স্বার্থ নংঘাত আর বৈরিতাকে পুঁজি করেই মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত রাজনৈতিক অপশক্তি তাদের মানবতা বিরোধী অজস্র অপরাধের বিচার দীর্ঘ ৪২ বৎসর ধামাচাপা দিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

গত ২ সপ্তাহ ধরে পাকিস্থানি প্রেতাত্বা রাজাকার, দালাল, আলবদর আর আলশামসের ওরোসজাত দুষ্টুচক্র জামাত-শিবিরের তান্ডবে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাবলীর প্রক্ষিতে চারদিক থেকে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরেফিরে আসছে দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব কী এখন হুমকির সন্মখীন? হাজার বছরের আরধনা গর্বের প্রতীক আমাদের জাতীয় পতাকার অবয়ব চিহ্ন কী চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে? বর্তমান আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী ৭১ এর পূর্ব অবস্থা পাকিস্থানি ভাবধারায় ফিরে যাচ্ছে? ৩০ লক্ষ শহীদের আত্বত্যাগ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমির প্রিয় স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে ধুলিষ্যাত করতে শুকুন আর হায়েনার দল চারদিক থেকে হিংস্র থাবার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এহেন অনাকাংখিত আর অভাবিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে একটি কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির গন্তব্য আজ কোন মোহনায় ধাবিত হচ্ছে?

একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি হায়েনারের দল জামাত-শিবিরের উদ্যত আচরণ ক্রমেই সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এদের এখনই প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হলে এ জনপদে মারাত্বক বিপর্যয় নেমে আসবে। সেই বিপর্যয় থেকে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে কেউই রক্ষা পাবে না; যা ইতিমধ্যে জামাত-শিবির চক্র তাদের দোসর ও তাবেদার বিএনপি’র সহায়তায় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু করেছে। এরা স্বাধীনতার পক্ষশক্তিসমূহের আক্রমণ পরিচালনা শুরু করেছে। বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাঙচুর, লুঠপাট ও শেষে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। জোরপূর্বক তওবা পড়িয়ে ধর্মান্তরিত করছে।

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের দীনতা আর বৈরিতার সুযোগে ’৭১ এর পরাজিত পাকিস্থানিদের সহযোগি এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস আর দালাল চক্র সর্বশক্তি নিয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে। এদের ঘুরে দাঁড়ানোর এই অপচেষ্টা এখনই দমাতে না পারলে শীঘ্রই ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ আমাদের সকলের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ এখন আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এরপরে কিন্তু আক্রান্তের শিকার হবে মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষশক্তি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হানাদারদের উত্তরাধিকারী আজকের জামাত-শিবির তাদের পূর্বসুরিদের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহনে বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্য চরিতার্থ্য করার জন্যই গত ২ সপ্তাহ ধরে ’৭১ এর মতো সাড়াদেশে রেলে আগুন দিয়ে, লাইন উপড়ে ফেলে, সড়ক আর মহাসড়ক অবরোধ করে হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগ আর লুটপাট চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই হায়েনারের দল ’৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর।

জামাত-শিবিরের এমন বর্বরচিত আর পৈশাচিক আচরণের পরও কী মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী পক্ষশক্তি নিশ্চপ ঘরে বসে থাকবেন? ’৭১ এর রণাঙ্গনে বিজয়ী পক্ষশক্তির নির্লিপ্ততা আর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ’৭১ এর সেই পরাজিত অপশক্তি রাজাকার, আলবদর, আলশামস, দালালচক্র মাথাছাড়া দিয়ে ওঠেছে। এরা পাকিস্থানি প্রেতাত্না কসাই এহিয়া, নিয়াজি আর টিক্কা খানদের বংশধর। এদের বিরুদ্ধে এখনই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় বহু কষ্ট আর আত্বত্যাগে ’৭১ এ অর্জিত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফসল পরাজিত হায়েনার বর্বর পাকিস্থানিদের সহযোদ্ধা দালালচক্র রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের নীলনকশায় গাঢ় অন্ধকারে হারিয়ে চিরতরে ধবংশ হয়ে যাবে।

আসুন, সমস্ত ভেদাভেদ আর মতপার্থক্য ভূলে আর একবার আমরা সকলে ’৭১ এর মতো সেই পরাজিত অপশক্তি রাজাকার, আলবদর, আলশামস আর দালালচক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, গড়ে তুলি প্রতিরোধ যুদ্ধ। অস্থিত্ব রক্ষার জন্য হলেও এই প্রতিরোধ যুদ্ধে শামিল হউন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.