নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অেচনা পথীক পলাশ

অেচনা পথীক পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং হেফাজতে ইসলাম

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

ইসলামের দৃষ্টিতে কিন্তু মাফ নেই যুদ্ধাপরাধীদের। পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৪৫ নং আয়াতে এবং সূরা বাক্বারা আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯ থেকে জানা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অপরাধকারীকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীর গুনাহ মাফ হচ্ছে না এবং অপরাধীর বিচার করতে হবে ক্ষতিগ্রস্হদের উপর কৃত অপরাধের ভিত্তিতেই। আর যারা এই বিচার মানবে না তারা গণ্য হবে জালিম হিসেবে।



কিন্তু দেখুন, ১৫ই মার্চ চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি উঠেছে। খোলসের উন্মোচন হয়ে গেছে তখনই, তাই নয় কি ?



তারা যদি সত্যিকারার্থে ইসলামের সেভিওর হয়ে থাকতেন, তাহলে তাদেরকে জামায়াতে ইসলামের ব্যাপারে তারা কঠোর হতেন। যিনি মনেপ্রাণে মুসলিম, তিনি কখনই জামায়াত শিবিরকে সাপোর্ট করতে পারেন না। জামায়াত শিবিরের মত উগ্র ধর্মান্ধ দলই পারে ধর্মের অপব্যবহার করতে, ধর্মকে পুঁজি করে ক্ষমতা আরোহণের নির্লজ্জ চেষ্টায় নিমজ্জিত হতে। হাতের রগ কাটা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট থেকে এমন কোন লোমহর্ষক কাজ নেই যা তারা করেনি। ৭১ এ এমন কাজ তারা করেছে, যা কোনভাবেই ইসলামপন্থী হতে পারেনা।



কিন্তু কই কোথাও তো হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতে ইসলামের বিপক্ষে কিছু বলতে দেখলাম না। তাহলে কি ধরে নিব আমরা ?

প্রসঙ্গঃ কুরআনের আয়াতসমগ্র এবং হেফাজতে ইসলাম



“...যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।...” –আল কোরআন (সুরা আনআমঃ১৫৯)



“...ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে।...” –আল কোরআন (সুরা বাকারাঃ২৫৬)



“...(ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য

যথেষ্ট...” –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)



“...যদি তারা আত্মসমর্পণ (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।”–আল কোরআন

(সুরা আল ইমরানঃ২০)



“...তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া...”–আল কোরআন (সুরা নাহলঃ৮২)



“...তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর)পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন”

– আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)



“...তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ...” –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)



“...আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি। আর আমিই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতিপালক। তাই আমাকেই ভয় কর। কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।” –আল কোরআন (সুরা মুমিনুনঃ৫২-৫৪)



“...আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, ‘তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন...” –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.