নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
ইন্দোনেশিয়ার জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল পূর্ব-তিমুর। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ মুসলমান দেশের উপস্থিতি মাত্র তিনকোটি অমুসলিমের দেশ অস্ট্রেলিয়া হুমকি মনে করে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তরেই হলো ইন্দোনেশিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার নিকটতম দ্বীপ হলো তিমুর। অস্ট্রেলিয়া জিও পলিটিকসের মাধ্যমে এখাকার জনগণকে সংগঠিত করে বিদ্রোহকে উস্কে দিয়ে জাতিসংঘের ব্যানারে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে ইউরোপের খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলোর সাহায্যে পূর্ব-তিমুর নামে স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। এখন সে রাষ্ট্র পাহারা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী। ঠিক একইভাবে সুদান বহুজাতি তাত্ত্বিক দেশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকার একটি বড় দেশ। সেটার দারফুর অংশে উপজাতির ভিত্তিতে মুসলমানদের বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারপর সবচেয়ে সম্পদসমৃদ্ধ দক্ষিণ সুদান যেখানে রয়েছে তেলসমৃদ্ধ অ্যাবে অঞ্চল। এ অঞ্চলে আমেরিকার সিআইএ ও ইসরাইল অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। আশপাশের খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলো জনবল ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দিয়ে গণভোটের নাটক মঞ্চস্থ করে স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির নামে সুদানকে খণ্ডবিখণ্ড করে দিয়েছে।
আর সে ধারাবাহিকতায় বর্তমানে উপজাতি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ভারতে ট্রেনিং নিচ্ছে এবং সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র পাচ্ছে। সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর উপজাতি সদস্যরা ভারত থেকে এসে পুনর্বাসিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তাদের হাতেও হাজার হাজার বাঙালি মারা যাচ্ছে। আগে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। উপজাতি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমা এখনো বিচ্ছিন্নতাবাদ চাচ্ছে। এদের উস্কে দিচ্ছে বিদেশীরা। কারণ এখানে খ্রিস্টান মিশনারীদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। খ্রিস্টান মিশনারিরা হাসপাতাল, চার্চ প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন জাতিসংঘের ইউএনডিপি’র ছদ্মাবরণে পাশ্চাত্য খ্রিস্টান এনজিওগুলো ধর্মান্তরের কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। ভারতের মিজোরাম, মণিপুরের নাগাল্যান্ডে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ খ্রিস্টান। বাংলাদেশের এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর অভিবাসীদের খ্রিস্টান করে এখানে এরা একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র করার পরিকল্পনা করছে। স্মর্তব্য, উপজাতি এবং আদিবাসী। আদিবাসী বলতে ইংরেজিতে Aboriginals বা indigenous people -ও বলে। উপজাতি হলো ঞৎরনব, এটা উপনিবেশিক শব্দ। আমাদের দেশে বাঙালি মূলধারার বাইরে যারা আছে তারা আদিবাসী নয়। তাদের আমরা উপজাতি বলতেও নারাজ। বরং তাদেরকে বলা যেতে পারে নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছের উপজেলা রোয়াংছড়িতে নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর উগ্র লোকজন কর্তৃক একটি অতি কুৎসিত জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। সম্ভ্রমহরণের মিথ্যা অভিযোগে, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ‘মুসলিম মিয়া’ নামক একজন বাঙালি মুসলিম কাঠ ব্যবসায়ীকে অত্যন্ত নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র পাহাড়ি উপজাতিরা! হত্যার আগে তাকে বিবস্ত্র করে তার দুই হাত বেঁধে ফেলা হয়। তারপর তাড়িয়ে তাড়িয়ে দীর্ঘপথে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।অথচ মুসলিম মিয়াকে হত্যার আগে লম্পট হিসেবে দেবাং প্রকাশ বিজয় তঞ্চইংগ্যা (৩২)কে পুলিশ আটক করে। দেবাং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্বীকার করে সে সম্ভ্রমহরণের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুসলিম মিয়াকে সম্ভ্রমহরণের মিথ্যা অভিযোগে নির্মমভাবে হত্যার পর দেবাং কৌশলে পুলিশের কাছে তার জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।মুসলিম মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করার যে খবরটি [লিংক: http://goo.gl/RvhLcq] প্রকাশিত হয়, তাতে সামাজিক গণমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে।