নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
জামাতে মওদুদীদের বিরুদ্ধে বলার অন্তরালে মূলত কৌশলে ভূমি মন্ত্রী বোরকা ও বোরকা পরহিতা পর্দানশীন মহিলাদের নিকৃষ্টভাবে কটাক্ষ করলো!!মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব নূরে মুজাসস্াম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি মু’মিনগণকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের ইজ্জত ও আবরু হিফাযত করে। এতে তাদের জন্য অনেক পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ পাক তিনি তা অবহিত রয়েছেন।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর-৩০)অর্থ্যাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ দ্বারা পর্দা পালন করা ফরয সাবস্ত হয়েছে। অথচ গত ১২ মার্চ ২০১৪ ঈসায়ী তারিখ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কুড়িগ্রাম রুরাল ডেভেলপমেন্ট সেল্ (কেআরডিসি) আয়োজিত ‘ভূমিতে নারীর অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে হিন্দু বিউটি রানী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমমন্ত্রী শামসুর রহমান এমপি বলেছে, ‘এই যে মেয়েরা (বেপর্দা হিন্দু) বসে আছে। শাড়িতে তাদের কত শালীন দেখা যাচ্ছে। অথচ ইবলিসের চ্যালারা নারীদের বোরখার মধ্যে ঢুকিয়ে একেবারে অদ্ভুত করে ফেলে। এই হুজুররা অন্যান্য দেশের নারীদের আরও ভয়াবহ অবস্থা করেছে।’ নাউযুবিল্লাহ!সে আরো বলেছে, “এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইবলিশের চেলা ও তার দোসররা আমাদের নিরীহ নারীদের প্রতারিত করছে। তারা বোরকা পড়া মহিলাদের বাড়ি বাড়ি তালিমের নামে টাকা পয়সা দিয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে এবং সাধারণ মা বোনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এ অবস্থা প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।” নাউযুবিল্লাহ!!অর্থাৎ তার কথায় বেপর্দা নারীরা শালীন আর পর্দানশীন নারীরা হন অশালীন! আর যারা পর্দা পালনার্থে বোরখা পরিধান করেন উনারা অদ্ভুত হয়ে যায়! নাউযুবিল্লাহ!তার এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কুফরী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে যে বিষয়টি খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়, মূলত হিন্দুদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের ক্ষুদ-কুড়া খেয়েই সে কৌশলে জামাতে মওদুদীদের বিরুদ্ধে বলার অন্তরালে বোরকার বিরোধীতা করে বিশ্বের প্রায় সোয়া তিনশ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে।তার উচিত অবিলম্বে পর্দা বিরোধী কুফরী বক্তব্য প্রত্যাহার করা এবং প্রকাশ্যে তওবা করা। অন্যথায় পর্দা বিরোধী কুফরী বক্তব্যের জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে তার উপর মুরতাদের হুকুম বর্তাবে। আর মুরতাদের হুকুম হলো- সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে এবং জীবনের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে, স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে, হজ্জ করে থাকলে তাও বাতিল হবে। আর তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তাকে কোনো মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করাও যাবে না। একটি গর্তে ফেলে রাখতে হবে। যেন কুকুর শৃগালের খাদ্যে পরিণত হয়। তার জানাযা পড়ানো যাবে না। যে পড়াবে তার উপরেও মুরতাদের হুকুম বর্তাবে।
©somewhere in net ltd.