নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ধীরগতিতে হলেও এর ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। প্রতিদির বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা। সাথে সাথে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, একের পর এক বাড়িঘর।সরেজমিনে দেখা যায়, গত দু’সপ্তাহে গাইবান্ধা জেলার অব্যাহত ভাঙনে বিপন্ন হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম। ইতোমধ্যে এসব গ্রামের ৭৫০টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীনসহ উর্বরা ফসলী জমি, গাছপালা এবং বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া এবার হুমকির মধ্যে রয়েছে আরো ২২৫টি পরিবার।গত তিন মাসে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়ির চর, উত্তর দিঘলকান্দি, দক্ষিণ দীঘলকান্দি ও পাতিলবাড়ি, ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের গাবগাছি, ফুলছড়ি, জামিরার চর, এরেন্ডাবাড়ির ইউনিয়নের সন্যাসীর চর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি এবং সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি ও মোলারচরের মৌলবীর চর গ্রাম জুড়েই এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, "দিঘলকান্দি, পাতিলবাড়ি ও গুয়াবাড়ি গ্রামে গত একমাসে পাঁচ শতাধিক পরিবার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীভ্ঙ্গানের কবলে পড়েছে। এতে অসহায় লোকজন বিভিন্ন চরে আপাতত আশ্রয় নিলেও বন্যার মধ্যে এদের কী হবে তা বলা মুশকিল।"তিনি আরো জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওইসব এলাকায় নদী ভাঙনের কথা স্বীকার করলেও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
©somewhere in net ltd.