নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অেচনা পথীক পলাশ

অেচনা পথীক পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

॥ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই ॥

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪০



কিসের আলোচনা, কার সাথে আলোচনা? যারা আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদের আত্বত্যাগ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাসই করে না বরঞ্চ এদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে যারা পদদলিত করে একে ধ্বংশ করতে নানা নীল নক্শার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা প্রচার করে বেড়ায় ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হিন্দুস্থানের হিন্দুদের ষড়যন্ত্রের ফসল আর ইন্ডিয়ান সৈন্যদের জন্য তাদেও সেই যুদ্ধে পরাজিত হতে হয়েছে এবং সেই যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই যারা এখন মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সাথে আবার কিসের আলোচনা আর কিসের সমঝোতা? যে রাজনৈতিক অপশক্তি আমাদের ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের সাথে আতাঁত করে দেশের গণতন্ত্র, স¦াধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে ধলিষ্যাৎ করে দিতে চায় তাদের সাথে কোনো ধরণের আলোচনা হতে পারেনা। আর এদের সাথে কোন আলোচনা হলেও কোন সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে না। সুতরাং চাপে পড়ে লোক দেখানো সংলাপ আর আলোচনার কোনো দরকার নেই।

আলোচনা আর সংলাপ করতে হলে বিরোধপূর্ণ বিষয়ে উভয় পক্ষকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধপূর্ণ কী এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা আর সংলাপ হবে তা উভয় পক্ষ বিরোধীয় বিষয় বলে মেনে নিতে হবে। সুতরাাং বিরোধী দল বিএনপি’র দাবী অনুযায়ী ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল বাতিল করে তাদের সাথে আলোচনার নামে সংলাপ করবে? বিএনপি’র দাবী অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে অসাংবিধানিক তত্ব্যাবধায়ক পদ্ধতি বহাল করতে হবে? দেশ ও জাতির জন্য যা আত্বঘাতিক তাই যদি মেনে নিতে হবে তা হলে সংলাপ আর আলোচনার কী কোনো দরকার আছে? আলোচনা আর সংলাপ করতে হলে উভয়পক্ষকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানষিকতা থাকতে হবে। আলোচনার নামে সংলাপ তখনই হতে পারে যখন উভয়পক্ষ পরষ্পরের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আর আন্তরিক হন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির দাবী অনুযায়ী বিএনপি কী ঘোষণা দিয়ে বলতে পারবে যে, “আজ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ মৌলবাদী রাজনৈতিক অপশক্তি জামাত-শিবিরের সাথে আমরা সকল প্রকার সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন করলাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত সকল অপরাধির জন্য মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের যে শাস্তি প্রদান করবে তা আমরা মেনে নিব”!

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ ও জনগণের স্বার্থ্যে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসে কিছুটা ছাড় দিলেও বিএনপি কিছুতেই তাদের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না। বিএনপি তাদের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে যদি কোনো ছাড় নাই দিবে তাহলে লোক দেখানো শুধু শুধু আলোচনা আর সংলাপ করার কী যুক্তিসংগত কোন কারণ থাকতে পারে? আমাদের স্মৃতিশক্তি বলছে নানা ঢাকঢোল আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মরহুম মান্নান ভূঁইয়া ও আব্দুল জলিলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জনপ্রত্যাশিত কেনো ব্যর্থ হয়েছিল? তার আগে কমনওয়েলথ’র তৎকালীন মহাসচিব স্যার ন্যানিয়ানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংলাপ কেনো ব্যর্থ হয়েছিল? বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর অতীত থেকে শিক্ষা নিলে রাজনৈতিক ডায়ালগের নামে রাজনৈতিক তামাশার কোনই দরকার নেই। অতএব, উদ্ভুত রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক ভাবেই রাজনৈতিক মাঠেই সমাধান বাঞ্চনীয়। আর এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষশক্তি একত্রিত হয়ে ’৭১ এর পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.