নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাটাইল ক্যন্টনমেন্ট কলেজে মানবিক নিয়ে পড়ছি। পরিবার সাধারণ তাই স্বভাবতই আমিও তাই

মোহাম্মাদ শাওন

বিশ্ব জয় করাদের দলে থাকতে চাই না। বিশ্ব পরিবর্তকদের দলে সামিল হতে চাই

মোহাম্মাদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজহাতে অধিকার বিক্রি অতঃপর অহেতুক দোষারূপ

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০০

বাংলাদেশ….। প্রায় ১৬ কোটি জনশক্তি নিয়ে এক অপার সম্ভাবনার দেশ। সুতরাং,শাসন ব্যাবস্থাও স্বভাবতই গণতান্ত্রিক। সবক্ষেত্রে হয়ত সমান তালে তা প্রযোজ্য হয় না,তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় বলা যায়। আর এই গনতন্ত্রের দ্বারা প্রাভাবিত হয়েই আমরা নিজের অজান্তেই হয়তবা নিজের অধিকারটাকেই বিক্রি করে দিচ্ছি।হুম…সেই অধিকার যা একজন নাগরিক হিসাবে গনতান্ত্রিক রাষ্টের নিকট আমার প্রাপ্য। একটু বিস্তারিতই বলা যাক তাহলে-
আমার প্রাণপ্রিয় এই জন্মভূমির প্রায় ৯৯% মানুষই নিজের অধিকার সম্পর্কে সজাগ। অধিকার এর ব্যাপারে সজাগ থাকাটাই স্বভাবিক। চিন্তা করার বিষয় আমরা বাস্তব অবস্থা বিশ্লেষনপূর্বক সত্যি কি আমাদের অধিকার নিয়ে সজাগ। নাকি নিজের হাতেই নিজে প্রতারিত হচ্ছি?ব্যাপার একটু বোজার চেষ্টা করি-
নাগরিক বা কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য যাই বলেন না কেন অধিকার ভোগ করার আগে দায়িত্ব-কর্তব্য আর খুব কম করে বলতে গেলেও নূন্যতম করণীয় বলেও কিন্তু একটা কথা আছে। হে বলছিলাম দায়িত্ব আর অধিকারের পরিপূরতাকে লক্ষ্য করে।
আমাদের দেশে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য নিয়মিত ভাবেই নির্বাচনের ডাক আসে । সেটা হতে পারে জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচন পরিচালনা,অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় কার্যক্রম আমাদেরই সম্পন্ন করতে হয়। মানে আমদের মধ্যহতেই প্রতিনিধি দ্বারা সম্পন্ন হয়। আমার কথা হলো আমরা এই নির্বাচনের নাম করে নিজের অধিকার কেনা-বেচার হাটের আয়োজন করছি নাতো;যেখানে ক্রেতা হলো নির্বাচনের প্রার্থীগণ আর বিক্রেতা হলাম আমরা আমজনতা।অবশ্য সবাই যে,এই হাটে কেনা-বেচা করে আমি ঠিক তা বলছি না,তবে বাস্তব-অবস্থার প্রেক্ষিতে সংখ্যাটা যে প্রায় ৮৫%+ সেটা কিন্তু নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে।দেশের কিশোর থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বয়োজষ্ঠ্যরাও নির্বাচনের মুখ চেয়ে বসে থাকে।নির্বাচনে অংশগ্রহনের উদ্দেশ্যে কিন্তু নয়। উদ্দেশ্য হলো নিজের পকেট ভারি করা আর ক্ষেত্রবিশেষে আধিপত্য বাড়ানো। সবাই যে এক মানসিকতার লোক আমি কিন্তু তা বলছি না। দেশে যখন জাতীয় নির্বাচন হয় তখন আমরা এক পেকেট সিগারেট,কয়েক কাপ চা-পান বা ১০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রির নাম করে নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রের নিকট প্রাপ্য আমার অধিকারটাকেই বিক্রি করে দেই;যার মূল্য হতে পারে আমার জীবনও। আর সেটাকে আমরা.........!!ভাবতেও অবাক লাগে। কী হয়েছে আমাদের?আমরা যে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক,সেটা কি আমাদের স্মরণে নেই?
উদাহরণ দিয়ে বুজালে সহজে ব্যাপারটা বোধগম্য হবে ইনশাল্লাহ-
ধরেন,আমি অমুক প্রার্থীর কাছ ৫০০ টাকা পেয়ে তাকে ভোট দিলাম অতঃপর সে নির্বাচনে জিতেও গেল। মানে সে আমার অধিকার আদায় বা সেবার কাজে নিয়োজিত হয়ে গেল। প্রকৃতঅর্থে,সে কিন্তু মনোনিত হলো না,মনোনিত হয়ে নিল স্বয়ং আমাদের কাছ থেকে। একেবারে নগদ মূল্যে। পরবর্তীতে,তারাই কিন্তু সরকার,প্রশাসন,বিচার বিভাগ-শাসন বিভাগ সহ যাবতীয় কার্য্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবে। তাহলে,ধরলাম সবশেষে তারাই গদি পেয়ে গেল।