তিন পার্বত্য জেলার বাঙালিরা এই খবর দেখে পুলিশের দুর্বল ভূমিকার সমালোচনা করতে থাকে। কারণ দেখা গেছে, পুলিশ মুসলিম মিয়াকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী উগ্র লোকজনরা পুলিশকে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয় এবং পুলিশও সরে আসে। একটি জীবন বাঁচাতে এসময় লাঠিচার্জ কিম্বা ফাঁকা গুলিবর্ষণের সাহায্য নিলে হয়তো মুসলিম মিয়াকে বাঁচানো যেত।ওসি আবদুস সাত্তার জানায়, ঘটনা শোনার পরপর তাকে উদ্ধারে রোয়াংছড়ি নদীর পাড়ে যাই। অনেক চেষ্টা করে মুসলিম মিয়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে উগ্র পাহাড়ি নারী-পুরুষের হামলায় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। সেনাবাহিনীর ভুমিকা প্রশ্নে সে জানায়, সেনাবাহিনী নদীর পাড়ে সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা আমাদের কোনো সহায়তা করেনি। [সূত্র: পার্বত্য নিউজ ডট কম]উপরোক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে বলতে হয়, নিজেদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে পাহাড়িরা দেশের প্রচলিত আইনকে তো তোয়াক্কা করেইনি উপরন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও গলা ধাক্কা দিয়ে অপদস্ত করেছে। যা চরম ধৃষ্টতার শামিল। আর এর দ্বারা তারা নিজেদেরকে দেশের প্রচলিত আইন অমান্যকারী দেশদ্রোহী হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে। এরা যে কতটা সন্ত্রাসবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার তা এ ঘটনা থেকে সুস্পষ্ট প্রতিয়মান হয়। তাদের এ ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরেও তাদের বিরুদ্ধে সরকারের নিস্ক্রীয় ভূমিকা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনৈক ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষক বলেছেন, “কথিত আদিবাসী নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীরা কোনোক্রমেই এদেশের আদিবাসী হতে পারে না। এটা নিতান্ত অবৈজ্ঞানিক ও ভুল তত্ত্ব। এদেশের অকাট-মূর্খ পণ্ডিতদের (জ্ঞানপাপী) জানিয়ে দেয়া উচিত, কারা উপজাতি (Tribals) আর কারা আদিবাসী (Aboriginals) আর একই সঙ্গে তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী বিদেশী আদিবাসী শক্তির এজেন্ট এনজিও চক্রকেও আদিবাসী উপজাতীয় বির্তক না ছড়াতে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেয়া উচিত।
অতএব, সরকারের উচিত হবে- এসব রাজাকার, দেশ ও জাতির শত্রু, নৃ-তাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী, মিশনারী এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে তিন পার্বত্য অঞ্চলকে রক্ষার নিমিত্তে অনতিবিলম্বে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া। অর্থাৎ তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই পার্বত্য অঞ্চলে সংঘবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না দেয়া। পাশাপাশি ঐ অঞ্চলের স্থানীয় ও সারাদেশের ভূমিহীন বাঙালিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিন পার্বত্যাঞ্চলে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করা।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৭
গাধা গরু বলেছেন: বাল সরকারের আমল বলা যায় না কখন কি হয়ে যায়
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: এই সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল পার্বত্য অঞ্চল থেকে সামরিক বাহিনীর চৌকি প্রত্যাহার যার কারনে তারা এই সব করার সুযোগ পাচ্ছে আর শান্তি চুক্তির নামে শান্তি বাহিনীর লাগামহীন সুযোগ সুবিধা দিয়ে সরকার তাদের মাথায় তুলেছে।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
অেসন বলেছেন: আপনার কথামত নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৪৭ বা ১৯৭১ সালে কত ছিল ? আর বর্তমানে কত ? আর বাঙ্গালীদের সংখ্যা
কত ছিল বা আছে ? এই তথ্য বিশ্লেষন করলে অবশ্যই মানবাধিকারের
প্রশ্ন উঠে। নির্যাতিত কারা তাও পরিষ্কার হয়। কাদের পক্ষে প্রশাসন কাজ
করে তাও পরিষ্কার বুঝা যায়।
আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় যখন পদ্মাসেতুর দূর্নীতির কথা বলে, ডঃ ইউনুসের
পাশে দাঁড়ায় তখন ভালো লাগে। আর যখন নৃতাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর
পাশে দাঁড়ায় তখন দেশ ভাগের ষড়যন্ত্র মনে হয়।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই আমাদের সাবধান হতে হবে এসব ষড়যন্ত্র থেকে। এদেশ কিছুতেই ভাঙ্গতে দিব না কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা। কিছুতেই না।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
হেডস্যার বলেছেন:
ষড়যন্ত্র তো অবশ্যই।
রুখতে হবে এখনই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই স্বপ্ন কখনও সফল হবার নয়।