এখন ধরুন,আমি কারো দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হলাম বা কেউ আমার অধিকার হরন করল। আমি এর বিচার-প্রতিকার-সমাধান যাই বলেন না কেন এর জন্য থানা-পুলিশ-প্রশাসন-আদালত ইত্যাদির শরনাপন্ন হলাম। এর জন্য হয়ত প্রচলিতনিয়ম মোতাবেক আমাকে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হবে;যার শুরু হয়তবা হবে কোন রাজনৈতিক নেতার দালালকে তেল মারার মাধ্যমে বা থানায় পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে।শেষপর্যন্ত শালিশ বা বেশী করে বলতে গেলে আদালত পর্যন্ত গেলাম। এজন্য টাকার পর টাকা,তেলের পর তেল মারতে হলো। তারপরও আমি ন্যায় বিচার না পেয়ে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলাম।
এতসব কাহিনী যে হলো,এগুলো কিন্তু আমার নাগরিক হিসাবে প্রাপ্ত অধিকার। তারপরও কেন ভোগান্তি? ঐ যে শুরুতেই বলেছিলাম,আমি ৫০০ টাকার বিনিময়ে আমার নাগরিক অধিকার বিক্রি করে দিয়েছি। যদি তাই...ই হয় তাহলে ভোগান্তি হতাশ হওয়াইটো স্বাভাবিক। নেতারাতো ৫০০ টাকার বিনিময়ে ভোটের সময়ই আমার অধিকার নগদে কিনা নিছে!!আমি একদম সেচ্ছায় তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। সেটা বুজে করি আর না বুজেই করি দিয়েছি তো। তাহলে আমি কোন অধিকারে থানা-পুলিশ-আদালত-প্রশাসন ইত্যাদির দ্বরস্থ্য হই?লজ্জা করে না,যখন নিজের হাতে অধিকার বিক্রি করে আবার সেবা চাইতে যাই!আবার বলি পুলিশ ঘুষখোর,টাকা ছাড়া প্রাশাসন কিছু বুজে না,দেশটা দূর্নীতে ভরে গেছে,আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না,রাস্তাঘাটের বেহাল দশা,এদেশের আর উন্নতি হবে না আরো কত কী। এখন আমি যদি বলি এসবের সূচনা ঘটেছে আপনার ভোট বিক্রির মাধ্যমে তাহলে কি বলাটা ভুল হবে?শুরু থেকে বোজার চেষ্টা করেন। বরং এটাই যৌক্তিক দাবি যে,সেসব নাগরিক টাকা বিনিময়ে বা পরিচিত নেতার নামে আধিপত্য বিস্তারের লোভে নিজের ভোট বিক্রি করে ,এই দেশ-সমাজ-প্রশাসনের কাছে তাদের কোন অধিকার নেই আর আদালতে-প্রশাসনের কাছে এদের বিচার না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা যদি সেটা দাবি করে তাহলে সেটাকে আমি অনধিকার চর্চাই বলব। আমি সেইসব নেতা নয় বরং সেইসব ভোটারদের অনুরোধ করে বলছি,আপনারা সামান্য টাকার লোভে,নামমাত্র আধিপত্য বিস্তারের লোভে আমার এই জন্মভূমিকে,আমাদের এই প্রাণপিয় বাংলাদেশকে অধিকার শূন্য কইরেন না। মনে রাখবেন,আপনাদের এই ভোট বিক্রির মাধ্যমেই সকল অনিয়ম-দুর্নীতির যাত্রা হয়। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মাইরেন না। এর মূল্য হতে পারে আপনার জীবনও। শুধু আপনি একা নন আপনি সহ লাখো মানুষের জীবন দিয়েই এর মুল্য পরিশোধ করতে হতে পারে!!
আসুন সবাই এই শপথ গ্রহন করি-
নিজের অধিকার নিয়ে থাকব আমি সজাগ
ভোটের নামে অধিকারকে করব না আর বিক্রি
এটাই আমার জারিকৃত অগ্নিশপথ ডিক্রি
যেটার মূল্য জীবন হতেও বেশী –
সেটা তুমি কিনবে কী দিয়ে ভাই শুনি?
তাকেই আমি দিবরে ভোট-
যে অধিকার নিয়ে আমারই মতো অটুট।


যদি শপথ নিতে পারেন,তাহলে ইংশাল্লাহ আমাদের দেশে প্রশাসন নিয়ে থাকবে আর কোন দুর্নীতি-ভোগান্তি-অশান্তি-অভিযোগ-অবিচার। মনে প্রাণে মেনে নিব আমার একটি স্বচ্ছ-নির্ভেজাল-সচেতন ভোটই পারে নাগরিক হিসাবে আমার অধিকার আমাকে দিতে,যদি আল্লাহ কবুল করেন।
কী.........পারব না?একটা নির্ভেজাল-প্রভাবমুক্ত-সচেতন ভোটের মাধ্যমে নিজের অধিকার আদায়ের ভিত্তি স্থাপন করতে??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.